উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন ২০২২ ধ্বনিতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্ব | HS Bengali suggestions 2022:
বাংলার ধ্বনির সংখ্যা –
(A) ৫
(B) ৭
(C) ৯
(D) ১১
Ans: (B) ৭
নীচের কোনটি বাগযন্ত্রের অন্তভুক্ত নয় ?
(A) কণ্ঠ
(B) তালু
(C) দন্ত
(D) মস্তক
Ans: (D) মস্তক
পর্শিক ধ্বনি বলা হয় –
(A) ম
(B) র
(C) ল
(D) শ
Ans: (C) ল
তাড়িত অল্পপ্রাণ ধ্বনিটি –
(A) র
(B) ড়
(C) ল
(D) শ
Ans: (B) ড়
‘ ল ‘ ধ্বনিটি –
(A) কম্পিত ধ্বনি
(B) নস্যিক ধ্বনি
(C) উষ্ম ধ্বনি
(D) পর্শিক ধ্বনি
Ans: (D) পর্শিক ধ্বনি
বাংলায় অর্ধ স্বরধ্বনি হলো –
(A) ২ টি
(B) ৩ টি
(C) ৪ টি
(D) ৫ টি
Ans: (C) ৪ টি
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর উচ্চমাধ্যমিক বাংলা – ধ্বনিতত্ত্ব (ভাষা) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Question and Answer :
* মৌলিক স্বরধ্বনি কাকে বলে ? একটি উদাহরণ দাও ।
উত্তর: যে স্বরধ্বনিকে ভাঙা যায় না তাকে মৌলিক স্বরধ্বনি বলে । বাংলায় ১১ টি স্বরধ্বনির মধ্য ৭ টি স্বরধ্বনিকে মৌলিক স্বরধ্বনি বলা হয় । উদাহরণ— ‘ অ ‘ , ‘ আ ‘ , ‘ ই ‘ , ‘ উ ’ , ‘ এ ’ এবং ‘ ও ’ |
* ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্য কী ?
উত্তর: বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে আমরা যা উচ্চারণ করি তা হলো ধ্বনি । অন্যদিকের ধ্বনির লিখিত রূপ হলো বর্ণ ।
* ঘোষীভবন কাকে বলে ?
উত্তর: কোনো কোনো সময় অঘোষধ্বনি উচ্চারণকালে ঘোষধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়ে যায় , একে ঘোষীভবন বলে । যেমন- কাক > কাগ , শাক > শাগ ।
* লোক নিরুত্তি কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
উত্তর: দীর্ঘ সময় ধরে ভিন্ন ভাষা সংযোগ এবং পারিপার্শ্বিক সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের ফলে কোনো একটি শব্দ অন্য একটি শব্দের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয় , ফলে নতুন শব্দটি আমাদের কাছে পরিচিত ও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাকে লোক নিরুক্তি বলে । যেমন— আর্মচেয়ার > আরামচেয়ার ।
* উদাহরণসহ গুচ্ছধ্বনি ও যুক্তধ্বনির পরিচয় দাও।
উত্তর: শব্দের মধ্যে পাশাপাশি অবস্থিত দুটি ব্যঞ্জনধ্বনির সমাবেশ ঘটলে তাকেই গুচ্ছধ্বনি বলে । লক্ষ্যণীয় এ ক্ষেত্রে গুচ্ছধ্বনি ভুক্ত ব্যঞ্জনগুলি সব সময়েই আলাদা দলভুক্ত হয় । প্রথমটি পূর্ববর্তী দলে এবং শেষেরটি পরবর্তী দলে যায় । যেমন অবস্থা > অ বস . থা – এখানে গুচ্ছধ্বনির ‘ স্ ’ পূর্ববর্তী ‘ ব ’ এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে আর ‘ থ ‘ পরবর্তী স্বরধনি ‘ আ ’ এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে অন্য একটি দল গড়েছে । প্রায় দুশোটির বেশি গুচ্ছধ্বনি বাংলা ভাষায় আছে । এরকম গুচ্ছধ্বনির উদাহরণ হলো- শব্দ , আশ্চর্য ইত্যাদি ।
অন্যদিকে ব্যঞ্জনধ্বনির একত্র সমাবেশ যদি শব্দের শুরুতে হয় তাকে বলে যুক্তধ্বনি । যুক্তধ্বনির সঙ্গে গুচ্ছধ্বনির প্রধান পার্থক্য হলো যুক্তধ্বনি তুই ব্যঞ্জনগুলি কখনোই আলাদা দলে বিভাজিত হয় না । প্র , ত্রু , স্ত , দ্র- এরকম ২৮ টি যুক্ত ধ্বনি বাংলায় আছে ।
MCQ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন – বাক্যতত্ত্ব (ভাষা) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Question and Answer :
‘ পদযুগলের সংগঠন তত্ত্ব ‘ – প্রবক্তা ছিলেন –
(A) নোয়াম চমস্কি
(B) সুকুমার সেন
(C) পটার
(D) স্যাপির
Ans: (A) নোয়াম চমস্কি
অনুসর্গ গুচ্ছ – এই জোটের স্বাসন ক্ষমতা থাকে –
(A) পরসর্গের হতে
(B) উপসর্গের হতে
(C) ক্রিয়াপদের হতে
(D) ক্রিয়াজোটের হতে
Ans: (A) পরসর্গের হতে
পদগুচ্ছ সংগঠনের প্রধান দুটি ভাগ হলো –
(A) উদ্দেশ্য ও বিধেয়
(B) বিসেসোগুচ্ছ ও কেইয়াগুচ্ছ
(C) বিশেষ্য ও বিধেয়
(D) বিশেষ্য ও নির্দেশক
Ans: (B) বিসেসোগুচ্ছ ও কেইয়াগুচ্ছ
ভাষায় শব্দ জুড়ে বাক্য গঠনের নিয়মাবলীকে বলা হয় –
(A) ধ্বনিতত্ত্ব
(B) শব্দার্থ তত্ত্ব
(C) বাক্যতত্ত্ব
(D) রূপতত্ত্ব
Ans: (C) বাক্যতত্ত্ব
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন – বাক্যতত্ত্ব (ভাষা) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Question and Answer :
* অর্থগত দিক থেকে বাংলা বাক্যকে মূল কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী ?
উত্তর: অর্থগত দিক থেকে বাংলা বাক্যকে চার ভাগে ভাগ করা যায় । তা হলো নির্দেশক , প্রশ্নবাচক , বিস্ময়বাচক এবং অনুজ্ঞাবাচক ।
* সরল বাক্যে কয়টি উদ্দেশ্য এবং কয়টি বিধেয় থাকে ?
উত্তর: সরল বাক্যে একটি উদ্দেশ্য এবং একটি বিধেয় থাকে ।
* বাক্য গঠনের কয়টি নিয়ম ও কী কী ?
উত্তর: বাক্য গঠনের দু’টি নিয়ম – ক ) পদের ক্রম এবং খ ) এক পদের সঙ্গে অন্য পদের সম্পর্ক ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন – বাক্যতত্ত্ব (ভাষা) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Question and Answer :
* গঠন অনুসারে বাক্যকে কটি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী ? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও ।
উত্তর: গঠন অনুসারে বাক্যকে তিনভাগে ভাগ করা যায় , সেগুলি হলো ( ক ) সরল বাক্য ( খ ) জটিল বাক্য ( গ ) যৌগিক বাক্য । প্রতিটি ভাগের একটি করে উদাহরণ হলো :
সরল বাক্য : যে বাক্যে একটি মাত্র উদ্দেশ্য ও একটি মাত্র বিধেয় থাকে , তাকে সরল বাক্য বলে । এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যে , সরল বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়া একটিই থাকবে । যেমন- সরস্বতী পূজায় ছাত্র / ছাত্রীরা অঞ্জলি দেয় ।
জটিল বাক্য : যে বাক্যে একটি প্রধান খন্ডবাক্য এবং তার অধীন এক বা একাধিক অপ্রধান খন্ডবাক্য থাকে , তাকে জটিল বাক্য বলে । জটিল বাক্যে কম করে দুটি অসমাপিকা ক্রিয়া থাকবে । যেমন – তুমি যদি পরিশ্রম করো তবে সফল হবে ।
যৌগিক বাক্য : একাধিক সরল বা জটিল বাক্যের সংযোগে গঠিত বাক্যই যৌগিক বাক্য । যৌগিক বাক্যে অন্তত দুটি প্রধান খন্ডবাক্য থাকবেই এবং খন্ডবাক্যগুলি সমুচ্চয়ী অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকবে । যেমন- তুমি আসবে এবং আমার দেখা পাবে ।
* বাক্যের অব্যবহিত দু’টি উপাদান বিশ্লেষণ করে দেখাও ।
অথবা , বাক্যের অব্যবহিত উপাদান হিসেবে বিশেষ্য বা বিশেষ্যগুচ্ছ এবং ক্রিয়াজোট বা ক্রিয়াগুচ্ছ সম্পর্কে আলোচনা করো ।
উত্তর: একটি বাক্য গঠন করার জন্য যে খণ্ড বাক্য বা ছোটো ছোটো পদগুচ্ছের দরকার হয় , তা – ই হলো বাক্যের অব্যবহিত উপাদান । বাক্যের অব্যবহিত উপাদান হিসেবে নিম্নে বিশেষ্যগুচ্ছ এবং ক্রিয়াগুচ্ছ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ।
বিশেষ্যজোট বা বিশেষ্যগুচ্ছ : বিশেষ্য জোট বাঁধে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ঘিরে । এই জোটে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ বাদ দিলে আর যে সমস্ত সদস্য থাকে তাদের ক্ষমতা থাকে না । তাদের কাজ জোটের কলেবর বৃদ্ধিতে কাজে লাগা । যেমন– ( ক ) শুধুমাত্র রাবণ ; ( খ ) ওই লম্বা লোকটা ।
এখানে ‘ রাবণ ’ এবং ‘ লোকটা ’ বিশেষ্য পদ । এই বিশেষ্য পদগুলির সঙ্গে সর্বনাম পদ যোগে বিশেষ্যজোট গঠন করা হয় । যেমন— প্রথম উদাহরণটিকে বলা যায়— শুধুমাত্র পবিত্র , সাহসী , বীর , সংগ্রামী রাবণ মৃত্যুভয়কে জয় করতে পারে । এভাবে জোটের আয়তন বাড়ানো যায় ।
ক্রিয়াজোট বা ক্রিয়াগুচ্ছ : ক্রিয়া কাল প্রতিফলিত করে । ভাষার সবচেয়ে জটিল বিষয় ক্রিয়ার দ্বারা প্রতিফলিত হয় , তাই ক্রিয়ার জোট বাঁধা একটি জটিল বিষয় । অন্যান্য পদের তুলনায় ক্রিয়ার রূপবৈচিত্র্যও বেশি । বিশেষ্য জোটের পরে ক্রিয়াজোট অবস্থান করে । উদাহরণ— রহিম খায় , রহিম খাচ্ছিল , রহিম খেয়ে ফেলল— এখানে ক্রিয়াজোটগুলি বিশেষ্যজোটের পরে হয়েছে । উদাহরণটিতে প্রতিটি ক্ষেত্রেই মূল ক্রিয়াপদ ‘ খাওয়া ’ – র সঙ্গে কাল ও পুরুষ যোগে ক্রিয়াজোট গঠিত হয়েছে ।