মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ সাজেশান ২০২৬ প্রশ্ন ও উত্তর
তুমি কি ২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছো? 📝
তাহলে এই পোস্টটা তোমার জন্যই! এখানে পাবো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাংলা ব্যাকরণের সাজেশান, সম্ভাব্য প্রশ্ন ও উত্তর, আর ছোট ছোট টিপস যা পরীক্ষায় তোমাকে দেবে বাড়তি নম্বরের নিশ্চয়তা। 💯
চলো শুরু করি — দেখি তুমি কতটা প্রস্তুত! 🔍✨

কারক ও অকারক সম্পর্ক
1. প্রযোজক কর্তা কাকে বলে?
Ans: কর্তা যখন নিজে কাজ না করে অন্য কাউকে দিয়ে কাজ করায় তখন সেই কর্তাকে প্রযোজক কর্তা বলে। যেমন- জিৎ প্রিয়াংশুকে অঙ্ক করাচ্ছে।
২. সমধাতুজ কর্তার উদাহরণ দাও।
Ans: গায়ক গায়।
৬. ব্যতিহার কর্তা কাকে বলে?
Ans: বাক্যের মধ্যে দুটি কর্তার পরস্পর একই ক্রিয়া সম্পন্ন করা বোঝালে তাকে বলা হয় ব্যতিহার কর্তা।
৪. নিরপেক্ষ কর্তা কাকে বলে?
Ans: একটি বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়া ও অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা আলাদা হলে অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তাকে নিরপেক্ষ কর্তা বলে।
৫. বিভক্তি কাকে বলে?
Ans: যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে পদ গঠন করে তাকে বিভক্তি বলা হয়।
৬. বিভক্তি ও অনুসর্গের একটি পার্থক্য লেখ।
Ans: বিভক্তির নিজস্ব কোনো অর্থ নেই, কিন্তু অনুসর্গের নিজস্ব অর্থ আছে।
৭. নির্দেশক কাকে বলে? বিভক্তি ও নির্দেশকের পার্থক্য লেখ।
Ans: কোনো বস্তু বা ব্যক্তিকে বিশেষ অর্থে বোঝানোর জন্য এবং বস্তু বা ব্যক্তির সংখ্যা বোঝানোর জন্য কয়েকটি চিহ্ন ব্যবহার দেখা যায়। এই চিহ্নগুলিকে নির্দেশক বলে। বিভক্তি চিহ্ন পদের কারক নির্দেশ করে। অন্যদিকে নির্দেশকগুলি পদের বচন নির্দেশ করে।
৮. অকারক পদ কাকে বলে? বাংলা ভাষায় পদগুলির উল্লেখ কর।
Ans: বাক্যের যেসব পদের সঙ্গে ক্রিয়া পদের কোনো সম্পর্ক থাকে না, অথচ তার সঙ্গে বাক্যের অন্য কোনো পদের সম্পর্ক থাকতে পারে—এই পদগুলিকেই বলে অকারক পদ। যেমন—সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ।
৯. শূন্য বিভক্তি কাকে বলে?
Ans: যেসকল বিভক্তি শব্দের পরে বসে তাদের নামপদে পরিণত করে এবং অপ্রকাশিত থাকে তাদের বলে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
কারক ও অকারক সম্পর্ক – পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ:
Ans: কর্মকারকে ‘শূন্য‘ বিভক্তি।
১. কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের।
২. বুকের রক্ত ঝূলকে ওঠে তপনের।
Ans: সম্বন্ধপদে ‘এর‘ বিভক্তি।
৩. আমরা ভিখারি বারোমাস।
Ans: কালাধিকরণে ‘শূন্য‘ বিভক্তি।
৪. আমাদের কথা কে – বা জানে।
Ans: কর্তৃকারকে ‘শূন্য‘ বিভক্তি।
৫. নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত।
Ans: কর্মকারকে ‘কে‘ বিভক্তি।
৬. বাড়ির রান্না হতো কাঠের উনুনে।
Ans: সম্বন্ধপদে ‘র‘ বিভক্তি।
৭. তারা ওই কালো জলে হরতকী ঘষত।
Ans: কর্মকারকে ‘শূন্য‘ বিভক্তি।
৮. কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য।
Ans: অধিকরণ কারকে ‘শূন্য‘ বিভক্তি।
৯. ছিঁড়িলা কুসুমদাম রোসে মহাবলী / মেঘনাদ।
Ans: হেত্বর্থক করণে ‘এ‘ বিভক্তি।
১০. বায়ু অস্ত্র উড়াইব তারে।
Ans: করণ কারকে ‘এ‘ বিভক্তি।
সমাস
১. একশেষ দ্বন্দ্ব সমাসের ব্যাসবাক্য সহ একটি উদাহরণ দাও।
Ans: আমরা > তুমি ও আমি।
২. নিত্য সমাস কাকে বলে?
Ans: যে সমাসে ব্যাসবাক্য হয় না অথবা ব্যাসবাক্য গঠন করতে হলে অন্য পদের সাহায্য গ্রহণ করতে হয় তাকে নিত্য সমাস বলে।
৩. ‘সমাস’ শব্দটার বুৎপত্তি কী?
Ans: ‘সমাস’ শব্দটার বুৎপত্তি নির্ণয় করলে পাওয়া যাবে সম্ – অস্ + ঘঞ্।
৪. উপমান ও উপমিত কর্মধারয় সমাসের মধ্যে একটি পার্থক্য লেখ।
Ans: সাধারণ ধর্ম থাকে উপমান কর্মধারয়ের ক্ষেত্রে আর উপমিত কর্মধারয় – এর ক্ষেত্রে সাধারণ ধর্ম থাকে না।
৫. বাক্যাশ্রয়ী সমাস কাকে বলে?
Ans: যে সমাসে একাধিক সমস্যমান পদের দ্বারা একটি দীর্ঘ সমস্তপদে উপনীত হওয়া সেটিকে বলা হয় বাক্যাশ্রয়ী সমাস। যেমন—ইন্দ্রিয়কে জয় করেছেন যিনি—জিতেন্দ্রিয়।
৬. অন্য পদের অর্থ প্রাধান্য পায় কোন সমাসে?
Ans: বহুব্রীহি।
৭. উপমান কর্মধারয়ের একটি উদাহরণ দাও।
Ans: তুষারের ন্যায় ধবল তুষারধবল।
৮. মধ্যপদলোপী কর্মধারয় কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
Ans: যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মাঝখানের পদটি লুপ্ত হয় তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন—সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন।
৯. সমাস কাকে বলে?
Ans: পারস্পরিক অর্থগত সম্পর্ক রয়েছে এমন দুই বা ততোধিক পদের একপদীকরণকেই সমাস বলে।
১০. ‘কর্মধারয়’ শব্দটার অর্থ কী? কোন প্রসঙ্গে শব্দটির ব্যবহার করা হয়?
Ans: কর্মকে যে ধারণ করে তাকে কর্মধারয় বলে। যে সমাসে সমস্যমান পদগুলি বিশেষ্য ও বিশেষ্য হয় এবং পরস্পরের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।
১১. ‘তৎপুরুষ’ শব্দটার সাধারণ অর্থ ও একটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
Ans: ‘তৎপুরুষ’ শব্দটার সাধারণ অর্থ ‘তার পুরুষ‘। এই সমাসের ব্যাসবাক্যে সমস্যমান পদ দুটির মধ্যে পরপদটি প্রধান হয় এবং পূর্বপদের কারকবোধক ও সম্বন্ধবোধক বিভক্তি বা অনুসর্গ লোপ পায়।
১২. ‘বহুব্রীহি’ শব্দটার অর্থ কী?
Ans: বহুব্রীহি যার অর্থাৎ অনেক ধান আছে যার।
১৩. সমস্ত পদ বা সমাসনিষ্পন্ন পদ কাকে বলে?
Ans: পূর্ব ও উত্তর পদ মিলে সমাসের মাধ্যমে যে নতুন পদ গঠন করে তাকে বলে সমস্ত পদ।
১৪. সমস্ত পদের অন্য নাম কী?
Ans: সমস্ত পদের অন্য নাম সমাসবদ্ধ পদ।
সমাস – পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ:
১. কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের।
Ans: জ্ঞানচক্ষু : জ্ঞান রূপ চক্ষু, রূপক কর্মধারয় সমাস।
২. প্রাচীন জলতরঙ্গ।
Ans: জলতরঙ্গ : জলের তরঙ্গ, সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস। জলতরঙ্গ নাম যার (যে বাদ্যযন্ত্রের), বহুব্রীহি সমাস।
৩. আমরা ভিখারি বারোমাস।
Ans: বারো মাসের সমাহার, সমাহার দ্বিগু সমাস।
৪. বাঁধলে তোমাকে বনস্পতির নিবিড় পাহারায়।
Ans: বনের পতি, সম্বন্ধ তৎপুরুষ।
৫. এসো যুগান্তের কবি।
Ans: যুগের অন্ত, সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
৬. হিমালয়ের গুহাতে থাকেন।
Ans: হিমের আলয়, সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
৭. কারও কারও মুগ্ধ চোখের মোহমুগ্ধ হয়।
Ans: মোহের ভক্ত, সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
৮. অদৃষ্ট কখনো হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না।
Ans: নঞ দুষ্ট, নঞ তৎপুরুষ সমাস।
৯. চিরন্তন রূপে/ হত প্রিয় ভাই তব বীরবাহু বলী।
Ans: বীরের মতো বাহু যার, উপমিত বহুব্রীহি সমাস।
১১. উড়িছে কৌশিক – ধ্বজ।
Ans: কৌশিকের ধ্বজার মতো ধ্বজা যার, উপমিত বহুব্রীহি সমাস।
১২. যথাবিধি লয়ে / গঙ্গোদক।
Ans: যথাবিধি: বিধির মতো, উপসর্গ তৎপুরুষ সমাস। গঙ্গোদক: গঙ্গার উদক, সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
১৩. স্পর্শা তোমাদের আকাশস্পর্শী হয়ে উঠেছে।
Ans: আকাশকে স্পর্শ করেছে যে, উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
১৪. সবাই নিজ নিজ সৈন্যবাহিনী নিয়ে সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
Ans: সৈন্যবাহিনী – সৈন্যদের বাহিনী, সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
১৫. আগাগোড়া লোহার নাল বাঁধেনা।
Ans: আগাগোড়া: আগা থেকে গোড়া, অপাদান তৎপুরুষ সমাস।
১৬. অতি মনোহর দেশ।
Ans: মন হরণ করে যে, উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
১৭. সত্য ধর্ম সদা সদাচার।
Ans: সদাচার: সৎ যে আচার, কর্মধারয় সমাস।
১৮. সমুদ্রনূপতি সুতা।
Ans: সমুদ্রনূপতি: সমুদ্রের (সমুদ্রগড়ের) নৃপতি, সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস। তাঁর সুতা – সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
১৯. মা তখন ওকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বললেন।
Ans: বেকায়দায়: নয় (বা) কায়দা, উপসর্গ তৎপুরুষ সমাস, সেভাবে।
২০. গান দাঁড়াল ক্ষীণবালক।
Ans: ক্ষীণবালক বালক ক্ষীণ, কর্মধারয় সমাস।
এই বিচারে সমাস ও কারক বিভক্তির বিশ্লেষণ অত্যন্ত আকর্ষণীয়! কিন্তু কী হতো যদি কেউ সমস্যমান পদ দুটি মিলে কিছু নতুন মজাদার শব্দ তৈরি করতে ভাবেন না? তাহলে এই ব্যাকরণের রুলগুলি কি মাথায় ভাববেনা? তৎপুরুষ সমাসের মতোই একটু মজা করে দেখুন না কেন আমরা শিখি!