কর্ম কারক কাকে বলে

কর্মকারক

স্যার তোকে ডাকছেন।
তোমার ছেলে কথা বলছে?
আমায় কেন দোষ ?

উপরে আলোচ্য বাক্য তিনটিতে ক্রিয়াপদগুলি হল—ডাকছেন, বলছে, দিচ্ছ। এই তিনটি বাক্যে যারা ক্রিয়াটি সম্পাদন করছে অর্থাৎ ‘স্যার’, ‘তোমার ছেলে”, এবং তৃতীয়টির ক্ষেত্রে উহা-তারা কর্তা। কিন্তু ক্রিয়াটি ঘটছে ‘তোকে’, ‘কথা’, ‘আমায়’ এই তিনটি পদকে ঘিরে। তোমাদের যদি প্রশ্ন করি, এই তিনটি কী পদ? তোমরা বলবে ‘কর্ম’। এর কারণ কী? কারণ হল, প্রতি ক্ষেত্রেই ক্রিয়াকে ‘কী’ বা ‘কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে ‘উত্তর’ পাওয়া যাচ্ছে। ‘কী’ বা ‘কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যথাক্রমে যে বস্তুবাচক পদ এবং প্রাণীবাচক পদ পাওয়া যায়, দুটিই কৰ্ম । যেমন—

ক্ষেত্রপ্রশ্নউত্তর
১ম বাক্যের ক্ষেত্রেস্যার কাকে ডাকছেন?স্যার তোকে ডাকছেন।
২য় বাক্যের ক্ষেত্রেতোমার ছেলে কী বলছে?তোমার ছেলে কথা বলছে।
৩য় বাক্যের ক্ষেত্রেকাকে দোষ দিচ্ছ? আমায় দোষ দিচ্ছ।

সুতরাং, এই তিনটি বাক্যেই ক্রিয়ার সঙ্গে কর্মের সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ব্যাকরণের ভাষায়, কর্তা যাকে অবলম্বন করে বা আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে কর্মকারক বলে। সহজ ভাষায়, কর্মের সঙ্গে ক্রিয়ার সম্পর্কই হল কর্মকারক।

Join Telegram

Leave a Comment