কন্যাশ্রী প্রকল্প কন্যাশ্রীর জন্য
প্রথম আবেদন করছো? কি কি তোমার জন্য দরকার হবে
কি কি তোমার জন্য দরকার
(1) যদি তোমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে পিতামাতাকে তোমার নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য সাহায্য করতে বলো। তুমি যে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছো সেই ব্যাঙ্কের যেন আই.এফ.এস কোড এবং এম.আই.সি.আর কোড থাকে এবং একসাথে ২৫০০০ টাকা ঢোকার যেন বৈধতা থাকে।
(2) তোমার কাগজপত্রের নকল (ফটোকপি) তৈরি রাখো।
(3) একটি রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড) তুলে রাখো।
(4) আবেদনপত্র তৈরি রাখো –
❑ আবেদনপত্র পরিস্কার হাতের লেখায় পূরণ কর
❑ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তোমার নামের যে বানান আছে সেই নামের বানানই যেন আবেদনপত্রে লেখা থাকে।
❑ আবেদনপত্রের পৃষ্ঠা ১-এর ডান দিকের উপরে তোমার পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগাও।
❑ আবেদনপত্রের ১, ২, ও ৩ নং পৃষ্ঠাতে তুমি স্বাক্ষর করো।
❑ পিতামাতাকে ৩ নং পৃষ্ঠাতে স্বাক্ষর করতে বলো।
❑ কাগজপত্রের নকল (ফটোকপি) তোমার আবেদনপত্রের সাথে যুক্ত করো।
বিদ্যালয়ের করণীয় কাজ
(1) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে সকল কাগজপত্রসহ আবেদনপত্রটি জমা কর।
(2) তোমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রাপ্তিস্বীকারের শিল্প (আবেদনপত্রের পৃষ্ঠা ১-এর নীচে) কেটে তোমাকে দেবে। এই কাগজটি যত্ন সংরক্ষণ করতে হবে-এই কাগজটিতে তোমার কন্যাশ্রী আই.ডি এবং অন্যান্য বিবরণ লেখা থাকবে।
তোমার কন্যাশ্রী আই.ডি. কি এবং কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ ?
তোমার আবেদনপত্রটিকে তোমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান অনলাইনে লিপিবদ্ধ করবে, এবং তারপরে তুমি একটি ২০ সংখ্যার কন্যাই আই.ডি. নং পাবে। তুমি যেমন তোমার নামে পরিচিত, তেমনই কন্যাশ্রীর অনলাইন সিস্টেম তোমাকে তোমার কন্যাশ্রী আই.ডি. নং চিনবে, সুতরাং নম্বরটি সযত্নে লিখে রাখো।
কি ধরণের কাগজপত্র তোমাকে আবেদনপত্রের সাথে দাখিল করতে হবে ?
❑ তোমার জন্মশংসাপত্র
❑ তুমি যে অবিবাহিত সেই সম্বন্ধে তোমার পিতামাতা অথবা তোমার আইনি অভিভাবকের বিবৃতি
❑ পিতামাতা অথবা তোমার আইনি অভিভাবকের বার্ষিক আয়ের শংসাপত্র বা বিবৃতি
❑ তোমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রথম পাতার ফটোকপি।
❑ তোমার যদি আধার কার্ড থাকে তাহলে তার ফটোকপি।
❑ প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্র (যে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
❑ পিতামাতার মৃত্যু শংসাপত্র (শুধুমাত্র উভয়েই যদি মৃত হন)