উত্তর :- স্বাধীনতা লাভের পর ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার প্যাটেল দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেন। রাজ্যগুলিতে প্রজাবিদ্রোহের আশঙ্কা প্রভৃতি কারণে স্বাধীনতা লাভের মাত্র ৩ সপ্তাহের মধ্যে অধিকাংশ দেশীয় রাজ্য “ভারত-ভুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। তবে জুনাগড়, কাশ্মীর ও হায়দ্রাবাদ ভারতে যোগ দিতে অস্বীকার করে।
গুজরাট অঞ্চলে অবস্থিত জুনাগড় রাজ্যের অধিকাংশ বাসিন্দা হিন্দু হলেও এর শাসক ছিলেন মুসলমান। পশ্চিমে আরব সাগর ছাড়া অন্য সবদিকে রাজ্যটি ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে ঘেরা। তা সত্ত্বেও এই রাজ্যের নবাব তৃতীয় মহঃ মোবারক খণ্ডী পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পাকিস্তানও এই সিদ্ধান্ত মেনে নিলে রাজ্যের ভিতরেই গণ অসন্তোষ শুরু হয়। নবাব পাকিস্তানে পালিয়ে যান। ভারত ঘোষণা করে জনগণের ইচ্ছার অমর্যাদা না করে তাদের মর্যাদা রক্ষার জন্য গণভোট নেওয়া প্রয়োজন। ইতিমধ্যে জুনাগড়ের সঙ্গে ভারত সমস্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দিলে সেখানকার খাদ্য পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। এমতাবস্থায় প্যাটেল জুনাগড়ে সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলে সেখানকার প্রশাসন ভারত সরকারকে নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের অনুরোধ করে। এই সময় ভারত সরকারের উদ্যোগে জুনাগড়ে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয় (১৯৪৮. ফ্রেব্রুয়ারি)। তাতে ১৯% এর বেশি মানুষ ভারতে
যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করলে জুনাগড় ১৯৪৯ খ্রিঃ এর January মাসে ভারতের অন্তর্ভূক্ত হয়।
জুনাগড় রাজ্যটি কবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়
জুনাগড় ১৯৪৯ খ্রিঃ এর January মাসে ভারতের অন্তর্ভূক্ত হয়।