Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
পরিচালনার সুবিধার জন্য ভারতীয় রেলপথকে 17টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭টি রেলপথ ব্যবস্থা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় রেলের এই আঞ্চলিক বিভাগ ও সদরদপ্তরগুলি হল –
[1] পূর্ব রেলপথ (কলকাতা),
[2] দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথ (কলকাতা),
[3] উত্তর-পূর্ব রেলপথ (গোরক্ষপুর),
[4] উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলপথ (গুয়াহাটি),
[5] পশ্চিম রেলপথ (মুম্বাই),
[6] উত্তর রেলপথ (নতুন দিল্লি),
[7] দক্ষিণ রেলপথ (চেন্নাই),
[৪] মধ্য রেলপথ (মুম্বাই),
[10] পূর্ব-মধ্য রেলপথ (হাজিপুর),
[11] পূর্ব উপকূলীয় রেলপথ (ভুবনেশ্বর),
[12] উত্তর-মধ্য রেলপথ (এলাহাবাদ),
[13] উত্তর-পশ্চিম রেলপথ (জয়পুর),
[14] দক্ষিণ-পূর্ব-মধ্য রেলপথ (বিলাসপুর),
[15] দক্ষিণ-পশ্চিম রেলপথ (হুবলি),
[16] পশ্চিম-মধ্য রেলপথ (জব্বলপুর),
[17] মেট্রো রেলপথ (কলকাতা)
ভারতীয় রেল ভারত নির্মাণে সাহায্য করলেও, এর কতকগুলি সমস্যা রয়েছে।
[1] পরিবহণ সময়সাপেক্ষ: দেশের মধ্যে নানা ধরনের গেজ চালু থাকায় পণ্য এবং যাত্রী পরিবহণে অহেতুক সময় লাগে, এবং এতে পরিবহণ ব্যয়ও বেড়ে যায়।
[2] উন্নত প্রযুক্তির অভাব: ভারতীয় রেল এখনও সেভাবে আধুনিক হয়ে ওঠেনি। সিগনালিং, ট্রাক, মুখোমুখি সংঘর্ষ না হবার প্রযুক্তি ইত্যাদির অভাব রয়েছে।
[3] ওয়াগানের অভাব: পণ্য পরিবহণে প্রয়োজনমতো ওয়াগান পাওয়া যায় না। এতে ব্যবসায়ীরা রেলপথ ছেড়ে সড়কপথকে বেছে নিচ্ছে।
[4] ভাড়া ফাঁকি: ভারতীয়দের রেলের ভাড়া ফাঁকি দেওয়ার মানসিকতা আছে। তাই যে পরিমাণ যাত্রী পরিবাহিত হয় সেই পরিমাণ রোজগার রেলের হয় না, এ ছাড়া পণ্য পরিবহণেও অনেক দুর্নীতি চলে। এতে রেলের প্রকৃত আয় কমে যায়।
[5] জীবন ও সম্পত্তি সুরক্ষার অভাব: রেল দুর্ঘটনা, ট্রেনে ছিনতাই, চুরি, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটনা যাত্রীদের সুরক্ষিত করে না। এটি একটি প্রবল সমস্যা।
[6] রেলকর্মী কম: ভারতের সর্বাধিক কর্মীযুক্ত রেল বর্তমানে কর্মীর অভাবে অনেকটা পিছিয়ে পড়ছে। একই ড্রাইভার, প্রযুক্তিবিদদের বেশি সময় ধরে পরিশ্রম করানোয় তাদের কর্মদক্ষতা হ্রাস পাচ্ছে এবং কর্ম মনোবলে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
দুটি লাইনের মধ্যে দূরত্ব সব রেলপথে সমান নয়। এই দূরত্বের পার্থক্য অনুযায়ী ভারতের রেলপথকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়—
[1] ব্রড গেজ (broad gauge ) : এক্ষেত্রে লাইনের মধ্যে দূরত্ব হয় 1.68 মিটার। ব্রড গেজ দিয়েই সর্বাধিক পরিবহণ কাজ চলে। বর্তমানে 108000 কিমি রেলপথ ট্র্যাক ব্রডগেজের অন্তর্ভুক্ত বা প্রায় 56000 কিমি দীর্ঘ রেলপথ ব্রডগেজের অন্তর্গত।
[2] মিটার গেজ (metre gauge) : এক্ষেত্রে দুটি লাইনের মধ্যে ব্যবধান হয় 1 মিটার। বর্তমানে প্রায় 4000 কিমি
রেলপথ মিটার গেজের অন্তর্ভুক্ত। এর পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে।
[3] ন্যারো গেজ (narrow gauge) : এই পথে দুটি রেল লাইনের মধ্যে দূরত্ব থাকে প্রায় 0.76 মিটার ও 0.61 মিটার। ভারতে বর্তমানে ন্যারো গেজ রেলপথ রয়েছে প্রায় 5000 কিমি।