ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস: একটি বিশদ বিবরণ



ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস: প্রথম অংশ

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস বিশ্বের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এটি শুধু একটি দেশের স্বাধীনতার গল্প নয়, বরং এটি মানবাধিকার, স্বাধীনতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি দীর্ঘ ও কঠোর সংগ্রামের কাহিনী।

ব্রিটিশ শাসনের সূচনা:
1757 সালে পলাশীর যুদ্ধের মাধ্যমে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে তাদের শাসন প্রতিষ্ঠা করে। ধীরে ধীরে তারা সমগ্র উপমহাদেশে তাদের কর্তৃত্ব বিস্তার করে। 1858 সালে সিপাহী বিদ্রোহের পর, ব্রিটিশ সরকার সরাসরি ভারতের শাসনভার গ্রহণ করে।

প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম:
অনেকে 1857 সালের সিপাহী বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম হিসেবে বিবেচনা করেন। এই বিদ্রোহ যদিও প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনীর মধ্যে শুরু হয়েছিল, কিন্তু পরে এটি একটি ব্যাপক জনবিদ্রোহে পরিণত হয়। যদিও এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়, তবে এটি ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগ্রত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা:
1885 সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এই সংগঠন ভারতীয়দের রাজনৈতিক অধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের দাবি তুলে ধরতে শুরু করে।

ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস: দ্বিতীয় অংশ

স্বদেশী আন্দোলন:
1905 সালে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন ভারতীয় পণ্যের ব্যবহার ও বিদেশী পণ্য বর্জনের আহ্বান জানায়। এটি ভারতীয়দের মধ্যে আত্মনির্ভরতা ও জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

গান্ধীজির আবির্ভাব:
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী 1915 সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে আসেন। তিনি অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন। তাঁর নেতৃত্বে চম্পারণ সত্যাগ্রহ (1917), খেদা সত্যাগ্রহ (1918), এবং রওলাট সত্যাগ্রহ (1919) ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনকে নতুন মাত্রা দেয়।

জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড:
1919 সালের 13 এপ্রিল অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী নিরস্ত্র ভারতীয়দের ওপর গুলি চালায়। এই ঘটনা ভারতীয়দের মনে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও প্রতিরোধের আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

অসহযোগ আন্দোলন:
1920 সালে গান্ধীজি অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন। এই আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতীয়রা ব্রিটিশ সরকারের সাথে সহযোগিতা প্রত্যাহার করে নেয়। সরকারি পদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আদালত ইত্যাদি বর্জন করা হয়। এই আন্দোলন ব্যাপক জনসমর্থন পায়।

ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস: তৃতীয় অংশ

আইন অমান্য আন্দোলন:
1930 সালে গান্ধীজি দাণ্ডি অভিযানের মাধ্যমে লবণ আইন ভঙ্গ করে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করেন। এই আন্দোলন ব্রিটিশ সরকারের অন্যায্য আইনগুলির বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে।

ভারত ছাড়ো আন্দোলন:
1942 সালে গান্ধীজির নেতৃত্বে “ভারত ছাড়ো” আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন ব্রিটিশদের অবিলম্বে ভারত ছেড়ে যাওয়ার দাবি জানায়। এটি ছিল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী গণআন্দোলন।

সুভাষ চন্দ্র বসু ও আজাদ হিন্দ ফৌজ:
সুভাষ চন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ব্রিটিশদের বিতাড়নের চেষ্টা করেন। তাঁর “তুমি আমায় রক্ত দাও, আমি তোমায় স্বাধীনতা দেব” স্লোগান ভারতীয়দের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।

নৌ-বিদ্রোহ:
1946 সালের ফেব্রুয়ারিতে বোম্বে (বর্তমান মুম্বাই) বন্দরে ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই ঘটনা ব্রিটিশ সরকারকে বুঝিয়ে দেয় যে ভারতে তাদের শাসন আর বেশিদিন টিকবে না।

মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা ও দেশভাগ:
1947 সালের 3 জুন লর্ড মাউন্টব্যাটেন ভারত বিভাজনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হয়।

ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস: চতুর্থ অংশ

স্বাধীনতা লাভ:
1947 সালের 15 আগস্ট মধ্যরাতে ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। জওহরলাল নেহরু দিল্লির লাল কেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন, যেখানে তিনি বলেন, “বহু বছর আগে আমরা ভাগ্যের সাথে এক অভিসারে মিলিত হয়েছিলাম, আর এখন সেই অঙ্গীকারের পূর্ণতা এসেছে।”

দেশভাগের পরিণতি:
স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে দেশভাগের ফলে ব্যাপক হিংসা ও গণহত্যা সংঘটিত হয়। প্রায় 1.5 কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান। এই ট্র্যাজেডি স্বাধীনতার আনন্দকে অনেকটাই ম্লান করে দেয়।

সংবিধান প্রণয়ন:
স্বাধীনতার পর ভারত একটি সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ডঃ বি.আর. আম্বেদকরের নেতৃত্বে গঠিত সংবিধান প্রণয়ন কমিটি 1949 সালের 26 নভেম্বর ভারতের সংবিধান গ্রহণ করে, যা 1950 সালের 26 জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।

উপসংহার:


ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল একটি দীর্ঘ ও কঠিন পথ যাত্রা। এই সংগ্রামে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, সরদার বল্লভভাই প্যাটেল, সুভাষ চন্দ্র বসু, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদসহ অসংখ্য নেতা ও কর্মীর ত্যাগ ও সংগ্রামের ফলে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছে।

স্বাধীনতার পর ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশটি আজ অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। তবে জাতিগত বৈষম্য, দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব ইত্যাদি সমস্যা এখনও রয়ে গেছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল্যবোধ ও আদর্শকে ধারণ করে এই সমস্যাগুলি মোকাবেলা করাই হবে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ।




ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস

ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস একটি সমৃদ্ধ ও গৌরবময় অধ্যায়, যা একটি দীর্ঘ সংগ্রাম, অসীম সাহস, ত্যাগ, এবং অবিচল সংকল্পের সাক্ষী। ১৫ আগস্ট ১৯৪৭, ভারতের স্বাধীনতা শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়; এটি ছিল একটি জাতির পুনর্জাগরণ, যা পরাধীনতা থেকে মুক্ত হয়ে আত্মমর্যাদার সঙ্গে নিজস্ব পরিচয় প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই প্রতিবেদনটি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায় নিয়ে বিশদ আলোচনা করবে।

প্রারম্ভিক পর্ব: উপনিবেশিক শাসনের শুরু

ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনের শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন প্রতিষ্ঠার পর থেকে। ১৭৫৭ সালে প্লাসির যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার উপর শাসন কায়েম করে এবং ধীরে ধীরে গোটা ভারতবর্ষে তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ ছিল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম সংগঠিত বিদ্রোহ। যদিও এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়, তবে এটি ভারতের জনগণের মধ্যে স্বাধীনতার ইচ্ছাকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছিল।

কংগ্রেসের উদ্ভব এবং আন্দোলনের সূচনা

১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, যা পরবর্তী সময়ে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান মঞ্চে পরিণত হয়। কংগ্রেসের প্রথম দিকে নেতারা মূলত সংবিধানিক উপায়ে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চেয়েছিলেন। তারা ধীরে ধীরে ভারতের স্বাধীনতার জন্য দাবি তোলেন। ১৯০৫ সালে বাংলার বিভাজন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নতুন করে জোয়ার নিয়ে আসে। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে সারা ভারত জুড়ে জনসাধারণের প্রতিবাদ গড়ে ওঠে এবং স্বদেশী আন্দোলনের সূচনা হয়।

মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্ব এবং অহিংস আন্দোলন

১৯১৫ সালে মহাত্মা গান্ধীর ভারতে প্রত্যাবর্তন স্বাধীনতা সংগ্রামের গতিপথ পরিবর্তন করে। গান্ধীজির নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল অহিংস আন্দোলন, যা সারা দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে আরও একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়। এই হত্যাকাণ্ড ব্রিটিশ শাসনের নির্মমতা প্রকাশ করে এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। গান্ধীজি ১৯২০ সালে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন, যার মাধ্যমে ভারতীয়রা ব্রিটিশ পণ্য বর্জন, ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানের প্রতি অসহযোগিতা এবং অন্যান্য প্রতিরোধমূলক কার্যকলাপে অংশ নেয়।

১৯৩০ সালের লবণ সত্যাগ্রহ এবং সিভিল অবেডিয়েন্স আন্দোলন

১৯৩০ সালে গান্ধীজি লবণ সত্যাগ্রহের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানান। ব্রিটিশরা লবণের উপর কর আরোপ করে, যা সাধারণ মানুষের উপর কঠোর প্রভাব ফেলে। গান্ধীজি এবং তাঁর অনুসারীরা সমুদ্রের পানি থেকে লবণ সংগ্রহ করে আইন ভাঙেন। এই আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের প্রতি জনসাধারণের অসন্তোষ আরও তীব্র হয়। পরবর্তী সময়ে, সিভিল অবেডিয়েন্স আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশ আইন ভাঙার আন্দোলন সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং কুইট ইন্ডিয়া আন্দোলন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা ভারতের সম্মতি ছাড়াই যুদ্ধের জন্য ভারতের সম্পদ ব্যবহার করে, যা ভারতের জনগণের মধ্যে আরও ক্ষোভ সৃষ্টি করে। ১৯৪২ সালে গান্ধীজি কুইট ইন্ডিয়া আন্দোলনের ডাক দেন, যা ব্রিটিশদের “ভারত ছাড়” এবং ভারতকে স্বাধীন করার জন্য সরাসরি দাবি জানায়। এই আন্দোলনও সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ আরও তীব্র হয়।

স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর হওয়া

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ সরকার ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা শুরু করে। দেশব্যাপী আন্দোলন এবং ব্রিটিশদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুর্বলতা ভারতকে স্বাধীনতার পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত স্বাধীনতা আইন পাস হয়, যার মাধ্যমে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৫ আগস্ট ১৯৪৭, মধ্যরাতে ভারত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তবে, স্বাধীনতার সাথে সাথে দেশভাগও ঘটে, যা ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দেয়।

স্বাধীনতার পরবর্তী সময়

ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পর, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে ভারত তার প্রথম সরকার গঠন করে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে নিজেকে পরিচালিত করতে শুরু করে। দেশটি তার সংবিধান প্রণয়ন করে, যা ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর হয়। ভারতের সংবিধান বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এবং সবচেয়ে বিস্তারিত সংবিধান হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতা লাভের পর ভারতকে বিভিন্ন অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তবে, দেশটি তার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে থাকে।

উপসংহার

ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস একটি গর্বিত সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি, যা একটি জাতিকে তার নিজের পরিচয় ও মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম করেছে। ভারতীয় জনগণের ঐক্য, সাহস এবং আত্মত্যাগের ফলে দেশটি ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতার আলো দেখেছিল। আজকের ভারত সেই সংগ্রামের ফসল, যা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখেও তার গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থানকে বজায় রেখে এগিয়ে চলেছে। স্বাধীনতার এই ইতিহাস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে স্বাধীনতা অর্জন করা যত কঠিন, তাকে ধরে রাখা এবং সমৃদ্ধ করা ততটাই গুরুত্বপূর্ণ।

Aftab Rahaman
Aftab Rahaman

I'm Aftab Rahaman, The Founder Of This Blog. My Goal is To Share Accurate and Valuable Information To Make Life Easier, With The Support of a Team Of Experts.

Articles: 1903