ভারতে খরার কারণ কী? বা গ্রীষ্মকাল কেনো গরম জানেন?
প্রধানত দুটি কারণে ভারতে খরার আবির্ভাব ঘটে—
[1] দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর, অনিয়মিত ও অনিশ্চিত আচরণ এবং [2] দ্রুত অরণ্য বিনাশ।[1] দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর অনিয়মিত ও অনিশ্চিত আচরণ: ভারতে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের প্রায় 67-72 শতাংশ বর্ষাকালের (জুন-সেপ্টেম্বর) মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
[i] কোনো বছর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমনে বিলম্ব ঘটে, আবার কোনো বছর তা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ফিরে যায়। উভয় ক্ষেত্রেই বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে মাটিতে জলাভাব দেখা যায় ও মাটি শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে ওঠে। এভাবে খরা বা খরাজনিত পরিস্থিতির সৃষ্টি ও ফসল উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটে। তা ছাড়া,
[ii] বর্ষাকালে সবসময় বৃষ্টিপাতও নিয়মিত হয় না, মাঝে মাঝে বিরতি থাকে। এই বিরতির স্থায়িত্ব খুব বেশি হলে খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
[2] দ্রুত অরণ্য বিনাশ :
[i] মাটির ওপর গাছপালার আচ্ছাদন না থাকলে রোদের তেজে মাটির জলকণা বাষ্পীভূত হয়। এর ফলে মাটির আর্দ্রতা হ্রাস পায়, ভৌমজলস্তরও নেমে যায়। এইভাবে খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আবার,
[ii] প্রয়োজনমতো গাছপালা না থাকলে সবুজ পাতার মাধ্যমে প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় বাতাসে জলীয় বাষ্প আসে না। ফলে বায়ুর আর্দ্রতা কমে যায়। তখন শুষ্ক বায়ু মাটির জলকণা শোষণ করে বলে ভূমিতে খরার সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের বন্যাপ্রবণ অঞ্চলগুলির নাম এবং ভারতের সর্বাধিক বন্যা প্রবন অঞ্চল।