>> যেসব রাজ্যের আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সেইসব রাজ্যের আইনসভার হাতে যেসব ক্ষমতা অর্পিত হয়েছে সেইসব ক্ষমতা প্রকৃতপক্ষে বিধানসভা ভোগ করে। রাজ্য বিধানসভার ক্ষমতা ও কার্যাবলিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। নিম্নে রাজ্য বিধানসভার ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করা হল—
সংবিধান অনুযায়ী সমগ্র রাজ্য বা রাজ্যের যেকোনো অংশের জন্য আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা রাজ্য বিধনাসভার রয়েছে। রাজ্য তালিকাভুক্ত সমস্ত বিষয়ে এককভাবে আইন প্রণয়নের অধিকারী হল বিধানসভা। যুগ্ম তালিকাভুক্ত বিষয়েও বিধানসভা আইন প্রণয়ন করতে পারে।
রাজ্য সরকারের আয়ব্যয়ের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব রাজ্য আইনসভার। নিম্নকক্ষ তথা বিধানসভা হাতে অর্পিত হয়েছে। এখানে আমাদের বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করা দরকার যে অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণত বিধান পরিষদের কোনো ক্ষমতা নেই। সুতরাং আইনসভার অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা বলতে বিধানসভার ক্ষমতাকেই বোঝায়। অর্থ বিল – শুধুমাত্র বিধানসভাতেই উত্থাপন করা যায়। বিধানসভা কর্তৃক অনুমোদিত এবং প্রেরিত – অর্থবিল বিচার বিবেচনা করে বিধান পরিষদকে ১৪ দিনের মধ্যে বিধানসভার কাছে প্রত্যপর্ণ করতে হয়। যদি নির্ধারিত ১৪ দিন অতিক্রান্ত হয়ে যায় তবে বিধান পরিষদের মতামতের কোনো গুরুত্ব থাকে। রাজ্যপালের সম্মতির ভিত্তিতে বিলটি যথারীতি আইনে তিন পরিণত হয়।
ভারতীয় শাসনতন্ত্রে মৌলিক কাঠামো ও নীতি সংক্রান্ত কিছু কিছু বিষয়ে সংবিধান সংশোধনের জন্য রাজ্যের আইনসভাগুলির সম্মতি প্রয়োজন হয়। ৩৮৬ নাম্বার ধারায়ধরনের ৫টি বিষয় উল্লিখিত আছে। যেগুলির ক্ষেত্রে রাজ্যের আইনসভাগুলিকে তাদের মতামত জানাতে হয়।
মন্ত্রীদের উত্তর ও বিবৃতিদানের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপিত হয়। এছাড়া রাজ্যের অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রকাশিত হয়। এভাবে সরকারের কার্যাবলি সম্পর্কে জনগণ অবগত হওয়ার সুযোগ লাভ করেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের রাজ্যের আইনসভার তথা বিধানসভার সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন। আমরা পূর্বেই লক্ষ্য করেছি যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের উদ্দেশ্যে যে নির্বাচক সংস্থা গঠিত হয় বিধানসভার সদস্যগণ তার সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন।