স্থানীয় ইতিহাস চর্চা গুরুত্বপূর্ণ কেন
স্থানীয় ইতিহাস বলতে কী বোঝো
স্থানীয় ইতিহাস : ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে কোনো একটি বিশেষ স্থানের ইতিহাসও আধুনিক চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। একাদশ শতকের কাশ্মীরি কবি কল্হনের ‘রাজতরঙ্গিনী’হল ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম স্থানীয় ইতিহাস গ্রন্থ যেখানে কাশ্মীরের স্থানীয় ইতিহাস আলোচিত হয়েছে। পরে রাজস্থান, গুজরাট, পাঞ্জাব, কেরল, মহারাষ্ট্র, বাংলা প্রভৃতি অঞ্চলের স্থানীয় ইতিহাসও রচিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জায়গার লোকপরম্পরা, শিল্প-স্থাপত্যের বিকাশ, আর্থসামাজিক বিবর্তন প্রভৃতি হল স্থানীয় ইতিহাসচর্চার আলোচ্য বিষয়।
স্থানীয় ইতিহাস বলতে কী বোঝো
এই ধরনের ইতিহাসচর্চা মৌখিক উপাদানের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।
Recommended:
তাই ওই ধরনের উপাদানগুলোর সত্যতা যাচাই করা জরুরি। কোনো অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত ঐতিহাসিক নিদর্শন একটি বিশেষ যুগে একটি বিশেষ অঞ্চলের ইতিহাস রচনায় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠতে পারে।
এ বিষয়ে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বাংলার ইতিহাস’, নীহাররঞ্জন রায়ের ‘বাঙালীর ইতিহাস’, কুমুদনাথ মল্লিকের ‘নদীয়া কাহিনী’, সতীশচন্দ্র মিত্রর ‘যশোহর-খুলনার ইতিহাস, রাধারমন সাহার ‘পাবনা জেলার ইতিহাস, কালীনাথ চৌধুরীর ‘রাজশাহীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’, মনোরঞ্জন চন্দ্রের ‘মল্লভূম বিষ্ণুপুরের ইতিহাস,ভগবতীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কোচবিহারের ইতিহাস’, যতীন্দ্রমোহন রায় ও কেদারনাথ মজুমদারের ‘ঢাকা-ময়মনসিংহ-ফরিদপুর-বিক্রমপুরের ইতিহাস’, সুধীরকুমার মিত্রর ‘হুগলি জেলার ইতিহাস’উল্লেখযোগ্য। স্থানীয় ইতিহাসচর্চায় নারায়ণী গুপ্ত নানা ধরনের সূত্র, ভৌগোলিক জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি দিকগুলো স্পষ্টতর করে তুলেছেন।