প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, আজকে তোমাদের সাথে আজ আমরা এমাসের geography Class 8 Model Activity Task Part 2 শেয়ার করছি। তোমরা এই পেজ থেকে সহজেই ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ভূগোল বিষয়ের অষ্টম শ্রেণির মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক উত্তর করতে পারবে।
এই মাসে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের যে বাংলারশিক্ষা পোর্টালের সমস্ত বিষয়ের মডেল একটিভিটি টাস্ক গুলিকে করতে বলা হয়েছে – Model Activity Task geography Class 8 February Part 2, Class 8 Model Activity task Part-2
Class 8 Geography Model Activity Task February
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
অষ্টম শ্রেণি পরিবেশ ও ভূগোল
পূর্ণমান ২০
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো : ১×৩=৩
১.১ মহীসঞরণ তত্ত্বটির প্রবক্তা হলেন—
(ক) মর্গ্যান
(খ) পিচো
(গ) পার্কার
(ঘ) ওয়েগনার।
উত্তর :- (ঘ) ওয়েগনার ।
১.২ দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের আন্দিজ পর্বত সৃষ্টি হয়েছে—
(ক) মহাদেশীয়-মহাদেশীয় পাতের সংঘর্ষে
(খ) মহাদেশীয় মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষে
(গ) মহাসাগরীয় মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষে
(ঘ) মহাদেশীয়-মহাদেশীয় পাতের পরস্পর বিপরীতমুখী চলনে।
উত্তর :- (খ) মহাদেশীয় মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষে
১.৩ সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্পের ফলে যে প্রবল ক্ষমতাসম্পন্ন উঁচু ঢেউ উপকূলে আছড়ে পড়ে তাকে বলে—
(ক) গাইজার
(গ) সুনামি
(খ) ম্যাগমা
(ঘ) অগ্ন্যুদ্গম।
উত্তর :- (গ) সুনামি
২.১ ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও : ১×৩=৩
উত্তর:-
ক’ স্তম্ভ | খ’ স্তম্ভ |
২.১.১ গঠনকারী পাতসীমানা | 2. পরস্পর বিপরীতমুখী পাতের চলন |
২.১.২ পাহোহো | ৩. লাভা |
২.১.৩ মাউন্ট পোপা | ১. মৃত আগ্নেয়গিরি |
২.২ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও : ১x২ = ২
২.২.১ কোন পাতসীমানায় ভূত্বকের ধ্বংস বা সৃষ্টি হয় না?
উত্তর :- নিরপেক্ষ পাত সীমানায় ভূত্বকের ধ্বংস সৃষ্টি হয় না।
২.২.২ কোন ভূকম্প তরঙ্গ পদার্থের তিনটি অবস্থার মধ্য দিয়েই প্রবাহিত হয়?
উত্তর :- প্রাথমিক তরঙ্গ বা p তরঙ্গ পদার্থের তিনটি অবস্থার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : 2×2 = 8
৩.১ অভিসারী পাতসীমানাকে বিনাশকারী পাতসীমানা বলা হয় কেন?
উত্তর :- অভিসারী পাতসীমানায় পাত দুটো পরস্পরের দিকে অগ্রসর হয় এবং পাতের সংঘর্ষ ঘটে। দুটো পাতের মধ্যে অপেক্ষাকৃত ভারী পাত হালকা পাতের নীচে প্রবেশ করে। এর ফলে নিমজ্জিত পাতটির গলন হয়, সমুদ্রখাত সৃষ্টি হয় ও ভূত্বকের বিনাশ ঘটে এবং এই অঞ্চলে প্রতিনিয়ত ভূমিকম্প ও অগ্নুৎপাত ঘটে। এই জন্য অভিসারী পাতসীমানাকে বিনাশকারী পাতসীমানা বলা হয়।
উদাহরণ – প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত ও আমেরিকা পাতের সংযোগস্থল।
৩.২ ভূমিকম্পের কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো।
উত্তর :- ভূমিকম্পের কেন্দ্র
1. ভূপৃষ্ঠ থেকে নীচে কিছুটা গভীরে যে স্থান থেকে ভূকম্পন তরঙ্গ উৎপন্ন হয় তাকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলে।
2. ভূমিকম্পের কেন্দ্র সাধারণত ভূ অভ্যন্তরে 16 কিঃমিঃর মধ্যে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে 700 কিঃমিঃ গভীরে গুরুমন্ডলে অবস্থান করে।
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র
1.কেন্দ্রের ঠিক সোজাসুজি উপরে ভূপৃষ্ঠের যে বিন্দুতে ভূকম্পিয় তরঙ্গ প্রথম পৌঁছায় তাকে উপকেন্দ্র বলে
2.উপকেন্দ্র কেন্দ্রের সোজাসুজি লিথোস্ফীয়ারের উপরি ভাগে অবস্থান করে।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৩×১=৩
‘প্রশান্ত মহাসাগর অগ্নিবলয় ভূমিকম্পপ্রবণ কেন?
উত্তর :- ‘মেখলা’ শব্দের মানে হল ‘কোমর বন্ধনী’। অসংখ্য আগ্নেয়গিরি মেখলা বা কোমর বন্ধনীর আকারে কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যখন অবস্থান করে, তখন তাকে ‘আগ্নেয় মেখলা’ বলা হয়।
ভূবিজ্ঞানীর মতে, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশীয় পাতের সঙ্গে ও এশীয় মহাদেশীয় পাতের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের ক্রমাগত সংঘর্ষের ফলে পাত সীমায় ফাটল বরাবর অগ্ন্যুৎপাত ঘটে থাকে এবং আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়।
পৃথিবীতে যত জীবন্ত ও সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে, তার প্রায় ৭০% আগ্নেয়গিরিই প্রশান্ত মহাসাগর সংলগ্ন দ্বীপগুলোর প্রধানত দুটি অঞ্চলে একটি আংটি বা বলয়ের আকারে অবস্থান করছে। এই অঞ্চলেই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়গিরির অবস্থান। প্রশান্ত মহাসাগরকে বলয় বা মেখলার আকারে পূর্ব পশ্চিমে ঘিরে থাকা এই আগ্নেয় গিরিমণ্ডলকেই ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা’ (Pacific Ring of Fire) বলা হয়। এই অঞ্চলটি পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল।
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৫×১=৫
কীভাবে দুটি পাতের সংঘর্ষে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয় তা চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর :- পাত সঞ্চালন তত্ব অনুসারে ভূ ত্বকের গতিশীল পাতগুলির মধ্যে যে কোনো দুটি পাত যখন পরস্পরের কাছে চলে আসে, তখন ওই দুটি পাতের সংযোগ রেখা বরাবর শিলা চ্যুতি ঘটে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্পের ফলে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হতে পারে, যেমন –
(১) প্রবল ভূ আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থান বসে গেলে বা উচু হলে শিলাস্তবে ছোট ছোট ভাঁজের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে যত ভূ আলোড়ন বাড়ে ভাঁজগুলো তত বড় হতে থাকে ও উচু হয়ে পরস্পরের কাছে চলে আসে এবং ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়।
( ২) প্রচন্ড পার্শ্ব চাপের ফলেও শিলাস্তরে ভাঁজ সৃষ্টি হয়। পার্শ্ব চাপ বেড়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে এই ভাঁজ গুলো ক্রমশ বড় ও উঁচু হয়ে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি করতে পারে।
Thanks 👍