5,327 Members Now! 🎉
🔥 Live Job Alerts!
Join Instant Updates →

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দুঃখের গল্প: ওহ, দুঃখিত নিখিল: পূজার মনে আনন্দ এবং দুঃখ একই সাথে স্থান করে নিয়েছে, তার চোখ তাকে বলছে যে সে এখন…

Team KaliKolom
Published: Aug 11, 2022

দুঃখের গল্প

কিছুক্ষণের জন্য তার জীবনের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে, পূজা প্রতিদিন কোনও না কোনও চ্যাটরুমে একটি নতুন বন্ধু খুঁজে পেতেন। তিন-চার দিন কিছু বন্ধুর সঙ্গে একটানা কথা বলত আর কিছু বন্ধুর সঙ্গে চার-পাঁচ মিনিটেই মন ভরে যেত।

ছোটবেলা থেকেই তার বাবা-মায়ের সম্পর্কের ফাটল দেখে পূজা মনস্থির করেছিল যে সে বিয়ে করলে তার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করবে। যার সাথে তার মনের কথা শেয়ার করার আগে এক মুহূর্তও ভাবতে হয় না। তিনি ভয় পেয়েছিলেন যে তার বিবাহিত জীবনও তার বাবা-মায়ের মতো দুঃখ-কষ্টে কাটবে।

শুধু এই আকাঙ্খায়, কত ছেলে তার সাথে কথা বলবে না জানি। কিন্তু সেই রাতে চ্যাটরুমে নিখিলের নামে একটা লম্বা মেসেজ পড়ে তার মনে হয়নি যে এমনটা হয়েছিল। মেসেজ পড়ার সময় পূজার মনে হলো নিখিল তাকে ভালো করে চেনে।

পুরো মেসেজ না পড়ে এক মুহূর্তের জন্য পূজা ভাবল, সে কি পরিচিত মানুষ নয়?

তিনি সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে লগইন করেন এবং তার বন্ধু তালিকায় ‘নিখিল’ সার্চ করেন। নিখিল অরোরা! পূজা হতভম্ব। আরে, এই তো সেই ছেলে, যে ছোটবেলায় ওর সাথে পড়ালেখা করত। কিন্তু পূজা কখনোই তাকে পাত্তা দেয়নি। কিন্তু আজ নিখিলের একটা লম্বা-চওড়া মেসেজ দেখে ওকে অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে লাগলো পূজা।

ছোটবেলায়, নিখিল, যিনি পূজার জলের বোতল গলায় ঝুলিয়ে রাখতেন, এখন একটি পত্রিকায় কপি সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেই একটি দীর্ঘ বার্তায় তিনি যেভাবে তার হৃদয় ভাগ করেছেন। সেখানেই হৃদয় হারাচ্ছিলেন পূজা।

সে একই সুরে চিঠি লিখে নিখিলকে উত্তর পাঠাতে চেয়েছিল। তাই পূজা দুদিন সময় নিয়ে দীর্ঘ ভাঙা শব্দে ভরা একটি কবিতা লিখে তাতে আরেকটি সিংহ লিখেছিল, যা সে কোথাও শুনেছিল-

“ভালোবাসায় বেঁচে থাকা আর মরার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, যার কাফের মরেছে তাকে দেখেই আমরা বাঁচি”

এই সিংহ থেকে শুরু করে তার চিঠিতে নিখিল যা বলেছিল তার সব উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।

সে আশা করেছিল উত্তরে আরেকটি চিঠি আসবে এবং মুখে হাসি নিয়ে সেই চিঠির কথা ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিল সে নিজেও জানে না। সকালে যখন তিনি প্রথম চোখ খুললেন, তিনি তার ফোন চেক করলেন, তবে তিনি কোনও মেসেজ নোটিফিকেশন দেখতে পাননি। সন্ধ্যায় পূজা থাকতে না পেরে আবার নিখিলকে মেসেজ পাঠায়।

“আপনি ব্যস্ত যেখানে?”

সেখান থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় এই অপেক্ষায় কেটে গেল অনেক দিন। সে প্রতিদিন তার ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকত এই আশায় যে নিখিলের কাছ থেকে কোন উত্তর আসবে না। এখন তার হৃদয় অন্য কারো সাথে কথা বলতেও পারে না। সে যে চেষ্টা করেনি তা নয়, তবে নিখিলের মতো আর কিছু ছিল না।

সেদিনও একই আশায় ফোন তুলেছিলেন পূজা। মেসেজ ছিল কিন্তু নিখিলের কাছ থেকে নয়, তার স্কুলের গ্রুপে। যার মধ্যে আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বার্ষিক সভা আয়োজন।

পুজোর সব বন্ধুরা সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। পূজা ভেবেছিল সে এই অজুহাতে সবার সাথে দেখা করবে এবং ঠিক এক মাস পরে, 5 ডিসেম্বর সেও স্কুলে পৌঁছেছে। শুধু তার পুরোনো বন্ধুদের সাথেই দেখা হয়নি এবং একই সাথে সে দেখতে পায় যে তার দিকে 6 ফুটের এক যুবক এগিয়ে আসছে। ওটা ছিল নিখিল। পূজার মনে নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে। নিখিল তার কাছে পৌঁছানোর সাথে সাথে সে বলল, “আমি উত্তর দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমার পরিবারের কেউ মারা গেছে”।

ওহ দুঃখিত নিখিল। এই বলে পুজোর মনে একই সঙ্গে দুঃখ আর সুখ দুটোই জায়গা করে নিল।

তারা দুজনে অনেক কথা বলেছিল এবং নিজেদের মধ্যে ফোন নম্বরও নিয়েছিল। এবার পূজার সব অভিযোগ কেটে গেল।

পরদিন সকালে একই চ্যাটরুমে পূজার ফোনে নোটিফিকেশন আসে যেখানে প্রথমবার নিখিলের চিঠি আসে।

এবারও প্রেমপত্র ছিল। যা পড়ে পূজার চোখ বলে দিচ্ছিল যে নিখিলের রূপে তিনি একজন ‘স্থায়ী আড্ডার সঙ্গী’ পেয়েছেন।

– “হিয়া”

Unlock FREE Subject-Wise PDFs Instantly

Join Our Telegram Channel for Daily Updates!

      JOIN NOW ➔

Leave a Comment

Recent Posts

See All →