দার কমিশন কি — Notes



দার কমিশন কি? বিস্তারিত জানুন

দার কমিশন (DHAR Commission) হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা যা প্রশাসনিক সংস্কার এবং জনপরিষেবা উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করে। এটি মূলত প্রশাসনিক কাঠামো, জনসাধারণের সেবা প্রদান, এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য গঠন করা হয়। এই নিবন্ধে আমরা দার কমিশনের ধারণা, এর কার্যক্রম, এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।


দার কমিশনের সংজ্ঞা

দার কমিশন হলো একটি বিশেষায়িত সংস্থা যা সরকারি নীতিমালা এবং প্রশাসনিক কাঠামো মূল্যায়ন করে। এর কাজ হলো প্রশাসনিক সমস্যা চিহ্নিত করা এবং সমাধানের জন্য সুপারিশ প্রদান করা। এটি সরকার ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং সেবার গুণগত মান উন্নত করতে সহায়তা করে।

একচেটিয়াভাবে ভাষাগত ভিত্তিতে প্রদেশ গঠন জাতির বৃহত্তর স্বার্থের জন্য অনুকূল নয়। যদিও ভাষাগত একতা বাঞ্ছনীয়, এটি পুনর্গঠনের একমাত্র মাপকাঠি হওয়া উচিত নয়।” – দার কমিশন


দার কমিশনের উদ্দেশ্য

দার কমিশনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো:

  1. প্রশাসনিক সংস্কার: সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম আরও সহজ এবং দক্ষ করার জন্য প্রস্তাবনা তৈরি করা।
  2. জনপরিষেবার উন্নতি: জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা প্রদান পদ্ধতির উন্নয়ন।
  3. সরকারি নীতিমালা বিশ্লেষণ: বিদ্যমান নীতিমালার সুবিধা এবং অসুবিধাগুলো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের সুপারিশ।
  4. দক্ষতার বৃদ্ধি: প্রশাসনিক কাঠামোতে দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা আনা।


দার কমিশনের কাজের ক্ষেত্র

দার কমিশন বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • জনপ্রশাসনের আধুনিকায়ন: প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া উন্নত করা।
  • নাগরিক সেবা: নাগরিকদের সেবা আরও সহজলভ্য এবং দ্রুত করার উদ্যোগ।
  • আইন ও শাসন: প্রশাসনিক কার্যক্রমের আইনি দিক পর্যালোচনা।
  • অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা: বাজেট এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর করা।

ভারতে দার কমিশনের ভূমিকা

ভারতে দার কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসনিক কাঠামোর জটিলতা হ্রাস এবং জনগণের সেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতে বিভিন্ন সরকারি সেবার ডিজিটালাইজেশন এবং একশপ পরিষেবা উন্নয়নে দার কমিশনের প্রস্তাবনার অবদান রয়েছে।




দার কমিশনের চ্যালেঞ্জ

দার কমিশনের কার্যক্রম বাস্তবায়নের সময় কিছু চ্যালেঞ্জ দেখা যায়:

  1. বাজেটের অভাব: প্রয়োজনীয় অর্থায়নের অভাব।
  2. প্রতিরোধমূলক মানসিকতা: প্রশাসনিক কাঠামোর পরিবর্তন নিয়ে দ্বিধা।
  3. পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব: সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য না থাকা।
  4. কর্মীদের প্রশিক্ষণ: নতুন প্রযুক্তি এবং পদ্ধতির জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণের অভাব।

দার কমিশন MCQs

1. দার ​​কমিশন কবে নিযুক্ত হয়?

ক) 1946
খ) 1947
গ) 1948
ঘ) 1949

উত্তর: (গ) ব্যাখ্যা দেখুন

2. দার কমিশনের প্রধান কে ছিলেন?

A) জওহরলাল নেহরু
B) এস কে ধর
C) সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল
D) পট্টাভী সীতারামিয়া

উত্তর: (খ) ব্যাখ্যা দেখুন

3. রাজ্য পুনর্গঠনের বিষয়ে ধর কমিশনের প্রধান সুপারিশ কী ছিল?

A) ভাষাগত লাইনে রাজ্যগুলিকে পুনর্গঠন করুন
B) স্থিতাবস্থা বজায় রাখুন
C) প্রশাসনিক সুবিধার ভিত্তিতে রাজ্যগুলি পুনর্গঠন করুন
D) জনসংখ্যার আকারের ভিত্তিতে রাজ্যগুলিকে ভাগ করুন

উত্তর: (গ) ব্যাখ্যা দেখুন

4. ভাষাগত রাজ্যগুলির বিষয়ে JVP কমিটির অবস্থান কী ছিল?

A) সম্পূর্ণরূপে বিরোধিতা করা ভাষাগত রাজ্যগুলি
B) কিছু ক্ষেত্রে ভাষাগত রাজ্য গঠনের সমর্থন করেছিল
C) ধর কমিশনের রিপোর্টকে সমর্থন করেছিল
D) ভাষাগত ভিত্তিতে সমস্ত রাজ্যকে ভাগ করার পক্ষে ছিল

উত্তর: (খ) ব্যাখ্যা দেখুন

5. দার কমিশনের পরে রাজ্যগুলির পুনর্গঠন পরীক্ষা করার জন্য কোন কমিশন গঠিত হয়েছিল?

A) JVP কমিটি
B) সরকারিয়া কমিশন
C) সাইমন কমিশন
D) রাজামান্নার কমিশন

উত্তর: (ক) ব্যাখ্যা দেখুন


উপসংহার

দার কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সংস্থা যা সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এর কার্যক্রম এবং সুপারিশগুলো প্রশাসনিক কাঠামোর আধুনিকায়ন এবং নাগরিক সেবা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে, এর কার্যক্রম সফল করার জন্য প্রয়োজন যথাযথ অর্থায়ন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা, এবং প্রশাসনিক সহায়তা।

এই নিবন্ধে দার কমিশন সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা দেওয়া হয়েছে, যা এর কার্যক্রম ও গুরুত্ব সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভে সহায়ক হবে।

[posts_today]

Aftab Rahaman
Aftab Rahaman

I'm Aftab Rahaman, The Founder Of This Blog. My Goal is To Share Accurate and Valuable Information To Make Life Easier, With The Support of a Team Of Experts.

Articles: 1903