দৈনন্দিন জীবনে আমরা বর্জ্য নামটা শুনে এসেছি তাই বর্জ্য কাকে বলে আমরা সবাই জানি যে দৈনন্দিন জীবনের অপ্রয়োজনীয় বা অব্যবহৃত জিনিসগুলিকে বর্জ্য বা বর্জ্য পদার্থ বলে। যেমন– প্লাস্টিক প্যাকেট, দূষিত জিনিস, কাপড়দব্য,চুল, মল মূত্র, জীবজন্তুর মরার হাড় ইত্যাদি। আর বর্জ্য পদার্থ হল একই।
বর্জ্য পদার্থ থেকে নানা সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে সেই বর্জ্য পদার্থের প্রকারভেদ গুলি হল–
[1] চিকিৎসা-সংক্রান্ত সম্পর্কিত বর্জ্য থেকে সমস্যা:
হাসপাতাল, নার্সিংহোম, প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবরেটরি প্রভৃতি স্থান থেকে নির্গত বর্জ্য থেকে নানা ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। টিটেনাস, কৃমি, আমাশা, হেপাটাইটিস, এডস্, চামড়ার রোগ, ফুসফুসের রোগ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ ঘটতে পারে।
[2] কৃষিক্ষেত্রের বর্জ্য থেকে সমস্যা :
কৃষিক্ষেত্রের আবর্জনা কৃষিক্ষেত্রের বাস্তুতন্ত্রকে নষ্ট করে দিতে পারে। জমিতে প্লাস্টিক পড়ে থাকলে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। কৃষিক্ষেত্র থেকে কৃমি, আমাশয়, ফুসফুসের রোগ, পেটের রোগ ও নানা ধরনের রোগব্যাধি ঘটতে পারে।
[3] কলকারখানার বর্জ্য থেকে সমস্যা:
কলকারখানার তরল বর্জ্য নিকটবর্তী নদী, খালে পড়লে ওই জল সম্পূর্ণরূপে দূষিত হয়। এতে জলজ প্রাণীদের মৃত্যু হয় এবং জলজ উদ্ভিদের ক্ষতি হয়। কলকারখানার বর্জ্য থেকে অঞ্চলের মাটি দূষিত হয়। এতে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়।
[4] নির্মাণ শিল্পের বর্জ্য থেকে সমস্যা:
সিমেন্ট, বালি বায়ুদূষণ ঘটায়। মাটির উৎপাদন ক্ষমতা একেবারে কমিয়ে দেয়। শ্রমিকদের ফুসফুসের রোগ, পেটের রোগ বেড়ে যায়।
[5] তেজস্ক্রির বর্জ্যের দূষণ:
তেজস্ক্রিয় বিস্ফোরণে মাটি সর্বাধিক দূষিত হয়। এই বর্জ্য পৃথিবীর সর্বাধিক ক্ষতিকর বর্জ্য। ভৌমজল পানের অযোগ্য হয়, প্রাণী ও উদ্ভিদের জিনগত পরিবর্তন হয়। জাপান, চেরনোবিল অঞ্চলে তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের দূষণ এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।