Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
প্রতি বছর ১৫ই আগস্ট ভারত তার স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে। এই দিনটি শুধু একটি ছুটির দিন নয়, এটি আমাদের জাতীয় জীবনে এক গভীর তাৎপর্য বহন করে। ১৯৪৭ সালের এই দিনে ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি লাভ করে এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এই স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে রয়েছে অসংখ্য শহীদের আত্মত্যাগ, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং আরও অনেক মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর নিরলস সংগ্রাম ও আত্মবলিদান।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য হলো এই মহান আত্মত্যাগ ও দেশের প্রতি তাঁদের অবদানকে স্মরণ করা। স্কুল, কলেজ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এই দিনে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য বা ভাষণ প্রদান। এই ভাষণগুলো নতুন প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং স্বাধীনতার মূল্য সম্পর্কে অবহিত করে, যা তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধ জাগিয়ে তোলে।
একটি কার্যকর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ কেবল তথ্যবহুলই নয়, এটি শ্রোতাদের মনে গভীর প্রভাব ফেলতেও সক্ষম হওয়া উচিত। এখানে আমরা একটি আদর্শ ভাষণের কাঠামো এবং বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করব।
ভাষণের কাঠামো
একটি সুসংগঠিত ভাষণ শ্রোতাদের কাছে আপনার বার্তা পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। একটি আদর্শ ভাষণের নিম্নলিখিত অংশগুলি থাকা উচিত:
1.ভূমিকা (Introduction):
প্রিয় দেশবাসীগণ, শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ এবং আমার প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা)।
2.মূল অংশ (Body):
3.উপসংহার (Conclusion):
এখানে আমরা ভারতের স্বাধীনতা দিবসে স্কুলগামী ছোট বাচ্চাদের এবং ছাত্রদের জন্য অনেক ধরনের বক্তৃতা দিচ্ছি। ছাত্ররা যেকোনো প্রদত্ত বক্তৃতা ব্যবহার করে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্ত বক্তৃতা খুব সহজ এবং সহজ ভাষায় লেখা হয় যাতে তারা ভারতের স্বাধীনতা দিবসে তাদের সেরা বক্তৃতা উপস্থাপন করতে পারে।
শিক্ষার্থীদের জন্য ভাষণ তৈরি করার সময় তাদের বয়স এবং বোঝার ক্ষমতা বিবেচনা করা উচিত।
সংক্ষিপ্ত ভাষণ (১-২ মিনিট)
আজ ১৫ই আগস্ট, আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের এই দিনে আমরা ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম। এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভগৎ সিং-এর মতো অসংখ্য বীর তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁদের আত্মত্যাগের ফলেই আজ আমরা স্বাধীন ভারতে শ্বাস নিতে পারছি।স্বাধীনতা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্বের কথা। আসুন, আমরা সবাই মিলেমিশে দেশকে আরও উন্নত করার শপথ নিই। আমাদের দেশকে ভালোবাসুন এবং দেশের জন্য ভালো কাজ করুন।
জয় হিন্দ! জয় ভারত!
দীর্ঘ ভাষণ (৩-৫ মিনিট)
শ্রদ্ধেয় প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ এবং আমার প্রিয় বন্ধুদের,
আজ এক পবিত্র দিন, ১৫ই আগস্ট। আজ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। ৭৯ বছর আগে, এই দিনে আমাদের প্রিয় ভারত ব্রিটিশদের দীর্ঘ ২০০ বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতার আলো দেখেছিল। এই স্বাধীনতা কোনো সহজলভ্য বিষয় ছিল না। এর পেছনে ছিল অসংখ্য দেশপ্রেমিকের রক্ত, ঘাম আর আত্মত্যাগ।
আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি মহাত্মা গান্ধী, যিনি অহিংসার পথে স্বাধীনতা এনেছিলেন। আমরা স্মরণ করি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে, যিনি ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’ মন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলেন। ভগৎ সিং, সুখদেব, রাজগুরু, চন্দ্রশেখর আজাদ, রানী লক্ষ্মীবাঈ, মঙ্গল পাণ্ডে – এই নামগুলো আমাদের হৃদয়ে চিরকাল অম্লান থাকবে। তাঁদের আত্মবলিদানের ফলেই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।
স্বাধীনতার পর ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি সাধন করেছে। কৃষি, শিল্প, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য – প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা এগিয়ে চলেছি। চন্দ্রযান মিশনের সাফল্য, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার অগ্রগতি – এ সবই আমাদের দেশের উন্নতির প্রতীক। তবে, আমাদের সামনে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা, পরিবেশ দূষণ – এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো মন দিয়ে পড়াশোনা করা, সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠা এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখা। আসুন, আমরা সবাই মিলেমিশে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং শান্তিপূর্ণ ভারত গড়ার শপথ নিই।
সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। জয় হিন্দ!
প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ এবং আমার বন্ধুদের,
আজ ১৫ই আগস্ট, আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের এই দিনে আমরা ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম। এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভগৎ সিং-এর মতো অসংখ্য বীর তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁদের আত্মত্যাগের ফলেই আজ আমরা স্বাধীন ভারতে শ্বাস নিতে পারছি।স্বাধীনতা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্বের কথা। আসুন, আমরা সবাই মিলেমিশে দেশকে আরও উন্নত করার শপথ নিই। আমাদের দেশকে ভালোবাসুন এবং দেশের জন্য ভালো কাজ করুন।জয় হিন্দ! জয় ভারত!
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য 2025: বক্তৃতায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ধারণা, টিপস এবং আকর্ষণীয় তথ্য
1947 সালের 15 আগস্ট আমরা 200 বছরের ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা পেয়েছি।প্রতি বছর স্বাধীনতার বার্ষিকীতে স্কুল, কলেজ, অফিস ইত্যাদিতে অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে দেশাত্মবোধক গান বাজানো হয় এবং মানুষ বক্তৃতা দেয়।
এখানে আমরা আপনাদের বলছি কিভাবে আপনি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি সংক্ষিপ্ত এবং সহজ বক্তৃতা দিয়ে মানুষের মনে প্রভাব ফেলতে পারেন এবং পুরস্কার জিততে পারেন।
আজ ১৫ই আগস্ট, আমাদের জাতীয় জীবনের এক গৌরবোজ্জ্বল দিন – ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস। এই দিনে আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করি সেই সকল বীর শহীদদের, যাঁদের আত্মত্যাগ এবং নিরলস সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা ব্রিটিশ শাসনের দীর্ঘ ২০০ বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি লাভ করেছিলাম। এই স্বাধীনতা কোনো সহজলভ্য বিষয় ছিল না; এটি ছিল লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বপ্ন, সংগ্রাম এবং আত্মবলিদানের ফসল।
আমরা সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করি জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীকে, যাঁর অহিংস আন্দোলন বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে। আমরা স্মরণ করি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে, যাঁর ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’ মন্ত্র আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে। ভগৎ সিং, সুখদেব, রাজগুরু, চন্দ্রশেখর আজাদ, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, রানী লক্ষ্মীবাঈ, মঙ্গল পাণ্ডে, ক্ষুদিরাম বসু, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার – এই নামগুলো ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাঁদের আত্মবলিদানের ফলেই আজ আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম ভারতের নাগরিক।
স্বাধীনতার পর গত ৭৯ বছরে ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি সাধন করেছে। কৃষি, শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মহাকাশ গবেষণা – প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা বিশ্ব দরবারে নিজেদের এক শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছি। চন্দ্রযান-৩ এর সফল অবতরণ, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার অগ্রগতি, এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে ভারত আজ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। আমাদের গণতন্ত্রের ভিত্তি সুদৃঢ়, এবং আমরা বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তবে, এই অগ্রগতির পাশাপাশি আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা, পরিবেশ দূষণ, এবং সামাজিক বৈষম্য – এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। স্বাধীনতা শুধু রাজনৈতিক মুক্তি নয়, এটি অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক মুক্তিও বটে। আমাদের দায়িত্ব হলো এই স্বাধীনতাকে রক্ষা করা এবং একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও সমতাপূর্ণ ভারত গড়ে তোলা।আসুন, এই ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে আমরা সবাই মিলেমিশে একটি শক্তিশালী, প্রগতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভারত গড়ার শপথ নিই। আমাদের পূর্বপুরুষদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে, আমরা যেন দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে পারি।সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা।
জয় হিন্দ!
আজ ১৫ই আগস্ট, আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। আজ থেকে ৭৯ বছর আগে, ১৯৪৭ সালের এই দিনে আমাদের প্রিয় ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছিল। এই দিনটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই দিনে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম।
এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য অনেক বীর মানুষ নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভগৎ সিং-এর মতো মহান নেতারা আমাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন। তাঁদের আত্মত্যাগের ফলেই আজ আমরা স্বাধীন ভারতে বসবাস করতে পারছি, স্কুলে যেতে পারছি এবং নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারছি।
স্বাধীনতা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্বের কথা। আমরা শিক্ষার্থী হিসেবে মন দিয়ে পড়াশোনা করব, ভালো মানুষ হব এবং দেশের জন্য ভালো কাজ করব। আসুন, আমরা সবাই মিলেমিশে আমাদের দেশকে আরও সুন্দর ও উন্নত করার শপথ নিই।
সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
জয় হিন্দ! জয় ভারত!
আজ ১৫ই আগস্ট, ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস। এই পবিত্র দিনে আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং স্বাধীনতার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে। শিক্ষক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব শুধু পাঠ্যপুস্তক পড়ানো নয়, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম, নৈতিকতা এবং সুনাগরিকত্বের বীজ বপন করা।
আমাদের স্বাধীনতা বহু ত্যাগ ও সংগ্রামের ফসল। মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি, ভগৎ সিং সহ অসংখ্য বীরের আত্মবলিদানের ফলেই আমরা আজ স্বাধীন। এই ইতিহাস আমাদের শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে, যাতে তারা স্বাধীনতার মূল্য বুঝতে পারে এবং দেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়।
শিক্ষকরাই জাতির মেরুদণ্ড। আমরাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলি। আমাদের হাতেই রয়েছে এমন এক শক্তি, যা দেশের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে পারে। আসুন, এই স্বাধীনতা দিবসে আমরা শপথ নিই যে, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সঠিক জ্ঞান, মূল্যবোধ এবং দেশপ্রেমের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলব, যাতে তারা আগামী দিনে এক উন্নত ও সমৃদ্ধ ভারত গড়তে পারে।
সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
জয় হিন্দ! বন্দে মাতরম!
আজ ১৫ই আগস্ট, ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস। এই ঐতিহাসিক দিনে আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি সেই সকল মহান আত্মাদের, যাঁরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করে আমাদের জন্য স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করেছিলেন। ১৯৪৭ সালের এই দিনে, দীর্ঘ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারত একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে।
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম গণআন্দোলন, যা অহিংসা ও সত্যাগ্রহের আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিল। মহাত্মা গান্ধী, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ড. বি.আর. আম্বেদকর সহ অসংখ্য নেতার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এই স্বাধীনতাকে সম্ভব করে তুলেছিল।
স্বাধীনতার পর থেকে ভারত গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের নীতিতে অবিচল থেকেছে। আমরা অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি। মহাকাশ গবেষণায় আমাদের সাফল্য, যেমন চন্দ্রযান-৩ মিশন, বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, শিল্পক্ষেত্রে আমরা স্বাবলম্বী হয়েছি, এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতেও আমরা নিরন্তর উন্নতি করে চলেছি।তবে, একটি জাতি হিসেবে আমাদের যাত্রা এখনও শেষ হয়নি। আমাদের সামনে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন – দারিদ্র্য দূরীকরণ, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে আমাদের জাতীয় সংহতি এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।
এই ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে, আসুন আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে, দেশের প্রতি আমাদের কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনের শপথ নিই। আমরা যেন একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ এবং শান্তিপূর্ণ ভারত গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যেতে পারি।
ধন্যবাদ। জয় হিন্দ!
জন্যপ্রিয় বন্ধুরা,
আজ ১৫ই আগস্ট, আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এই দিনে আমরা স্মরণ করি সেই বীরদের, যাঁরা আমাদের জন্য স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তাঁদের আত্মত্যাগের ফলেই আজ আমরা স্বাধীন।
স্বাধীনতা মানে শুধু ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি নয়, স্বাধীনতা মানে নিজের স্বপ্ন পূরণ করার অধিকার, নিজের কথা বলার অধিকার, এবং নিজের দেশকে ভালোবাসার অধিকার।
আসুন, এই দিনে আমরা শপথ নিই যে, আমরা আমাদের স্বাধীনতাকে রক্ষা করব। আমরা দেশের জন্য ভালো কাজ করব, একে অপরের পাশে দাঁড়াব এবং একটি উন্নত ভারত গড়ব। আমাদের ছোট ছোট প্রচেষ্টাই দেশকে বড় সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে।সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
জয় হিন্দ!
প্রিয় বন্ধুরা এবং শিক্ষক/প্রবীণগণ
, আজ ভারত তার স্বাধীনতা দিবস এবং স্বাধীনতার 79তম অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছে। 1947 সালের 15 আগস্ট আমরা ব্রিটিশদের কবল থেকে স্বাধীনতা পাই।বন্ধুরা, আজ সবার আগে আমাদের সেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রণাম করা উচিৎ যারা এই দেশ স্বাধীন করতে সর্বস্ব বাঁক দিয়েছিলেন।এই দিনটি আমাদের মহাত্মা গান্ধী, ভগৎ সিং, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, চন্দ্রশেখর আজাদ, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, লালা লাজপত রায়, রামপ্রসাদ বিসমিল সহ শত শত মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর ত্যাগ, তপস্যা এবং আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
প্রতি বছর 15 আগস্ট, ভারতের প্রধানমন্ত্রী দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লায় তেরঙ্গা উত্তোলনের পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন।স্কুল, সরকারি অফিস ইত্যাদিতেও তেরঙ্গা উত্তোলন করা হয়।জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়।সর্বত্র দেশাত্মবোধক গান শোনা যায় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্বাধীনতা দিবসে রাজধানীসহ সব সরকারি ভবন সেজেছে বর্ণিল আলোয়।স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি ‘জাতির উদ্দেশে ভাষণ’ প্রদান করেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার বহু দশক হয়ে গেছে এবং এই সময়ে দেশটি প্রতিটি ফ্রন্টে সারা বিশ্বে তার ছাপ রেখেছে।বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অর্থনৈতিক, কৃষি, শিক্ষা, সাহিত্য, খেলাধুলা সহ সকল ক্ষেত্রেই ভারত অনেক উন্নতি করেছে।পরমাণু সক্ষম দেশ ভারত মহাকাশের ক্ষেত্রে অনেক সাফল্য অর্জন করেছে।চন্দ্রযান 2-এর সাফল্য তার বড় প্রমাণ।উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভারত অনেক দূর এগিয়েছে।বিশ্ব তাকিয়ে আছে ভারতের দিকে।
বন্ধুরা, এটাও সত্য যে স্বাধীনতা পাওয়ার এত বছর পরেও আজ ভারত অপরাধ, দুর্নীতি, হিংসা, নকশালবাদ, সন্ত্রাস, দারিদ্র, বেকারত্ব, অশিক্ষার মতো সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে।আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে।ভারতকে এসব সমস্যা থেকে বের না করা পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন পূরণ হবে না।ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা একটি উন্নত ও উন্নত ভারতে নিয়ে যাবে।
এটি দিয়ে আমি আমার বক্তব্য শেষ করতে চাই।
জয় হিন্দ
শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ স্যার, ভাইস প্রিন্সিপাল স্যার, সম্মানিত শিক্ষক ও প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ। আজ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আপনাদের সামনে আমার ভাবনা ব্যক্ত করার এই সুযোগ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত বোধ করছি, স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে আপনাদের জানাই।
স্বাধীনতা দিবস একটি ঐতিহাসিক উৎসব, আজ থেকে 79 বছর আগে ভারত ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। যে ভারত তার অস্তিত্ব হারিয়েছিল, সে তার পরিচয় ফিরে পেয়েছে। ইংরেজরা ভারতে এসে আশেপাশের অবস্থা খুব ভালোভাবে জেনে ও পরীক্ষা করার পর আমাদের দুর্বলতার কথা মাথায় রেখে আমাদের আক্রমণ করে প্রায় দুইশ বছর রাজত্ব করে। আমাদের বীর যোদ্ধারা অনেক যুদ্ধ করেছে এবং তারপরে 1947 সালের 15 আগস্ট আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
সেই থেকে আজ অবধি আমরা প্রতি বছর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে আসছি। প্রতি বছর আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লায় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর তিনি দেশের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন এবং এরপর কিছু বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান উপস্থাপন করা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে লোকেরা এটি দেখতে দিল্লিতে যায় এবং যারা যেতে অক্ষম তারা এটির সরাসরি সম্প্রচার দেখতে পায়।
এভাবেই আমরা আমাদের বীর সৈনিকদের স্মরণ করে আমাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করি।
জয় হিন্দ।
আমার সকল শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, অভিভাবক এবং প্রিয় বন্ধুদের শুভ সকাল। এই মহান জাতীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করতে আমরা আজ এখানে জড়ো হয়েছি। আমরা জানি যে স্বাধীনতা দিবস আমাদের সকলের জন্য একটি শুভ উপলক্ষ। এটি সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন এবং এটি চিরকাল ইতিহাসে উল্লেখ করা হয়েছে। এই সেই দিন যেদিন আমরা ভারতের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বছরের পর বছর সংগ্রামের পর ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা পেয়েছি। ভারতের স্বাধীনতার প্রথম দিনটিকে স্মরণ করার জন্য, আমরা প্রতি বছর 15ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করি সেইসাথে সেই সমস্ত মহান নেতাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করি যারা ভারতের স্বাধীনতার জন্য তাদের আত্মত্যাগ করেছিলেন।
1947 সালের 15 আগস্ট ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর আমরা আমাদের জাতি ও মাতৃভূমিতে সকল মৌলিক অধিকার পেয়েছি। আমাদের ভারতীয় সত্ত্বা নিয়ে আমাদের গর্ব করা উচিত এবং আমাদের সৌভাগ্যের প্রশংসা করা উচিত যে আমরা স্বাধীন ভারতের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি। ক্রীতদাস ভারতের ইতিহাস সবই বলে যে আমাদের পূর্বপুরুষরা কীভাবে কঠোর লড়াই করেছিলেন এবং ফিরাঙ্গিয়ানদের নিষ্ঠুর অত্যাচার সহ্য করেছিলেন। আমরা এখানে বসে ভাবতে পারি না যে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি কতটা কঠিন ছিল। এটি 1857 থেকে 1947 সাল পর্যন্ত অগণিত মুক্তিযোদ্ধা, আত্মত্যাগ এবং কয়েক দশকের সংগ্রামের জীবন নিয়েছে। ভারতের স্বাধীনতার জন্য ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম আওয়াজ তুলেছিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত সৈনিক মঙ্গল পান্ডে।
পরবর্তীতে অনেক মহান মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছেন এবং তাদের সারা জীবন দিয়েছেন। আমরা সকলেই ভগৎ সিং, ক্ষুদিরাম বোস এবং চন্দ্রশেখর আজাদকে কখনই ভুলতে পারি না যারা খুব অল্প বয়সে দেশের জন্য লড়াই করে প্রাণ হারান। নেতাজি ও গান্ধীজীর সংগ্রামকে আমরা কিভাবে উপেক্ষা করতে পারি? গান্ধীজি ছিলেন একজন মহান ব্যক্তিত্ব যিনি ভারতীয়দের অহিংসার শিক্ষা দিয়েছিলেন। তিনিই একমাত্র নেতা যিনি অহিংসার মাধ্যমে স্বাধীনতার পথ দেখিয়েছিলেন এবং অবশেষে দীর্ঘ সংগ্রামের পর সেই দিনটি এসেছিল 1947 সালের 15 আগস্ট যখন ভারত স্বাধীনতা লাভ করে।
আমরা খুবই ভাগ্যবান যে আমাদের পূর্বপুরুষরা আমাদেরকে শান্তি ও সুখের দেশ দিয়েছেন যেখানে আমরা নির্ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারি এবং আমাদের স্কুলে এবং বাড়িতে সারা দিন উপভোগ করতে পারি। আমাদের দেশ প্রযুক্তি, শিক্ষা, খেলাধুলা, অর্থসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি করছে যা স্বাধীনতা ছাড়া সম্ভব হতো না। ভারত পারমাণবিক শক্তিতে সমৃদ্ধ দেশগুলির মধ্যে একটি। অলিম্পিক, কমনওয়েলথ গেমস, এশিয়ান গেমসের মতো খেলাধুলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সরকার নির্বাচনের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে এবং আমরা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ব্যবহার করছি। হ্যাঁ, আমরা স্বাধীন এবং আমাদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে, যদিও আমাদের দেশের প্রতি দায়িত্ব থেকে নিজেদেরকে মুক্ত মনে করা উচিত নয়। দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে যেকোনো জরুরি অবস্থার জন্য আমাদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।
আপনি যখন বক্তৃতা শেষ করছেন তখন আপনি স্বাধীনতার আগে অনুষ্ঠিত নির্বাচন, দেশীয় রাজ্য ও অঞ্চল গঠন, দুই জাতি গঠন, সংবিধান প্রণয়নের জন্য গঠিত কমিটি এবং স্বাধীনতার পর ভারতের শাসন ব্যবস্থা এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী কিছু গৌরবময় বছর এবং আমাদের উন্নয়নের বর্ণনা দিতে পারেন। জাতি মধ্য দিয়ে গেছে।
১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করেছিল, তাই প্রতি বছর এই দিনে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।
স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান, স্বাধীনতার পরবর্তী অর্জন এবং দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা উচিত।
শিক্ষার্থীরা ভাষণের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারে, অনুশীলন করতে পারে, স্পষ্ট উচ্চারণের দিকে মনোযোগ দিতে পারে এবং আত্মবিশ্বাসী শারীরিক ভাষা বজায় রাখতে পারে।
ভাষণের দৈর্ঘ্য শ্রোতা এবং অনুষ্ঠানের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, শিক্ষার্থীদের জন্য ১-৫ মিনিটের ভাষণ উপযুক্ত।
উত্তর – “Tryst with Destiny” ভাষণটি দিয়েছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু।
উত্তর – “ডু অর ডাই” স্লোগানটি দিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী।
উত্তর – “স্বরাজ আমাদের জন্মগত অধিকার” স্লোগানটি ছিল বাল গঙ্গাধর তিলকের দেওয়া।
উত্তর – 1942 সালের 8 আগস্ট মহাত্মা গান্ধী “শান্ত ভারত ভাষণ” দিয়েছিলেন।
উত্তর – 1941 সালে রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর “সভ্যতার সংকট” নামে একটি ভাষণ দিয়েছিলেন।