WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

জন গণ মন কখন ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হয়েছিল? ইতিহাস ও তাৎপর্য

স্বাধীনতা দিবস 2022: সকাল থেকে স্কুল-কলেজ-ক্লাব-আবাসনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে, ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠে গাওয়া হবে ‘জন গণ মন’। ভারতীয়দের কাছে এই গানটি শুধু জাতীয় সঙ্গীত নয়, ভালোবাসা, গর্ব ও আবেগও বটে। 

'জন গণ মন' কত তারিখে জাতীয় সঙ্গীত হয়ে উঠেছে - ইতিহাস জানুন
‘জন গণ মন’ কত তারিখে জাতীয় সঙ্গীত হয়ে উঠেছে – ইতিহাস জানুন

‘জন গণ মন’ এর ইতিহাস

আগামীকাল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘জন গণ মন’ গেয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে লাখো ভারতীয়। তার আগে জেনে নেওয়া যাক গানটির ইতিহাস ও তাৎপর্য। সকাল থেকে স্কুল-কলেজ-ক্লাব-আবাসনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হবে ‘জন গণ মন’। ভারতীয়দের কাছে এই গানটি শুধু জাতীয় সঙ্গীত নয়, ভালোবাসা, গর্ব ও আবেগও বটে। ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতার পর গুরুদেবের লেখা এই গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। আর এই গানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তুলে এনেছেন ভারতের ঐশ্বর্য, বৈচিত্র্য ও সংস্কৃতি। বাংলা ভাষায় লেখা এই গানটি এখন প্রতিটি ভারতীয়ের মুখে মুখে।

27 ডিসেম্বর 1911

‘জন গণ মন’ প্রথমবার গাওয়া হয় 27 ডিসেম্বর 1911 সালে কলকাতায় কংগ্রেসের সভায়। 1941 সালে, সুভাষ চন্দ্র বসু এই গানের একটি ভিন্ন সংস্করণ নিয়ে আসেন। নেতাজি জাতীয় সঙ্গীত বাংলা থেকে হিন্দিতে অনুবাদ করেন। আর্মি ক্যাপ্টেন আবিদ আলী হিন্দিতে অনুবাদ করেছেন এবং ক্যাপ্টেন রাম সিং সুর দিয়েছেন। এটি ইংরেজি সহ 22টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভারতীয় পতাকার ইতিহাস এবং তাৎপর্য: History and Significance of Indian Flag in Bengali

জাতীয় সঙ্গীত: অফিসিয়াল স্ট্যাটাস

24 জানুয়ারী, 1950-এ, এই গানটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ এটি ঘোষণা করেন। ‘জন গণ মন’ বাংলা ভাষায় লেখা হয়েছে যা সংস্কৃত থেকে অনুপ্রাণিত। ফলস্বরূপ, গানটিতে ব্যবহৃত বেশিরভাগ শব্দের সাথে বেশ কয়েকটি ভারতীয় ভাষার মিল রয়েছে। ফলে অনেক বক্তার পক্ষেই তা বোঝা সম্ভব হয়।

JOIN NOW

ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ 51A(a) ভারতের জনগণকে জাতীয় সঙ্গীত এবং জাতীয় পতাকাকে সম্মান করার নির্দেশ দেয়। এতে লেখা আছে, ‘প্রত্যেক নাগরিককে অবশ্যই সংবিধান মেনে চলতে হবে এবং তার ধারণা ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান করতে হবে।’ 1971 সালের জাতীয় সম্মান আইনের 3 ধারায় জাতীয় সঙ্গীতের অসম্মান এবং নিয়ম অমান্য করার জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।

JOIN NOW

Leave a Comment