Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
ভারতে তাদের শাসন প্রতিষ্ঠার পথে মুঘলরা অনেক যুদ্ধ করেছে। এখানে আমরা 10টি প্রধান যুদ্ধের তালিকা সংকলন করেছি যা মুঘলদের দ্বারা জিতেছিল এবং যা মুঘল সাম্রাজ্যের ভাগ্য নির্ধারণে সাহায্য করেছিল। এখানে সম্পূর্ণ বিবরণ পরীক্ষা করুন।
মুঘল সাম্রাজ্য ছিল ভারতের দীর্ঘতম শাসিত সাম্রাজ্যগুলির মধ্যে একটি। এটি 1526 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যখন বাবর পানিপথের প্রথম যুদ্ধে ইব্রাহিম লোধিকে পরাজিত করেছিলেন।
এখানে আমরা 10টি প্রধান যুদ্ধ দেখব যা মুঘলরা তাদের শাসনামলে জিতেছিল।
এখানে আমরা 10টি বড় যুদ্ধের দিকে নজর দেব যা ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের ভাগ্যকে রূপ দিয়েছে
পানিপথের প্রথম যুদ্ধ 1526 সালে বাবর এবং ইব্রাহিম লোধির মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল, যিনি সেই সময়ে দিল্লির রাজা ছিলেন। এই যুদ্ধটি ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে এবং মুঘলদের দ্বারা জিতেছে এমন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধগুলির মধ্যে একটি।
এই যুদ্ধ বাবর কর্তৃক বারুদ আগ্নেয়াস্ত্র এবং কামানের ব্যবহার প্রবর্তন করার জন্যও পরিচিত ছিল। এটি ছিল এমন সামরিক শক্তির প্রথম উদাহরণ যা দিল্লি সালতানাতকে অবাক করে দিয়েছিল।
খানওয়া যুদ্ধ ছিল ভারতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য মুঘলদের দ্বারা সংঘটিত সবচেয়ে নির্ণায়ক যুদ্ধগুলির মধ্যে একটি। এটি রানা সাঙ্গা এবং বাবরের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল; এই যুদ্ধ ভারতে মুঘলদের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ছিল।
খানওয়া যুদ্ধ 1527 সালে সংঘটিত হয়েছিল এবং যুদ্ধের লক্ষ্য ছিল বাবরকে ভারত থেকে তাড়িয়ে দেওয়া; বাবরের লক্ষ্য ছিল ভারতীয় রাজ্যের উপর আধিপত্য অর্জন।
ঘাঘরার যুদ্ধ 1529 সালে বাবরের সেনাবাহিনী এবং বাংলার সুলতান মাহমুদ লোদী এবং সুলতান নুসরাত শাহের সেনাবাহিনীর সাথে মিত্রদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল। এই জয় ভারতে আফগানদের সুযোগকে আরও কমিয়ে দেয় এবং পূর্ব ভারতে মুঘল নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।
পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ 1556 সালে সদ্য মুকুটধারী সম্রাট আকবর এবং দিল্লির হিন্দু রাজা হেমুর সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল। হেমু আগ্রা ও দিল্লি দখল করেছিল এবং বৈরাম খানের নেতৃত্বে মুঘলরা পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে হেমুকে পরাজিত করেছিল।
এই জয় ভারতে আকবরের আধিপত্যকে চিহ্নিত করে।
চিতোরগড় অবরোধ 1567 সালে সংঘটিত হয়েছিল। এই কারণেই মেওয়ারের মহারানা তাকে সম্রাট হিসাবে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন।
অবরোধ শেষ করতে ছয় মাস সময় লেগেছিল এবং এভাবে আকবরের সাম্রাজ্য আরও বিস্তৃত হয়।
পরবর্তী অবরোধ ছিল রণথম্বোরে, যেখানে হাদা রাজপুতরা মুঘলদের শত্রু হিসাবে বিবেচনা করেছিল এবং আকবর তাদের তার সাম্রাজ্যের জন্য হুমকি হিসাবে দেখেছিল। জয়ের ফলে রাজপুত রাজা রায় সুরজন হাদার আত্মসমর্পণ ঘটে।
তুকারোইয়ের যুদ্ধ মুঘল ও বঙ্গীয় সালতানাতের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল এবং বঙ্গীয় সালতানাতের পরাজয় তাদের দখলকে দুর্বল করে দিয়েছিল। এটি বর্তমান ওড়িশার বালাসোরের কাছে তুকারোই গ্রামে ঘটেছিল।
এটি ছিল মেওয়ারের প্রথম মান সিং এবং মহারানা প্রতাপের নেতৃত্বে মুঘলদের মধ্যে একটি বিখ্যাত যুদ্ধ। এই যুদ্ধ মহারানা প্রতাপকে একজন সাহসী যোদ্ধা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, যার গল্প আজও বলা হয়।
এটি ছিল একটি গৃহযুদ্ধ যা 1657 সালে শাহজাহান, দারা সিকোহ এবং আওরঙ্গজেবের পুত্রদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল। আওরঙ্গজেবের সাথে যোগ দেন তার ছোট ভাই মুরাদ বক্স। দারা সিকোহের পরাজয় এবং সম্রাট হিসেবে আওরঙ্গজেবের মুকুট লাভের মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।
খাজওয়ার যুদ্ধ 1659 সালে আওরঙ্গজেব এবং শাহ সুজার মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল, যিনি নিজেকে বাংলায় সম্রাট ঘোষণা করেছিলেন। যুদ্ধের ফলে শাহ সুজার পরাজয় ঘটে, এরপর তিনি আরাকানে পালিয়ে যান।
আওরঙ্গজেব শায়েস্তা খানকে বাংলার নতুন নবাব নাম দেন।
আরও পড়ুন: মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ