WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ভারতে স্কুল ভর্তি হার কমেছে: কারণ ও বিশ্লেষণ



সাম্প্রতিককালে, ভারতের শিক্ষা মন্ত্রক প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গেছে যে ২০১৮-১৯ থেকে ২০২৩-২৪ সময়কালে স্কুল ভর্তির সংখ্যায় বড় ধরনের পতন ঘটেছে। এই আর্টিকেলে আমরা এই বিষয়টির গভীরে যাব এবং এর কারণ ও সমাধানের উপায় বিশ্লেষণ করব।

ভারতে স্কুল ভর্তি হার কমেছে: কারণ ও বিশ্লেষণ
ভারতে স্কুল ভর্তি হার কমেছে: কারণ ও বিশ্লেষণ

স্কুল ভর্তি হারের সাম্প্রতিক তথ্য

২০১৮-১৯ সালে ভারতের স্কুলে গড়ে ২৬ কোটি শিশু ভর্তি হয়েছিল। তবে ২০২৩-২৪ সালে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪.৮ কোটি। এই সময়কালে ১.২ কোটি শিশুর স্কুলে ভর্তি কমেছে।

করোনা মহামারির প্রভাব

২০২০-২১ সালের করোনা মহামারির সময় স্কুল কার্যক্রম স্থগিত থাকায় সাময়িকভাবে ভর্তি হ্রাস পায়। তবে এই পতন পরবর্তী বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকে।


ডাটা সংগ্রহ পদ্ধতিতে পরিবর্তন

২০১২-১৩ সালে শুরু হওয়া UDISE Plus (Unified District Information System for Education Plus) ডাটা সংগ্রহ পদ্ধতিতে সম্প্রতি পরিবর্তন আনা হয়েছে।

আগের পদ্ধতি বনাম বর্তমান পদ্ধতি

  • আগে: ডাটা সংগ্রহ করা হতো স্কুলভিত্তিক।
  • এখন: ডাটা সংগ্রহ করা হচ্ছে ছাত্রভিত্তিক।
    • প্রতিটি শিশুর নাম, ঠিকানা, আধার নম্বর, এবং অন্যান্য তথ্য যুক্ত করা হচ্ছে।
    • একাধিক স্কুলে ভর্তির কারণে ডুপ্লিকেট এন্ট্রিগুলি বাদ পড়েছে।

শিক্ষা নীতির ভূমিকা

২০২০ সালের নতুন শিক্ষানীতিতে সর্বজনীন অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য ছাত্রদের তথ্য সঠিকভাবে ট্র্যাক করার কথা বলা হয়েছে।



  • স্কুলে শিশুদের উপস্থিতি, পরীক্ষার ফলাফল, এবং শিক্ষার মান পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
  • এই নীতি কার্যকর করতে সময় লাগছে, তবে সঠিক ডাটার মাধ্যমে সরকারের নীতি প্রণয়ন সহজতর হয়েছে।

কোন রাজ্যগুলোতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে?

শিক্ষা মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে।

  • বিহার: ভর্তি সংখ্যা ৩৫ লক্ষ কমেছে।
  • উত্তরপ্রদেশ: ভর্তি সংখ্যা ২৮.৮ লক্ষ কমেছে।
    • এই দুই রাজ্যে বহু শিশু একাধিক স্কুলে ভর্তি ছিল, যা নতুন পদ্ধতিতে বাদ পড়েছে।

ডাটা সংগ্রহের গুরুত্ব

সঠিক ডাটা সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করে।

  • মিড-ডে মিল প্রকল্প: সঠিকভাবে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।
  • সমগ্র শিক্ষা অভিযান: প্রকল্পের সঠিক বাজেট বরাদ্দ।
  • PM পোষণ: প্রতিটি শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা।

সমস্যা সমাধানে পরামর্শ

১. শিক্ষা সচেতনতা বৃদ্ধি: শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে অভিভাবকদের সচেতন করতে হবে।
২. স্কুলে পুনরায় ভর্তির প্রচারণা: স্কুল থেকে বাদ পড়া শিশুদের পুনরায় স্কুলে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা।
৩. ডাটা প্রক্রিয়ায় উন্নতি: প্রতিটি স্তরে ডাটা যাচাই এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে উন্নয়ন।


উপসংহার

স্কুল ভর্তি হারের এই পতন ভারতের ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগের বিষয়। তবে ডাটা সংগ্রহ পদ্ধতির পরিবর্তনের মাধ্যমে সঠিক চিত্র প্রকাশ পাচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার এবং সাধারণ মানুষের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

প্রশ্ন: প্রাচীন ভারতের কোন বিশ্ববিদ্যালয় “ন্যায়” বা যুক্তিবিদ্যার বিশেষায়িত পড়াশোনার জন্য বিখ্যাত ছিল?

আপনার উত্তর জানাতে পারেন কমেন্ট সেকশনে!


ট্যাগ: #স্কুলশিক্ষা #ভারতীয়শিক্ষাব্যবস্থা #শিক্ষানীতি

About the Author

Aftab Rahaman

AFTAB RAHAMAN

I am Aftab Rahaman, the founder of KaliKolom.com. For over 10 years, I have been writing simple and informative articles on current affairs, history, and competitive exam preparation for students. My goal is not just studying, but making the process of learning enjoyable. I hope my writing inspires you on your journey to knowledge.

📌 Follow me: