উত্তর) ব্রিটিশ সরকার ‘সোমপ্রকাশ’ সংবাদপত্রের প্রকাশ বন্ধ করে দেয়, কারণ—
প্রথমত, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পরিকল্পনায় প্রকাশিত
‘সোমপ্রকাশ’ নামক সংবাদপত্র (যদিও প্রথমদিকে এটি ছিল সাময়িকপত্র) ছিল নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশক।
দ্বিতীয়ত, এই পত্রিকায় সেই সময়ের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বিচারবিভাগ ও সামাজিক বিষয়ে নির্ভীক আলোচনা থাকত।
তৃতীয়ত, কাবুলে ব্রিটিশ সরকারের নীতিও সমালোচিত হয়েছিল এবং এ কারণেই দেশীয় সংবাদপত্র আইনের (১৮৭৮ খ্রি.) মাধ্যমে পত্রিকাটি বন্ধ করে দেওয়া হয় (১৮৭৯ খ্রি.)।
ইতিহাসের উপাদানরূপে সংবাদপত্রের গুরুত্ব কী?
উত্তর) ইতিহাসের উপাদানরূপে সংবাদপত্রের গুরুত্বগুলি হল— প্রথমত, সংবাদপত্র কীভাবে জনমত গঠনে সাহায্য করে তা জানা যায়;
দ্বিতীয়ত, ব্রিটিশ সরকারের জনবিরোধী নীতির সমালোচনার বিভিন্ন দিক ফুটে ওঠে;
তৃতীয়ত, উনিশ শতক ও বিশ শতকে ভারতের জাতীয়তাবাদের উদ্ভব, প্রচার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের কথা জানা যায়;
চতুর্থত, উনিশ শতকে এদেশের সমাজ ও ধর্মের ক্ষেত্রে যে-সমস্ত কুসংস্কার ছিল তার বিরুদ্ধে সমাজ সংস্কারক ও ধর্ম সংস্কারকরা কীভাবে সোচ্চার হয়েছিলেন তা জানা যায়। দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা যায়, সতীদাহপ্রথার বিরোধিতায় ‘দিগদর্শন’, নীলবিদ্রোহের সপক্ষে জনমত গঠনে ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’, ব্রিটিশ সরকারের জনবিরোধী নীতির সমালোচনার ক্ষেত্রে ‘সোমপ্রকাশ’, বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় ‘বয়কট’ আন্দোলন প্রসারে ‘সন্ধ্যা’ পত্রিকার বিশেষ ভূমিকা ছিল।