আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা কাকে বলে | আত্মজীবনী কীভাবে ইতিহাসের উপাদান হিসেবেব্যবহৃত হতে পারে?

আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা কি

 

আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা হল ব্যক্তির জীবন ও স্মৃতিমূলক সাহিত্য। ব্যাখ্যা করে বলা যায়—

প্রথমত, এখানে লেখক তাঁর জীবনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা এবং সমসাময়িক দেশকালের স্মৃতি রোমন্থন করে গ্রন্থাকারে প্রকাশ

করেন।

দ্বিতীয়ত, এ প্রসঙ্গে বিপিনচন্দ্র পালের ‘সত্তর বছর’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জীবনস্মৃতি’ ও সরলাদেবী চৌধুরানির ‘জীবনের ঝরাপাতা’ নামক আত্মজীবনীর কথা বলা যায়।

আত্মজীবনী কীভাবে ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে?

Other Question

স্মৃতিকথা অথবা আত্মজীবনীকে কীভাবে আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদানরূপে ব্যবহার করা হয়?

আধুনিক ইতিহাসচর্চার উপাদানগুলির মধ্যে অন্যতম হল বিভিন্ন ব্যক্তির আত্মজীবনী, কারণ—

প্রথমত, এ ধরনের রচনায় সমাজের নানান স্তরের মানুষের জীবনের বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ থাকে, যেগুলি তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন এবং এই ঘটনাগুলির মাধ্যমে সমকালের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ধরা থাকে।

দ্বিতীয়ত, এগুলি থেকে সেই সময়কার সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি প্রভৃতি সম্পর্কে নানান তথ্য ও ধারণা পাওয়া যায় এবং এ কারণেই এগুলি পরোক্ষ বিষয় নয় তা প্রত্যক্ষ বিষয়।

Join Telegram

তৃতীয়ত, তবে আত্মজীবনী মানেই ইতিহাসের উপাদান নয়, কারণ এগুলিতেই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন পড়ে যা ইতিহাসের উপাদান হয়ে ওঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

Join Telegram

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *