5,327 Members Now! 🎉
🔥 Live Job Alerts!
Join Instant Updates →
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কেন গঠিত হয় | ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব

Salauddin Sekh
Updated: Feb 24, 2022

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কেন গঠিত হয়
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কেন গঠিত হয়

সূচনা: ১৯৫৬ সালে ভারতের রাজ্য পুনর্গঠন আইন একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ছিল, যা রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন (১৯৫৩) এর সুপারিশের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু “রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কেন গঠিত হয়” এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে ফিরে তাকাতে হবে স্বাধীনোত্তর ভারতের ভাষা, প্রশাসনিক জটিলতা ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির দিকে। এই নিবন্ধে জানুন কমিশন গঠনের অজানা ইতিহাস, উদ্দেশ্য ও ফলাফল।

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠনের ৫টি মূল কারণ

  1. কংগ্রেসের অঙ্গীকার পূরণ: স্বাধীনতার আগে কংগ্রেস প্রতিটি প্রধান ভাষাভিত্তিক অঞ্চলের জন্য পৃথক রাজ্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু ১৯৪৭-এর পর জাতীয় সংহতির নামে এই নীতি পিছিয়ে রাখায় তীব্র আন্দোলন সৃষ্টি হয়।
  2. অন্ধ্রপ্রদেশ আন্দোলনের চাপ: পট্টি শ্রীরামুলুর মৃত্যু (১৯৫২) ও তেলুগুভাষীদের জন্য পৃথক রাজ্যের দাবিতে অনশন আন্দোলন কেন্দ্রকে বাধ্য করে অন্ধ্রপ্রদেশ গঠনে (১৯৫৩)। এই সাফল্য অন্য ভাষাগোষ্ঠীকেও উদ্বুদ্ধ করে।
  3. প্রশাসনিক অদক্ষতা: বৃহৎ রাজ্যগুলো (যেমন: মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি, বোম্বে প্রেসিডেন্সি) ভাষাগত বৈচিত্র্যের কারণে শাসনকার্য অসম্ভব হয়ে উঠছিল।
  4. জাতীয় সংহতির ঝুঁকি: ভাষাভিত্তিক বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন (ডি.এম.কে. তামিলনাড়ু, শিখ অ্যাকালি দল পাঞ্জাব) দেশের অখণ্ডতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি করে।
  5. রাজ্য পুনর্গঠনের বৈজ্ঞানিক কাঠামো: এলোমেলো রাজ্য গঠন এড়াতে একটি সুসংহত নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

ফজল আলি কমিশনের সুপারিশ: কী ছিল বিশেষ?

মূল সুপারিশবাস্তবায়ন (১৯৫৬ আইনে)
১৬টি রাজ্য ও ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল১৪টি রাজ্য + ৬ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল
ভাষাকে প্রাথমিক ভিত্তি৯৫% ক্ষেত্রে ভাষা অনুসরণ
বিহারের পুরুলিয়া পশ্চিমবঙ্গে অন্তর্ভুক্তিগৃহীত হয়
মধ্যপ্রদেশ গঠনহায়দ্রাবাদ রাজ্য বিলুপ্ত করে গঠন

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: কমিশন “এক রাজ্য – এক ভাষা” নীতি পুরোপুরি মানেনি। যেমন- বোম্বে রাজ্যে গুজরাটি ও মারাঠি, পাঞ্জাবে পাঞ্জাবি ও হিন্দি রাখা হয়।

রাজ্য পুনর্গঠনের ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব

সফলতা ✅

  • ভাষাগত স্বায়ত্তশাসনে আঞ্চলিক সংঘর্ষ হ্রাস
  • স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্পের গতি বৃদ্ধি
  • সাংস্কৃতিক পরিচয়ের রক্ষা

সীমাবদ্ধতা ❌

  • উত্তর-পূর্ব ও জম্মু-কাশ্মীরে অস্থিরতা অব্যাহত
  • ছোট রাজ্যগুলির আর্থিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন
  • ভাষার বাইরে অর্থনীতি/নদীর পানিবণ্টন ইস্যু অমীমাংসিত

সচরাচর জিজ্ঞাসা (FAQ)

Q: রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের প্রথম প্রস্তাব কোন রাজ্যটি গঠন করে?

A: অন্ধ্রপ্রদেশ (১৯৫৩), যা কমিশন গঠনেরও আগে তৈরি হয়।

Q: কোন ভারতীয় নেতা ভাষাভিত্তিক রাজ্যের বিরোধিতা করেছিলেন?

A: জওহরলাল নেহেরু ও বল্লভভাই প্যাটেল জাতীয় সংহতির কথা বলে প্রথমদিকে এই ধারণার বিরোধিতা করেন।

উপসংহার: একটি অসম্পূর্ণ প্রক্রিয়া

১৯৫৬-এর রাজ্য পুনর্গঠন আইন ভারতকে স্থিতিশীল করলেও “রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কেন গঠিত হয়” তার উত্তর আজও প্রাসঙ্গিক। ২০০০ সালে ছত্তিসগড়, উত্তরাখণ্ড ও ঝাড়খণ্ড গঠন প্রমাণ করে যে ভাষার পাশাপাশি অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক বৈষম্য নতুন রাজ্যের দাবিকে প্রেরণা দেয়। এই কমিশন ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয়তাকে পুনর্ব্যাখ্যা করলেও রাজ্যের সংখ্যা বৃদ্ধির এই প্রক্রিয়া সম্ভবত অসমাপ্তই থাকবে।


রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ও আইন | রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কেন গঠিত হয়

সূচনা:- দেশীয় রাজ্য গুলোকে ভারতের অন্তর্ভুক্তিকরন করে দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির সমস্যার সমাধান করা হলেও 1950 এর দশকে রাজ্য পুনর্গঠন সংক্রান্ত সমস্যার উদ্ভব হয় এই উদ্দেশ্যে গঠিত হয় রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ও আইন। (1953-56 খ্রিস্টাব্দ)

প্রেক্ষাপট:- রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন এর গঠনের প্রেক্ষাপট এ দেখা যায় যে:-

1. কংগ্রেসে প্রতিশ্রুতি

স্বাধীনতার পূর্বে কংগ্রেস প্রচার করেছিল যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে প্রতিটি প্রধান ভাষা গোষ্ঠীর জন্য পৃথক পৃথক ভাষা ভিত্তিক রাজ্য গঠিত হবে। কিন্তু ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর জাতীয় সংহতি ও প্রশাসনিক কারণে কংগ্রেস ভাষা ভিত্তিক রাজ্য গঠনের বিরোধিতা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তেলুগু ভাষীদের জন্য তেলুগু অঞ্চলের আন্দোলন শুরু হয় এবং পরিশেষে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য গঠিত হলে ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভাষা ভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবি ওঠে। এরই প্রেক্ষাপটে ফজলের নেতৃত্বে 1953 সালে গঠিত হয় রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন।

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন

3 জন সদস্য নিয়ে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সভাপতি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ ফজল আলি অপর দু’জন সদস্য ছিলেন কে. এম পানিককর ও হৃদয়নাথ কুঞ্জরু। এই কমিশন 1955 সালে তার রিপোর্টে ভারতকে 16 টি রাজ্য ও তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা সুপারিশ দেন।

রাজ্য পুনর্গঠন আইন:- রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সুপারিশগুলোকে কিছু পরিমার্জনা করে 1956 সালে রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাশ হয়। এই আইন অনুসারে ভারতকে 14 টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয় এই আইনে বিহারের পুরুলিয়াকে পশ্চিমবঙ্গের সাথে যুক্ত করা হয়, হায়দ্রাবাদ রাজ্যের অবলুপ্তি ঘটে মধ্যপ্রদেশ নামে একটি নতুন রাজ্য গঠন করা হয়। প্রকৃতির নানাবিধ বিষয় এই আইনের মাধ্যমে করা হয়।রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন আইন গঠিত হয় কেনো?

মূল্যায়ন

পরিশেষে বলা যায় এই ভাষা ভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠন এর ফলে একদিকে যেমন ভারতের রাজনৈতিক ঐক্য সুদৃঢ় হয়। অন্যদিকে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও জাতীয় সংহতি শক্তিশালী হয়। তবে একথাও ঠিক যে রাজ্য পুনর্গঠন এর মাধ্যমে ভারতের সব সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়নি।

About the Author

   Aftab Rahaman

AFTAB RAHAMAN

Aftab Rahaman is a seasoned education blogger and the founder of KaliKolom.com, India’s premier Bengali general knowledge blog. With over 10 years researching current affairs, history, and competitive exam prep, he delivers in‑depth, up‑to‑date articles that help students and lifelong learners succeed. His expert insights and data‑driven guides make KaliKolom.com an authoritative resource in Bengali education.

Unlock FREE Subject-Wise PDFs Instantly

Join Our Telegram Channel for Daily Updates!

      JOIN NOW ➔

Comments are closed.

Recent Posts

See All →