আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা | আত্মজীবনী এবং স্মৃতিকথা বলতে কী বোঝায়?

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আত্মজীবনী এবং স্মৃতিকথা কাকে বলে

আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা। আত্মজীবনী এবং স্মৃতিকথায় সমকালীন প্রত্যক্ষদর্শীর অভিজ্ঞতার কথা উঠে আসে। এগুলির বর্ণনা লেখকের নিজস্ব বিচারধারা ও মূল্যবোধের আলোকে পরিবেশিত 1 হলেও তাতে সত্যের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই আধুনিক ইতিহাসচর্চায় এগুলির গুরুত্ব খুব বেশি।

আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা আধুনিক ইতিহাস চর্চায় এত গুরুত্ব কেন

সরকারি নথিপত্রে অনুল্লেখিত বা অনালোচিত বিষয়গুলি আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় অকপটে আলোচিত হয় বলে এগুলি ইতিহাসচর্চার বিশিষ্ট উপাদান হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদানে সমৃদ্ধ এরূপ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ হল—বিপিনচন্দ্র পালের  লেখা ‘সত্তর বৎসর’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘জীবনস্মৃতি’, সরলাদেবী চৌধুরানির লেখা ‘জীবনের ঝরাপাতা, মহাত্মা গান্ধির লেখা ‘দ্য স্টোরি অব মাই এক্সপেরিমেন্ট উইথ ট্রুথ’, সুভাষচন্দ্র বসুর লেখা ‘অ্যান ইন্ডিয়ান পিলগ্রিম‘(অসমাপ্ত), জওহরলাল নেহরর লেখা অ্যান অটোবায়োগ্রাফি, ড. রাজেন্দ্র প্রসাদের লেখা ‘আত্মকথা’ প্রভৃতি। এছাড়া নিরোদ সি চৌধুরীরঅটোবায়োগ্রাফি অব অ্যান আননোন ইন্ডিয়ান, মুজাফ্ফর আহমেদেরআমার জীবন ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (১৯২০-১৯২৯)’ প্রভৃতি আত্মজীবনী এবং মণিকুন্তলা সেনেরসেদিনের কথা’, দক্ষিণারঞ্জন বসুরছেড়ে আসা গ্রাম’, প্রভাষচন্দ্র লাহিড়ীরপাক ভারতের রূপরেখা’ প্রভৃতি থেকেও আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন উপাদান কীভাবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় উঠে আসে এবং তা ইতিহাস রচনার উপাদান হয়ে ওঠে তা নীচে, ‘জীবনস্মৃতি’ও ‘জীবনের ঝরাপাতা’ গ্রন্থের উদাহরণ দিয়ে দেখানো হল—

Leave a Comment