
শত্রু সম্পত্তি আইন (Enemy Property Act) দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে একটি জটিল ও বিতর্কিত আইনি ধারা। এটি মূলত ভারত ও বাংলাদেশে প্রয়োগ করা হয়েছে, যেখানে দেশভাগ, যুদ্ধ, এবং রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পরিত্যক্ত সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে তৈরি হয়েছে আইনি জটিলতা। এই নিবন্ধে আমরা শত্রু সম্পত্তি আইনের উৎপত্তি, বৈশিষ্ট্য, সাম্প্রতিক সংশোধনী, এবং এর সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করব।
Also Read – দেবোত্তর সম্পত্তি আইন পশ্চিমবঙ্গ
১. শত্রু সম্পত্তি আইনের ঐতিহাসিক পটভূমি
ভারত ও পাকিস্তান বিভক্তি (১৯৪৭)
১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় লক্ষাধিক মানুষ সীমান্ত পার হয়ে নতুন রাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হন। এই প্রক্রিয়ায় রেখে যাওয়া সম্পত্তিকে “শত্রু সম্পত্তি” হিসেবে চিহ্নিত করার সূত্রপাত ঘটে।
১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ
যুদ্ধপরবর্তী সময়ে ভারত সরকার শত্রু সম্পত্তি আইন, ১৯৬৮ প্রণয়ন করে, যা পাকিস্তানে অভিবাসিত ব্যক্তিদের সম্পত্তি সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা বিধি জারি করে হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিত্যক্ত সম্পত্তি “শত্রু সম্পত্তি” ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অর্পিত সম্পত্তি আইন (১৯৭৪)
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শত্রু সম্পত্তির নাম পরিবর্তন করে অর্পিত সম্পত্তি রাখা হয়। ১৯৭৪ সালের আইনে এই সম্পত্তি সরকারি তত্ত্বাব