5,327 Members Now! 🎉
🔥 Live Job Alerts!
Join Instant Updates →

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

নারী ইতিহাস | নারী ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব কি

নারী ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব কিআধুনিক কালে নারী-ইতিহাসচর্চার গুরুত্ব কী?

নারী ইতিহাস: প্রাচীনকাল থেকে সভ্যতা-সংস্কৃতিতে নারীজাতি পুরুষদের দ্বারা প্রভাবিত ও পরিচালিত হওয়ার ফলে নারীর সাধারণ দাবিদাওয়া, ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের ভূমিকা উপেক্ষিত হয়েছে এবং পুরুষদের যুদ্ধ, রাজনীতি, কূটনীতি, প্রশাসন প্রভৃতি সাধারণভাবে ইতিহাসচর্চার বিষয় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।অথচ সমাজ, রাজনীতি, শিক্ষা, আন্দোলন প্রভৃতি ক্ষেত্রে নারীদের অবদান মোটেই কম নয়।

শাসনক্ষেত্রে রানী দিদ্দা, সুলতানা রাজিয়া, রানী রক্ষ্মীবাঈ, রানী দুর্গাবতী-সহ বর্তমানকালের ইন্দিরা গান্ধি, শেখ হাসিনা প্রমুখ এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে সরলাদেবী চৌধুরানী, বাসন্তী দেবী, মাতঙ্গিনী হাজরা, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, বীণা দাস, শান্তি দাস, কল্পনা দত্ত প্রমুখের অবদান চিরস্মরণীয়। স্বাধীন ভারতে পরিবেশ রক্ষায় নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনে মেধা পটেকার, চিপকো আন্দোলনে গৌরী দেবী, পশুরক্ষা আন্দোলনে মেনকা গান্ধি প্রমুখের নেতৃত্ব প্রশংসার দাবি রাখে। ইতিহাসে নারীর এরূপ ভূমিকার ওপর আলোকপাতের উদ্দেশ্যেই নারীর ইতিহাসচর্চাকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

Recommended:

নারী আন্দোলনের কয়েকজন নেত্রী

সেই উদ্দেশ্যেই ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ ‘আন্তজার্তিক নারীবর্ষ‘ এবং ১৯৭৫-১৯৮৫-এর দশক ‘নারীদশক‘ হিসেবে পালিত হয়েছে।) ১৯৭০-এর দশক থেকে নারী-ইতিহাসচর্চার ধারার সূত্রপাত। মূলত ব্রিটেন ও আমেরিকার দ্বিতীয় প্রজন্মের নারীবাদী ঐতিহাসিকদের উৎসাহ ও আগ্রহেই এই ধারার আবির্ভাব ও বিকাশ। ১৯৭৭-এ প্রকাশিত জোয়ান কেলির ‘ডিড উইমেন হ্যাভ আ রেনেসাঁ? ঐতিহাসিক ঘটনার বিষয়ে প্রথাগত ধারণার মূল ধরে নাড়া দিয়েছিল। ১৯৮৬-তে গের্ডা লার্নারের ‘দ্য ক্রিয়েশন অব প্যাট্রিয়ার্কি’তে মেসোপটেমিয়া সভ্যতার প্রেক্ষিতে সমাজে নারীনির্যাতনের মূল খোঁজার প্রয়াস লক্ষ করা যায়। ভারতেও নারী-ইতিহাস বিষয়ক বিভিন্ন গবেষণাগ্রন্থের মধ্যে নীরা দেশাইয়ের ‘উওম্যান ইন মডার্ন ইন্ডিয়া’, জেরাল্ডিন ফোর্বসের ‘উইমেন ইন মর্ডান ইন্ডিয়া’, বি আর নন্দর ‘দি ইন্ডিয়ান উইমেন: ফ্রম পর্দা টু মডার্নিটি, এম এন শ্রীনিবাসের ‘দ্য চেঞ্জিং পজিশন অব ইন্ডিয়ান উইমেন’, আ ফেমিনিস্ট পারস্পেক্টিভ, কমলা ভাসিনের ‘হোয়াট ইজ প্যাট্রিয়ার্কি’, হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভারতের নারীমুক্তি আন্দোলন’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

Leave a Comment