5,327 Members Now! 🎉
🔥 Live Job Alerts!
Join Instant Updates →
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

নারী শিক্ষার ইতিহাস | ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নারী শিক্ষা

Team KaliKolom
Updated: Nov 27, 2021

Nari Shiksha in Bengali

হ্যালো বন্ধুরা, কালিকোলোম দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ফিরে এসেছে। নারী শিক্ষার ইতিহাস, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নারী শিক্ষা  আশা করি আপনি ভাল করছেন এবং আমাদের আগের অ্যারিটকাল উপভোগ করেছেন। ঠিক আছে আসুন আজকের টপিক এক্সপ্লোর করি।

 

হ্যালো বন্ধুরা, আজ আমি আপনাকে খুব সহজে এবং খুব সরল মুখস্থ করার সহজ উপায় বলতে যাচ্ছি। আজ, (নারী শিক্ষার ইতিহাস, নারী শিক্ষা ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা) যেটা আমি আপনাকে বলব তা হল এই বিষয় যার মধ্যে আপনি সুবিধা নিতে পারেন আমি নীচে সমস্ত বিবরণ দিয়েছি, আপনি পোস্টটি ভালভাবে পড়েন এবং আপনিও এই বিষয়টির সুবিধা নিন।

নারী শিক্ষার ইতিহাস

উনিশশতকে লেখাপড়ার বিষয়টিকে সুনজরে দেখা হত না। মেয়েদের ওপর বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় বিধিনিষেধ, বাল্যবিবাহ, পর্দাপ্রথা প্রভৃতি নারীশিক্ষার প্রসারেশ শতকের প্রথমভাগেও বঙ্গসমাজেে

প্রধান বাধা ছিল। তা সত্ত্বেও এই শতকের দ্বিতীয় দশক থেকে বাংলায় নারীশিক্ষার প্রচলন ঘটে। এ বিষয়ে সর্বপ্রথম উদ্যোগ নেন খ্রিস্টান মিশনারিরা। শ্রীরামপুরের খ্রিস্টান মিশনারি উইলিয়াম কেরি মার্শম্যানের উদ্যোগে ১৮১১ খ্রিস্টাব্দে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপিত হয়।

লন্ডন মিশনারি সোসাইটির রবার্ট মে ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে চুঁচুড়ায় একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যাপটিস্ট মিশনারিদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘ফিমেল জুভেনাইল সোসাইটি’ (১৮১৯ খ্রি.) বিভিন্ন বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। মিসেস কুক, মেরি উইলসন, মেরি কার্পেন্টার, অ্যানেট অ্যাক্রয়েড প্রমুখ বিদেশিনী বাংলায় নারীশিক্ষার বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। মিস কুক ‘ক্যালকাটা ফিমেল স্কুল’ (১৮২৮ খ্রি.) এবং প্যারিচঁাদ মিত্র বারাসাতে একটি বালিকা বিদ্যালয় (১৮৪৭ খ্রি.) প্রতিষ্ঠা করেন। কলকাতা স্কুল সোসাইটি’ (১৮১৭ খ্রি.), ‘লেডিজ সোসাইটি ফর নেটিভ ফিমেল এডুকেশন’ (১৮২৪ খ্রি.) প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান বাংলায় নারীশিক্ষার প্রসারে সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করে।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নারী শিক্ষা

বাংলায় নারীশিক্ষার প্রসারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-৯১ খ্রি.)। তিনি ছিলেন নারীশিক্ষার বিস্তারের পথিকৃৎ। তিনি উপলব্ধি করেন যে, নারীজাতির উন্নতি না ঘটলে বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতির প্রকৃত উন্নতি সম্ভব নয় । ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও ড্রিঙ্কওয়াটার বিটন উদ্যোগী হয়ে কলকাতায় ‘হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়’ (১৮৪৯ খ্রি.) প্রতিষ্ঠা করেন। এটিই ভারতের প্রথম বালিকা বিদ্যালয়। বিদ্যাসাগর ছিলেন এই বিদ্যালয়ের সম্পাদক। এটি বর্তমানে বেথুন স্কুল নামে পরিচিত। বিদ্যাসাগর ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান জেলায় মেয়েদের জন্য একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

গ্রামাঞ্চলে নারীদের মধ্যে শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে বিদ্যাসাগর বাংলার বিভিন্ন জেলায় স্ত্রীশিক্ষা বিধায়নী সম্মিলনী’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের মে মাসের মধ্যে নদীয়া, বর্ধমান, হুগলি ও মেদিনীপুর জেলায় ৩৫ টি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এগুলিতে ১৩০০ ছাত্রী পড়াশােনা করত  পরবর্তীকালে বিদ্যাসাগর সরকারের কাছে ধারাবাহিক তদবির করায় সরকার এই বিদ্যালয়গুলির কিছু আর্থিক ব্যয়ভার বহন করতে রাজি হয়।

এগুলি ছাড়াও বিদ্যাসাগর পরবর্তীকালে আরও কয়েকটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় বালিকা বিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮৮ টি। এই বছর সরকার নারীশিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে

কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়

জান তে কি

মেয়েদের মধ্যে প্রথম কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় ও কি চন্দ্রমুখী বসু ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে বেথুন কলেজ থেকে বি . এ . বা স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ই প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি ডাক্তারি পাস করেন। উনিশ শতকের শেষদিকে বাংলার নারীরা জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন। প্রথম বাংলা নারী ঔপন্যাসিক স্বর্ণকুমারী ঘােষাল এবং কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের অধিবেশনে প্রতিনিধি হিসেবে যােগ দেন।

সরকারি অনুদান প্রদানের কথা ঘােষণা করে। বিদ্যাসাগর কলকাতায় ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশন (বর্তমান বিদ্যাসাগর কলেজ) এবং মা ভগবতী দেবীর স্মৃতিতে নিজ গ্রাম বীরসিংহে ভগবতী বিদ্যালয় (১৮৯০ খ্রি .) প্রতিষ্ঠা করেন । বাংলায় নারীশিক্ষার প্রসারের ফলে নারীদের বাল্যবিবাহ, সতীদাহপ্রথা, পুরুষের বহুবিবাহ প্রভৃতির বিরুদ্ধে নারীদের মধ্যেও সচেতনতা তৈরি হয় এবং এসময় বেশ ক’জন কৃতী নারীর আত্মপ্রকাশ ঘটে। এদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য ছিলেন বাংলার প্রথম স্নাতক (১৮৮৩ খ্রি .) কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় ও চন্দ্রমুখী বসু

 

About the Author

   Aftab Rahaman

AFTAB RAHAMAN

Aftab Rahaman is a seasoned education blogger and the founder of KaliKolom.com, India’s premier Bengali general knowledge blog. With over 10 years researching current affairs, history, and competitive exam prep, he delivers in‑depth, up‑to‑date articles that help students and lifelong learners succeed. His expert insights and data‑driven guides make KaliKolom.com an authoritative resource in Bengali education.

Unlock FREE Subject-Wise PDFs Instantly

Join Our Telegram Channel for Daily Updates!

      JOIN NOW ➔

Recent Posts

See All →