WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ঠান্ডা লড়াই বলতে কী বোঝায় এর কারণ ও ফলাফল PDF|Thanda Joddha bolte ki bojhay

প্রিয় দর্শক, আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করতেছি মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস সাজেশন ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’ বা ‘ঠান্ডা লড়াই’

এই ঠান্ডা যুদ্ধ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। Free PDF টি নিচের দেওয়া লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করুন।

ঠান্ডা লড়াই বলতে বোঝায় সেই রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উত্তেজনার সময়কাল, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এটি ছিল মূলত দুটি পরাশক্তি—যুক্তরাষ্ট্র (USA) এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন (USSR)—এর মধ্যে একটি আদর্শিক সংঘাত। এই সময়ে কোনো সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ ঘটেনি, তবে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, এবং সামরিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শনের প্রচেষ্টা ছিল প্রচুর।

ঠান্ডা লড়াইয়ের কারণ:

১.আদর্শিক সংঘাত:

যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাদ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের সমাজতন্ত্র ও একদলীয় শাসন ছিল প্রধান আদর্শিক বৈপরীত্য।

JOIN NOW

২.যুদ্ধকালীন পারস্পরিক সন্দেহ:

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রশক্তির অংশীদার হলেও, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে অবিশ্বাস এবং সন্দেহ বৃদ্ধি পায়।

3.পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা:

যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেছিল এবং এর পরে সোভিয়েত ইউনিয়নও তা করতে সক্ষম হয়। উভয়ের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা ঠান্ডা লড়াইকে উস্কে দেয়।

4.ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার:

যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন উভয়েই বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যে প্রাক্তন ইউরোপীয় উপনিবেশগুলো এবং তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো ছিল অন্যতম।

ঠান্ডা লড়াইয়ের ফলাফল:

১.দ্বিপাক্ষিক সামরিক সংঘাত:

কোরিয়ার যুদ্ধ (১৯৫০-৫৩), ভিয়েতনাম যুদ্ধ (১৯৫৫-১৯৭৫), আফগানিস্তান যুদ্ধ (১৯৭৯-১৯৮৯) সহ বেশ কয়েকটি সামরিক সংঘাত ঘটেছে, যেখানে সরাসরি যুদ্ধ না হলেও দুই পক্ষের পৃষ্ঠপোষকতা ছিল।

২.পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার:

পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা বেড়ে যায় এবং “পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা” বিশ্বব্যাপী ভীতি ছড়ায়।

৩.বিভক্ত বিশ্ব:

বিশ্ব মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে—পশ্চিমা ব্লক (যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে) এবং পূর্ব ব্লক (সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে)। এর ফলে NATO ও Warsaw Pact এর মতো সামরিক জোট গঠিত হয়।

৪. সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন:

১৯৮০ দশকের শেষ দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যায়, যার মাধ্যমে ঠান্ডা লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটে। এর ফলে পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক সরকারগুলোর পতন ঘটে এবং বহু দেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

৫. বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বৃদ্ধি:

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর যুক্তরাষ্ট্র একক পরাশক্তি হিসেবে বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে।

নিচের লিঙ্ক থেকে PDF ডাউনলোড করুন–

ঠান্ডা যুদ্ধ PDF

ভারতীয় রেলপথকে কী কী আঞ্চলিক ভাগে ভাগ করা হয়েছে? অথবা, ভারতীয় রেলপথের সমস্যাগুলি কী কী?

রাজ্য বিধানসভার ক্ষমতা ও কার্যাবলী class 12 and BA

JOIN NOW

Leave a Comment