স্টারলিংক একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা, যা স্পেসএক্স নামে একটি কোম্পানি তৈরি করেছে। এই কোম্পানির নেতৃত্ব দিচ্ছেন এলন মাস্ক। স্টারলিংক পৃথিবীর নিচু কক্ষপথে (low-earth orbit) অনেকগুলো উপগ্রহের মাধ্যমে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সরবরাহ করে। এটি বিশেষভাবে গ্রাম ও দূরবর্তী অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে কাজ করে।
স্টারলিংক: এলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা
পৃথিবীতে প্রচলিত ইন্টারনেট পরিষেবার থেকে স্টারলিংকের সুবিধা হল, এটি মাটিতে বড় ধরনের সংযোগ ব্যবস্থা ছাড়াই নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট দিতে পারে।
এলন মাস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি
এলন মাস্ক বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তার মোট সম্পদের মূল্য ৩০৯.১০ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ২৫.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা)।
এলন মাস্ক টেসলা, স্পেসএক্স, এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি xAI-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। স্টারলিংক প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি ইন্টারনেট সংযোগে এক নতুন বিপ্লব আনতে চান।
স্টারলিংকের লক্ষ্য
স্টারলিংকের লক্ষ্য হলো পৃথিবীর সবচেয়ে দূরবর্তী অঞ্চলগুলিতেও দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহেও ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এলন মাস্ক তাই প্রযুক্তির দুনিয়ায় একজন অগ্রগামী উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত।
স্টারলিংকের বর্তমান অবস্থা
২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে স্টারলিংক ১০০টিরও বেশি দেশে কাজ করছে। সম্প্রতি সিয়েরা লিওন স্টারলিংক পরিষেবা পাওয়া ১০০তম দেশ হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
Starlink প্রকল্প কি?
স্টারলিঙ্ক: ইন্টারনেট পরিষেবা
স্টারলিঙ্ক হল একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা, যা স্পেসএক্স কোম্পানি তৈরি করেছে। এটি দ্রুতগতির ইন্টারনেট সারা বিশ্বে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল এবং যেখানে ইন্টারনেট কম পৌঁছেছে, সেখানে দেওয়ার জন্য তৈরি।
এই পরিষেবা ছোট ছোট স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কাজ করে, যেগুলি পৃথিবীর কাছাকাছি কক্ষপথে (লো আর্থ অরবিট) ঘোরে। এর ফলে, এটি সরাসরি ব্যবহারকারীদের কাছে ইন্টারনেট সিগনাল পাঠাতে পারে। এর জন্য মাটির নিচে ফাইবার অপটিক তারের মতো বড় অবকাঠামোর প্রয়োজন হয় না।
স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা অন্যান্য স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের তুলনায় অনেক দ্রুত। কারণ এটি পৃথিবীর কাছাকাছি স্যাটেলাইট ব্যবহার করে, যেখানে সাধারণ স্যাটেলাইট অনেক দূরে (জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট) থাকে।
এটি বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করে যেখানে সাধারণ ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যায় না। এছাড়াও, এটি খুব তাড়াতাড়ি সেট আপ করা যায়, তাই জরুরি অবস্থা বা দুর্যোগের সময় এটি অনেক কাজে লাগে।
Speed and Performance
স্টারলিংক ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট গতি এবং সুবিধা
স্টারলিংক ব্যবহারকারীরা সাধারণত ২৫ Mbps থেকে ২২০ Mbps পর্যন্ত ডাউনলোড গতি পান। তাদের ইন্টারনেট লেটেন্সি ২০ মিলিসেকেন্ড পর্যন্ত কম হতে পারে, যা ভিডিও কল এবং অনলাইন গেম খেলার মতো কাজের জন্য খুব উপযোগী।
স্টারলিংক পরিষেবা পেতে ব্যবহারকারীদের একটি কিট কিনতে হয়। এই কিটে একটি স্যাটেলাইট ডিশ, একটি ওয়াই-ফাই রাউটার, তার এবং পাওয়ার সাপ্লাই অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই কিট ইনস্টল করা খুব সহজ এবং পেশাদার সাহায্যের প্রয়োজন হয় না।
স্টারলিঙ্ক বনাম প্রথাগত স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা
স্টারলিঙ্ক, যা স্পেসএক্স তৈরি করেছে, প্রথাগত স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবার তুলনায় ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে একটি বড় উন্নতি। এখানে তাদের মধ্যে সহজ ভাষায় তুলনা দেওয়া হলো:
- গতি (Speed):
স্টারলিঙ্ক অনেক বেশি গতি সরবরাহ করে, যেখানে প্রথাগত স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা তুলনামূলকভাবে ধীর। এটি ভিডিও দেখা বা গেম খেলার জন্য ভালো। - ডিলের সময় (Latency):
স্টারলিঙ্কের ডিলের সময় (অর্থাৎ কমান্ড পাঠানোর পর সাড়া পাওয়ার সময়) অনেক কম। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহার আরও মসৃণ হয়। প্রথাগত পরিষেবায় এটি অনেক বেশি। - উপগ্রহের অবস্থান (Satellite Position):
স্টারলিঙ্কে পৃথিবীর কাছাকাছি (Low Earth Orbit) স্যাটেলাইট থাকে, কিন্তু প্রথাগত পরিষেবার স্যাটেলাইট অনেক দূরে থাকে। ফলে স্টারলিঙ্ক বেশি কার্যকর। - ব্যবহারযোগ্যতা (Usability):
স্টারলিঙ্ক যেখানে মোবাইল টাওয়ার নেই এমন জায়গাতেও কাজ করে। প্রথাগত স্যাটেলাইট ইন্টারনেট বেশিরভাগ সময় সীমিত এলাকায় কাজ করে। - মূল্য (Cost):
স্টারলিঙ্ক একটু বেশি দামি হতে পারে, কিন্তু এর পরিষেবা উন্নত। প্রথাগত পরিষেবা তুলনামূলক সস্তা।
স্টারলিঙ্ক ভবিষ্যতের প্রযুক্তি হিসেবে অনেক উন্নত এবং দ্রুত পরিষেবা দেয়, যা ছাত্রদের পড়াশোনা বা পরিবারের বিনোদনের জন্য খুবই উপকারী।
বৈশিষ্ট্য | স্টারলিংক | ঐতিহ্যবাহী স্যাটেলাইট ইন্টারনেট |
কক্ষপথের ধরন | নিম্ন আর্থ অরবিট (LEO) প্রায় 550 কিমি | জিওস্টেশনারি অরবিট (জিও) প্রায় 36,000 কিমি |
লেটেন্সি | 20-40 মিলিসেকেন্ড | 600+ মিলিসেকেন্ড |
ডাউনলোডের গতি | সাধারণত 25 Mbps এবং 220 Mbps এর মধ্যে; 1 Gbps পর্যন্ত পরিকল্পিত | সাধারণত 150 Mbps পর্যন্ত (যেমন, Viasat) |
ডেটা ক্যাপস | বর্তমানে কোন ডেটা ক্যাপ নেই | প্রায়ই কঠোর তথ্য ক্যাপ আছে |
সেটআপ প্রক্রিয়া | ব্যবহারকারী-বান্ধব সরঞ্জাম সহ DIY ইনস্টলেশন | সাধারণত পেশাদার ইনস্টলেশন প্রয়োজন |
কভারেজ | বিশ্বব্যাপী কভারেজ, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে | স্থল পরিকাঠামো সহ এলাকায় সীমাবদ্ধ |
আবহাওয়ার প্রভাব | চরম আবহাওয়ায় কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে | ভারী বৃষ্টি/বরফের সাথে একই সমস্যা |
প্রাপ্যতা | 100 টিরও বেশি দেশে উপলব্ধ | ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়; প্রায়শই শহুরে এলাকায় সীমাবদ্ধ |
স্টারলিঙ্কের সুবিধা
কম দেরি (Latency): স্টারলিঙ্কের LEO (Low Earth Orbit) স্যাটেলাইটগুলো কম সময় নেয়, তাই ভিডিও কল বা অনলাইন গেমিংয়ের মতো কাজ সহজে করা যায়।
বেশি গতি: স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট স্পিড ২২০ Mbps পর্যন্ত হতে পারে, যেখানে অন্য স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সাধারণত ১৫০ Mbps-এ সীমাবদ্ধ।
অসীম ডেটা: স্টারলিঙ্কের বেশিরভাগ প্ল্যানে ডেটার কোনো সীমা নেই, যা পরিবারে একাধিক ব্যবহারকারী এবং ডিভাইসের জন্য উপযোগী।
সর্বত্র উপলব্ধ: স্টারলিঙ্ক সেইসব দূরবর্তী এলাকায় ইন্টারনেট সরবরাহ করে, যেখানে সাধারণ ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছায় না।
সহজ সেটআপ: স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট সংযোগ নিজেই সহজে লাগানো যায়, কোনো বিশেষজ্ঞের সাহায্যের প্রয়োজন নেই।
এলন মাস্ক ভারতে স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড স্টারলিংক আনতে চলেছেন: কী আশা করা যায়?
২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দুটি টেস্ট স্যাটেলাইটের সঙ্গে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এবার এলন মাস্ক ভারতে স্টারলিংক চালু করতে চলেছেন, যা প্রত্যন্ত এবং গ্রামীণ এলাকায় উচ্চ গতির ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে সাহায্য করবে।
ভারত দুটি ভাগে বিভক্ত – শহর এবং গ্রাম। শহরের মানুষ বেশিরভাগই ইন্টারনেট পরিষেবার সঙ্গে সংযুক্ত, কিন্তু গ্রামের অনেক জায়গায় এখনও ভালো এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট নেই।
স্টারলিংকের বড় সুবিধা কী?
নতুন রিপোর্ট বলছে, স্টারলিংকের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর ব্যাপক কভারেজ।
ভারতের বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে বাস করেন, যেখানে ইন্টারনেটের পরিকাঠামো নেই বা দুর্বল। সেখানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট প্রযুক্তি সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবস্থা যেখানে কাজ করে না, সেখানেও দ্রুত ইন্টারনেট সরবরাহ করতে পারবে।
ভারতের ইন্টারনেট ব্যবস্থায় স্টারলিংকের প্রভাব:
স্টারলিংক ভারতের ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে এইভাবে সাহায্য করতে পারে:
- প্রত্যন্ত গ্রামে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছানো।
- পড়াশোনা এবং কাজের জন্য মানুষ সহজে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে।
- গ্রামীণ এলাকায় নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
স্টারলিংকের মাধ্যমে এলন মাস্ক ভারতের মানুষকে ডিজিটাল যুগে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ভারতের গ্রামীণ এলাকায় স্টারলিঙ্কের সম্ভাব্য সুবিধা
স্টারলিঙ্ক ভারতের গ্রামীণ এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগের অনেক পুরনো সমস্যার সমাধান করতে পারে। এর ফলে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। নিচে সহজ ভাষায় উল্লেখ করা হলো:
- ডিজিটাল বিভেদ দূর করা
স্টারলিঙ্ক গ্রামাঞ্চলে ভালো ইন্টারনেট সরবরাহ করবে, যা শহরের মতো সুবিধা দেবে। এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষ তথ্য, শিক্ষা এবং সরকারি পরিষেবার সুবিধা নিতে পারবে। - আর্থিক সুযোগ বাড়ানো
ইন্টারনেট ভালো হলে ছোট ব্যবসা গ্রামে বসেও অনলাইনে কাজ করতে পারবে। নতুন বাজার খুঁজে পাওয়া, পণ্য বিক্রি, এবং গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ আরও সহজ হবে। - শিক্ষার উন্নতি
গ্রামের স্কুল এবং ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইন শিক্ষা পাওয়ার সুযোগ দেবে স্টারলিঙ্ক। তারা পড়াশোনা করতে পারবে ভিডিও, অনলাইন ক্লাস এবং অন্যান্য শিক্ষামূলক রিসোর্স থেকে। - প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাহায্য
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সাধারণ ইন্টারনেট নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কাজ করে, তাই বিপর্যয়ের সময়েও ইন্টারনেট সংযোগ বজায় থাকবে। - সহজে ব্যবহার করা যায়
স্টারলিঙ্কের ছোট ডিশ সহজেই বসানো যায়। গ্রামে যারা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ নন, তারাও এটি নিজেরাই সেট করতে পারবেন। - উচ্চ গতির ইন্টারনেট
স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেটের গতি ২৫ এমবিপিএস থেকে ২২০ এমবিপিএস পর্যন্ত হতে পারে। গ্রামাঞ্চলে যেখানে ইন্টারনেট খুব ধীর, সেখানে এটি বড় সুবিধা দেবে। - ডাটা ক্যাপ নেই
স্টারলিঙ্কের প্ল্যানে সাধারণত ডাটা সীমা থাকে না। পরিবারের সকলে ইচ্ছামতো ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে, কোনো চিন্তা ছাড়াই।
স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে গ্রামীণ ভারতের মানুষ আরও উন্নত জীবনযাপন করতে পারবে।
উপসংহার
প্রত্যেক মুদ্রার দুই দিক থাকে: হেড এবং টেল। একইভাবে, স্টারলিংক, যা স্পেসএক্স-এর স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা, মহাকাশ বিজ্ঞানীদের জন্য কিছু সমস্যা তৈরি করেছে।
স্টারলিংকের দ্বিতীয় প্রজন্মের স্যাটেলাইটগুলি আগের মডেলের তুলনায় ৩২ গুণ বেশি শক্তিশালী রেডিও তরঙ্গ নির্গত করে। এর ফলে বিজ্ঞানীদের পক্ষে দূরের নক্ষত্র ও গ্যালাক্সির ক্ষীণ সংকেত ধরা কঠিন হয়ে পড়ে।
এই নির্গত আলো এতটাই উজ্জ্বল যে এটি রাতের আকাশে দেখা সবচেয়ে ক্ষীণ নক্ষত্রের থেকে ১ কোটি গুণ উজ্জ্বল। এটি প্রায় পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল বলে মনে হয়।
এছাড়াও, স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলি নিচু উচ্চতায় (৬০০ কিমি-র নিচে) পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে, তাই এগুলি সহজেই দৃশ্যমান। এর ফলে আকাশে আলো দূষণ বাড়ে। এই দৃশ্যমানতা গভীর মহাকাশের বস্তু যেমন গ্যালাক্সি ও এক্সোপ্ল্যানেটগুলি অধ্যয়নের জন্য প্রয়োজনীয় দীর্ঘ-সময়ের ছবি তোলার কাজে বাধা দেয়।
স্পেসএক্স প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৪০টি নতুন স্যাটেলাইট লঞ্চ করে, যার কারণে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা চিন্তিত, কারণ এত স্যাটেলাইটের সংখ্যা রাতের আকাশকে ভিড় করে তুলবে এবং টেলিস্কোপ দিয়ে আকাশের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
স্যাটেলাইটের এই দ্রুত বৃদ্ধি পৃথিবীর জ্যোতির্বিজ্ঞানকে সমস্যায় ফেলতে পারে, যার ফলে মানুষ-নির্মিত বস্তুগুলোই আকাশের দৃশ্য শাসন করবে।
এই সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য, অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী স্যাটেলাইট থেকে নির্গত আলো নিয়ন্ত্রণে কঠোর নিয়মের কথা বলছেন, যাতে বৈজ্ঞানিক গবেষণা রক্ষা করা যায়।
স্পেসএক্স তাদের স্যাটেলাইটগুলোতে গা dark ় কোটিং ব্যবহার এবং অপারেশনাল পরিবর্তনসহ নানা সমাধান চেষ্টা করেছে, তবে পুরোপুরি সমস্যা সমাধান হয়নি।
তাছাড়া, স্টারলিঙ্ক সেবা উচ্চ গতির ইন্টারনেট অফার করলেও, এর প্রথম সেটআপ খরচ প্রচলিত সেবার চেয়ে বেশি, কারণ ব্যবহারকারীদের স্যাটেলাইট ডিশ এবং রাউটার কিনতে হয়। এই সেবা ভয়াবহ আবহাওয়ার প্রভাবেও সমস্যায় পড়তে পারে, যা অন্যান্য স্যাটেলাইট সেবার মতো।
সবশেষে, এত স্যাটেলাইটের কারণে আকাশ পর্যবেক্ষণ এবং মহাকাশে ময়লা ব্যবস্থাপনায়ও সমস্যা তৈরি হতে পারে।