সরলা দেবী চৌধুরানী আত্মজীবনী গ্রন্থের নাম কি?
সরলা দেবী চৌধুরানীর আত্মজীবনী গ্রন্থের নাম “আমার জীবন”।
সরলা দেবী চৌধুরানী জীবনের ঝরাপাতা
জীবনের ঝরাপাতা : স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রত্যক্ষ সৈনিক সরলাদেবী চৌধুরানির আত্মজীবনী ‘জীবনের ঝরাপাতা’ ১৯৪৪-৪৫ খ্রিস্টাব্দে ‘দেশ’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে এদেশে ব্রিটিশদের অর্থনৈতিক শোষণ, নীলচাষি ও চা বাগানের কুলি, খেটেখাওয়া মানুষের উপর ব্রিটিশদের অত্যাচার, সশস্ত্র বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড প্রভৃতি নানা বিষয়ের উল্লেখ আছে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ঠাকুরবাড়ির সংস্কৃতি চর্চা, শিশু সদস্যদের একসঙ্গে বেড়ে ওঠা, ঈশ্বরভাবনা-সহ বিভিন্ন সামাজিক বিধান সম্পর্কে নানা নির্দেশনায় কীভাবে ঠাকুরবাড়ির শিশুরা অভ্যস্ত হয়ে উঠত, সেইসব তথ্যেও এই আত্মজীবনী সমৃদ্ধ।
ওইসব তথ্য সামাজিক ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সমসাময়িক দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব স্বামী বিবেকানন্দ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্যে যোগসূত্র ছিলেন সরলাদেবী। ফলে বঙ্গসমাজের দুই পুরোধা পুরুষ পরস্পরকে কী চোখে দেখতেন, তাঁদের পারস্পরিক মূল্যায়ন কী ছিল, সে-সংক্রান্ত নানা ইঙ্গিতও এই গ্রন্থে রয়েছে। এগুলির ভিত্তিতে সমকালীন বাঙালিসমাজে বহমান দুটি বিশিষ্ট ধারার বিষয়ে ইতিহাস গবেষকরা নানা উপাদান পেতে পারেন।
সরলাদেবী সহিংস বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনকে সমর্থন। করতেন এবং তিনি নিজেও এধরনের সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মহারাষ্ট্রের শিবাজি উৎসবের অনুকরণে সরলা কলকাতায় ‘প্রতাপাদিত্য উৎসব’ শরু করেন। তিনি লক্ষ্মীর ভাঙার গঠন করেন এবং ‘ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল‘ (১৯১১ খ্রি.) প্রতিষ্ঠা করেন। এসব ঘটনার কথাও ‘জীবনের ঝরাপাতা থেকে জানা যায়।
সরলাদেবী চৌধুরানির আত্মজীবনী
সরলাদেবী চৌধুরানির
জীবনের ঝরাপাতা’ ১৯৪৪-৪৫ খ্রিস্টাব্দে ‘দেশ’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
জীবনের ঝরাপাতা’ ১৯৪৪-৪৫ খ্রিস্টাব্দে ‘দেশ’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
ঠাকুরবাড়ির সংস্কৃতি চর্চা, শিশু সদস্যদের একসঙ্গে বেড়ে ওঠা, ঈশ্বরভাবনা-সহ বিভিন্ন সামাজিক বিধান সম্পর্কে নানা নির্দেশনায় কীভাবে ঠাকুরবাড়ির শিশুরা অভ্যস্ত হয়ে উঠত, সেইসব তথ্যেও এই আত্মজীবনী সমৃদ্ধ। জীবনের ঝরাপাতা থেকে ঠাকুরবাড়ির ছবি পাওয়া যায়
সরলা দেবী চৌধুরানী আত্মজীবনী গ্রন্থের নাম কি
সরলা দেবী চৌধুরানীর আত্মজীবনী গ্রন্থের নাম “আমার জীবন“।
জীবনের ঝরাপাতা গ্রন্থটি কার লেখা
জীবনের ঝরাপাতা গ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী রচিত একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। আশাপূর্ণা দেবী বাংলা সাহিত্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখিকা, যিনি বিশেষ করে নারীর জীবন ও সমাজে তাদের অবস্থান নিয়ে লেখালেখি করেছেন।