অসুখী একজন’ স্টাডি গাইড পিডিএফ ডাউনলোড করুন
পাবলো নেরুদার বিখ্যাত কবিতা ‘অসুখী একজন’–এর উপর ভিত্তি করে ২৫টি MCQ, ২৩টি সংক্ষিপ্ত উত্তর, ১০টি ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্ন-উত্তর ও ১০টি দীর্ঘ প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ সহ আপনার একক স্টাডি গাইড এখন PDF ফরম্যাটে ডাউনলোড করতে পারেন। এই পিডিএফটি সম্পূর্ণ অরিজিনাল, পরীক্ষামূলক প্রস্তুতির জন্য উপযোগী এবং পরীক্ষার প্রশ্ন–উত্তরে আত্মবিশ্বাস যোগাবে।
⚡ মক টেস্ট – প্রস্তুতি শক্তিশালী করার জন্য
পিডিএফের বিষয়বস্তু থেকে তৈরি মক টেস্ট–এ অংশ নিয়ে আপনার প্রস্তুতি যাচাই করুন:
অসুখী একজন
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ) ও উত্তর
- “তারপর যুদ্ধ এল…” — যুদ্ধ কীভাবে এসেছে?
A. পাহাড়ি সৈন্যবাহিনীর আক্রমণে
B. রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো
C. বৃষ্টির মতো পরিষ্কার হয়ে এসে
D. হঠাৎ করে অশনি সংকেতের মতো
উত্তর: B. রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো
- কবি কোথায় চলে যায়?
A. গির্জায়
B. বন্দরে
C. দূর সমুদ্রে
D. কেউ জানে না
উত্তর: A. গির্জায়
- কুকুরটি কোথায় গিয়েছিল?
A. বাড়িতে
B. গির্জায়
C. মাঠে
D. বাজারে
উত্তর: B. গির্জায়
- বৃষ্টি কী ধুয়ে ফেলে?
A. রাস্তা
B. কবির স্মৃতি
C. থালা-ফোঁটা
D. কবির পায়ের দাগ
উত্তর: D. কবির পায়ের দাগ
- ‘পাথরের মতো বছরগুলো’ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
A. সময়ের কঠিনতা
B. অনবরত বৃষ্টি
C. মানুষের অবস্থা
D. স্মৃতির গাম্ভীর্যতা
উত্তর: A. সময়ের কঠিনতা
- কোন কিশোরী বেঁচে থাকে?
A. কবির প্রিয়তমা
B. কবি নিজে
C. সেই মেয়েটি
D. কুকুরটি
উত্তর: C. সেই মেয়েটি
- যুদ্ধের বিরুদ্ধে কোন অলংকার ব্যবহৃত হয়েছে?
A. রক্তের সাগর
B. আগ্নেয়পাহাড়
C. স্টিলের বাধা
D. কাঁচের বাড়ি
উত্তর: B. আগ্নেয়পাহাড়
- কবির অপেক্ষার প্রতীক কী?
A. কুকুর
B. বারান্দা
C. গোলাপি গাছ
D. জলতরঙ্গ
উত্তর: A. কুকুর
- ‘সমস্ত সমতলে ধরে গেল আগুন’ — এখানে কোন ভাব প্রকাশ পেয়েছে?
A. পুনর্জন্ম
B. ধ্বংস
C. শান্তি
D. প্রেম
উত্তর: B. ধ্বংস
- কবি প্রথমে কী ছেড়ে যায়?
A. বাড়ি
B. অপেক্ষা
C. কাগজ
D. অশনি সংকেত
উত্তর: B. অপেক্ষা
- ‘শান্ত হলুদ দেবতারা’ কী বোঝায়?
A. প্রাচীন স্মৃতির দেবদেবী
B. প্রকৃতির চরিত্র
C. যুদ্ধবিরতির পরের শান্তি
D. ছোট শিশুদের মুর্তি
উত্তর: A. প্রাচীন স্মৃতির দেবদেবী
- ‘টুকরো টুকরো’ শব্দবন্ধ দ্বারা কোন অলংকার?
A. উপমা
B. রূপক
C. পৌরাণিক বর্ণনা
D. বব্যঞ্জনা
উত্তর: B. রূপক
- ‘প্রাচীন জলতরঙ্গ’ কি নির্দেশ করে?
A. নদীর ঢেউ
B. স্মৃতির তরঙ্গ
C. যুদ্ধের অগ্নিবাষ্প
D. মেঘের রং
উত্তর: B. স্মৃতির তরঙ্গ
- কবি কে?
A. নাইজেরিয়া কবি
B. চিলি কবি
C. ব্রাজিলীয় কবি
D. আর্জেন্টিনীয় কবি
উত্তর: B. চিলি কবি
- কবির প্রকৃত নাম কী ছিল?
A. নেব্রেস্কো রায়েস
B. নেকতালি রিকার্দো রেয়েন্স বাসোয়ালতো
C. পাবলো পিকাসো
D. জাঁ নেরুদা
উত্তর: B. নেকতালি রিকার্দো রেয়েন্স বাসোয়ালতো
- কবি কোন ভাষায় লেখা?
A. স্প্যানিশ
B. ফরাসি
C. ইংরেজি
D. পর্তুগিজ
উত্তর: A. স্প্যানিশ
- যুদ্ধের ধ্বংস কোন অলংকারে ফুটে উঠেছে?
A. আগুণের ছোঁয়া
B. মৃত পাথরের মূর্তি
C. রক্তের কালো দাগ
D. গোলাপি গাছ
উত্তর: C. রক্তের কালো দাগ
- কবির কবিতা কোন গঠন অনুসরণ করে?
A. নির্দিষ্ট ছদ্মবাক্য
B. ছন্দ মুক্ত
C. প্রদত্ত পঙক্তি
D. দোহণ
উত্তর: B. ছন্দ মুক্ত
- কবির শেষ কিসের দিকে ইঙ্গিত?
A. ফিরে আসার আশা
B. কীর্তি
C. রাজনীতি
D. মৃত্যু
উত্তর: A. ফিরে আসার আশা
- ‘গোলাপি গাছ’ কোন ভাবকে প্রকাশ করে?
A. প্রেম
B. স্মৃতি
C. বিচ্ছেদ
D. যুদ্ধ
উত্তর: B. স্মৃতি
- ‘দোমড়ানো লোহা’ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
A. শিল্পকর্ম
B. অস্ত্রশস্ত্র
C. যুদ্ধের দুর্গতি
D. মন্দ্রনাদ
উত্তর: C. যুদ্ধের দুর্গতি
- কবির মেয়ে কার অপেক্ষায়?
A. বাবা
B. কুকুর
C. দেবতা
D. কবি নিজে
উত্তর: D. কবি নিজে
- যুদ্ধ কি শেষ হয়?
A. হ্যাঁ
B. না
C. আংশিকভাবে
D. অজানা
উত্তর: B. না
- কবি কিসের মাধ্যমে স্মৃতিকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন?
A. গানের দ্বারা
B. লেখার মাধ্যমে
C. আঁকার মাধ্যমে
D. ধ্যানের দ্বারা
উত্তর: B. লেখার মাধ্যমে
- কবিতার প্রধান অনুভূতি কী?
A. আনন্দ
B. শোক
C. প্রেম
D. অভিমান
উত্তর: B. শোক
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
- কবি ‘অসুখী একজন’ কবিতার রচয়িতা কে?
উত্তর: চিলির প্রখ্যাত কবি পাবলো নেরুদা। - কবির প্রকৃত নাম কী ছিল?
উত্তর: নেকতালি রিকার্দো রেয়েন্স বাসোয়ালতো। - কবি কবিতা কোন ভাষায় লিখেছেন?
উত্তর: স্প্যানিশ ভাষায়। - ‘অসুখী একজন’ কবিতায় যুদ্ধের মেটাফর কী?
উত্তর: রক্তের আগ্নেয়পাহাড়। - কবি প্রথমে কী ছেড়ে যান?
উত্তর: প্রেমে অপেক্ষা ছেড়ে চলে যান। - ‘কুকুর’ কী প্রতিনিধিত্ব করে?
উত্তর: বিশ্বস্ততা ও স্মৃতি। - বৃষ্টি কী ধুয়ে ফেলে?
উত্তর: কবির পায়ের দাগ। - ‘পাথরের মতো বছরগুলো’ কোন ভাব প্রকাশ করে?
উত্তর: সময়ের কঠোরতা। - কবি বাড়ির স্মৃতি কীভাবে বর্ণনা করেছেন?
উত্তর: মিষ্টি বাড়ি, বারান্দা, গোলাপি গাছ ইত্যাদি দিয়ে। - যুদ্ধের পর দেবতাদের কী হয়?
উত্তর: তারা মন্দির থেকে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। - ‘জলতরঙ্গ’ কী বোঝায়?
উত্তর: স্মৃতি ও অতীতের ঢেউ। - শহর কী হয়ে যায়?
উত্তর: ধ্বংসস্তূপে পরিণত। - ‘দোমড়ানো লোহা’ কি নির্দেশ করে?
উত্তর: যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ। - কবি কোন পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তর: 1971 সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার। - কবি কখন মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: 1973 সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে হৃদরোগে। - কবির জন্মসাল কত?
উত্তর: 1904 সালে। - কবি কোন দেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন?
উত্তর: মিয়ানমারে (রেঙ্গুনে)। - কবি ‘অসুখী একজন’ কবিতায় মূল থিম কী?
উত্তর: বিচ্ছেদ ও ধ্বংসের শোক। - ‘কালো দাগ’ কী বোঝায়?
উত্তর: রক্তের চিহ্ন ও ধ্বংসের প্রমাণ। - ‘শান্ত হলুদ দেবতা’ কে?
উত্তর: হাজার বছর ধ্যানরত দেবতাদের প্রতীক। - কবি কী নিয়ে লিখেছেন?
উত্তর: প্রেম, ইতিহাস, রাজনীতি ও ঐতিহাসিক মহাকাব্য। - কবিতা কোন ছন্দ অনুসরণ করে?
উত্তর: ছন্দমুক্ত কবিতা। - কবির শেষে কোন অনুভূতি থাকে?
উত্তর: অনির্দিষ্ট অপেক্ষা ও শোক।
ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তর (প্রায় 60 শব্দ)
- “তারপর যুদ্ধ এল” — ‘তারপর’ কথার দ্বারা কোন সময় বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: “তারপর” শব্দটি সেই সময়কাল নির্দেশ করে, যখন প্রত্যাশিত শান্তি ও স্বাভাবিক জীবন অতীত হয়ে যায় এবং হঠাৎ করে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অগ্নিধোয়া ছড়িয়ে পড়ে। কবি অনুভব করেন, কালের ধারাবাহিকতায় এক নিমিষেই নিরাপত্তা মিলিয়ে যায় এবং যুদ্ধের অন্ধকার অগ্রাহ্য হয়ে আসে। - ‘রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়’ — এই উপমার লক্ষ্য কী?
উত্তর: রক্তের আগ্নেয়পাহাড় উপমায় যুদ্ধের ভয়াবহতা ও ব্যাপক ধ্বংসকে চিত্রিত করা হয়েছে। আগ্নেয়পাহাড় যেমন নিঃস্ব হয়ে আগুন ফেলে, তেমনি যুদ্ধ মানুষ ও বাড়িঘর ধ্বংস করে, রক্তঝরা ঘাতকতা ছড়িয়ে দেয়। - কুকুরের অনুপস্থিতি কী বার্তা দেয়?
উত্তর: কুকুরের গির্জায় চলে যাওয়া বিশ্বস্ততা ও স্বাভাবিক জীবনের বিপর্যয় নির্দেশ করে। বিশ্বস্ত সঙ্গীটিও চলে গেলে জীবন শুন্যতায় প্লাবিত হয়। - ‘পাথরের মতো বছরগুলো’ — এর মাধ্যমে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর: সময়ের কঠোরতা ও দীর্ঘ অস্থির অবস্থা বোঝাতে ‘পাথরের মতো বছরগুলো’ বলা হয়েছে। স্মৃতির ভার এবং অপেক্ষার দীর্ঘায়ু পাথরের কঠোরতায় তুলনা করে জীবনের স্থিরতা ও ক্লান্তি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। - ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কীভাব প্রকাশ পায়?
উত্তর: বৃষ্টি কবির অতীত স্মৃতি মুছে় ফেলার প্রতীক। যতবার বৃষ্টি পড়ে, কবির পদচিহ্নর মতো স্মৃতিও ধুয়ে যায়, যা জীবন ও স্মৃতির অস্থিতিশীলতা নির্দেশ করে। - ‘কালো দাগ’ এর অর্থ কী?
উত্তর: কালো দাগ রক্তের চিহ্ন; হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসের অবশিষ্ট। এটি স্মৃতিরই নায়ক— নিপীড়িত মানুষের আর্তনাদ ধরে রেখে বিপর্যয়ের প্রমাণ হয়ে থাকে। - ‘মন্দির থেকে উলটে পড়া দেবতা’ — এর মাধ্যমে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: প্রাচীন বিশ্বাস ও সংস্কৃতির উচ্ছেদ। শান্ত স্থানে থাকা দেবতারা হঠাৎ বহ্নিস্ফুলিঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়— সাংস্কৃতিক বিনাশ ও বিশ্বাসের ফাটল প্রকাশ পায়। - গোলাপি গাছ কী অনুধাবন করায়?
উত্তর: স্নিগ্ধ স্মৃতি ও হারানো প্রিয়তার প্রতীক। গোলাপি গাছ ছিল স্নিগ্ধ অতীতের অংশ, যা যুদ্ধের আগুনে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। - কবির মেয়ের অবস্থা কী?
উত্তর: কবির মেয়ে নিরবিচ্ছিন্ন অপেক্ষায়— স্বীয় প্রিয়তর ফিরে আসার আশায় দিনের পর দিন কেটে যায়। - যুদ্ধ ও স্মৃতির সম্পর্ক কীভাবে ফুটে উঠেছে?
উত্তর: স্মৃতির মিষ্টতা ও যুদ্ধের নিষ্ঠুরতা একই ছন্দে মিলিয়ে যায়; মৃত্যু-ধ্বংসের ধাক্কায় অতীতের আনন্দ ক্ষুণ্ণ হয়। স্মৃতি ও শোক একাকার হয়ে কবিতার মূল অনুভূতি তৈরি করে।
দীর্ঘ প্রশ্ন ANSWER
- “তারপর যুদ্ধ এল” — ‘তারপর’ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে এবং যুদ্ধের ধ্বংসাত্মক ফল কী ছিল?
উত্তর: এখানে ‘তারপর’ শব্দটি যুদ্ধের হঠাৎ উদ্রেককে নির্দেশ করে—ভালোবাসা ও শান্তির পর মুহূর্তেই ভয়ঙ্কর সংঘাত শুরু হয়। যুদ্ধ মানুষে মানুষে বিশ্বাসঘাতকতার বিপজ্জনক ছবি আঁকে; আগ্নেয়পাহাড়ের মতো রক্ত ঝরানো, নগরাণী ধ্বংস, স্মৃতিচিহ্ন হারিয়ে যাওয়া— সব মিলিয়ে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক প্রভাব বিস্তারের কথা বলে। - কবি কেন বাড়ি ও স্মৃতি ছেড়ে চলে যান?
উত্তর: মিলিত রাজনৈতিক ও সামাজিক বিপ্লব আহ্বানে কবি স্বেচ্ছায় ছেড়ে চলে যান; বাড়ি ও স্মৃতি পরিত্যাগ করে নতুন সংগ্রামের পথে অগ্রসর হন। প্রেম, শান্তি ও ব্যক্তিগত আবেগের ঊর্ধ্বে দায়িত্ববোধ তাকে নিয়ে যায় অচেনা পথে, যেখানে ব্যক্তিগত সুখ ঊর্ধ্বে থাকে মানবিক সংকটে লড়াই। - বৃষ্টির প্রতীকী অর্থ কী?
উত্তর: বৃষ্টি পরিচ্ছন্নতা ও স্মৃতিমুছার প্রতীক; অতীতের পদচিহ্ন মুছে দিয়ে নতুন অস্তিত্বের আহ্বান করে। আবার কবির স্মৃতি ধুয়ে স্বাভাবিক জীবনের অভিঘাতকে তুলে ধরে; অথচ প্রতিবারই পুরনো দাগ হারিয়ে যায় না—যে কোনো বিদ্রোহী ব্যক্তির সংগ্রামের দাগ। - ‘দোমড়ানো লোহা ও মৃত পাথরের মূর্তি’ দ্বারা যুদ্ধের কোন দিক ফুটে ওঠে?
উত্তর: আগ্নেয়পাহাড়ের আগুনে পীড়িত মাটি ও কাঠকয়লা রূপে দুলতে থাকা অস্ত্রশস্ত্র, পাথর ভেঙে তছনছ। এটি যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ ও স্মৃতির নিঃশেষণি—অস্তিত্ব বিনাশের নিষ্ঠুরতা। - কবি কীভাবে প্রত্যাশা ও বাস্তবতার দ্বন্দ্ব দেখিয়েছেন?
উত্তর: প্রত্যাশার নিস্তব্ধতা (প্রেমে অপেক্ষা) ও বাস্তবতার রক্তঝরা তান্ডবের দ্বন্দ্ব—কবি ব্যবহৃত কোনো নির্দিষ্ট ছন্দ না রেখে মুক্ত ছন্দে এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ করেন। শান্তি ও সংঘাতের নিরিবিলি বিরামহীনতা পাঠককে তীব্র অনুভূতিতে ভাসায়। - ‘শান্ত হলুদ দেবতা’ ব্যাখ্যা করুন।
উত্তর: ‘হলুদ দেবতা’ প্রতীকী, হাজার বছর ধরে ধ্যানমগ্ন সংস্কৃতি, যা হঠাৎই ধ্বংসের আগুনে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। প্রচলিত বিশ্বাসের তীব্র বিপর্যয় ও সাংস্কৃতিক বিনাশের চিত্র তুলে ধরে। - এই কবিতায় প্রত্যাখ্যান ও প্রত্যাবর্তনের থিম কিভাবে কাজ করে?
উত্তর: প্রত্যাখ্যান (বাড়ি, প্রেম ছেড়ে যাওয়া) ও প্রত্যাবর্তনের আশার দ্বৈততা—কবি ছেড়ে চলে গেলেও মেয়েটির অপেক্ষা অবিরাম। শেষ লাইনে প্রত্যাবর্তনের অনিশ্চয়তা ও আশার মিলন ঘটায় নান্দনিক দ্বন্দ্ব। - কবিতায় ব্যক্তিগত ও সামঞ্জস্যবিধির দিক কীভাবে মিশ্রিত হয়েছে?
উত্তর: কবির ব্যক্তিগত অনুভূতি (প্রেম, স্মৃতি) সামাঞ্জস্যহীন যুদ্ধের তান্ডবের সঙ্গে একীভূত—ব্যক্তিগত জীবনের নিঃশব্দ অপেক্ষা ও সামাজিক-রাজনৈতিক বিধ্বংসী সংঘাতের একক ঢেউ তৈরি হয়েছে। - কবির ভাষা ও অলংকারশৈলী বিশ্লেষণ করুন।
উত্তর: মুক্ত ছন্দে লেখা, রূপক (আগ্নেয়পাহাড়, পাথর), উপমা (বৃষ্টি ধোয়া) এবং বব্যঞ্জনা (কালো দাগ) মিলিয়ে কবিতার ভাষা ভারী ও সুনিপুণ। সরল বাক্যেন্দ্রিয় ঘনাভাবে অনুভূতি প্রকাশ করে। - কবিতার প্রধান संदेश কী?
উত্তর: প্রেমের নিষ্ঠুর অপেক্ষা ও যুদ্ধের নিষ্ঠুরতা—দুটি অনুভূতির মধ্যকার বিভাজনহীন বিস্ফোরণ। ব্যক্তিগত জীবনের সৌন্দর্য যুদ্ধে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হলেও, স্মৃতি ও আশা অবিচল থেকে যায়।
স্টুডেন্টদের জন্য নোট
পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি যুদ্ধবিধ্বস্ত সমাজে ব্যক্তিগত শোক ও স্মৃতির সেতুবন্ধন তুলে ধরে। মুক্ত ছন্দে লিপিবদ্ধ কবিতায় বাসনা, প্রত্যাশা, ধ্বংস ও শোকের বহুমাত্রিক অনুভূতি মিলেমিশে এক অনন্য অভিব্যক্তি তৈরি করে।
- প্রেক্ষাপট: নেরুদা ছিলেন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগ্রামের কবি; ১৯৭১ সালে নোবেল লাভ, ১৯৭৩ সালে মৃত্যু।
- কীভাবে পড়বেন:
- প্রতিটি রূপক-উপমা (আগ্নেয়পাহাড়, পাথর) খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করুন।
- যুদ্ধ ও ব্যক্তিগত বিমর্ষতার দ্বৈততা গুরুত্বের সঙ্গে দেখুন।
- পঙক্তিনির্ভর ছন্দহীনতা লক্ষ্য করুন—কেন নেরুদা প্রচলিত ছন্দ এড়িয়েছেন।
- লেখার টিপস:
- উদাহরণসহ বিশ্লেষণ জমা দিন—‘বৃষ্টি ধোয়া’র প্রতীকী ব্যাখ্যা।
- নিজস্ব ভাষায় রূপক ও মেটাফর ব্যাখ্যা করুন।
- কবির জীবনী ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট সংক্ষেপে উল্লেখ করুন।
এই নোট অনুসরণ করলে কবিতার গভীরতা অনুধাবন ও বিশ্লেষণে সাফল্য আসবে, এবং পরীক্ষায় প্রাসঙ্গিক, সমৃদ্ধ উত্তর লেখা সহজ হবে।