5,327 Members Now! 🎉
🔥 Live Job Alerts!
Join Instant Updates →
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

মাধ্যমিক বাংলা কোনি প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Class 10 Koni Question Answer 2025

Aftab Rahaman
Updated: Apr 24, 2025

মোতি নন্দীর “কনি” শুধু একটি উপন্যাস নয়, এটি সংগ্রাম, প্রতিভা, এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তির এক জীবন্ত গল্প। পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বোর্ডের বাংলা সিলেবাসের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশটি শ্যামপুকুর বস্তির দরিদ্র মেয়ে কনির জীবনের মাধ্যমে শ্রেণিবৈষম্য, নারীর ক্ষমতায়ন, এবং সমাজের শোষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চিত্র তুলে ধরে।

মাধ্যমিক বাংলা কোনি প্রশ্ন উত্তর

কনি, একজন প্রতিভাবান সাঁতারু, দারিদ্র্য, ষড়যন্ত্র, এবং সামাজিক বাধা অতিক্রম করে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে প্রমাণ করে যে স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত করা সম্ভব। এই উপন্যাসের প্রতিটি অধ্যায় মাধ্যমিক ছাত্রদের জন্য শিক্ষণীয়, যা কেবল পরীক্ষায় ভালো নম্বরই নয়, জীবনের মূল্যবান শিক্ষাও দেয়।

আমাদের এই গাইডে আপনি পাবেন গভীর বিশ্লেষণ, প্রশ্নোত্তর, এবং পরীক্ষার প্রস্তুতির কৌশল, যা আপনাকে “কনি” উপন্যাস বুঝতে এবং মাধ্যমিক ২০২৫-এ সেরা ফলাফল অর্জনে সাহায্য করবে। এখনই পড়া শুরু করুন এবং কনির সংগ্রামী যাত্রায় অনুপ্রাণিত হন!

Digital বোর্ড: বিষয়বস্তু ✦ show

Madhyamik Class 10 Koni Quick Overview

কনি (KONI) – মোতি নন্দী বিষয় (Topic) তথ্য (Details) উপন্যাসের নাম কনি (Koni) লেখক মোতি নন্দী (Moti Nandi) প্রকাশ ১৯৭৭, আনন্দ পাবলিশার্স থিম সংগ্রাম, অভাব, ক্রীড়া, নারী, শ্রেণিবৈষম্য (Struggle, Poverty, Sports, Women, Class Discrimination) প্রধান চরিত্র কনি (সাঁতারু), ক্ষিতীশ সিংহ (প্রশিক্ষক), কেদার, শঙ্কর, হিয়া মিত্র Koni (Swimmer), Kshitish Singh (Coach), Kedar, Shankar, Hiya Mitra বিখ্যাত সংলাপ “ফাইট, কোনি, ফাইট!” (Fight, Koni, Fight!) সাফল্য কনি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার পদক জিতেছে কনি (KONI) A Bengali Literary Masterpiece The Novel লেখক (Author): মোতি নন্দী (Moti Nandi) প্রকাশ (Publication): ১৯৭৭, আনন্দ পাবলিশার্স থিম (Themes): সংগ্রাম (Struggle) অভাব (Poverty) ক্রীড়া (Sports) নারী ক্ষমতায়ন (Women’s Empowerment) শ্রেণিবৈষম্য (Class Discrimination) বিখ্যাত সংলাপ (Famous Dialogue): “ফাইট, কোনি, ফাইট!” The Film KONI (1986) Directed by: Saroj Dey Starring: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee) শ্রীপর্ণা ব্যানার্জী (Sriparna Banerjee) 1st Watch Koni Film on YouTube

মোতি নন্দীর “কনি”: মাধ্যমিক ছাত্রদের জন্য একটি অসাধারণ শিক্ষাগ্রহণের গল্প

মোতি নন্দীর “কনি” শুধু একটি উপন্যাস নয়, এটি সংগ্রাম, প্রতিভা, এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তির এক জীবন্ত গল্প। পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বোর্ডের বাংলা সিলেবাসের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশটি শ্যামপুকুর বস্তির দরিদ্র মেয়ে কনির জীবনের মাধ্যমে শ্রেণিবৈষম্য, নারীর ক্ষমতায়ন, এবং সমাজের শোষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চিত্র তুলে ধরে। কনি, একজন প্রতিভাবান সাঁতারু, দারিদ্র্য, ষড়যন্ত্র, এবং সামাজিক বাধা অতিক্রম করে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে প্রমাণ করে যে স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত করা সম্ভব। এই উপন্যাসের প্রতিটি অধ্যায় মাধ্যমিক ছাত্রদের জন্য শিক্ষণীয়, যা কেবল পরীক্ষায় ভালো নম্বরই নয়, জীবনের মূল্যবান শিক্ষাও দেয়। আমাদের এই গাইডে আপনি পাবেন গভীর বিশ্লেষণ, প্রশ্নোত্তর, এবং পরীক্ষার প্রস্তুতির কৌশল, যা আপনাকে “কনি” উপন্যাস বুঝতে এবং মাধ্যমিক ২০২৫-এ সেরা ফলাফল অর্জনে সাহায্য করবে। এখনই পড়া শুরু করুন এবং কনির সংগ্রামী যাত্রায় অনুপ্রাণিত হন!

মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য “কনি” উপন্যাসের ১৫টি বড় প্রশ্নোত্তর

১. ‘ফাইট কোনি ফাইট’ – গল্পে বারংবার এই কথাটি ব্যবহার করা হয়েছে কেন?

‘ফাইট কোনি ফাইট’ মোতি নন্দীর “কনি” উপন্যাসের মূলমন্ত্র। এই কথাটি কনির জীবনসংগ্রামের প্রতীক। শ্যামপুকুর বস্তির দরিদ্র মেয়ে কনি জন্ম থেকেই দারিদ্র্য, শোষণ ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে। সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সে তার প্রতিভা প্রমাণ করতে চায়, কিন্তু ক্লাবের ষড়যন্ত্র, প্রতিবন্ধকতা ও অপমান তাকে বাধা দেয়। এই কথাটি তার মানসিক শক্তি ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির প্রতিফলন। ক্ষিতীশের প্রেরণায় কনি প্রতিটি পরাজয়কে জয়ে রূপান্তরিত করে। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে সে প্রমাণ করে যে লড়াইয়ের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন সম্ভব। এই কথাটি পাঠকদের মনে উৎসাহ জাগায় এবং কনির জীবনযুদ্ধের প্রতিটি ধাপে তার সংগ্রামী মনোভাবকে তুলে ধরে।

২. কোনির লড়াইয়ের মানসিকতার পরিচয় দাও।

কনির লড়াইয়ের মানসিকতা অদম্য এবং প্রতিকূলতার মুখেও অটুট। শ্যামপুকুর বস্তির দরিদ্র পরিবেশে জন্ম নেওয়া কনি দারিদ্র্য, অভাব ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে শৈশব থেকেই লড়াই করে। তার মানসিক শক্তি প্রকাশ পায় সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রতিভা প্রমাণের প্রচেষ্টায়। হিয়া মিত্রের কাছে হার, জুপিটার ক্লাবের প্রত্যাখ্যান ও ষড়যন্ত্র তাকে দমাতে পারেনি। ক্ষিতীশের প্রশিক্ষণে সে প্রতিটি বাধাকে অতিক্রম করে। স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপে ডিসকোয়ালিফিকেশন ও মাদ্রাজে অপমান সত্ত্বেও সে হাল ছাড়েনি। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে কনি তার অদম্য মনোবল প্রমাণ করে। তার মানসিকতা শুধু ব্যক্তিগত সাফল্যের জন্য নয়, সমাজের শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক।

৩. কোনিকে সাধারণ মেয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন হতে গিয়ে কী ধরনের লড়াই করতে হয়েছিল?

কনি, একজন সাধারণ বস্তির মেয়ে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে বহুবিধ লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়। দারিদ্র্য তার প্রথম শত্রু ছিল; পিতার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরে সে অভাবের সঙ্গে লড়ে। সাঁতারে তার প্রতিভা প্রকাশ পায়, কিন্তু সামাজিক বৈষম্য ও ক্লাবের ষড়যন্ত্র তাকে বাধা দেয়। জুপিটার ক্লাবে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও স্থানাভাবের অজুহাতে প্রত্যাখ্যাত হয়। স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপে ডিসকোয়ালিফিকেশন ও মাদ্রাজে অপমান তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবু ক্ষিতীশের প্রশিক্ষণ ও নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে সে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে। এই লড়াই শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধেও ছিল।

৪. ক্ষিতীশের চরিত্রে কীভাবে কনির সাফল্যে অবদান রেখেছে?

ক্ষিতীশ কনির জীবনে একজন গুরু ও পথপ্রদর্শক। তার প্রশিক্ষণ ও প্রেরণা কনিকে সাধারণ সাঁতারু থেকে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছে। কনির প্রতিভা চিনতে পেরে ক্ষিতীশ তাকে সাঁতারের কৌশল শেখান এবং জুপিটার ক্লাবে ভর্তির সুযোগ করে দেন। ক্লাবের ষড়যন্ত্রে কনি প্রত্যাখ্যাত হলে ক্ষিতীশ তার পাশে থেকে মানসিক শক্তি জোগান। স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপে কনির ডিসকোয়ালিফিকেশনের সময়ও ক্ষিতীশ তাকে হতাশ হতে দেয় না। মাদ্রাজে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে কনির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্ষিতীশ অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তার বিশ্বাস ও কঠোর প্রশিক্ষণ কনিকে সোনা জিততে সাহায্য করে। ক্ষিতীশের অবদান শুধু প্রশিক্ষণে নয়, কনির আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও ছিল।

৫. কনি উপন্যাসে শ্রেণিবৈষম্য কীভাবে ফুটে উঠেছে?

“কনি” উপন্যাসে শ্রেণিবৈষম্য একটি কেন্দ্রীয় থিম। শ্যামপুকুর বস্তির দরিদ্র কনির জীবন ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যের প্রতিচ্ছবি। সাঁতারে তার প্রতিভা থাকলেও সমাজের উচ্চশ্রেণি তাকে সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে। জুপিটার ক্লাবে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও সে স্থানাভাবের অজুহাতে প্রত্যাখ্যাত হয়, যা শ্রেণিগত পক্ষপাতের প্রমাণ। স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে ডিসকোয়ালিফাই করা হয়। মাদ্রাজে তাকে চোর বলে অপমান করা হয়, যা তার নিম্ন শ্রেণির পরিচয়ের কারণে। এই বৈষম্যের মুখে কনি তার প্রতিভা ও লড়াইয়ের মাধ্যমে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে সমাজের শ্রেণিগত বাধা অতিক্রম করে।

৬. কনির চরিত্রে নারীর সংগ্রাম কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে?

কনির চরিত্র নারীর সংগ্রামের এক জ্বলন্ত প্রতীক। শ্যামপুকুর বস্তির দরিদ্র পরিবেশে জন্ম নেওয়া কনি দারিদ্র্য ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে লড়াই করে। সাঁতারে তার প্রতিভা তাকে পুরুষ-আধিপত্যের ক্রীড়াজগতে প্রবেশ করায়, কিন্তু সেখানেও সে বৈষম্যের শিকার হয়। জুপিটার ক্লাবের প্রত্যাখ্যান, স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপে ষড়যন্ত্র ও মাদ্রাজে অপমান তাকে মানসিকভাবে ভাঙার চেষ্টা করে। তবু কনি হাল ছাড়ে না। ক্ষিতীশের প্রশিক্ষণে সে নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী করে। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে সে প্রমাণ করে যে নারীও সাফল্য অর্জন করতে পারে। কনির সংগ্রাম শুধু ব্যক্তিগত নয়, সমাজের নারীবিদ্বেষী মানসিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।

৭. জুপিটার ক্লাবের ভূমিকা কনির জীবনে কী প্রভাব ফেলেছিল?

জুপিটার ক্লাব কনির জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু নেতিবাচক ভূমিকা পালন করে। কনির সাঁতারের প্রতিভা প্রকাশের জন্য ক্ষিতীশ তাকে এই ক্লাবে ভর্তির পরীক্ষায় অংশ নিতে উৎসাহিত করেন। কনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও স্থানাভাবের অজুহাতে তাকে ভর্তি করা হয় না, যা শ্রেণিগত পক্ষপাতের প্রমাণ। এই প্রত্যাখ্যান কনিকে মানসিকভাবে আঘাত করে, কিন্তু তার লড়াইয়ের মনোবল ভাঙতে পারে না। জুপিটার ক্লাবের প্রতিযোগিতায় কনির এন্ট্রি গ্রহণ না করা হলেও ক্ষিতীশের প্রচেষ্টায় সে অংশ নিয়ে নিজের প্রতিভা প্রমাণ করে। ক্লাবের এই বৈষম্য কনিকে আরও দৃঢ় করে এবং জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সাফল্যের পথে উৎসাহিত করে।

৮. কনি উপন্যাসে দারিদ্র্যের প্রভাব কীভাবে চিত্রিত হয়েছে?

“কনি” উপন্যাসে দারিদ্র্য কনির জীবনের প্রধান প্রতিবন্ধকতা। শ্যামপুকুর বস্তির দরিদ্র পরিবেশে জন্ম নেওয়া কনি শৈশব থেকেই অভাবের সঙ্গে লড়াই করে। পিতার মৃত্যুর পর তার দাদা সংসার চালালেও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয় না। দারিদ্র্যের কারণে কনি সাঁতারের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ ও প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হয়। জুপিটার ক্লাবে ভর্তির সুযোগ না পাওয়া এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য অর্থের অভাব তার সংগ্রামকে আরও কঠিন করে। তবু কনি তার প্রতিভা ও ক্ষিতীশের সাহায্যে এই দারিদ্র্যের বাধা অতিক্রম করে। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে সে প্রমাণ করে যে দারিদ্র্য প্রতিভাকে দমিয়ে রাখতে পারে না।

৯. কনির সাঁতার প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতা কীভাবে তার চরিত্র গঠনে সাহায্য করেছে?

কনির সাঁতার প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতা তার চরিত্রকে শক্তিশালী ও দৃঢ় করেছে। প্রথম প্রতিযোগিতায় হিয়া মিত্রের কাছে হার তাকে টেকনিকের গুরুত্ব বুঝিয়েছে। জুপিটার ক্লাবের প্রত্যাখ্যান ও ষড়যন্ত্র তাকে সামাজিক বৈষম্যের মুখে লড়তে শিখিয়েছে। স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপে ডিসকোয়ালিফিকেশন ও মাদ্রাজে অপমান তার ধৈর্য ও মানসিক শক্তি পরীক্ষা করে। ক্ষিতীশের প্রশিক্ষণে সে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে কনি তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি প্রমাণ করে। এই অভিজ্ঞতাগুলো কনিকে একজন সাধারণ মেয়ে থেকে আত্মবিশ্বাসী ও সংগ্রামী চ্যাম্পিয়নে রূপান্তরিত করে, যে সমাজের বাধা অতিক্রম করতে শিখেছে।

১০. কনি ও ক্ষিতীশের সম্পর্ক কীভাবে উপন্যাসের কাহিনীকে এগিয়ে নিয়েছে?

কনি ও ক্ষিতীশের সম্পর্ক উপন্যাসের কাহিনীকে গতিশীল করেছে। ক্ষিতীশ কনির প্রতিভা চিনতে পেরে তাকে সাঁতারের প্রশিক্ষণ দেন এবং জুপিটার ক্লাবে ভর্তির সুযোগ করে দেন। ক্লাবের প্রত্যাখ্যান ও ষড়যন্ত্রের মুখে ক্ষিতীশ কনির পাশে থেকে তার আত্মবিশ্বাস বাড়ান। স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপে কনির ডিসকোয়ালিফিকেশন ও মাদ্রাজে অপমানের সময় ক্ষিতীশ তাকে মানসিকভাবে সমর্থন দেন। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে কনির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্ষিতীশ অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তাদের সম্পর্ক শুধু গুরু-শিষ্যের নয়, পিতৃতুল্য স্নেহ ও বিশ্বাসের। এই সম্পর্ক কনিকে সাধারণ সাঁতারু থেকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছে এবং উপন্যাসের কাহিনীকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়েছে।

১১. কনি উপন্যাসে ষড়যন্ত্রের ভূমিকা কী ছিল?

“কনি” উপন্যাসে ষড়যন্ত্র কনির সাফল্যের পথে প্রধান বাধা হিসেবে কাজ করেছে। জুপিটার ক্লাবে কনি ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও স্থানাভাবের অজুহাতে প্রত্যাখ্যাত হয়, যা শ্রেণিগত ষড়যন্ত্রের প্রমাণ। ক্লাবের প্রতিযোগিতায় তার এন্ট্রি গ্রহণ না করা হয়। স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কনিকে দুবার ডিসকোয়ালিফাই করা হয় এবং একবার প্রথম হয়েও দ্বিতীয় ঘোষণা করা হয়। মাদ্রাজে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে তাকে অকারণে বসিয়ে দেওয়া হয় এবং চোরের অপবাদ দেওয়া হয়। এই ষড়যন্ত্রগুলো কনির মানসিক ও শারীরিক শক্তি পরীক্ষা করে। তবু কনি ও ক্ষিতীশের প্রচেষ্টায় সে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জয়ী হয়।

১২. কনির জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সাফল্যের তাৎপর্য কী?

কনির জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয়ের তাৎপর্য অপরিসীম। শ্যামপুকুর বস্তির দরিদ্র মেয়ে কনি দারিদ্র্য, শ্রেণিবৈষম্য ও ষড়যন্ত্রের মুখে অদম্য লড়াই করে। জুপিটার ক্লাবের প্রত্যাখ্যান, স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপে ডিসকোয়ালিফিকেশন ও মাদ্রাজে অপমান তাকে দমাতে পারেনি। ক্ষিতীশের প্রশিক্ষণ ও নিজের ইচ্ছাশক্তির জোরে সে মাদ্রাজে অমিয়ার বদলে জলে নেমে সোনা জিতে। এই সাফল্য শুধু ব্যক্তিগত নয়, সমাজের নিম্নশ্রেণির প্রতিনিধি হিসেবে তার বিজয়। এটি প্রমাণ করে যে প্রতিভা ও পরিশ্রম দিয়ে যে কোনো বাধা অতিক্রম করা সম্ভব। কনির এই জয় নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক।

১৩. কনি উপন্যাসে সমাজের শোষণমূলক মানসিকতা কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে?

“কনি” উপন্যাসে সমাজের শোষণমূলক মানসিকতা কনির জীবনের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। শ্যামপুকুর বস্তির দরিদ্র কনি তার প্রতিভা নিয়ে সাঁতারে সাফল্যের স্বপ্ন দেখে, কিন্তু সমাজের উচ্চশ্রেণি তাকে শোষণ করে। জুপিটার ক্লাবে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও সে শ্রেণিগত পক্ষপাতের শিকার হয়। স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে ডিসকোয়ালিফাই করা হয়। মাদ্রাজে তাকে চোরের অপবাদ দেওয়া হয়, যা তার নিম্ন শ্রেণির পরিচয়ের কারণে। এই শোষণ শুধু অর্থনৈতিক নয়, মানসিক ও সামাজিকও। তবু কনি তার প্রতিভা ও ক্ষিতীশের সাহায্যে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে শোষণের বিরুদ্ধে জয়ী হয়।

১৪. কনির চরিত্রে কীভাবে নারীর সংগ্রাম ফুটে উঠেছে?

কনির চরিত্র মোতি নন্দীর “কনি” উপন্যাসে নারীর সংগ্রামের এক অসাধারণ প্রতীক। শ্যামপুকুর বস্তির দরিদ্র পরিবেশে জন্ম নেওয়া কনি দারিদ্র্য, সামাজিক বৈষম্য ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে অবিরাম লড়াই করে। তার সাঁতারের প্রতিভা তাকে পুরুষ-আধিপত্যের ক্রীড়াজগতে প্রবেশ করায়, কিন্তু সেখানে সে অসংখ্য বাধার সম্মুখীন হয়। জুপিটার ক্লাবে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও শ্রেণিগত পক্ষপাতের কারণে প্রত্যাখ্যাত হয়। স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপে ষড়যন্ত্রে ডিসকোয়ালিফাই এবং মাদ্রাজে চোরের অপবাদ তার মানসিক শক্তি পরীক্ষা করে। তবু কনি ক্ষিতীশের প্রশিক্ষণ ও নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে হাল ছাড়ে না। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে সে প্রমাণ করে যে নারীও প্রতিকূলতা জয় করতে পারে। কনির সংগ্রাম শুধু ব্যক্তিগত নয়, সমাজের নারীবিদ্বেষী মানসিকতার বিরুদ্ধে এক সশক্ত প্রতিবাদ, যা নারীর ক্ষমতায়নের বার্তা বহন করে।

১৫. কেদারের চরিত্রের মাধ্যমে সমাজের কোন দিকটি প্রকাশ পায়?

কেদারের চরিত্র “কনি” উপন্যাসে সমাজের শোষণমূলক ও স্বার্থপর মানসিকতার প্রতিনিধিত্ব করে। একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে কেদার কনির সাঁতারের প্রতিভাকে নিজের সুবিধার জন্য ব্যবহার করার চেষ্টা করে। তার মাধ্যমে সমাজের উচ্চশ্রেণির শোষণের প্রবৃত্তি ফুটে ওঠে, যারা নিম্নশ্রেণির মানুষের প্রতিভা ও পরিশ্রমকে নিজেদের লাভের জন্য কাজে লাগায়। কেদার কনির প্রতিভার প্রশংসা করলেও তার উন্নতির জন্য কোনো সত্যিকারের সাহায্য করে না; বরং তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। তার এই আচরণ সমাজের শ্রেণিগত বৈষম্য ও শোষণের মানসিকতাকে প্রকাশ করে। কেদারের স্বার্থপরতা কনির সংগ্রামকে আরও জটিল করে তোলে, কিন্তু কনি তার প্রতিভা ও ক্ষিতীশের সাহায্যে এই শোষণের বিরুদ্ধে লড়ে। কেদারের চরিত্র সমাজের সেই অংশকে তুলে ধরে, যারা দরিদ্র ও অসহায়দের উপর আধিপত্য বিস্তার করে।

মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য “কনি” উপন্যাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

১. কনির পেশা কী ছিল?

কনি একজন সাঁতারু ছিল। শ্যামপুকুর বস্তির দরিদ্র মেয়ে হিসেবে সে তার সাঁতারের প্রতিভার মাধ্যমে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সাফল্য অর্জন করে।

২. কেদার কনির জীবনে কী ভূমিকা পালন করে?

কেদার কনির জীবনে একজন শোষকের ভূমিকা পালন করে। সে কনির সাঁতারের প্রতিভাকে নিজের সুবিধার জন্য ব্যবহার করার চেষ্টা করে এবং তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।

৩. শঙ্করের চরিত্রে কী ধরনের মানবিক গুণ দেখা যায়?

শঙ্করের চরিত্রে সহানুভূতি, স্নেহ এবং নিঃস্বার্থ সমর্থনের মানবিক গুণ প্রকাশ পায়। সে কনির প্রতি ভালোবাসা ও সমর্থন দেখায়, তার সংগ্রামে পাশে থাকে।

৪. কনি কোন ক্লাবে ভর্তির চেষ্টা করেছিল?

কনি জুপিটার সুইমিং ক্লাবে ভর্তির চেষ্টা করেছিল, কিন্তু শ্রেণিগত পক্ষপাতের কারণে স্থানাভাবের অজুহাতে তাকে ভর্তি করা হয়নি।

৫. কনির জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে কী সাফল্য ছিল?

কনি মাদ্রাজে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অমিয়ার বদলে জলে নেমে সোনার পদক জিতে, তার প্রতিভা ও অদম্য ইচ্ছাশক্তি প্রমাণ করে।

MCQ প্রশ্ন

  1. কনির প্রধান প্রতিভা কী ছিল?
    ক) নাচ
    খ) সাঁতার
    গ) গান
    ঘ) অভিনয়
    উত্তর: খ) সাঁতার
  2. কে কনির প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল?
    ক) কেদার
    খ) মোহর
    গ) শঙ্কর
    ঘ) কেউ নয়
    উত্তর: গ) শঙ্কর

মাধ্যমিক ২০২৫: “কনি” উপন্যাসের সেরা প্রস্তুতি গাইড!

ভূমিকা

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের “কনি” বাংলা সাহিত্যের একটি অমর সৃষ্টি, যা পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিক সিলেবাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই উপন্যাসটি একজন দরিদ্র, সংগ্রামী নারী কনির জীবনের মাধ্যমে সমাজের শ্রেণিবৈষম্য, দারিদ্র্য, এবং নারীর স্বাধীনতার প্রশ্ন তুলে ধরে। এই আর্টিকেলে আমরা “কনি” উপন্যাসের বিভিন্ন দিক, চরিত্র, থিম, এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির কৌশল নিয়ে আলোচনা করবো।

উপন্যাসের পটভূমি

“কনি” উপন্যাসটি বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের কলকাতার সামাজিক ও অর্থনৈতিক পটভূমিতে রচিত। এই সময়ে কলকাতা ছিল একটি দ্রুত বর্ধনশীল মহানগর, যেখানে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে বিশাল বৈষম্য ছিল। উপন্যাসটি শহরের নিম্নবিত্ত মানুষের জীবন, তাদের সংগ্রাম, এবং সমাজের শোষণের চিত্র তুলে ধরে। কনি, একজন সাঁতারু, তার প্রতিভা এবং সংগ্রামের মাধ্যমে এই শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

প্রধান চরিত্রসমূহ

কনি

কনি উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র, যিনি একজন দরিদ্র, তরুণী সাঁতারু। তার জীবনের সংগ্রাম, দৃঢ়তা, এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াই তাকে একটি প্রতীকী চরিত্রে পরিণত করে। কনি তার প্রতিভার মাধ্যমে সমাজে নিজের স্থান তৈরি করতে চায়, কিন্তু দারিদ্র্য এবং সামাজিক বাধা তার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

কেদার

কেদার একজন স্বার্থপর এবং শোষক চরিত্র, যিনি কনির প্রতিভাকে নিজের সুবিধার জন্য ব্যবহার করেন। তার চরিত্র সমাজের শোষণমূলক মানসিকতার প্রতিনিধিত্ব করে।

শঙ্কর

শঙ্কর কনির প্রতি সহানুভূতিশীল এবং তার প্রতি ভালোবাসা রাখে। তার চরিত্র কনির জীবনে একটি আশার আলো হিসেবে কাজ করে।

মোহর

মোহর কনির বন্ধু এবং সহযোগী, যিনি তার সংগ্রামে সঙ্গ দেন। তার চরিত্র কনির জীবনের সামাজিক সংযোগকে তুলে ধরে।

উপন্যাসের প্রধান থিম

  1. শ্রেণিবৈষম্য: উপন্যাসটি ধনী-দরিদ্রের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য এবং শোষণের চিত্র তুলে ধরে। কনির মতো দরিদ্র মানুষদের জীবন সমাজের উচ্চশ্রেণির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
  2. নারীর সংগ্রাম: কনির চরিত্র নারীর স্বাধীনতা এবং সমাজে নিজের স্থান তৈরির সংগ্রামের প্রতীক।
  3. দারিদ্র্য ও প্রতিভা: কনির সাঁতারের প্রতিভা তার দারিদ্র্যের মধ্যেও আশার আলো জ্বালায়, কিন্তু সমাজ তাকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে।
  4. মানবিক সম্পর্ক: কনি ও শঙ্করের সম্পর্ক, মোহরের বন্ধুত্ব ইত্যাদি মানবিক সম্পর্কের উষ্ণতা তুলে ধরে।

পরীক্ষার প্রস্তুতির কৌশল

  1. গভীর পড়া: উপন্যাসটি একাধিকবার পড়ুন এবং প্রতিটি চরিত্রের ভূমিকা বুঝুন। কনির সংগ্রামের বিভিন্ন দিক নোট করুন।
  2. নোট তৈরি: প্রধান চরিত্র, থিম, এবং গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সংক্ষিপ্ত নোট তৈরি করুন। এটি রিভিশনের সময় সাহায্য করবে।
  3. প্রশ্নের অভ্যাস: বিগত বছরের মাধ্যমিক প্রশ্নপত্র এবং নমুনা প্রশ্নের অভ্যাস করুন। এটি আপনাকে প্রশ্নের ধরন বুঝতে সাহায্য করবে।
  4. ব্যাখ্যামূলক লেখা: ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নের জন্য নিজের ভাষায় উত্তর লেখার অভ্যাস করুন। উদাহরণস্বরূপ, কনির চরিত্র বা শ্রেণিবৈষম্য নিয়ে ২০০ শব্দের একটি লেখা তৈরি করুন।
  5. গ্রুপ স্টাডি: বন্ধুদের সাথে আলোচনা করুন এবং বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে উপন্যাসটি বোঝার চেষ্টা করুন।

উপসংহার

“কনি” উপন্যাসটি শুধু একটি সাহিত্যিক রচনা নয়, এটি সমাজের গভীর সত্য এবং মানুষের সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। কনির জীবনের মাধ্যমে আমরা শিখি যে প্রতিভা এবং দৃঢ়তা দিয়ে যে কোনো বাধা অতিক্রম করা সম্ভব। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য এই উপন্যাসটি ভালোভাবে পড়লে শুধু নম্বরই নয়, জীবনের মূল্যবান শিক্ষাও পাওয়া যায়।

আশা করি, এই গাইডটি আপনার পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে। নিয়মিত অধ্যয়ন করুন এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে পরীক্ষায় অংশ নিন!

About the Author

   Aftab Rahaman

AFTAB RAHAMAN

Aftab Rahaman is a seasoned education blogger and the founder of KaliKolom.com, India’s premier Bengali general knowledge blog. With over 10 years researching current affairs, history, and competitive exam prep, he delivers in‑depth, up‑to‑date articles that help students and lifelong learners succeed. His expert insights and data‑driven guides make KaliKolom.com an authoritative resource in Bengali education.

Unlock FREE Subject-Wise PDFs Instantly

Join Our Telegram Channel for Daily Updates!

      JOIN NOW ➔

Recent Posts

See All →