অন্যান্য নবীর আমলে রোজার বর্ণনা | নবীদের কালে রোজা কেমন ছিল?
ইসলামপূর্বেও রোজার বিধান ছিলো, তা বিভিন্ন সূত্র থেকে নিশ্চিতভাবে জানা যায়।
আদম (আ.)-এর রোজা :
আদম (আ.) যখন নিষিদ্ধ ফল খেয়েছিলেন এবং তারপর তাওবাহ করেছিলেন তখন ৩০ দিন পর্যন্ত তাঁর তাওবাহ কবুল হয়নি। ৩০ দিন পর তাঁর তাওবাহ কবুল হয়। তারপর তাঁর সন্তানদের উপরে ৩০টি রোজা ফরয করে দেয়া হয়। [ফাতহুল বারী খ. ৪, পৃ. ১০২-১০৩]
নূহ (আ.)-এর রোজা :
নূহ (আ.)-এর যুগেও সিয়াম ছিল। কারণ, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, হযরত নূহ (আ.) ১লা শাওয়াল ও ১০ জিলহজ ছাড়া সারা বছর রোজা রাখতেন। [ইবনে মাজাহ]
ইবরাহিম (আ.)-এর রোজা :
নূহ (আ.)-এর পরে নামকরা নবী ছিলেন হযরত ইবরাহীম (আ.)। তাঁর যুগে ৩০টি সিয়াম ছিল বলে কেউ কেউ লিখেছেন। হযরত ইব্রাহীম (আ.)-এর কিছু পরের যুগ বৈদিক যুগ।ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, বেদের অনুসারী ভারতের হিন্দুদের মধ্যেও ব্রত অর্থাৎ উপবাস ছিল। প্রত্যেক হিন্দী মাসের ১১ তারিখে ব্রাহ্মণদের উপর একাদশীর’ উপবাস রয়েছে।
দাউদ (আ.)-এর রোজা :
একজন বিখ্যাত নবী ছিলেন হযরত দাউদ (আ.)। তাঁর যুগেও রোজার প্রচলন ছিল। আল্লাহর রাসুল বলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নিকট সবচেয়ে প্রিয় রোজা হযরত দাউদ (আ.)-এর রোজা। তিনি একদিন রোজা রাখতেন এবং একদিন বিনা রোজায় থাকতেন। [নাসাঈ] হযরত দাউদ (আ.) অর্ধেক বছর রোজা রাখতেন এবং অর্ধেক বছর বিনা রোজা থাকতেন।
আরও পড়ুন: রোজার ইতিহাস: ইসলামে রোজার বর্ণনা এবং উৎস সম্পর্কে জানুন