5,327 Members Now! 🎉
🔥 Live Job Alerts!
Join Instant Updates →
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ইসলামের আগের আরব দুনিয়া কেমন ছিল?

Team KaliKolom
Published: Jul 2, 2021

 আরব দুনিয়া — সর্বজনীন খলিফাতন্ত্র ✒

ইসলামের আগে ও পরের আরব দুনিয়া:
(1)অজ্ঞানতার যুগ : ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে আরব । | দুনিয়ার ইতিহাসের সময়কালকে  ‘অজ্ঞানতার যুগ’ হিসেবে  চিহ্নিত করা হয় । এই সময় আরবের মানুষ বিভিন্ন । জাতিগােষ্ঠীতে বিভক্ত ও বিচ্ছিন্ন ছিল । দেশে কোনাে । সুগঠিত শাসনব্যবস্থা বা আইনশৃঙ্খলার অস্তিত্ব ছিল না । তখন আরবে কোনাে ধর্ম – প্রচারকের আবির্ভাব হয়নি , কোনাে ধর্মগ্রন্থ রচিত হয়নি বা কোনাে ধর্মীয় মতবাদও গড়ে ওঠেনি । সামাজিক ও নৈতিক জীবনযাত্রাও ছিল নিম্নমানের । তাই ইতিহাসবিদ   পি.কে . হিট্টি বলেছেন যে , এই সময় আরবে আদিম যুগের পরিস্থিতিই বিরাজমান ছিল ।  (2) ইসলামি প্রজাতন্ত্র : পরবর্তীকালে হজরত মহম্মদ ( ৫৭০-৬৩২ খ্রি . ) আরবে ইসলাম ধর্ম প্রবর্তনের মাধ্যমে সেখানকার বহুধা বিচ্ছিন্ন জাতিগােষ্ঠীকে একসূত্রে বাঁধেন । তিনি আরবের মদিনা শহরকে কেন্দ্র করে এক ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন । তিনি নিজে এই প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান হন । হজরত মহম্মদের মৃত্যুর পরবর্তীকালে যারা এই প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত হতেন তাদের বলা হত খলিফা (caliphate)।
খলিফা – র অর্থ : ‘ খলিফা ’ শব্দের অর্থ হল ‘ প্রতিনিধি’ । হজরত মহম্মদের মৃত্যুর পরবর্তীকালে তার বিশাল । প্রজাতান্ত্রিক সাম্রাজ্যের শাসন পরিচালনার জন্য এমন । শাসকের প্রয়ােজন ছিল যিনি একদিকে দেশ শাসন । করবেন এবং অন্যদিকে ইসলামের আদর্শ , নিয়মকানুন ও ধর্মীয় বিধিনিষেধ রক্ষা করবেন । খলিফা হলেন সেই । ইসলামীয় শাসক যিনি প্রজাতন্ত্রের শাসক , ইসলামের প্রচারক , ইসলামের ধর্মীয় রীতিনীতির রক্ষক এবং প্রধান  বিচারক । অর্থাৎ যারা ইসলামি ব্যবস্থা অনুসারে মহম্মদ প্রতিষ্ঠিত ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রের শাসন পরিচালনা করেন এবং মহম্মদ প্রবর্তিত ধর্মে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব দেন তাঁরাই ‘ খলিফা ’ নামে পরিচিত । 
আরবের খলিফাতন্ত্রের সর্বজনীনতা : হজরত মহম্মদের মৃত্যুর ( ৬৩২ খ্রি . ) পর মহম্মদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হজরত আবু বকর আরবে খলিফাদের শাসনের প্রতিষ্ঠা করেন । প্রতিষ্ঠার পর থেকে খলিফাদের প্রতিটি পর্বের শাসনকালে , বিশেষ করে প্রতিষ্ঠার পরবর্তী ৩০০ বছর মুসলিম দুনিয়ায় খলিফাতন্ত্রের রাষ্ট্রনৈতিক , সামাজিক , সাংস্কৃতিক আদর্শের সর্বজনীন সর্বজনীন প্রসার ঘটে । এই প্রসারের ক্ষেত্রে আরবে প্রথম তিনটি পর্বের খলিফাদের শাসনকাল বিশেষ গুরত্বপূর্ণ ছিল । যথা —(1) খোলাফায়েরাশেদিন বা পবিত্র খলিফাদের শাসনকাল ( ৬৩২-৬৬১ খ্রি . ) , (2) উমাইয়া বংশের খলিফাদের শাসনকাল ( ৬৬১ ৭৫০ খ্রি . ) এবং (3) আব্বাসীয় বংশের খলিফাদের শাসনকাল ( ৭৫০-১২৫৮ খ্রি . ) । এই খলিফারা বিশ্বের মুসলিম জনগণের উপর সর্বজনীন কর্তৃত্ব স্থাপন করে তাদের ধর্মীয় ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করতে পেরেছিলেন । রাজনৈতিক অগ্রগতি ও ইসলামের প্রসারের পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও মুসলিম দুনিয়ায় আরবের এই খলিফাদের সর্বজনীন ক্ষমতা ও নেতৃত্ব সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । খলিফাদের শাসনপ্রণালীর অনুকরণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুসলিম ও শাসকদের শাসন কাঠামােটি গড়ে উঠেছিল এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুসলিম শাসকদের কাছে আরবের খলিফাদের শাসন একটি আদর্শ কাঠামাে হিসেবে গৃহীত হয়েছিল । খলিফাদের আমলে সাংস্কৃতিক ধারাটিও মুসলিম দুনিয়ায় সর্বজনীনভাবে গৃহীত হয়েছিল ।
খােলাফায়ে রাশেদিন – এর আমল: আরবে হজরত আবুবকর ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে খলিফাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেন । প্রতিষ্ঠার পরবর্তী প্রথম চারজন খলিফাকে ‘ পবিত্র খলিফা বা ‘ খােলাফায়ে রাশেদিন ’ ( সত্য ও ন্যায়ের পথিক ) বলা হয় । এই চারজন খলিফার নাম ও তাদের রাজত্বকাল ছিল
  খলিফার নাম          শাসনকাল        শাসনকাল
                            ( খ্রিস্টাব্দ।                  ( হিজরী 
                                অনুসারে)                 সন                                                               অনুসারে)
                               
  হজরত আবুবক্কর       ৬৩২–৬৩৪      ১১–১৩
হজরত উমর ফারুক     ৬৩৪–৬৪৪      ১৩–২৪
হযরত উসমান গনি       ৬৪৪–৬৫৬      ২৪–৩৬
হযরত আলী                 ৬৫৬–৬৬১      ৩৬–৪১

 ☑ রাজনৈতিক অগ্রগতি ও ইসলামের প্রসার: 
          
হযরত আবুবকর: (১)মহানুভবতা : প্রথম খলিফা হজরত আবুবকর ছিলেন আরবের একজন ধনী ব্যবসায়ী , সৎ , সত্যবাদী ও সজ্জন মানুষ । তিনি ইসলামের প্রসারে মহানুভবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন এবং একাজে তাঁর ব্যাবসার অর্থ অকাতরে ব্যয় করেন । হজরত মহম্মদ একদা নিজেই মন্তব্য করেন যে , “ আবুবকরের ধনসম্পদের মতাে আর কারও ধনসম্পদ আমাকে এতটা সাহায্য করেনি । ” একদা হজরত মহম্মদ তাকে জিজ্ঞেস করেন , “ তুমি তাে তােমার সবই দান করে দিলে , পরিবারের জন্য কী রেখে এসেছ ? ” উত্তরে আবুবকর জানান “ তাদের জন্য আল্লাহ্ ও আল্লাহর রসুলকে রেখে এসেছি । ”(২) মুক্তিদাতা : একদা বিলাল নামে আবিসিনিয়ার এক ক্রীতদাস সদর্পে প্রচার করেন যে , ঈশ্বর Lact Da Capo Press ,এক এবং অদ্বিতীয় । এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিলালের প্রভু তাঁকে আরবের তপ্ত বালিতে শুইয়ে জ্বলন্ত সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করেন । এই কঠোর অত্যাচার সত্ত্বেও বিলাল ‘ আহাদ , আহাদ ’ ( ঈশ্বর এক , ঈশ্বর এক ) বলে চিৎকার করেন । এই নির্যাতনের খবর শুনে আবুবকর নিজের অর্থ দিয়ে বিলালকে ক্রয় করে তাকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দেন । এরপর আবুবকর মুক্তিদাতা ‘ নামে পরিচিত হন । (৩) আধিপত্য প্রতিষ্ঠা : আবুবকর খলিফা পদে বসার পর আরবের বিভিন্ন গােষ্ঠীর মানুষ জাকাৎ ‘ অর্থাৎ কর দিতে অস্বীকার করে বিদ্রোহ করেন । ফলে দেশের নানা প্রান্তে অশান্তি ছড়ায় এবং বিভিন্ন নতুন ধর্মপ্রচারকের আবির্ভাব ঘটে । এই পরিস্থিতিতে তিনি অন্তত এগারাে বার অভিযান চালিয়ে আরবে ইসলামের কর্তৃত্ব সুদৃঢ় করেন । তাঁর সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদ মাত্র ছয় মাসের মধ্যে সমগ্র মধ্য আরবে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন । বহু নতুন অঞলেও ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত হয় ।

 >>হজরত ওমর ফারুক : (১) প্রথম জীবন : প্রথম জীবনে ইসলামের ঘাের বিরােধী হজরত ওমর ফারুক একদা তরবারি নিয়ে হজরত মহম্মদকে হত্যা করতে ছুটে গিয়েছিলেন । কিন্তু কোরানের পবিত্র বাণী শুনে তার মনে পরিবর্তন ঘটে । “ আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যস্থলে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহর মহিমা ঘােষণা করে , তিনি

সর্বশক্তিমান ও সর্ব ” —কোরানের এই বাণী ওমরের হৃদয়তন্ত্রীতে ঝড় তােলে । এরপর তিনি হজরত মহম্মদের কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন । (২) বিভিন্ন অভিযান : খলিফা পদে বসে ওমর ফারুক রাজনৈতিক অগ্রগতি ও ইসলামের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন । তাঁর সেনাবাহিনী সিরিয়ার বিভিন্ন শহর এবং জিশুখ্রিস্টের পবিত্র ভূমি জেরুজালেম দখল করে । এ ছাড়া তিনি মিশর , কুর্দিস্তান , আর্মেনিয়া সহ আরও কয়েকটি স্থানে মুসলিম আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন ।

  >> হজরত ওসমান গনি : (১)অভিযান : খলিফা ওসমান গনির শাসনকালে ইসলামের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকে । তাঁর আমলে বাখ , হিরাট , কাবুল , গজনী , দক্ষিণ পারস্য ও এশিয়া মাইনরে ইসলামের বিজয় পতাকা উড্ডীন হয় । এরপর আফ্রিকার সিরিয়ায় গােলযােগ শুরু হলে সেখানে পুনরায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং সাইপ্রাস দ্বীপে ইসলামের অধিকার স্থাপন করেন । ( (২)সংস্কার : কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি সত্ত্বেও ওসমান গনির চরিত্রে সততা , কর্তব্যপরায়ণতা ও প্রজাহিতৈষণা লক্ষ করা যায় । তিনি বহু রাস্তাঘাট ও বাগান তৈরি করেন , খাল খনন করেন এবং নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে পুলিশি চৌকি স্থাপন করেন । তার মহত্ত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে একদা স্বয়ং হজরত মহম্মদ উক্তি করেছিলেন— “ আমি স্বর্গের দুয়ারে ওসমানের নাম লেখা দেখেছি । ঈশ্বরের সিংহাসনের পিছনে তাঁর নাম লেখা দেখেছি । আমি তাঁর নাম লেখা দেখেছি সর্বশ্রেষ্ঠ দেবদূত গ্যাব্রিয়েলের ডানার ওপর । ”
⛏⛏হজরত আলি: ওসমান গনি নিহত হওয়ার পর চতুর্থ । খলিফা হিসেবে হজরত আলির নাম ঘােষিত হলে গৃহযুদ্ধ । বেধে যায় । প্রথমদিকে তিনি কিছু সাফল্য পেলেও পরবর্তীকালে সিরিয়ার শাসনকর্তা মুয়াবিয়ার কর্তৃত্ব মেনে নিতে বাধ্য হন ।

হজরত আলি ৬৬১ খ্রিস্টাব্দে এক আততায়ীর হাতে নিহত হলে পবিত্র খলিফাদের রাজত্বকাল শেষ হয়।  শাসনব্যবস্থা : হজরত ওমর ফারুক প্রবর্তিত শাসন ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে খােলাফায়ে রাশেদিনের যুগের শাসনব্যবস্থা গড়ে ওঠে । 0 মন্ত্রণা পরিষদ : শাসনকার্য পরিচালনার কাজে সহায়তার জন্য মজলিস – উসশুরা নামে একটি মন্ত্রণা পরিষদ ছিল । এই পরিষদ শাসনকার্যে খলিফাকে পরামর্শ দিত ।  নাগরিকদের অধিকার : শাসনকার্য পরিচালনায় নাগরিকদের কিছু আধিকার ছিল । সরকারি কর্মচারী নিয়ােগের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করা হত ।  রাজস্ব ব্যবস্থা : পবিত্র খলিফাদের রাজত্বের প্রথমদিকে ইসলাম অনুমােদিত জাকাৎ ( ধনীদের উপর ধার্য কর ) , জিজিয়া ( অমুসলমানদের উপর ধার্য কর ) , খারজ ( নব্য বিজিত অঞলের অমুসলমানদের উপর ধার্য ভূমিকর ) , খামস ( যুদ্ধের দ্বারা লুণ্ঠিত সম্পদ ) ও উসর ( মুসলমান ভূম্যাধিকারীদের উপর ধার্য ভূমিকর ) নামে পাঁচটি কর আদায় করা হত । এ ছাড়া পরবর্তীকালে আল – ফে ( বিজিত রাজা , রাজকুমার ও অভিজাতদের জমির উৎপাদনের উপর ধার্য কর ) , উশুর ( অমুসলমান ব্যবসায়ীদের পণ্যের উপর ধার্য কর ) প্রভৃতি নতুন করেরপ্রচলন ঘটে । বায়তুলমাল : রাষ্ট্র থেকে আদায় করা রাজস্ব জমা রাখার উদ্দেশ্যে বায়তুলমাল ’ নামে একটি সরকারি কোশাগার প্রতিষ্ঠা করা হয় ।  প্রাদেশিক শাসন : সাম্রাজ্যের আয়তন ক্রমশ বৃদ্ধি পেলে সমগ্র রাষ্ট্রকে বিভিন্ন প্রদেশে বিভক্ত করা হয় এবং প্রতিটি প্রদেশে একজন করে ওয়ালি বা গভর্নর নিযুক্ত হন ।  বিচারব্যবস্থা : ন্যায় ও সততার ভিত্তিতে খলিফাদের বিচারব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল । দেশের সর্বোচ্চ বিচারপতি ছিলেন স্বয়ং খলিফা । তিনি বিচারকার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রতিটি প্রদেশে একজন করে কাজি নিয়ােগ করতেন ।  জনকল্যাণ:  খলিফাগণ জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে পান্থশালা , কোষাগার , রাস্তাঘাট , সেতু প্রভৃতি নির্মাণ করতেন ।

  সমাজ: খােলাফায়ে রাশেদিনের আমলে আরবের সমাজজীবন ছিল সরল ও অনাড়ম্বর।  (১) অনাড়ম্বর জীবনযাপন : খলিফাগণ খুবই সহজ – সরল , অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতেন । তারা খুবই ক্ষুদ্র কুটিরে বাস করতেন । খলিফা হজরত ওমরের একটি মাত্র জামা ছিল এবং তাতে বহু জোড়াতালি ছিল । (২) সমান অধিকার:  এই সময় আরবের মুসলিম সমাজে মানুষ সম – অধিকার ও মর্যাদা ভােগ করত । আইনের চোখে খলিফা ও সাধারণ মানুষ সকলেই সমান ছিলেন । 
3 ) সামাজিক শ্রেণি : এযুগে সমাজে তিনটি প্রধান শ্রেণি ছিল । যথা— [ i ] প্রথম শ্রেণিভুক্ত আনসার , মােহাজের ও বিভিন্ন আরব গােত্রের মুসলমান , [ii ] দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্ত বিজিত দেশগুলির মুসলমান এবং [ iii ] তৃতীয় শ্রেণিভুক্ত ইহুদি , খ্রিস্টান , পারসিক প্রভৃতি অমুসলমান । (৪) জাঁকজমক : সমাজের ধনী ব্যাক্তিরা জাঁকজমকপূর্ণ জীবনযাপন করতেন । (৫) সংগীতচর্চা ; আরবের মানুষ সংগীতের যথেষ্ট অনুরাগী ছিল । সংগীত ছিল অবসর বিনােদনের অন্যতম অঙ্গ । (৬) দাসপ্রথা : এযুগে আরবে দাসপ্রথা প্রচলিত ছিল । তবে এ সময় দাসদের অবস্থার উন্নতি ঘটেছিল । খলিফাগণ দাসদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন এবং এই প্রথা উচ্ছেদেরও চেষ্টা করেছিলেন । 
 সংস্কৃতি : (১) স্থাপত্য : খলিফাদের আমলে আরবের সর্বত্র বহু মসজিদ নির্মিত হয় । মসজিদগুলি মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও নামাজের কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে । (২) শিক্ষা : খােলাফায়ে রাশেদিন – এর আমলে আরবে শিক্ষাব্যবস্থার যথেষ্ট প্রসার ঘটে । খলিফাগণ শিক্ষার পৃষ্ঠপােষক ছিলেন । মসজিদগুলি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবেও কাজ করত । এ ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে গৃহে শিক্ষাদান চলত । কোরান শরীফের ব্যাখ্যা , আরবি ব্যাকরণ , অঙ্ক , দর্শন প্রভৃতি বিষয়ে চর্চা।

About the Author

   Aftab Rahaman

AFTAB RAHAMAN

Aftab Rahaman is a seasoned education blogger and the founder of KaliKolom.com, India’s premier Bengali general knowledge blog. With over 10 years researching current affairs, history, and competitive exam prep, he delivers in‑depth, up‑to‑date articles that help students and lifelong learners succeed. His expert insights and data‑driven guides make KaliKolom.com an authoritative resource in Bengali education.

Unlock FREE Subject-Wise PDFs Instantly

Join Our Telegram Channel for Daily Updates!

      JOIN NOW ➔

Recent Posts

See All →