WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ইসলামের আগের আরব দুনিয়া কেমন ছিল?

 আরব দুনিয়া — সর্বজনীন খলিফাতন্ত্র ✒

ইসলামের আগে ও পরের আরব দুনিয়া:
(1)অজ্ঞানতার যুগ : ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে আরব । | দুনিয়ার ইতিহাসের সময়কালকে  ‘অজ্ঞানতার যুগ’ হিসেবে  চিহ্নিত করা হয় । এই সময় আরবের মানুষ বিভিন্ন । জাতিগােষ্ঠীতে বিভক্ত ও বিচ্ছিন্ন ছিল । দেশে কোনাে । সুগঠিত শাসনব্যবস্থা বা আইনশৃঙ্খলার অস্তিত্ব ছিল না । তখন আরবে কোনাে ধর্ম – প্রচারকের আবির্ভাব হয়নি , কোনাে ধর্মগ্রন্থ রচিত হয়নি বা কোনাে ধর্মীয় মতবাদও গড়ে ওঠেনি । সামাজিক ও নৈতিক জীবনযাত্রাও ছিল নিম্নমানের । তাই ইতিহাসবিদ   পি.কে . হিট্টি বলেছেন যে , এই সময় আরবে আদিম যুগের পরিস্থিতিই বিরাজমান ছিল ।  (2) ইসলামি প্রজাতন্ত্র : পরবর্তীকালে হজরত মহম্মদ ( ৫৭০-৬৩২ খ্রি . ) আরবে ইসলাম ধর্ম প্রবর্তনের মাধ্যমে সেখানকার বহুধা বিচ্ছিন্ন জাতিগােষ্ঠীকে একসূত্রে বাঁধেন । তিনি আরবের মদিনা শহরকে কেন্দ্র করে এক ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন । তিনি নিজে এই প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান হন । হজরত মহম্মদের মৃত্যুর পরবর্তীকালে যারা এই প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত হতেন তাদের বলা হত খলিফা (caliphate)।
খলিফা – র অর্থ : ‘ খলিফা ’ শব্দের অর্থ হল ‘ প্রতিনিধি’ । হজরত মহম্মদের মৃত্যুর পরবর্তীকালে তার বিশাল । প্রজাতান্ত্রিক সাম্রাজ্যের শাসন পরিচালনার জন্য এমন । শাসকের প্রয়ােজন ছিল যিনি একদিকে দেশ শাসন । করবেন এবং অন্যদিকে ইসলামের আদর্শ , নিয়মকানুন ও ধর্মীয় বিধিনিষেধ রক্ষা করবেন । খলিফা হলেন সেই । ইসলামীয় শাসক যিনি প্রজাতন্ত্রের শাসক , ইসলামের প্রচারক , ইসলামের ধর্মীয় রীতিনীতির রক্ষক এবং প্রধান  বিচারক । অর্থাৎ যারা ইসলামি ব্যবস্থা অনুসারে মহম্মদ প্রতিষ্ঠিত ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রের শাসন পরিচালনা করেন এবং মহম্মদ প্রবর্তিত ধর্মে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব দেন তাঁরাই ‘ খলিফা ’ নামে পরিচিত । 
আরবের খলিফাতন্ত্রের সর্বজনীনতা : হজরত মহম্মদের মৃত্যুর ( ৬৩২ খ্রি . ) পর মহম্মদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হজরত আবু বকর আরবে খলিফাদের শাসনের প্রতিষ্ঠা করেন । প্রতিষ্ঠার পর থেকে খলিফাদের প্রতিটি পর্বের শাসনকালে , বিশেষ করে প্রতিষ্ঠার পরবর্তী ৩০০ বছর মুসলিম দুনিয়ায় খলিফাতন্ত্রের রাষ্ট্রনৈতিক , সামাজিক , সাংস্কৃতিক আদর্শের সর্বজনীন সর্বজনীন প্রসার ঘটে । এই প্রসারের ক্ষেত্রে আরবে প্রথম তিনটি পর্বের খলিফাদের শাসনকাল বিশেষ গুরত্বপূর্ণ ছিল । যথা —(1) খোলাফায়েরাশেদিন বা পবিত্র খলিফাদের শাসনকাল ( ৬৩২-৬৬১ খ্রি . ) , (2) উমাইয়া বংশের খলিফাদের শাসনকাল ( ৬৬১ ৭৫০ খ্রি . ) এবং (3) আব্বাসীয় বংশের খলিফাদের শাসনকাল ( ৭৫০-১২৫৮ খ্রি . ) । এই খলিফারা বিশ্বের মুসলিম জনগণের উপর সর্বজনীন কর্তৃত্ব স্থাপন করে তাদের ধর্মীয় ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করতে পেরেছিলেন । রাজনৈতিক অগ্রগতি ও ইসলামের প্রসারের পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও মুসলিম দুনিয়ায় আরবের এই খলিফাদের সর্বজনীন ক্ষমতা ও নেতৃত্ব সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । খলিফাদের শাসনপ্রণালীর অনুকরণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুসলিম ও শাসকদের শাসন কাঠামােটি গড়ে উঠেছিল এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুসলিম শাসকদের কাছে আরবের খলিফাদের শাসন একটি আদর্শ কাঠামাে হিসেবে গৃহীত হয়েছিল । খলিফাদের আমলে সাংস্কৃতিক ধারাটিও মুসলিম দুনিয়ায় সর্বজনীনভাবে গৃহীত হয়েছিল ।
খােলাফায়ে রাশেদিন – এর আমল: আরবে হজরত আবুবকর ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে খলিফাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেন । প্রতিষ্ঠার পরবর্তী প্রথম চারজন খলিফাকে ‘ পবিত্র খলিফা বা ‘ খােলাফায়ে রাশেদিন ’ ( সত্য ও ন্যায়ের পথিক ) বলা হয় । এই চারজন খলিফার নাম ও তাদের রাজত্বকাল ছিল
  খলিফার নাম          শাসনকাল        শাসনকাল
                            ( খ্রিস্টাব্দ।                  ( হিজরী 
                                অনুসারে)                 সন                                                               অনুসারে)
                               
  হজরত আবুবক্কর       ৬৩২–৬৩৪      ১১–১৩
হজরত উমর ফারুক     ৬৩৪–৬৪৪      ১৩–২৪
হযরত উসমান গনি       ৬৪৪–৬৫৬      ২৪–৩৬
হযরত আলী                 ৬৫৬–৬৬১      ৩৬–৪১

 ☑ রাজনৈতিক অগ্রগতি ও ইসলামের প্রসার: 
          
হযরত আবুবকর: (১)মহানুভবতা : প্রথম খলিফা হজরত আবুবকর ছিলেন আরবের একজন ধনী ব্যবসায়ী , সৎ , সত্যবাদী ও সজ্জন মানুষ । তিনি ইসলামের প্রসারে মহানুভবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন এবং একাজে তাঁর ব্যাবসার অর্থ অকাতরে ব্যয় করেন । হজরত মহম্মদ একদা নিজেই মন্তব্য করেন যে , “ আবুবকরের ধনসম্পদের মতাে আর কারও ধনসম্পদ আমাকে এতটা সাহায্য করেনি । ” একদা হজরত মহম্মদ তাকে জিজ্ঞেস করেন , “ তুমি তাে তােমার সবই দান করে দিলে , পরিবারের জন্য কী রেখে এসেছ ? ” উত্তরে আবুবকর জানান “ তাদের জন্য আল্লাহ্ ও আল্লাহর রসুলকে রেখে এসেছি । ”(২) মুক্তিদাতা : একদা বিলাল নামে আবিসিনিয়ার এক ক্রীতদাস সদর্পে প্রচার করেন যে , ঈশ্বর Lact Da Capo Press ,এক এবং অদ্বিতীয় । এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিলালের প্রভু তাঁকে আরবের তপ্ত বালিতে শুইয়ে জ্বলন্ত সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করেন । এই কঠোর অত্যাচার সত্ত্বেও বিলাল ‘ আহাদ , আহাদ ’ ( ঈশ্বর এক , ঈশ্বর এক ) বলে চিৎকার করেন । এই নির্যাতনের খবর শুনে আবুবকর নিজের অর্থ দিয়ে বিলালকে ক্রয় করে তাকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দেন । এরপর আবুবকর মুক্তিদাতা ‘ নামে পরিচিত হন । (৩) আধিপত্য প্রতিষ্ঠা : আবুবকর খলিফা পদে বসার পর আরবের বিভিন্ন গােষ্ঠীর মানুষ জাকাৎ ‘ অর্থাৎ কর দিতে অস্বীকার করে বিদ্রোহ করেন । ফলে দেশের নানা প্রান্তে অশান্তি ছড়ায় এবং বিভিন্ন নতুন ধর্মপ্রচারকের আবির্ভাব ঘটে । এই পরিস্থিতিতে তিনি অন্তত এগারাে বার অভিযান চালিয়ে আরবে ইসলামের কর্তৃত্ব সুদৃঢ় করেন । তাঁর সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদ মাত্র ছয় মাসের মধ্যে সমগ্র মধ্য আরবে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন । বহু নতুন অঞলেও ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত হয় ।

 >>হজরত ওমর ফারুক : (১) প্রথম জীবন : প্রথম জীবনে ইসলামের ঘাের বিরােধী হজরত ওমর ফারুক একদা তরবারি নিয়ে হজরত মহম্মদকে হত্যা করতে ছুটে গিয়েছিলেন । কিন্তু কোরানের পবিত্র বাণী শুনে তার মনে পরিবর্তন ঘটে । “ আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যস্থলে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহর মহিমা ঘােষণা করে , তিনি

সর্বশক্তিমান ও সর্ব ” —কোরানের এই বাণী ওমরের হৃদয়তন্ত্রীতে ঝড় তােলে । এরপর তিনি হজরত মহম্মদের কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন । (২) বিভিন্ন অভিযান : খলিফা পদে বসে ওমর ফারুক রাজনৈতিক অগ্রগতি ও ইসলামের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন । তাঁর সেনাবাহিনী সিরিয়ার বিভিন্ন শহর এবং জিশুখ্রিস্টের পবিত্র ভূমি জেরুজালেম দখল করে । এ ছাড়া তিনি মিশর , কুর্দিস্তান , আর্মেনিয়া সহ আরও কয়েকটি স্থানে মুসলিম আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন ।

  >> হজরত ওসমান গনি : (১)অভিযান : খলিফা ওসমান গনির শাসনকালে ইসলামের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকে । তাঁর আমলে বাখ , হিরাট , কাবুল , গজনী , দক্ষিণ পারস্য ও এশিয়া মাইনরে ইসলামের বিজয় পতাকা উড্ডীন হয় । এরপর আফ্রিকার সিরিয়ায় গােলযােগ শুরু হলে সেখানে পুনরায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং সাইপ্রাস দ্বীপে ইসলামের অধিকার স্থাপন করেন । ( (২)সংস্কার : কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি সত্ত্বেও ওসমান গনির চরিত্রে সততা , কর্তব্যপরায়ণতা ও প্রজাহিতৈষণা লক্ষ করা যায় । তিনি বহু রাস্তাঘাট ও বাগান তৈরি করেন , খাল খনন করেন এবং নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে পুলিশি চৌকি স্থাপন করেন । তার মহত্ত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে একদা স্বয়ং হজরত মহম্মদ উক্তি করেছিলেন— “ আমি স্বর্গের দুয়ারে ওসমানের নাম লেখা দেখেছি । ঈশ্বরের সিংহাসনের পিছনে তাঁর নাম লেখা দেখেছি । আমি তাঁর নাম লেখা দেখেছি সর্বশ্রেষ্ঠ দেবদূত গ্যাব্রিয়েলের ডানার ওপর । ”
⛏⛏হজরত আলি: ওসমান গনি নিহত হওয়ার পর চতুর্থ । খলিফা হিসেবে হজরত আলির নাম ঘােষিত হলে গৃহযুদ্ধ । বেধে যায় । প্রথমদিকে তিনি কিছু সাফল্য পেলেও পরবর্তীকালে সিরিয়ার শাসনকর্তা মুয়াবিয়ার কর্তৃত্ব মেনে নিতে বাধ্য হন ।

হজরত আলি ৬৬১ খ্রিস্টাব্দে এক আততায়ীর হাতে নিহত হলে পবিত্র খলিফাদের রাজত্বকাল শেষ হয়।  শাসনব্যবস্থা : হজরত ওমর ফারুক প্রবর্তিত শাসন ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে খােলাফায়ে রাশেদিনের যুগের শাসনব্যবস্থা গড়ে ওঠে । 0 মন্ত্রণা পরিষদ : শাসনকার্য পরিচালনার কাজে সহায়তার জন্য মজলিস – উসশুরা নামে একটি মন্ত্রণা পরিষদ ছিল । এই পরিষদ শাসনকার্যে খলিফাকে পরামর্শ দিত ।  নাগরিকদের অধিকার : শাসনকার্য পরিচালনায় নাগরিকদের কিছু আধিকার ছিল । সরকারি কর্মচারী নিয়ােগের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করা হত ।  রাজস্ব ব্যবস্থা : পবিত্র খলিফাদের রাজত্বের প্রথমদিকে ইসলাম অনুমােদিত জাকাৎ ( ধনীদের উপর ধার্য কর ) , জিজিয়া ( অমুসলমানদের উপর ধার্য কর ) , খারজ ( নব্য বিজিত অঞলের অমুসলমানদের উপর ধার্য ভূমিকর ) , খামস ( যুদ্ধের দ্বারা লুণ্ঠিত সম্পদ ) ও উসর ( মুসলমান ভূম্যাধিকারীদের উপর ধার্য ভূমিকর ) নামে পাঁচটি কর আদায় করা হত । এ ছাড়া পরবর্তীকালে আল – ফে ( বিজিত রাজা , রাজকুমার ও অভিজাতদের জমির উৎপাদনের উপর ধার্য কর ) , উশুর ( অমুসলমান ব্যবসায়ীদের পণ্যের উপর ধার্য কর ) প্রভৃতি নতুন করেরপ্রচলন ঘটে । বায়তুলমাল : রাষ্ট্র থেকে আদায় করা রাজস্ব জমা রাখার উদ্দেশ্যে বায়তুলমাল ’ নামে একটি সরকারি কোশাগার প্রতিষ্ঠা করা হয় ।  প্রাদেশিক শাসন : সাম্রাজ্যের আয়তন ক্রমশ বৃদ্ধি পেলে সমগ্র রাষ্ট্রকে বিভিন্ন প্রদেশে বিভক্ত করা হয় এবং প্রতিটি প্রদেশে একজন করে ওয়ালি বা গভর্নর নিযুক্ত হন ।  বিচারব্যবস্থা : ন্যায় ও সততার ভিত্তিতে খলিফাদের বিচারব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল । দেশের সর্বোচ্চ বিচারপতি ছিলেন স্বয়ং খলিফা । তিনি বিচারকার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রতিটি প্রদেশে একজন করে কাজি নিয়ােগ করতেন ।  জনকল্যাণ:  খলিফাগণ জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে পান্থশালা , কোষাগার , রাস্তাঘাট , সেতু প্রভৃতি নির্মাণ করতেন ।

  সমাজ: খােলাফায়ে রাশেদিনের আমলে আরবের সমাজজীবন ছিল সরল ও অনাড়ম্বর।  (১) অনাড়ম্বর জীবনযাপন : খলিফাগণ খুবই সহজ – সরল , অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতেন । তারা খুবই ক্ষুদ্র কুটিরে বাস করতেন । খলিফা হজরত ওমরের একটি মাত্র জামা ছিল এবং তাতে বহু জোড়াতালি ছিল । (২) সমান অধিকার:  এই সময় আরবের মুসলিম সমাজে মানুষ সম – অধিকার ও মর্যাদা ভােগ করত । আইনের চোখে খলিফা ও সাধারণ মানুষ সকলেই সমান ছিলেন । 
3 ) সামাজিক শ্রেণি : এযুগে সমাজে তিনটি প্রধান শ্রেণি ছিল । যথা— [ i ] প্রথম শ্রেণিভুক্ত আনসার , মােহাজের ও বিভিন্ন আরব গােত্রের মুসলমান , [ii ] দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্ত বিজিত দেশগুলির মুসলমান এবং [ iii ] তৃতীয় শ্রেণিভুক্ত ইহুদি , খ্রিস্টান , পারসিক প্রভৃতি অমুসলমান । (৪) জাঁকজমক : সমাজের ধনী ব্যাক্তিরা জাঁকজমকপূর্ণ জীবনযাপন করতেন । (৫) সংগীতচর্চা ; আরবের মানুষ সংগীতের যথেষ্ট অনুরাগী ছিল । সংগীত ছিল অবসর বিনােদনের অন্যতম অঙ্গ । (৬) দাসপ্রথা : এযুগে আরবে দাসপ্রথা প্রচলিত ছিল । তবে এ সময় দাসদের অবস্থার উন্নতি ঘটেছিল । খলিফাগণ দাসদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন এবং এই প্রথা উচ্ছেদেরও চেষ্টা করেছিলেন । 
 সংস্কৃতি : (১) স্থাপত্য : খলিফাদের আমলে আরবের সর্বত্র বহু মসজিদ নির্মিত হয় । মসজিদগুলি মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও নামাজের কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে । (২) শিক্ষা : খােলাফায়ে রাশেদিন – এর আমলে আরবে শিক্ষাব্যবস্থার যথেষ্ট প্রসার ঘটে । খলিফাগণ শিক্ষার পৃষ্ঠপােষক ছিলেন । মসজিদগুলি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবেও কাজ করত । এ ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে গৃহে শিক্ষাদান চলত । কোরান শরীফের ব্যাখ্যা , আরবি ব্যাকরণ , অঙ্ক , দর্শন প্রভৃতি বিষয়ে চর্চা।
JOIN NOW

Leave a Comment