আধুনিক সরকারি নথিপত্রভারতের ইতিহাস চর্চায় সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব লেখ
সরকারি নথিপত্র:- সরকারি নথিপত্র বলতে বোঝায় সরকারের বিভিন্ন আদেশ, উদ্যোগ, পদক্ষেপ, প্রতিবেদন প্রভৃতির নথিপত্র। এইসব নথি ঔপনিবেশিক শাসকের দৃষ্টিকোণ থেকে আধুনিক ভারত ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনার চর্চা সম্ভব হয়। দিল্লির জাতীয় মহাফেজখানা, কলকাতা, মাদ্রাজ (অধুনা চেন্নাই) ও বোম্বাই (অধুনা মুম্বই) শহরের লেখ্যাগারে এরকম অজস্র নথি রয়েছে। এইসব নথির পাঠ, পুনর্পাঠ ও বিশ্লেষণে সমসাময়িক নানা ঘটনার পেছনে সরকারি মনোভাব ও ভূমিকা স্পষ্টভাবে জানা ও বোঝা সম্ভব হয়। যেমন—এই ধরনের নথিপত্র ঘেঁটেই ইতিহাসবিদরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, স্বামী বিবেকানন্দের তেজস্বীতায় আমেরিকা-ইংল্যান্ড মুগ্ধ হলেও এদেশের ব্রিটিশ শাসকরা তাঁকে এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনকে আদৌ সুনজরে দেখত না।
Recommended:
- খেলার ইতিহাস
- যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস
- মেহেরগড় সভ্যতা – Merhgarh
- আধুনিক যুগের ইতিহাসের উপাদান গুলি কি কি
- নারী ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব কি
ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের প্রতিবেদনে রামকৃষ্ণ মিশনকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যদি সরকারের নথিপত্র ইতিহাস গবেষকরা দেখার সুযোগ না পেতেন, তাহলে এই তথ্য কোনোদিনই জানা যেত না। একইভাবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য বিভিন্ন সরকারি নথিপত্র ইতিহাসচর্চার জন্য প্রকাশ্যে আনার দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। সরকারি চিঠিপত্র ও প্রতিবেদনের যে সামান্য ভগ্নাংশ এখনও পর্যন্ত ইতিহাস গবেষকরা দেখার সুযোগ পেয়েছেন তাতেই বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ আরও দানা বেঁধেছে। শুধু পুলিশ বা গোয়েন্দা নয়, সরকারি আধিকারিকদের বিভিন্ন বিষয়ে বিবরণ ও প্রতিবেদনও এধরনের উপাদান হিসেবে বিশেষ উল্লেখের দাবি করে।
যেমন হান্টার কমিশনের রিপোর্ট (১৮৮২ খ্রি.) থেকে সমকালীন ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা এবং সংখ্যালঘুদের অবস্থা সম্পর্কে আমরা জানতে পারি। একইভাবে জে পি গ্রান্ট নিযুক্ত নীল কমিশনের রিপোর্ট (১৮৬০ খ্রি.) নীল চাষ কীভাবে বাংলায় কৃষি-অর্থনীতির মূলে আঘাত করেছিল সে বিষয়ে স্পষ্ট ছবি তুলে ধরে।) ব্রিটিশ আমলে যোগাযোগ ব্যবস্থা আজকের মতো উন্নত ছিল না। ফলে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও আধিকারিকরা নিজেদের মধ্যে চিঠিপত্র আদানপ্রদান করত। সেইসব চিঠিপত্র থেকে ইতিহাসবিদরা জানতে পারেন বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডর উপর ব্রিটিশ সরকার কীরকম নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল, বিশ্বযুদ্ধের সময় কীভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চার্চিলের নির্দেশে বাংলায় মন্বন্তর সৃষ্টি করা হয়েছিল প্রভৃতি। একইভাবে জাতীয় কংগ্রেস ও তার নেতৃবর্গের প্রতি উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা কীরকম মনোভাব পোষণ করতেন, তাও তাঁদের চিঠিপত্র থেকে জানা যায়। যেমন ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৫-এ তদানীন্তন ভারতসচিব জন ব্রোডরিখকে লেখা লর্ড কার্জনের চিঠি
দিল্লির জাতীয় মহাফেজখানা, কলকাতা, মাদ্রাজ (অধুনা চেন্নাই) ও বোম্বাই (অধুনা মুম্বই) শহরের লেখ্যাগারে এরকম অজস্র নথি রয়েছে।
ভারতের সরকারি দুটি নথিপত্র নাম:- 1. আদেশ, 2. প্রতিবেদন
সরকারি নথিপত্র বলতে বোঝায় সরকারের বিভিন্ন আদেশ, উদ্যোগ, পদক্ষেপ, প্রতিবেদন প্রভৃতির নথিপত্র।
[su_note note_color=”#f2f2f2″ text_color=”#ed2c07″]💊 অটোম্যান সাম্রাজ্য ধ্বংসের কারণ[/su_note]