সূচনা : ভারতের ভৌগোলিক অখণ্ডতা , জাতীয় ঐক্য এবং প্রগতি ও পুনর্নির্মানের জন্য দেশীয়রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণ করা হয় । ভারতের ‘ লৌহ মানব ’ রূপে পরিচিত সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ছিলেন এক্ষেত্রে প্রধান কৃতিত্বের অধিকারী ।
প্রক্রিয়া : সর্দ্দার বল্লভভাই প্যাটেল দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণে যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তা হল—
(১) সংযুক্তিকরণ : বেশ কিছু দেশীয় রাজ্যকে পার্শ্ববর্তী ভারতীয় প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয় । উদাহরণস্বরূপ বলা যায় উড়িষ্যা ও মধ্যপ্রদেশের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি , বোম্বাইয়ের সঙ্গে দাক্ষিণাত্য ও গুজরাটের রাজ্যগুলিকে সংযুক্ত করা হয় । আবার গাড়োয়াল , রামপুর ও বেনারসকে উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে , কুচবিহারকে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে , খাসি পার্বত্য অঞ্চলকে আসামের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয় । মাদ্রাজের রাজ্যগুলিকে মাদ্রাজের সঙ্গে যুক্ত করা হয় ।
(২) বৃহৎ যুক্তরাজ্য গঠন : দেশীয় রাজ্যগুলির বেশ কয়েকটি রাজ্যকে সংযুক্ত করে এক একটি বৃহৎ যুক্তরাজ্য গ্রহণ করা হয় , যেমন — রাজস্থানের যুক্তরাজ্য ছিল পাঞ্জাবের যুক্তরাজ্য , বিন্ধপ্রদেশের যুক্তরাজ্য প্রভৃতি ।
(৩) কেন্দ্রীয় শাসনাধীন : বেশ কিছু রাজ্যকে কেন্দ্রীয় সরকার শাসিত এলাকার সঙ্গে যুক্ত করা হয় বা কেন্দ্রীয় শাসনাধীনে আনা হয় । হিমাচলপ্রদেশ , কাচ্ছ , বিলাসপুর , ভোপাল , ত্রিপুরা ও মণিপুরকে কেন্দ্রীয় শাসনাধীনে আনা হয় ।
উপসংহার : সামগ্রিকভাবে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে , ২১৬ টি দেশীয় রাজ্যকে পার্শ্ববর্তী প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয় , ২৭৫ টি দেশীয় রাজ্যকে পাঁচটি রাজ্যে পরিণত করা হয় এবং ৬১ টি রাজ্যকে সাতটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের সঙ্গে যোগ করে কেন্দ্রীয় শাসনাধীনে আনা হয় ।