ইতিহাসের যুগ বিভাজন

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Rate this post

ইতিহাসকে সাধারণত বিভিন্ন যুগে বিভক্ত করা হয়, যা সময়ের সাথে মানুষের জীবনযাত্রা, সমাজব্যবস্থা, প্রযুক্তি, ও সংস্কৃতির পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে। এই বিভাজন অঞ্চলভেদে বা সভ্যতার ভিন্নতার কারণে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণভাবে নিচের যুগগুলোতে ইতিহাসকে ভাগ করা হয়:

১. প্রাগৈতিহাসিক যুগ (Prehistoric Age)

এটি সেই যুগ যা থেকে মানুষের কোন লিখিত দলিল পাওয়া যায় না। প্রধানত এই যুগে মানুষ শিকার, সংগ্রহ ও পশুপালন করে বেঁচে থাকত। প্রাগৈতিহাসিক যুগকে আবার কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা যায়:

  • পাথর যুগ (Stone Age): মানব সভ্যতার প্রাচীনতম যুগ, যেখানে মানুষ পাথরের সরঞ্জাম ব্যবহার করত।
  • নব্যপ্রস্তর যুগ (Neolithic Age): কৃষির শুরু এবং স্থায়ী বসতির উন্নয়ন।

২. প্রাচীন যুগ (Ancient Age)

এই যুগে সভ্যতার সূচনা হয় এবং লিখন, স্থাপত্য, ও রাষ্ট্রব্যবস্থার উন্নতি ঘটে। বিভিন্ন সভ্যতা এই যুগে বিকশিত হয় যেমন মেসোপটেমিয়া, মিশর, ভারত, চীন, ও গ্রিক সভ্যতা। এই যুগ প্রায় ৩২০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ৫০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।

৩. মধ্যযুগ (Medieval Age)

প্রাচীন যুগের পরবর্তী সময়কে মধ্যযুগ বলা হয়। এটি প্রায় ৫০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এই যুগে প্রধানত ইউরোপে ফিউডাল সিস্টেমের উদ্ভব ঘটে এবং ধর্মের প্রভাব বৃদ্ধি পায়।

৪. আধুনিক যুগ (Modern Age)

মধ্যযুগের পরবর্তী সময়কে আধুনিক যুগ বলা হয়, যা প্রায় ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রসারিত। এই যুগে রেনেসাঁ, বৈজ্ঞানিক বিপ্লব, শিল্প বিপ্লব, এবং উপনিবেশবাদের বিকাশ ঘটে।

৫. সমসাময়িক যুগ (Contemporary Age)

এই যুগ শুরু হয় ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে এবং আজ অবধি চলমান। সমসাময়িক যুগের বৈশিষ্ট্য হল বৈশ্বিক যোগাযোগ, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন।

এই যুগ বিভাজন ঐতিহাসিক গবেষণা ও সভ্যতার বিকাশের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে, এবং প্রতিটি যুগের বৈশিষ্ট্য আলাদা।

Join Telegram

Leave a Comment