এই নিবন্ধের সঙ্গে একটি সম্পূর্ণ সাজানো PDF নির্দেশিকা সংযুক্ত করা হয়েছে, যাতে আপনি অফলাইনেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন। নিচের “PDF ডাউনলোড” লিঙ্কে ক্লিক করলেই ফাইলটি সরাসরি আপনার ডিভাইসে সেভ হয়ে যাবে। পড়ার সুবিধার্থে ডাউনলোড করে নিন, এবং Mock Test প্রয়োজনে যেকোনো সময় ফিরে আসুন।
প্রতিটি প্রশ্নে চারটি বিকল্প, সঠিক উত্তরের নিচে উল্লেখ, প্রতি ১ নম্বর
কবিতাটির শিরোনাম “আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি”–এ ‘বেঁধে বেঁধে’ শব্দযুগল দ্বারা কী অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে? ১) বিরক্তি ২) আকর্ষণ ৩) দৃঢ় সংকল্প ৪) দুঃখ সঠিক উত্তর: ৩) দৃঢ় সংকল্প
“আমাদের ডান পাশে ধ্বস”–এ ‘ধ্বস’ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ১) পাহাড় ধসে যাওয়া ২) নদী ভাঙন ৩) সামরিক হামলা ৪) বন্যা সঠিক উত্তর: ১) পাহাড় ধসে যাওয়া
কবিতায় ‘গিরিখাদ’ বলতে অর্থ কী? ১) পাহাড়ের গর্ত ২) পাহাড়ের খাদ ৩) ঝর্ণার অববাহিকা ৪) সমতল ভূমি সঠিক উত্তর: ২) পাহাড়ের খাদ
“মাথায় বোমারু” যেখানে ‘বোমারু’ কথাটি প্রয়োগ, সেটি কোন রূপক বহন করে? ১) আগ্রাসন ২) উদারতা ৩) নিরাপত্তা ৪) শান্তি সঠিক উত্তর: ১) আগ্রাসন
“পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ”–এ ‘হিমানী’ কোন উপাদানকে বোঝায়? ১) বৃষ্টি ২) তুষার ৩) নদী ৪) পাহাড় সঠিক উত্তর: ২) তুষার
“আমাদের পথ নেই কোনো”–এ ‘পথ নেই’ দ্বারা প্রধানত কোন ভাব প্রকাশ? ১) আশা ২) হতাশা ৩) আনন্দ ৪) উৎসাহ সঠিক উত্তর: ২) হতাশা
কবিতার বর্ণনায় ‘ঘর গেছে উড়ে’–এ কোন শিল্পীবিধি ব্যবহৃত? ১) অপসারণোক্তি ২) রূপক ৩) অলঙ্কারহীন ৪) উপমা সঠিক উত্তর: ২) রূপক
‘শিশুদের শব ছড়ানো’–এ ‘শব ছড়ানো’ দ্বারা কী ইঙ্গিত? ১) মৃত্যুর তীব্রতা ২) খেলাধুলা ৩) আনন্দ ৪) বিশ্রাম সঠিক উত্তর: ১) মৃত্যুর তীব্রতা
“আমরাও তবে … মরে যাব না কি?”–এ কোন প্রশ্নবোধক রীতিতে কবি প্রশ্ন তুলেছেন? ১) হোচটপ্রশ্ন ২) তথাকথিত ৩) বিপরীতবোধক ৪) নৈরম সঠিক উত্তর: ১) হোচটপ্রশ্ন
“আমাদের ইতিহাস নেই”–এ ‘ইতিহাস’ শব্দের মাধ্যমে কবি কীই বা বলতে চেয়েছেন? ১) অতীতের গৌরব ২) পারিবারিক ঐতিহ্য ৩) স্বনির্ভরতা ৪) বিভ্রান্তি সঠিক উত্তর: ৪) বিভ্রান্তি
“ভিখারি বারোমাস”–এ ‘বারোমাস’ শব্দের অর্থ কী? ১) বারো বছর ২) বছরভর ৩) বারোমাস পর্যটক ৪) বারোমাস উৎসব সঠিক উত্তর: ২) বছরভর
কবিতায় ‘পৃথিবী হয়তো গেছে মরে’–এ ‘মরে’ দিয়ে কী দেখানো হয়েছে? ১) মানুষের মৃত্যু ২) আশা—নিরাশার মিশ্রণ ৩) প্রকৃতির উদ্দামতা ৪) শৈত্যের তীব্রতা সঠিক উত্তর: ২) আশা—নিরাশার মিশ্রণ
“আমাদের কথা কে-বা জানে”–এ ‘কে-বা’ শব্দবন্ধটি কী ধরনের ভাষাগত দেহাতি স্বরূপ? ১) সংজ্ঞাবাচক ২) বাক্যগত ৩) colloquial/slang ৪) আনুষ্ঠানিক সঠিক উত্তর: ৩) colloquial/slang
“আমাদের ঘর গেছে উড়ে”–এ কবি কী ভাব ফুটিয়েছেন? উত্তর: জনবসতির ধ্বংসের দুঃখ-উদ্বেগ, নিরাপত্তাহীনতার চিত্র ফুটেছে। সশস্ত্র কুচক্রীতা কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয় – উভয়েরই পুনর্জাগরণী বিশৃঙ্খলা প্রকাশ পেয়েছে।
কবিতায় ‘আমরা ভিখারি বারোমাস’ দিয়ে কী সামাজিক অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে? উত্তর: শোষণ–নিপীড়নে নিরাশ্রিত মানুষের চলাচল বিন্দু পরিহার করা বছরভর অনিশ্চয়তা ও অবহেলার চিত্র অঙ্কিত।
“শিশুদের শব ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে”–এ লাইনটির প্রতীকী অর্থ ব্যাখ্যা করো। উত্তর: ভবিষ্যৎ নির্ভর ভবিষ্যতশিশুর প্রাণহানির সম্ভাবনা, সামান্য আশ্রয়ের অভাবে স্নেহশূন্যতায় শিশুমৃত্যুর ছায়া প্রতিফলিত।
‘আমাদের ইতিহাস নেই’—এই বক্তব্যের মাধ্যমে কবি কী চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন? উত্তর: জাতিগত–সাংস্কৃতিক অধিকার বিস্মৃত হওয়ার বিপদে পড়ার প্রতিবাদী স্রোত; অতীতের আভিজাত্য ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা।
“তবু তো কজন আছি বাকি”–এ কোন আশার দানবাণী নিহিত? উত্তর: মৃত্যুর স্রোতের মাঝে বিন্দুমাত্র নমেনি অনুগ্রহ; অবিচল ভাবে সংগ্রামের মাপে বেঁচে থাকার দৃঢ় পরমানুস্কার।
বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্নাবলি (৫টি; প্রতি ৫ নম্বর)
নির্দেশনা: প্রতি উত্তরে সর্বোচ্চ ১৫০ শব্দে উত্তর দিন।
কবি কিভাবে একাত্ম সংকল্প ও সামাজিক বঞ্চনার মিলিত প্রতিধ্বনি তৈরি করেছেন? বিশ্লেষণ করো। উত্তর: কবিতা শুরু করে লক্ষ্যনির্দেশক ‘বেঁধে বেঁধে থাকি’ স্লোগান দিয়ে, যা দৃঢ় সংহতি ও অদম্য প্রতিরোধের ইঙ্গিত। পরবর্তীতে প্রত্যেক ভৌগোলিক-সামাজিক বিপর্যয় (ধ্বস, গিরিখাদ, বোমারু) ও মানসিক সংকট (পথহীনতা, ইতিহাসহীনতা) মিলিয়ে বঞ্চনার বিস্তৃতি উপস্থাপন করেছেন। কবির এ অনুষঙ্গ-সংঘর্ষের বিন্যাস সমাজের দুঃখ-কষ্টের ওপর ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের বার্তা জোরদার করে।
“আমরা ফিরেছি দোরে দোরে”–এই লাইন দ্বারা কবি কীরূপ পুনর্জাগরণী মনোভাব ফুটিয়েছেন? আলোচনা করো। উত্তর: এ রহস্যময় বাক্যাংশে যাত্রাবিচ্ছিন্ন অবস্থান আর ছড়িয়ে থাকা সম্ভবনাবিশ্বের চিত্র ফুটে ওঠে। ‘ফিরেছি’ শব্দে অতীতের দুঃখ-অন্তর্ধান থেকে প্রত্যাবর্তনের সংকল্প; ‘দোরে দোরে’ বলছে—একক নয়, ছড়িয়ে ছিটিয়ে সংগ্রামের বহুমাত্রিক মঞ্চ তৈরি হয়েছে, যা একত্রে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সামাজিক চেতনার বহুবিধ অংশীজনের পুনরায় সক্রিয়তা এভাবেই প্রতিফলিত।
কবিতায় রূপক ও অলঙ্কারিক উপকরণ কীভাবে প্রধান বার্তার বিবরণে সাহায্য করেছে? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো। উত্তর: কবি ‘ধ্বস’, ‘গিরিখাদ’, ‘বোমারু’, ‘হিমানী বাঁধ’ ইত্যাদি প্রকৃতির দুর্যোগকে সমাজের নিপীড়নের রূপক হিসেবে নিয়েছেন। ‘পথ নেই’, ‘ইতিহাস নেই’–মনস্তাত্ত্বিক প্রেক্ষাপটের অলঙ্কার। প্রতিটি অলঙ্কার ও রূপক মূল বক্তব্য, অর্থাৎ অবহেলার আঘাত ও সংগ্রহের একাত্মতা, আরও বেশি প্রাণবন্ত করেছে।
কবিতার শেষে প্রশ্নবোধক পংক্তি ‘আমরাও তবে … মরে যাব না কি?’–এর ভাবগত গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো। উত্তর: শেষের হোচটপ্রশ্নটি পাঠককে সরাসরি বিপর্যয়ের মাঝখানে জীবন-ভারত্মায়নের প্রশ্নে উদ্বুদ্ধ করে। এটি আর প্রশ্ন নয়—চিৎকার, প্রতিবাদ, চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে, যেখানে কবি ভাঙা-নড়া পরিস্থিতি উপেক্ষা না করে সামনের সংগ্রামের আয়োজনে জোর দেয়।
সামগ্রিকভাবে এই কবিতা সমকালীন সামাজিক বাস্তবতার কী প্রতিফলন ঘটিয়েছে? আলোচনা করো। উত্তর: খণ্ড খণ্ড বিপর্যয় (প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট)–এর মধ্যে বসতির ধ্বংস, ইতিহাসের অতঃপর অনুধাবনহীনতা, মানুষের নিরাপত্তাহীনতা–সব মিলিয়ে সমাজের কলহময় চিত্র ফুটে ওঠে। তবু ‘বেঁধে বেঁধে থাকি’–এর একাত্ম চেতনা মৃত্যুর অনাদিতে বেঁচে থাকা ও সংগ্রহের দৃঢ়প্রতিজ্ঞা হিসেবে স্থান পেয়েছে৷ কবি সাময়িক দুঃখ–কষ্টকে অপরাজেয় আত্মবিশ্বাসে পরিণত করেছেন।
পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্নাবলি (৫টি)
নিম্নরেখ পদগুলির কারক (বা অব্যয়ী বিভক্তি), বিভক্তি সূচক (যদি থাকে), এবং সংশ্লিষ্ট অনুসর্গ নির্দেশ করো। প্রতি প্রশ্ন ১ নম্বর।
আমাদের ডান পাশে ধ্বস
ধ্বস–অপ্রাকরণিক (নামপদ), অপরিবর্তিত মূলরূপ (বিভক্তি সূচক নেই), কোন পূর্বসর্গ/অনুসর্গ নেই।
আমাদের বাঁয়ে গিরিখাদ
গিরিখাদ–অপ্রাকরণিক নামপদ, অপরিবর্তিত (বিভক্তি সূচক নেই), কোনও অনুপাতসূচক অনুসর্গ নেই।
আমাদের মাথায় বোমারু
বোমারু–অপ্রাকরণিক নামপদ, অপরিবর্তিত (বিভক্তি সূচক নেই), কোন অনুপাতসূচক অনুসর্গ নেই।
পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ
বাঁধ–অপ্রাকরণিক নামপদ, অপরিবর্তিত (বিভক্তি সূচক নেই), কোন পূর্বসর্গ/অনুসর্গ নেই।
আমাদের শিশুদের শব ছড়ানো
শিশুদের = শিশু + ‘দের’ (পলুর জৈবকরণ ও বহুবচনসূচক বিভক্তি); ‘দের’ হলো পদবিস্তারের বিভক্তি-সংযোজন (Genitive), কোনো অনুসর্গ নেই।
স্টুডেন্টদের জন্য নোট
কবিতা অধ্যয়নের ধাপসমূহ
বাক্যগত মনন: প্রথমে কবিতাটি নির্বিঘ্নে কয়েকবার পড়ে নাও, উচ্চারন করো—শব্দের ছন্দ এবং প্রয়োগ অনুধাবন করবে।
ভাবগাম্ভীর্য: প্রতিটি চিত্র ও রূপক (যেমন ‘ধ্বস’, ‘বোমারু’) কী সামাজিক বা মানসিক বিষয়ের ইঙ্গিত দেয়, তা পর্যবেক্ষন করো।
প্রশ্নোত্তর অনুশীলন: MCQ-তে অপশন বিশ্লেষণ, সংক্ষিপ্ত-উত্তরে মূল ভাব খুঁজে আনা এবং বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নে যুক্তি-তর্ক মেনে লেখার অভ্যাস গড়ে তুলো।
ব্যাকরণচর্চা: বিভক্তি ও অনুসর্গ পরীক্ষা করে দেখে নাও—নামপদ বা ক্রিয়াপদের সমান্তরাল ব্যবহার শিখবে।
সমীক্ষা ও পুনর্বিবেচনা: উত্তর লিখে পুনরায় কবিতার দিকে তাকিয়ে সাদৃশ্য যাচাই করো; প্রয়োজনে কাঠামো সংশোধন করো।