আজকের নগদ মুদ্রার মত বিটকয়েন কোন হাতে ধরার বস্তু নয়। বিটকয়েন একধরনের ডিজিটাল, ভার্চুয়াল অর্থ অনলাইনে জিনিস কেনার জন্য এর ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। এমনকি সাধারণ কিছু কিছু দোকানপাটেও এখন বিটকয়েন চলছে। আমরা আগের প্রতিবেদনে দেখেছিলাম বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বিটকয়েনের বৈধতা দিল এল সালভাদর। তত্ত্বগত ভাবে বিটকয়েন খরচ করা একটা ইমেল পাঠানোর মতই সহজ। এটা মধ্যভোগী ব্যক্তি বা ব্যাঙ্ক ব্যবহার না করেই গ্রহীতার কাছে পৌঁছানো যায়। অর্থের লেনদেন চালায় স্বেচ্ছাসেবীদের একটা গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। তাদের কম্পিউটার কেনাবেচা যাচাই করে দেখে। এরপর! সেটা “ব্লকচেইন” নামে বিশাল একটা নিরাপদ তালিকায় ওঠানো হয়। এই কাজের জন্য তারা হয়ত খুবই অল্প পরিমাণ বিটকয়েন রোজগার করে। একে বলা হয় “মাইনিং”,
এভাবেই তৈরি হয় নতুন বিটকয়েন। সমালোচকরা বলেন এই “মাইনার”রা নতুন মুদ্রা তৈরিতে যে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুত ব্যবহার করেন তা পরিবেশের জন্য খারাপ। বিটকয়েন ব্যবহারের কোন নিয়মনীতি নেই ও বিনা পরিচয়ে তা লেনদেন…করা যায়, ফলে অপরাধীদের কাছে | এধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি জনপ্রিয়। এর ভক্তরা বলেন এতে মানুষ ব্যাঙ্ক ও সরকারকে বাদ দিয়ে কাজ করতে পারে..এবং এটা মুদ্রার জগত নিয়ে প্রচলিত ধ্যানধারণা ভবিষ্যতে বদলে দেবে।