Model Activity Compilation:Combined Package question answer | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সংকল প্রশ্ন উত্তর

Model Activity Compilation Combined Package | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সংকল বাংলা

Join Telegram

Table of Contents

[su_note note_color=”#f4f043″ text_color=”#010916″]সাধারণ নির্দেশিকা

১। কোভিড-১৯ অতিমারির আবহে বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পঠন-পাঠন ব্যাহত হয়েছে। কোভিড অতিমারির মধ্যেও শিক্ষার্থীদের পঠন-পাঠন অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যেই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক-এর সূত্রপাত।

২। কোভিড অতিমারির মধ্যে বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পঠন পাঠন বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাধ্যমে প্রতি মাসে মিড-ডে মিল বিতরণ করা হচ্ছে। মিড-ডে মিলের সঙ্গেই অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি। পরের মাসে মিড-ডে মিল সংগ্রহ করার সময় অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের করা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কের উত্তরগুলি মূল্যায়নের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।

৩। মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি মূল্যায়নের মাধ্যমে কাম্য শিখন সামর্থ্য অর্জনের পথে শিক্ষার্থীরা কী কী অন্তরায়ের সম্মুখীন হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকারা তা চিহ্নিত করতে পারবেন ও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

৪। মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি থেকেই বাছাই করে বিভিন্ন শ্রেণির জন্য নির্দিষ্টমানের প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে।

৫। শিক্ষার্থীরা প্রশ্নগুলির উত্তর লিখবে।

৬। শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিদ্যালয়ে বসেই উত্তরপত্রগুলির মূল্যায়ন করবেন।

৭। উত্তরপত্রগুলি মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কাম্য শিখন সামর্থ্য অর্জনে কতটা সফল হলো তা শিক্ষক-শিক্ষিকারা বুঝতে পারবেন।[/su_note]

Join Telegram

Model Activity Compilation Combined Package মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সংকলন

বাংলা
অষ্টম শ্রেণি
পূর্ণমান-৫০

১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :

১.১ বিষয়ে পৃথিবীতে কোনো জাতিই আরবদিগের তুল্য নহে।
(ক) যুদ্ধবিগ্রহ
(খ) দয়াপ্রদর্শন
(গ) বৈরসাধন
(ঘ) আতিথেয়তা
উত্তর :- (ঘ) আতিথেয়তা

১.২ ‘আমার কাছে কীরুপ আচরণ প্রত্যাশা করো? বক্তা হলেন —
(ক) সেলুকস
(খ) সেকেন্দার
(গ) পুরু
(ঘ) চন্দ্রগুপ্ত
উত্তর :- (খ) সেকেন্দার

১.৩ ‘পশ্চিমে কুদরুর তরকারি দিয়ে ঠেকুয়া খায়।’ – টেনিদাকে একথা বলেছে

(ক) হাবুল সেন
(খ) ক্যাবলা
(গ) প্যালা
(ঘ) ভন্টা
উত্তর :- (খ) ক্যাবলা

১.৪ মাইকেল মধুসূদন দত্ত যেই জাহাজ থেকে তাঁর বন্ধু গৌরদাস বসাককে চিঠি লিখেছিলেন, সেটির নাম
(ক) ভাসাই
(খ) সীলোন
(গ) মলটা
(ঘ) টাইটানিক
উত্তর :- (খ) সীলোন

১.৫ কবি মৃদুল দাশগুপ্তের প্রথম কাব্যগ্রন্থ –
(ক) এভাবে কাঁদে না
(খ) সূর্যাস্তে নির্মিত গৃহ
(গ) জলপাই কাঠের এসরাজ
(ঘ) ঝিকিমিকি ঝিরিঝিরি
উত্তর :- (ক) এভাবে কাঁদে না

 

২. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

২.১ ‘মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম’
– কোন প্রসঙ্গে কবি একথা বলেছেন?

উত্তর :- উপরিউক্ত লাইনটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বোঝাপড়া কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

কবি বোঝাতে চেয়েছেন সুপ্রাচীন কাল থেকেই এমন এরকম হয়ে আসছে। এমনই রকম কথার অর্থ হল পৃথিবীর কোন মানুষই সকলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে পারে না, সকলকে ভালোবাসতে পারে না। সে যেমন অন্যের প্রতারণার শিকার হয়ে ওঠে ঠিক তেমনি অন্য কাউকে প্রতারিত করে। তাই ভালো মন্দ যাই

 

২.২ ‘আমা অপেক্ষা আপনকার ঘোরতর বিপক্ষ আর নাই।’ বক্তার একথা বলার কারণ কী?

উত্তর :- উপরিউক্ত লাইনটি ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।

এখানে বক্তার আরবসেনাপতি মুরসেনাপতিকে একথা বলার কারণ হলো গত রাত্রে যখন দুই সেনাপতি পরস্পর পরস্পরের পূর্বপুরুষের বিক্রম বর্ণনা করছিল তখন আরব সেনাপতি জানতে পারেন এই আশ্রয়প্রার্থী মুর সেনাপতি নির্দেশেই তার পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল। ফলে তিনি প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য ইচ্ছা জাগলে ও আশ্রয়প্রার্থী কে তিনি আক্রমণ করতে পারেন না। তাই পরদিন সকালে মুর সেনাপতি কে প্রস্থানের উপযুক্ত ব্যবস্থা করে দিয়ে উপরিউক্ত কথাটি বলেছিলেন।

২.৩ ‘আন্টিগোস! তোমার এই ঔদ্ধত্যের জন্য তোমায় আমার সাম্রাজ্য থেকে নির্বাসিত করলাম। আন্টিগোনস কোন ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে?

উত্তর :- উপরিউক্ত নাইনটি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা চন্দ্রগুপ্ত নাটক থেকে নেওয়া হয়েছে।

গ্রীক সম্রাট সেকেনদারের কাছে অ্যান্টিগোনাস যখন গুপ্তচর সন্দেহে চন্দ্রগুপ্ত কে নিয়ে আসে তখন কথোপকথনের মাধ্যমে জানা যায় গ্রিক সেনাপতিঽসলুকাস সরল বিশ্বাসে চন্দ্রগুপ্ত কে যুদ্ধকৌশল শিক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু এই নিয়ে সেলুকাস ও অ্যান্টিগোনাসের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। এমনকি অ্যান্টিগোনাস সেলুকাসের উপর তরবারিও নিক্ষেপ করেছিল। আর সব ঘটছিল সম্রাট সেকেন্দারের সামনেই। তাই সেকেন্টার অ্যান্টিক নাসির এই কার্যকলাপকে ঔদ্ধত্য বলে মনে করেছিলেন।

২.৪ ‘তোদের মতো উল্লুকের সঙ্গে পিকনিকের আলোচনাও ঝকমারি!’
– কোন কথা প্রসঙ্গে টেনিদা এমন মন্তব্য করেছিল?

উত্তর :- উপরিউক্ত লাইনটি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা বনভোজনের ব্যাপার গল্পটি থেকে নেওয়া হয়েছে।

বনভোজনের জন্য আয়োজিত পিকনিক দলের দলপতি ছিলেন টেনিদা। পিকনিকের মেনু তৈরি করতে গিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছিল পোলাও, ডিমের ডালনা, রুই মাছের কালিয়া, মাংসের কোর্মা, মসলাদার, শামি কাবাব প্রভৃতি সুস্বাদু খাবারের কথা। কিন্তু হঠাৎ করে এই সুস্বাদু মেনুর সঙ্গে কত যোগ দিয়েছিলেন আলুভাজা, সুক্ত বাটি চচ্চড়ি। এতগুলো সুস্বাদু খাবারের মধ্যে হঠাৎ বিষাদ খাবার গুলোর কথা শুনে টেনিদার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল তাই সে প্রশ্নে উল্লেখিত কথাটি বলেছিল।

২.৫ ‘কৌতূহলী দুই চোখ মেলে অবাক দৃষ্টিতে দেখে’ – চড়ুইপাখির চোখে কৌতূহল কেন?

উত্তর :- উপরে উল্লেখিত তারাপদ রায়ের লেখা একটি চড়ুই পাখি কবিতার অংশ।

চড়ুই পাখির চোখে কৌতুহল থাকার অন্যতম কারণ হলো কবির বাড়ির নির্জনতা। সাধারণত প্রত্যেক বাড়িতেই একাধিক মানুষ থাকে একজন বাড়ির বাইরে গেলে অপরজনকে বাড়ি দেখাশোনা করেন। কিন্তু কবির বাড়ি! কবি কল্পনা করেন তিনি চলে গেলে চড়ুইটি ভাবে এই বাড়ি জানালা দরজা টেবিল ফুলদানি বই-খাতা সবই তাঁর হয়ে যাবে।

২.৬ ছেলের কথা শুনেই বুকুর মা-র মাথায় বজ্রঘাত!
– বুকুর কোন্ কথায় তার মা অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পড়লেন?

উত্তর :- আশাপূর্ণা দেবীর ‘কী করে বুঝব’ গল্পে বুকুর মুখে ছেনু মাসিরা এসেছেন শুনে বুকুর মা বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন অসময়ে বাড়িতে লোকের বেড়াতে আসা তিনি পছন্দ করেন না। কিন্তু অতিথিদের সামনে এসে তিনি ভীষণ আনন্দের সঙ্গে তাদের আমন্ত্রণ জানান এবং এতদিন কেন আসেননি তা নিয়ে অভিমান প্রকাশ করেন। মায়ের এই পরিবর্তন দেখে বুকু হঠাৎ সবার সামনে মায়ের সেই বিরূপ মন্তব্যগুলিকে বলতে শুরু করে। বুকুর এই কথাগুলো শুনেই তার মা অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পড়েন।

২.৭ ‘রমেশ অবাক হইয়া কহিল, — ব্যাপার কী?’ উত্তরে চাষিরা কী বলেছিল ?

উত্তর :– উত্তরে চাষীরা বলেছিল একশ বিঘে জমির ধানের মাঠ জলে ডুবে গেল, জল বার করে না দিলে সমস্ত ধান নষ্ট হয়ে যাবে।গাঁয়ে একটা মানুষও খেতে পাবে না।

২.৮ ‘গাছের জীবন মানুষের জীবনের ছায়ামাত্র। লেখকের এমন মন্তব্যের কারণ কী?

উত্তর :- লেখক জগদীশচন্দ্র বসু গাছকে নিবিড়ভাবে ভালোবেসে তাদের জীবনের বিভিন্ন দিকগুলিকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। এর থেকে তাঁর মনে হয়েছে, গাছের বৈশিষ্ট্যগুলি মানুষের মধ্যেকার নানান স্বভাব বৈশিষ্ট্যের অনুরূপ। মানুষের মতো এদের জীবনেও অভাব-অনটন এবং দুঃখকষ্ট আছে তাই কবি বলেছেন ‘গাছের জীবন মানুষের জীবনের ছায়ামাত্র।

২.৯ ‘তবু নেই, সে তো নেই, নেই রে’ – কী না থাকার যন্ত্রণা পক্তিটিতে মর্মরিত হয়ে উঠেছে।

উত্তর :- বুদ্ধদেব বসুর লেখা ‘হাওয়ার গান’ কবিতায় হাওয়াদের কোনো স্থায়ী ঠিকানা সেই অর্থাৎ, তাদের কোন বাড়ি নেই। হাওয়াদের বাড়ি না থাকায় তারা পৃথিবীর সমস্ত জলাশয়, সমুদ্র তীর, গম্ভীর পাহাড়, অসংখ্য বন্দর, শহরের জনবহুল অঞ্চল, বনজঙ্গল, খোলা মাঠ বা তেপান্তর সর্বত্রই ঘুরে বেড়ায়। তাই কবি প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্যটি ব্যাবহার করেছেন।

২.১০ ‘ছন্দহীন বুনো চালতার’ – ‘রুনো চালতা’কে ছন্দহীন বলা হয়েছে কেন?

উত্তর :- আলোচ্য অংশটি জীবনানন্দ দাশ রচিত “পাড়াগাঁর দু পহর ভালোবাসি’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

বুনো চালতাকে ছন্দহীন বলা হয়েছে কারন-বুনো চালতার শাখাগুলো অনেকদিন ধরে জলে নুয়ে পড়ে আছে।

৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো

৩.১ ‘পরবাসী ‘ কবিতায় শেষ চারটি পঙ্ক্তিতে কবির প্রশ্নবাচক বাক্য ব্যবহার করার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তর :- কবি পরবাসী কবিতায় সুন্দর বন, জঙ্গল প্রাকৃতিক পরিবেশের অসাধারণ বর্ণনা করেছেন ঠিক তেমনি শেষের চারটি লাইনে তিনি নিজের মন থেকে একাধিক প্রশ্ন করেছেন। তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রকৃতিকে নিয়ে মানুষের এমন ব্যবহারের জন্য। তিনি প্রশ্ন করেছেন বন-জঙ্গল প্রকৃতি ধ্বংসের বিরুদ্ধে মানুষ রেখে দাঁড়াচ্ছে না কেন? মানুষ কেন চুপ রয়েছে? গাছপালা প্রকৃতির কি কোন মূল্য নেই? তাদের কেন এত নগণ্য মনে করা হয়? মানুষ বাসস্থান নির্মাণের জন্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ধ্বংস করে কিন্তু নিজের বাসভূমি নিজের ঘর করতে পারছে না। তাই কবি এমন প্রশ্ন বাচক বাক্য ব্যবহার করেছেন।

৩.২ ´ আজ সকালে মনে পড়ল একটি গল্প’— গল্পটি বিবৃত করো।

উত্তর :- আলোচ্য অংশটি কবি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নাটরের কথা গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। গল্পটি হল, নাটোরে অনুষ্ঠিত প্রভিনশিয়াল কনফারেন্সে বাংলা ভাষার প্রচলন। লেখক-শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তাঁর কাকা রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্যদের সঙ্গে গিয়েছিলেন বড় নাটোরে। সে এক হৈ হৈ রৈ রৈ ব্যাপার। প্রথমে স্পেশাল ট্রেন ও পরে স্টিমারে করে পদ্মা পেরিয়ে নাটোর।

এই সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি নাটোর-মহারাজ জগদিন্দ্রনাথ। তাঁর ব্যবস্থাপনায় এক রাজকীয় আয়োজন। যেমন- খাওয়াদাওয়া, তেমনই অন্যান্য সব ব্যবস্থা। ১ তারপর যথারীতি শুরু হয় গোলটেবিল বৈঠক এবং বক্তৃতা। ইংরেজিতে যেই বক্তৃতা শুরু হয়, সঙ্গে সঙ্গে ‘বাংলা, বাংলা’ বলে অবনীন্দ্রনাথ ও তাঁর সঙ্গীরা প্রতিবাদ শুরু করেন। এরপর কেউ আর ইংরেজিতে বক্তৃতা করতে পারেননি। এমনকি ইংরেজি দুরস্ত লালমোহন ঘোষও শেষপর্যন্ত বাংলায় বলতে বাধ্য হন। এটি লেখকের মনে রাখার মতোই ঘটনা। এভাবেই কনফারেন্সে বাংলা ভাষা চালু হয়। এ সম্পর্কে লেখক জানান, সেই প্রথম আমরা বাংলা ভাষার জন্য লড়লুম।

৪. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :

৪.১ দল বিশ্লেষণ করে দল চিহ্নিত করো :

ইস্টিশান, বাগুইআটি, দর্শনমাত্র, ক্ষিপ্রহস্ত, অদ্ভুতরকম

উত্তর :- ইস্টিশান: = ইস- টি-শন্ (রুদ্ধ – মুক্ত – রুদ্ধ দল)

বাগুইআটি:= বা-গুই-আ-টি (চারটি মুক্ত দল)

দর্শনমাত্র: =দর শন মাতর (রুদ্ধ দল, রুদ্ধ দল, রুদ্ধ দল, মুক্ত দল)

ক্ষিপ্ৰহস্ত = ক্ষিপ- রোহস ত (রুদ্ধ দল, মুক্ত দল, রুদ্ধ দল, মুক্ত দল)

অদ্ভুতরকম = অদ্ভুত্-র-কম্ (রুদ্ধ- রুদ্ধ- মুক্ত- রুদ্ধ)

৪.২ উদাহরণ দাও:

মধ্যস্বরাগম, স্বরভক্তি, অন্তঃস্থ য়-শ্রুতি, অন্ত্যস্বরলোপ, অন্যোন্য স্বরসংগতি
মধ্যস্বরাগম- রত্ন >রতন

উত্তর :- স্বরভক্তি – ধর্ম > ধরম

অন্তঃস্থ য়-শ্ৰুতি– চা-এর > চায়ের

অন্ত্যস্বরলোপ – আজি > আজ

অন্যোন্য স্বরসংগতি – রামু > রেমো

৫. বন্যার প্রকোপে গ্রামের বহু কৃষিজমি নদীর গ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে নদীর পাড়গুলির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। এ বিষয়ে সংবাদপত্রের সম্পাদকের কাছে একটি চিঠি লেখো।

উত্তর :-

মাননীয় সম্পাদক মহাশয়:

পোঃ______(খালি স্থানে নিজেদের পোস্টঅফিসের নাম)

জেলাঃ_______(খালি স্থানে নিজেদের জেলার নাম)

সবিনয় নিবেদন,
_______(খালি স্থানে নিজেদের জেলার নাম) জেলার______(খালি স্থানে নিজেদের
থানার নাম) থানার অন্তর্গত______(খালি স্থানে নিজেদের গ্রামের নাম) একটি জনবহুল গ্রাম। প্রতিবারের মতো এবারও এই গ্রামটি সর্বনাশা বন্যার মরণ ছোবল থেকে রক্ষা পায়নি। এবারের বন্যা স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। আমাদের গ্রামের পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি সুবিশাল নদী রয়েছে। নদীটির নাম। প্রতিবছর বর্ষাকালে প্রবল বর্ষণের কারণে এই নদী বিশাল ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। নদীর দুই পাড় কাঁচা মাটির নির্মিত। এই কারণে প্রবল জলোচ্ছাসে নদীর জল পাড় ভেঙে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি বন্যার জলের তোড়ে ডুবে গেছে, ভেসে গেছে অসহায় মানুষ, গরু-বাছুর।বন্যার পরবর্তীকালে গ্রামের কৃষিজমিগুলিতে পলি, বালি, কাদা, নুড়ি পাথর জমে কৃষিজমিগুলিকে চাষের অযোগ্য করে তোলে। অতএব, অত্র গ্রামের জনজীবনের বিপর্যস্তের অবস্থা বিবেচনা করে পাকা কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের জন্য আপনার কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ উক্ত বিষয়টির জন্য মাননীয় সেচ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অনেক উপকার হবে।

ধন্যবাদ,

(খালি স্থানে নিজের নাম লিখবে)

[তারিখটা দেবে ডান দিকে]

Join Telegram

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *