5,327 Members Now! 🎉
🔥 Live Job Alerts!
Join Instant Updates →

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Unlock FREE Subject-Wise PDFs Instantly

Join Our Telegram Channel for Daily Updates!

      JOIN NOW ➔

West Bengal Class 10 Bangla Chapter 8 Solution 2025 | পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্ৰেণির বাংলা চ্যাপ্টার ৮ সমাধান | WBBSE Class 10 Bangla Chapter 8 Complete Solution | সিরাজদ্দৌলা প্রশ্ন উত্তর

Chapter 8

সিরাজদ্দৌলা

সিরাজদ্দৌলা নাটকের MCQ (শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত)

নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির মধ্যে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করুন। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য চারটি বিকল্প দেওয়া হয়েছে।

  1. শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের সিরাজদ্দৌলা নাটকটি কোন ধরনের নাটক?
    a) রোমান্টিক নাটক
    b) ঐতিহাসিক নাটক
    c) কৌতুক নাটক
    d) সমকালীন নাটক
    উত্তর: b) ঐতিহাসিক নাটক
  2. নাটকটি কোন ঐতিহাসিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত?
    a) সিপাহী বিদ্রোহ
    b) পলাশীর যুদ্ধ
    c) বক্সারের যুদ্ধ
    d) কলকাতা প্রতিষ্ঠা
    উত্তর: b) পলাশীর যুদ্ধ
  3. সিরাজদ্দৌলা নাটকে প্রধান চরিত্র কে?
    a) রবার্ট ক্লাইভ
    b) মীরজাফর
    c) সিরাজদ্দৌলা
    d) অ্যাডমিরাল ওয়াটসন
    উত্তর: c) সিরাজদ্দৌলা
  4. আলিনগরের সন্ধি কবে স্বাক্ষরিত হয়?
    a) ১৭৫৬
    b) ১৭৫৭
    c) ১৭৫৮
    d) ১৭৫৫
    উত্তর: b) ১৭৫৭
  5. নাটকে ইংরেজরা কোন ফরাসি ঘাঁটি আক্রমণের পরিকল্পনা করে?
    a) পণ্ডিচেরি
    b) চন্দননগর
    c) মাহে
    d) কলকাতা
    উত্তর: b) চন্দননগর
  6. “নবাবের উপর নির্ভর করা অসম্ভব।” এই উক্তিটি কে বলেছেন?
    a) রবার্ট ক্লাইভ
    b) ওয়াটস
    c) মীরজাফর
    d) সিরাজদ্দৌলা
    উত্তর: b) ওয়াটস
  7. “অসম্ভব” শব্দটির সমাস কী?
    a) বহুব্রীহি
    b) নঞতৎপুরুষ
    c) কর্মধারয়
    d) দ্বিগু
    উত্তর: b) নঞতৎপুরুষ
  8. নাটকে সিরাজের পতনের মূল কারণ কী ছিল?
    a) অর্থনৈতিক দুর্বলতা
    b) অভ্যন্তরীণ বিশ্বাসঘাতকতা
    c) ফরাসি সমর্থনের অভাব
    d) সিরাজের অদক্ষতা
    উত্তর: b) অভ্যন্তরীণ বিশ্বাসঘাতকতা
  9. মীরজাফর নাটকে কোন ভূমিকা পালন করেন?
    a) সিরাজের অনুগত সেনাপতি
    b) ইংরেজদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতক
    c) ফরাসি প্রতিনিধি
    d) সিরাজের উপদেষ্টা
    উত্তর: b) ইংরেজদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতক
  10. “চন্দননগর আক্রমণ করা বিচক্ষণ হবে।” এখানে ‘বিচক্ষণ’ শব্দটির সমাস কী?
    a) কর্মধারয়
    b) বহুব্রীহি
    c) ষষ্ঠী তৎপুরুষ
    d) দ্বন্দ্ব
    উত্তর: b) বহুব্রীহি
  11. নাটকে ক্লাইভ কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেন?
    a) ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
    b) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
    c) ব্রিটিশ নৌবাহিনী
    d) বাংলার রাজসভা
    উত্তর: b) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
  12. পলাশীর যুদ্ধ কবে সংঘটিত হয়?
    a) ১৭৫৬
    b) ১৭৫৭
    c) ১৭৫৮
    d) ১৭৫৯
    উত্তর: b) ১৭৫৭
  13. “ইংরেজরা সন্ধি ভঙ্গ করেছে।” এখানে ‘সন্ধিভঙ্গ’ শব্দটির সমাস কী?
    a) নঞতৎপুরুষ
    b) কর্মধারয়
    c) দ্বিগু
    d) বহুব্রীহি
    উত্তর: b) কর্মধারয়
  14. নাটকে সিরাজের স্ত্রীর নাম কী?
    a) আলিবর্দি খান
    b) লুৎফুন্নিসা
    c) ঘসেটি বেগম
    d) রায়দুর্লভ
    উত্তর: b) লুৎফুন্নিসা
  15. নাটকের প্রধান থিম কোনটি?
    a) রোমান্স
    b) ঔপনিবেশিক আগ্রাসন
    c) পারিবারিক দ্বন্দ্ব
    d) ধর্মীয় সংঘাত
    উত্তর: b) ঔপনিবেশিক আগ্রাসন
  16. “নবাব ক্রুদ্ধ হয়েছেন।” এখানে ‘ক্রুদ্ধ’ শব্দটির সমাস কী?
    a) বহুব্রীহি
    b) কর্মধারয়
    c) নঞতৎপুরুষ
    d) দ্বন্দ্ব
    উত্তর: a) বহুব্রীহি
  17. ইংরেজদের নৌবহরের নেতৃত্বে কে ছিলেন?
    a) রবার্ট ক্লাইভ
    b) অ্যাডমিরাল ওয়াটসন
    c) ওয়াটস
    d) মীরজাফর
    উত্তর: b) অ্যাডমিরাল ওয়াটসন
  18. নাটকে চন্দননগর আক্রমণের উদ্দেশ্য কী ছিল?
    a) ফরাসি প্রভাব হ্রাস
    b) কলকাতা রক্ষা
    c) সিরাজের সমর্থন অর্জন
    d) বাণিজ্য সম্প্রসারণ
    উত্তর: a) ফরাসি প্রভাব হ্রাস
  19. “ষড়যন্ত্র” শব্দটির সমাস কী?
    a) কর্মধারয়
    b) দ্বিগু
    c) বহুব্রীহি
    d) ষষ্ঠী তৎপুরুষ
    উত্তর: b) দ্বিগু
  20. নাটকে সিরাজের ট্র্যাজিক ত্রুটি কী ছিল?
    a) অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস
    b) অবিশ্বাস ও ক্রোধ
    c) অর্থনৈতিক অদক্ষতা
    d) সামরিক দুর্বলতা
    উত্তর: b) অবিশ্বাস ও ক্রোধ
  21. ইংরেজরা কোন সন্ধি ভঙ্গ করেছিল?
    a) পলাশীর সন্ধি
    b) আলিনগরের সন্ধি
    c) কলকাতার সন্ধি
    d) চন্দননগরের সন্ধি
    উত্তর: b) আলিনগরের সন্ধি
  22. “নৌবহর” শব্দটির সমাস কী?
    a) ষষ্ঠী তৎপুরুষ
    b) কর্মধারয়
    c) বহুব্রীহি
    d) নঞতৎপুরুষ
    উত্তর: a) ষষ্ঠী তৎপুরুষ
  23. নাটকে রায়দুর্লভ কোন ভূমিকা পালন করেন?
    a) সিরাজের অনুগত উপদেষ্টা
    b) ষড়যন্ত্রকারী সভাসদ
    c) ফরাসি প্রতিনিধি
    d) ইংরেজ সেনাপতি
    উত্তর: b) ষড়যন্ত্রকারী সভাসদ
  24. নাটকটি কোন শৈলীতে রচিত?
    a) রোমান্টিক শৈলী
    b) ট্র্যাজিক শৈলী
    c) কৌতুক শৈলী
    d) প্রহসন শৈলী
    উত্তর: b) ট্র্যাজিক শৈলী
  25. নাটকের উপসংহারে কী ঘটে?
    a) সিরাজের বিজয়
    b) ইংরেজদের পরাজয়
    c) সিরাজের পতন ও ব্রিটিশ আধিপত্য
    d) ফরাসি শাসন প্রতিষ্ঠা
    উত্তর: c) সিরাজের পতন ও ব্রিটিশ আধিপত্য

Very Short Question-Answers (40 Questions)

  1. Question: “নবাবের উপর নির্ভর করা অসম্ভব।” এখানে ‘অসম্ভব’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: অসম্ভব – অ (নয়) সম্ভব (নঞতৎপুরুষ)।
  2. Question: “চন্দননগর আক্রমণ করা বিচক্ষণ হবে।” এখানে ‘বিচক্ষণ’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: বিচক্ষণ – বিশেষভাবে চক্ষু যার (বহুব্রীহি)।
  3. Question: “এটি নবাবের উপর নির্ভর করা অসম্ভব।” এখানে ‘নির্ভর’ শব্দটির অর্থ কী?
    Answer: নির্ভর – ভরসা করা।
  4. Question: “চন্দননগর আক্রমণ করা।” এখানে ‘আক্রমণ’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: আক্রমণ – আগে ক্রমণ করে (কর্মধারয়)।
  5. Question: “নবাবের উপর ভরসা করা অর্থহীন।” এখানে ‘অর্থহীন’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: অর্থহীন – অর্থ নেই যার (নঞবহুব্রীহি)।
  6. Question: “ইংরেজরা সন্ধি ভঙ্গ করেছে।” এখানে ‘সন্ধিভঙ্গ’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: সন্ধিভঙ্গ – সন্ধি ভাঙা (কর্মধারয়)।
  7. Question: “নবাব ক্রুদ্ধ হয়েছেন।” এখানে ‘ক্রুদ্ধ’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: ক্রুদ্ধ – ক্রোধ যার (বহুব্রীহি)।
  8. Question: “ওয়াটস ষড়যন্ত্রের অংশীদার।” এখানে ‘ষড়যন্ত্র’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: ষড়যন্ত্র – ছয়টি যন্ত্রণা (দ্বিগু)।
  9. Question: “ইংরেজরা চন্দননগর আক্রমণের পরিকল্পনা করছে।” এখানে ‘পরিকল্পনা’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: পরিকল্পনা – পরিপূর্ণ কল্পনা (কর্মধারয়)।
  10. Question: “নবাবের রাজসভায় ওয়াটস উপস্থিত।” এখানে ‘রাজসভা’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: রাজসভা – রাজার সভা (ষষ্ঠী তৎপুরুষ)।
  11. Question: “আলিনগরের সন্ধি ভঙ্গ হয়েছে।” এখানে ‘আলিনগর’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: আলিনগর – আলি নামক নগর (ষষ্ঠী তৎপুরুষ)।
  12. Question: “ইংরেজরা নবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করছে।” এখানে ‘যুদ্ধযাত্রা’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: যুদ্ধযাত্রা – যুদ্ধের জন্য যাত্রা (তৃতীয়া তৎপুরুষ)।
  13. Question: “নবাব ক্ষুব্ধ হয়েছেন।” এখানে ‘ক্ষুব্ধ’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: ক্ষুব্ধ – ক্ষোভ যার (বহুব্রীহি)।
  14. Question: “ওয়াটসনের পত্র নবাবের হাতে এসেছে।” এখানে ‘পত্র’ শব্দটির অর্থ কী?
    Answer: পত্র – চিঠি।
  15. Question: “ইংরেজরা নবাবের আদেশ লঙ্ঘন করেছে।” এখানে ‘লঙ্ঘন’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: লঙ্ঘন – লঙ্ঘন করা (কর্মধারয়)।
  16. Question: “চন্দননগর ফরাসি ঘাঁটি।” এখানে ‘ফরাসি’ শব্দটির অর্থ কী?
    Answer: ফরাসি – ফ্রান্সের লোক।
  17. Question: “নবাবের দরবারে ষড়যন্ত্র চলছে।” এখানে ‘দরবার’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: দরবার – দ্বারের সমাবেশ (ষষ্ঠী তৎপুরুষ)।
  18. Question: “ইংরেজরা নবাবকে প্রতারণা করেছে।” এখানে ‘প্রতারণা’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: প্রতারণা – প্রতারণ করা (কর্মধারয়)।
  19. Question: “ওয়াটস নবাবের বিরুদ্ধে সভাসদদের উত্তেজিত করেছে।” এখানে ‘উত্তেজিত’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: উত্তেজিত – তেজ উৎপন্ন হয়েছে যার (বহুব্রীহি)।
  20. Question: “নবাবের শাস্তি কঠোর হবে।” এখানে ‘কঠোর’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: কঠোর – কঠিন ও রূঢ় (দ্বন্দ্ব)।
  21. Question: “ইংরেজরা নৌবহর পাঠাচ্ছে।” এখানে ‘নৌবহর’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: নৌবহর – নৌকার সমষ্টি (ষষ্ঠী তৎপুরুষ)।
  22. Question: “নবাবের রাজ্যে অশান্তি ছড়িয়েছে।” এখানে ‘অশান্তি’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: অশান্তি – শান্তি নেই যার (নঞবহুব্রীহি)।
  23. Question: “ক্লাইভ নবাবের বিরুদ্ধে ছক কষেছেন।” এখানে ‘ছক’ শব্দটির অর্থ কী?
    Answer: ছক – পরিকল্পনা।
  24. Question: “নবাবের সৈন্যবাহিনী প্রস্তুত।” এখানে ‘সৈন্যবাহিনী’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: সৈন্যবাহিনী – সৈন্যদের বাহিনী (ষষ্ঠী তৎপুরুষ)।
  25. Question: “ইংরেজরা নবাবের আস্থা ভঙ্গ করেছে।” এখানে ‘আস্থা’ শব্দটির অর্থ কী?
    Answer: আস্থা – ভরসা।
  26. Question: “ওয়াটসনের নেতৃত্বে যুদ্ধের প্রস্তুতি।” এখানে ‘নেতৃত্ব’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: নেতৃত্ব – নেতার গুণ (কর্মধারয়)।
  27. Question: “নবাবের রাজসভায় উত্তেজনা।” এখানে ‘উত্তেজনা’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: উত্তেজনা – তেজ উৎপন্ন করা (কর্মধারয়)।
  28. Question: “ইংরেজরা নবাবের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।” এখানে ‘অভিযান’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: অভিযান – অভিমুখে যান (কর্মধারয়)।
  29. Question: “নবাবের শাস্তি ন্যায়সঙ্গত।” এখানে ‘ন্যায়সঙ্গত’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: ন্যায়সঙ্গত – ন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত (ষষ্ঠী তৎপুরুষ)।
  30. Question: “ইংরেজরা নবাবের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।” এখানে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: বিশ্বাসঘাতকতা – বিশ্বাসের ঘাতকতা (ষষ্ঠী তৎপুরুষ)।
  31. Question: “নবাবের রাজ্যে ষড়যন্ত্র চলছে।” এখানে ‘রাজ্য’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: রাজ্য – রাজার অধিকার (ষষ্ঠী তৎপুরুষ)।
  32. Question: “ইংরেজরা নবাবের বিরুদ্ধে সৈন্য পাঠাচ্ছে।” এখানে ‘সৈন্য’ শব্দটির অর্থ কী?
    Answer: সৈন্য – সেনা।
  33. Question: “নবাবের দরবারে ওয়াটসের প্রতারণা।” এখানে ‘প্রতারণা’ শব্দটির অর্থ কী?
    Answer: প্রতারণা – ছলনা।
  34. Question: “ইংরেজরা নবাবের সঙ্গে সন্ধি করেছে।” এখানে ‘সন্ধি’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: সন্ধি – সন্ধান করা (কর্মধারয়)।
  35. Question: “নবাবের শাস্তি কঠিন হবে।” এখানে ‘কঠিন’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: কঠিন – কঠোরতা যুক্ত (কর্মধারয়)।
  36. Question: “ইংরেজরা নবাবের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করছে।” এখানে ‘পরিকল্পনা’ শব্দটির অর্থ কী?
    Answer: পরিকল্পনা – ছক।
  37. Question: “নবাবের রাজসভায় ষড়যন্ত্রকারী উপস্থিত।” এখানে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: ষড়যন্ত্রকারী – ষড়যন্ত্র করে যে (উপপদ তৎপুরুষ)।
  38. Question: “ইংরেজরা নবাবের আদেশ অমান্য করেছে।” এখানে ‘অমান্য’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: অমান্য – মান্য নয় (নঞতৎপুরুষ)।
  39. Question: “নবাবের রাজ্যে বিশৃঙ্খলা।” এখানে ‘বিশৃঙ্খলা’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: বিশৃঙ্খলা – শৃঙ্খলা নেই যার (নঞবহুব্রীহি)।
  40. Question: “ইংরেজরা নবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।” এখানে ‘প্রস্তুতি’ শব্দটির সমাস কী?
    Answer: প্রস্তুতি – প্রস্তুত করা (কর্মধারয়)।

Long Question-Answers (15 Questions)

  1. Question: “নবাবের উপর নির্ভর করা অসম্ভব।” এই কথাটি কে, কাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন? এর পেছনের কারণ কী?
    Answer: শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে ইংরেজ প্রতিনিধি ওয়াটস এই কথাটি অ্যাডমিরাল ওয়াটসনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন। এর পেছনে কারণ হলো, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং নবাব সিরাজদ্দৌলার মধ্যে স্বাক্ষরিত আলিনগরের সন্ধি সত্ত্বেও ইংরেজরা নবাবের প্রতি আস্থা হারিয়েছিল। ওয়াটস মনে করতেন, সিরাজের শাসন দুর্বল এবং তাঁর উপর ভরসা করা অর্থহীন। তিনি নবাবের বিরুদ্ধে ফরাসি ঘাঁটি চন্দননগর আক্রমণের পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন, কারণ এটি ইংরেজদের কৌশলগত সুবিধা দেবে। এই মনোভাব ইংরেজদের বিশ্বাসঘাতকতার প্রতিফলন, যারা সন্ধির শর্ত ভঙ্গ করে সিরাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এই ষড়যন্ত্র সিরাজের পতন এবং পলাশীর যুদ্ধের (১৭৫৭) পথ প্রশস্ত করে। (150 words)
  2. Question: “চন্দননগর আক্রমণ করা বিচক্ষণ হবে।” এই উক্তিটির তাৎপর্য কী?
    Answer: এই উক্তিটি ইংরেজ প্রতিনিধি ওয়াটসের, যিনি অ্যাডমিরাল ওয়াটসনকে চন্দননগর আক্রমণের পরামর্শ দিয়েছেন। এর তাৎপর্য হলো, ইংরেজরা ফরাসিদের প্রভাব কমাতে এবং বাংলায় তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য কৌশলগতভাবে ফরাসি ঘাঁটি চন্দননগর দখল করতে চেয়েছিল। চন্দননগর ছিল ফরাসিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও সামরিক কেন্দ্র। এটি দখল করলে ইংরেজরা ফরাসিদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দূর করতে পারত এবং নবাব সিরাজদ্দৌলার শক্তি আরও দুর্বল হতো। এই পরিকল্পনা আলিনগরের সন্ধি ভঙ্গের একটি অংশ ছিল, যা ইংরেজদের বিশ্বাসঘাতকতা প্রকাশ করে। এই আক্রমণ পলাশীর যুদ্ধের পূর্বে ইংরেজদের কৌশলগত সুবিধা নিশ্চিত করে এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে। (150 words)

3. Question: আলিনগরের সন্ধি কী ছিল? ইংরেজরা এটি ভঙ্গ করেছিল কেন?
Answer: আলিনগরের সন্ধি (১৭৫৭) ছিল বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলা এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে একটি চুক্তি, যা কলকাতা পুনরুদ্ধারের পর স্বাক্ষরিত হয়। এই সন্ধি অনুযায়ী, ইংরেজরা নবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না এবং বাণিজ্যের সুবিধা পাবে। কিন্তু ইংরেজরা এটি ভঙ্গ করে কারণ তারা বাংলায় ঔপনিবেশিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। রবার্ট ক্লাইভ এবং অ্যাডমিরাল ওয়াটসন ফরাসি ঘাঁটি চন্দননগর আক্রমণের পরিকল্পনা করে, যা সন্ধির শর্ত লঙ্ঘন করে। তারা মনে করত, সিরাজের শাসন দুর্বল, এবং ফরাসিদের পরাজিত করলে ইংরেজদের কৌশলগত সুবিধা হবে। এই বিশ্বাসঘাতকতা পলাশীর যুদ্ধ (১৭৫৭) এবং সিরাজের পতনের পথ প্রশস্ত করে, যা ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে। (150 words)

4. Question: “ইংরেজরা সন্ধি ভঙ্গ করেছে।” এই উক্তিটি নাটকের কোন প্রেক্ষাপটে বলা হয়েছে?
Answer: শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে এই উক্তিটি নবাব সিরাজদ্দৌলার দরবারে বলা হয়, যখন তিনি জানতে পারেন যে ইংরেজরা আলিনগরের সন্ধির শর্ত লঙ্ঘন করছে। এই প্রেক্ষাপটে, ইংরেজরা ফরাসি ঘাঁটি চন্দননগর আক্রমণের পরিকল্পনা করছে, যা সন্ধির বিরুদ্ধে যায়। সিরাজের উপদেষ্টারা তাঁকে সতর্ক করে যে ইংরেজদের উপর ভরসা করা অসম্ভব। ‘সন্ধিভঙ্গ’ শব্দটি (কর্মধারয় সমাস) ইংরেজদের বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক। এই ঘটনা সিরাজের ক্রোধ এবং অশান্তি বাড়ায়, কারণ তিনি বুঝতে পারেন যে ইংরেজরা তাঁর রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এই প্রেক্ষাপট পলাশীর যুদ্ধের পূর্বে উত্তেজনার সূচনা করে এবং ইংরেজদের ঔপনিবেশিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। (150 words)

5. Question: “ওয়াটস ষড়যন্ত্রের অংশীদার।” এই উক্তিটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য কী?
Answer: এই উক্তিটি ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে ইংরেজ প্রতিনিধি ওয়াটসের ভূমিকাকে তুলে ধরে, যিনি নবাব সিরাজদ্দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। ঐতিহাসিকভাবে, ওয়াটস ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন কর্মকর্তা, যিনি রবার্ট ক্লাইভের সঙ্গে মিলে সিরাজের পতনের পরিকল্পনা করেছিলেন। ‘ষড়যন্ত্র’ শব্দটি (দ্বিগু সমাস) ইংরেজদের গোপন কৌশলের ইঙ্গিত দেয়। ওয়াটস মীরজাফরের মতো নবাবের সভাসদদের প্ররোচিত করে বিশ্বাসঘাতকতায় উৎসাহিত করেন। এই ষড়যন্ত্র চন্দননগর আক্রমণ এবং পলাশীর যুদ্ধে (১৭৫৭) সিরাজের পরাজয়ের মূল কারণ। এই উক্তি ইংরেজদের কূটনৈতিক প্রতারণা এবং ঔপনিবেশিক আগ্রাসনের প্রতিফলন, যা বাংলায় ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। (150 words)

6. Question: চন্দননগর আক্রমণের পরিকল্পনা কেন ইংরেজদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল?
Answer: চন্দননগর আক্রমণের পরিকল্পনা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ এটি ফরাসিদের প্রভাব দূর করতে এবং বাংলায় ইংরেজ আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে। চন্দননগর ছিল ফরাসিদের একটি শক্তিশালী বাণিজ্য ও সামরিক ঘাঁটি। ‘আক্রমণ’ শব্দটি (কর্মধারয় সমাস) ইংরেজদের আগ্রাসী মনোভাব প্রকাশ করে। রবার্ট ক্লাইভ এবং ওয়াটস মনে করতেন, ফরাসিদের পরাজিত করলে নবাব সিরাজদ্দৌলার শক্তি দুর্বল হবে, কারণ তিনি ফরাসিদের সমর্থনের উপর নির্ভর করতেন। এই আক্রমণ আলিনগরের সন্ধি ভঙ্গের অংশ ছিল, যা ইংরেজদের বিশ্বাসঘাতকতা প্রকাশ করে। চন্দননগর দখল (১৭৫৭) পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজদের বিজয়ের পথ প্রশস্ত করে এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে। (150 words)

7. Question: “নবাব ক্রুদ্ধ হয়েছেন।” এই উক্তিটি কোন ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে?
Answer: ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে এই উক্তিটি নবাব সিরাজদ্দৌলার দরবারে বলা হয়, যখন তিনি জানতে পারেন যে ইংরেজরা আলিনগরের সন্ধি ভঙ্গ করে চন্দননগর আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। ‘ক্রুদ্ধ’ শব্দটি (বহুব্রীহি সমাস) সিরাজের তীব্র ক্রোধ প্রকাশ করে। ইংরেজদের বিশ্বাসঘাতকতা এবং তাঁর রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র তাঁকে ক্ষুব্ধ করে। এই ঘটনা তাঁর দরবারে অশান্তি এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করে, কারণ তিনি বুঝতে পারেন যে ইংরেজরা তাঁর শাসনকে দুর্বল করতে চায়। সিরাজের এই ক্রোধ তাঁর সৈন্যবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করার প্রচেষ্টায় প্রতিফলিত হয়, কিন্তু অভ্যন্তরীণ বিশ্বাসঘাতকতা (যেমন মীরজাফরের ষড়যন্ত্র) তাঁর প্রতিরোধকে ব্যর্থ করে। এই প্রেক্ষাপট পলাশীর যুদ্ধের পূর্বের উত্তেজনাকে তুলে ধরে। (150 words)

8. Question: ইংরেজদের বিশ্বাসঘাতকতা নাটকে কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে?
Answer: ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে ইংরেজদের বিশ্বাসঘাতকতা আলিনগরের সন্ধি ভঙ্গ এবং চন্দননগর আক্রমণের পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ শব্দটি (ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস) ইংরেজদের প্রতারণামূলক কৌশল নির্দেশ করে। রবার্ট ক্লাইভ এবং ওয়াটস সন্ধির শর্ত মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েও গোপনে ফরাসি ঘাঁটি আক্রমণের ছক কষেন। তারা নবাবের সভাসদদের, যেমন মীরজাফরকে, প্ররোচিত করে সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়ায়। এই প্রতারণা সিরাজের দরবারে অশান্তি ছড়ায় এবং তাঁর শাসনকে দুর্বল করে। নাটকটি ইংরেজদের কূটনৈতিক ছলনার মাধ্যমে বাংলায় ঔপনিবেশিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া তুলে ধরে, যা পলাশীর যুদ্ধে (১৭৫৭) সিরাজের পতনের মূল কারণ হয়ে ওঠে। (150 words)

9. Question: “ইংরেজরা নৌবহর পাঠাচ্ছে।” এই উক্তিটির কৌশলগত তাৎপর্য কী?
Answer: ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে এই উক্তিটি ইংরেজদের চন্দননগর আক্রমণের প্রস্তুতি নির্দেশ করে। ‘নৌবহর’ শব্দটি (ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস) তাদের নৌশক্তির প্রতীক। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অ্যাডমিরাল ওয়াটসনের নেতৃত্বে নৌবহর পাঠিয়ে ফরাসি ঘাঁটি দখলের পরিকল্পনা করে, যা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই আক্রমণ ফরাসিদের প্রভাব হ্রাস করে এবং নবাব সিরাজদ্দৌলার শক্তিকে দুর্বল করে, কারণ তিনি ফরাসিদের সমর্থনের উপর নির্ভর করতেন। এটি আলিনগরের সন্ধি ভঙ্গের অংশ ছিল, যা ইংরেজদের বিশ্বাসঘাতকতা প্রকাশ করে। নৌবহরের ব্যবহার ইংরেজদের সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং ঔপনিবেশিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা তুলে ধরে, যা পলাশীর যুদ্ধে (১৭৫৭) তাদের বিজয়ের পথ প্রশস্ত করে। (150 words)

10. Question: নবাবের দরবারে ষড়যন্ত্রের ভূমিকা কী ছিল?
Answer: ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে নবাবের দরবারে ষড়যন্ত্র সিরাজের পতনের মূল কারণ হিসেবে চিত্রিত হয়েছে। ‘ষড়যন্ত্র’ শব্দটি (দ্বিগু সমাস) গোপন পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেয়। ইংরেজরা, বিশেষ করে ওয়াটস, মীরজাফরের মতো সভাসদদের প্ররোচিত করে সিরাজের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতায় উৎসাহিত করে। এই ষড়যন্ত্র চন্দননগর আক্রমণ এবং পলাশীর যুদ্ধের (১৭৫৭) প্রেক্ষাপট তৈরি করে। দরবারের অভ্যন্তরীণ বিভেদ এবং বিশ্বাসঘাতকতা সিরাজের শাসনকে দুর্বল করে, কারণ তাঁর সৈন্যবাহিনী এবং উপদেষ্টারা বিভক্ত হয়ে পড়ে। ইংরেজদের কূটনৈতিক প্রতারণা এবং অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের সমন্বয় বাংলায় ব্রিটিশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নাটকটি ঔপনিবেশিক শক্তির কৌশলগত প্রতারণার মাধ্যমে স্থানীয় শাসনের পতন তুলে ধরে। (150 words)

11. Question: “নবাবের শাস্তি কঠোর হবে।” এই উক্তিটি কোন প্রেক্ষাপটে বলা হয়েছে?
Answer: ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে এই উক্তিটি নবাব সিরাজদ্দৌলার দরবারে বলা হয়, যখন তিনি ইংরেজদের সন্ধিভঙ্গ এবং চন্দননগর আক্রমণের পরিকল্পনার কথা জানতে পারেন। ‘কঠোর’ শব্দটি (দ্বন্দ্ব সমাস) সিরাজের কঠিন প্রতিশোধের মনোভাব প্রকাশ করে। তিনি ইংরেজদের বিশ্বাসঘাতকতায় ক্রুদ্ধ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির পরিকল্পনা করেন। এই প্রেক্ষাপটে, সিরাজ তাঁর সৈন্যবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র, যেমন মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতা, তাঁর পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে। এই উক্তি সিরাজের শাসনের শক্তি এবং তার পতনের ট্র্যাজেডি তুলে ধরে, যা পলাশীর যুদ্ধে (১৭৫৭) ইংরেজদের বিজয়ের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। (150 words)

12. Question: ইংরেজদের নেতৃত্বে ক্লাইভ এবং ওয়াটসনের ভূমিকা কী ছিল?
Answer: ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে রবার্ট ক্লাইভ এবং অ্যাডমিরাল ওয়াটসন ইংরেজদের নেতৃত্বে সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিত্রিত। ‘নেতৃত্ব’ শব্দটি (কর্মধারয় সমাস) তাদের কৌশলগত দক্ষতা নির্দেশ করে। ক্লাইভ, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সামরিক নেতা, চন্দননগর আক্রমণ এবং পলাশীর যুদ্ধের (১৭৫৭) পরিকল্পনা করেন। ওয়াটসন, নৌবহরের প্রধান, সামরিক শক্তি প্রয়োগে সহায়তা করেন। তারা আলিনগরের সন্ধি ভঙ্গ করে ফরাসিদের পরাজিত করেন এবং মীরজাফরের মতো সভাসদদের প্ররোচিত করে সিরাজের দরবারে বিশ্বাসঘাতকতা ছড়ান। তাদের কূটনৈতিক প্রতারণা এবং সামরিক কৌশল বাংলায় ব্রিটিশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় সফল হয়, যা সিরাজের পতন এবং ঔপনিবেশিক শাসনের সূচনা করে। (150 words)

13. Question: “নবাবের রাজ্যে অশান্তি ছড়িয়েছে।” এই অশান্তির কারণ কী ছিল?
Answer: ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে এই উক্তিটি নবাব সিরাজদ্দৌলার রাজ্যে ইংরেজদের বিশ্বাসঘাতকতা এবং অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের কারণে সৃষ্ট অশান্তি নির্দেশ করে। ‘অশান্তি’ শব্দটি (নঞবহুব্রীহি সমাস) শান্তির অভাব প্রকাশ করে। ইংরেজরা আলিনগরের সন্ধি ভঙ্গ করে চন্দননগর আক্রমণের পরিকল্পনা করে, যা সিরাজের ক্রোধ জাগায়। একই সঙ্গে, মীরজাফরের মতো সভাসদদের বিশ্বাসঘাতকতা দরবারে বিভেদ সৃষ্টি করে। এই অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক চাপ সিরাজের শাসনকে দুর্বল করে। ইংরেজদের কূটনৈতিক প্রতারণা এবং সামরিক আগ্রাসন রাজ্যে উত্তেজনা ছড়ায়, যা পলাশীর যুদ্ধে (১৭৫৭) সিরাজের পরাজয়ের পথ প্রশস্ত করে। নাটকটি ঔপনিবেশিক শক্তির কৌশলগত হস্তক্ষেপে স্থানীয় শাসনের পতন তুলে ধরে। (150 words)

14. Question: পলাশীর যুদ্ধের পূর্বে ইংরেজদের কৌশল কী ছিল?
Answer: ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে পলাশীর যুদ্ধের (১৭৫৭) পূর্বে ইংরেজদের কৌশল ছিল কূটনৈতিক প্রতারণা এবং সামরিক প্রস্তুতির সমন্বয়। ‘পরিকল্পনা’ শব্দটি (কর্মধারয় সমাস) তাদের ছক নির্দেশ করে। রবার্ট ক্লাইভ এবং ওয়াটস আলিনগরের সন্ধি ভঙ্গ করে ফরাসি ঘাঁটি চন্দননগর আক্রমণ করে, যা সিরাজের শক্তি দুর্বল করে। তারা মীরজাফরের মতো নবাবের সভাসদদের প্ররোচিত করে বিশ্বাসঘাতকতায় উৎসাহিত করে। নৌবহর এবং সৈন্যবাহিনী প্রেরণের মাধ্যমে তারা সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করে। এই কৌশল সিরাজের দরবারে অশান্তি ছড়ায় এবং তাঁর সৈন্যদের মনোবল ভাঙে। ইংরেজদের এই কৌশলগত পদক্ষেপ বাংলায় ব্রিটিশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় সফল হয়, যা সিরাজের পতন এবং ঔপনিবেশিক শাসনের সূচনা করে। (150 words)

15. Question: ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে ইংরেজদের বিজয়ের মূল কারণ কী ছিল?
Answer: শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে ইংরেজদের বিজয়ের মূল কারণ ছিল তাদের কূটনৈতিক প্রতারণা, সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের সমন্বয়। ‘ষড়যন্ত্র’ শব্দটি (দ্বিগু সমাস) তাদের গোপন পরিকল্পনা নির্দেশ করে। রবার্ট ক্লাইভ এবং ওয়াটস আলিনগরের সন্ধি ভঙ্গ করে চন্দননগর আক্রমণ করে ফরাসিদের শক্তি হ্রাস করে। তারা মীরজাফরের মতো সভাসদদের প্ররোচিত করে সিরাজের দরবারে বিশ্বাসঘাতকতা ছড়ায়। নৌবহর এবং সৈন্যবাহিনীর সাহায্যে তারা সামরিক সুবিধা অর্জন করে। সিরাজের অভ্যন্তরীণ বিভেদ এবং দুর্বল নেতৃত্ব তাঁর প্রতিরোধকে ব্যর্থ করে। এই কৌশলগত পদক্ষেপ পলাশীর যুদ্ধে (১৭৫৭) ইংরেজদের বিজয় নিশ্চিত করে, যা বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে। (150 words)

সিরাজদ্দৌলা নাটকের নোট (শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত)

পটভূমি

শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের সিরাজদ্দৌলা (১৯৩৮) একটি ঐতিহাসিক নাটক, যা বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলার জীবন ও পতনের ট্র্যাজেডি তুলে ধরে। এটি ১৮শ শতকের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আগ্রাসন এবং অভ্যন্তরীণ বিশ্বাসঘাতকতার প্রেক্ষাপটে রচিত। নাটকটি পলাশীর যুদ্ধ (১৭৫৭) এবং তার পূর্ববর্তী ঘটনাবলী, যেমন আলিনগরের সন্ধি ও চন্দননগর আক্রমণ, কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এটি বাংলা সাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ও সামাজিক নাটক।

বিষয়বস্তু ও থিম

  • ঔপনিবেশিক আগ্রাসন: নাটকটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কূটনৈতিক প্রতারণা ও সামরিক শক্তির মাধ্যমে বাংলার স্বাধীনতা হরণের চিত্র তুলে ধরে।
  • বিশ্বাসঘাতকতা: মীরজাফর, রায়দুর্লভ প্রমুখ সভাসদদের বিশ্বাসঘাতকতা সিরাজের পতনের মূল কারণ হিসেবে চিত্রিত।
  • ট্র্যাজেডি: সিরাজের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, ক্রোধ এবং অবিশ্বাসের মধ্যে তাঁর পতন একটি ট্র্যাজিক নায়কের গল্প।
  • দেশপ্রেম: সিরাজের স্বাধীনতা রক্ষার প্রচেষ্টা বাঙালির দেশপ্রেমের প্রতীক।

প্রধান চরিত্র

  1. সিরাজদ্দৌলা: বাংলার নবাব, সাহসী কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাবে দুর্বল। তাঁর ক্রোধ ও অবিশ্বাস তাঁর পতন ডেকে আনে।
  2. মীরজাফর: সিরাজের সেনাপতি, ইংরেজদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে বিশ্বাসঘাতকতা করে।
  3. রবার্ট ক্লাইভ: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নেতা, কূটনৈতিক ও সামরিক কৌশলের মাধ্যমে সিরাজের পতন ঘটায়।
  4. অ্যাডমিরাল ওয়াটসন: ইংরেজ নৌবহরের প্রধান, চন্দননগর আক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  5. রায়দুর্লভ: সিরাজের উপদেষ্টা, ষড়যন্ত্রে জড়িত।
  6. লুৎফুন্নিসা: সিরাজের স্ত্রী, তাঁর প্রতি অনুগত, তাঁর ট্র্যাজেডির সাক্ষী।

কাহিনীর সারাংশ

নাটকটি সিরাজদ্দৌলার শাসনকালে ইংরেজদের সঙ্গে সংঘাতের প্রেক্ষাপটে শুরু হয়। কলকাতা দখলের পর সিরাজ ও ইংরেজদের মধ্যে আলিনগরের সন্ধি (১৭৫৭) স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু ইংরেজরা, ক্লাইভ ও ওয়াটসনের নেতৃত্বে, সন্ধি ভঙ্গ করে ফরাসি ঘাঁটি চন্দননগর আক্রমণের পরিকল্পনা করে। তারা মীরজাফর ও রায়দুর্লভকে প্ররোচিত করে সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়ায়। সিরাজ ইংরেজদের বিশ্বাসঘাতকতায় ক্রুদ্ধ হয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন, কিন্তু অভ্যন্তরীণ বিশ্বাসঘাতকতার কারণে পলাশীর যুদ্ধে (১৭৫৭) পরাজিত হন। নাটকটি সিরাজের পতন ও ব্রিটিশ আধিপত্যের সূচনার মাধ্যমে শেষ হয়।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

  • আলিনগরের সন্ধি (১৭৫৭): সিরাজ ও ইংরেজদের মধ্যে শান্তিচুক্তি, যা ইংরেজরা ভঙ্গ করে।
  • চন্দননগর আক্রমণ (১৭৫৭): ইংরেজরা ফরাসিদের পরাজিত করে সিরাজের শক্তি দুর্বল করে।
  • পলাশীর যুদ্ধ (১৭৫৭): মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় সিরাজ পরাজিত হন, যা বাংলায় ব্রিটিশ শাসনের সূচনা করে।

গুরুত্বপূর্ণ উক্তি ও সমাস বিশ্লেষণ

  1. উক্তি: “নবাবের উপর নির্ভর করা অসম্ভব।”
    • সমাস: অসম্ভব – অ (নয়) সম্ভব (নঞতৎপুরুষ)।
    • তাৎপর্য: ওয়াটসের এই উক্তি ইংরেজদের অবিশ্বাস ও সন্ধিভঙ্গের মনোভাব প্রকাশ করে।
  2. উক্তি: “চন্দননগর আক্রমণ করা বিচক্ষণ হবে।”
    • সমাস: বিচক্ষণ – বিশেষভাবে চক্ষু যার (বহুব্রীহি)।
    • তাৎপর্য: চন্দননগর আক্রমণের কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরে।
  3. উক্তি: “ইংরেজরা সন্ধি ভঙ্গ করেছে।”
    • সমাস: সন্ধিভঙ্গ – সন্ধি ভাঙা (কর্মধারয়)।
    • তাৎপর্য: ইংরেজদের বিশ্বাসঘাতকতা সিরাজের ক্রোধের কারণ।

নাটকের শৈলী ও ভাষা

  • শৈলী: নাটকটি ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে নাটকীয় উপাদান মিশিয়ে ট্র্যাজেডি হিসেবে উপস্থাপিত। সংলাপে আবেগ ও উত্তেজনা প্রকাশ পায়।
  • ভাষা: সাহিত্যিক বাংলা, সমাসযুক্ত শব্দ এবং সময়োপযোগী ঐতিহাসিক শব্দ ব্যবহৃত। উদাহরণ: ‘ষড়যন্ত্র’ (দ্বিগু), ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ (ষষ্ঠী তৎপুরুষ)।

ছাত্রদের জন্য পরীক্ষার টিপস

  1. মূল ঘটনা মনে রাখুন: আলিনগরের সন্ধি, চন্দননগর আক্রমণ, পলাশীর যুদ্ধ এবং মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতা।
  2. চরিত্র বিশ্লেষণ: সিরাজের ট্র্যাজিক ত্রুটি (অবিশ্বাস, ক্রোধ), ক্লাইভের কূটনৈতিক কৌশল এবং মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার ভূমিকা বুঝুন।
  3. উক্তি মুখস্থ করুন: গুরুত্বপূর্ণ উক্তি ও তাদের সমাস বিশ্লেষণ পরীক্ষায় সাহায্য করবে।
  4. থিম ব্যাখ্যা: ঔপনিবেশিকতা, বিশ্বাসঘাতকতা ও দেশপ্রেমের উপর লিখতে প্রস্তুত থাকুন।
  5. ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: নাটকের ঘটনাগুলোর ঐতিহাসিক তাৎপর্য বুঝে লিখুন।

উপসংহার

সিরাজদ্দৌলা নাটকটি বাংলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের নাটকীয় উপস্থাপন। এটি শুধু সিরাজের ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডিই নয়, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের শুরুর চিত্রও তুলে ধরে। ছাত্ররা এই নোটের মাধ্যমে নাটকের কাহিনী, চরিত্র, ভাষা ও ঐতিহাসিক তাৎপর্য সহজে বুঝতে পারবে এবং পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হবে।

Leave a Comment

Recent Posts

See All →