কাজী নজরুল ইসলামের “এই” কবিতা বিপ্লবী ও আধ্যাত্মিক চেতনার একটি শক্তিশালী রচনা। এটি জীবনের দ্বন্দ্ব, আশা ও মুক্তির স্বপ্ন প্রকাশ করে। পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
20টি MCQ
- কবিতায় “এই” শব্দটি কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে?
a) বিস্ময় প্রকাশে
b) প্রশ্নের উত্তরে
c) বর্ণনায়
d) আদেশে
উত্তর: a - “জ্বালা তুহিন নামকটি” কথাটি কী নির্দেশ করে?
a) একটি পাহাড়
b) দুটি বিপরীত গুণ
c) একটি নদী
d) একটি ফুল
উত্তর: b - কবিতায় “কল্পতরু” শব্দটির অর্থ কী?
a) স্বপ্নের গাছ
b) পবিত্র গাছ
c) ফলের গাছ
d) কল্পনার ফল
উত্তর: a - কবিতার প্রথম স্তরে কোন বিষয়ের উল্লেখ আছে?
a) মায়ের কান্না
b) সিংহবাহিনী
c) স্বপ্ন
d) কেকের দোলায় গাছের গান
উত্তর: d - “সিংহবাহিনী” কোন দেবীকে নির্দেশ করে?
a) লক্ষ্মী
b) দুর্গা
c) কালী
d) সরস্বতী
উত্তর: b - কবিতায় “তুহিন” শব্দটির অর্থ কী?
a) আগুন
b) ঠান্ডা বা বরফ
c) আলো
d) অন্ধকার
উত্তর: b - কবিতার কোন স্তরে “মায়ের কান্না” উল্লেখিত হয়েছে?
a) প্রথম
b) দ্বিতীয়
c) তৃতীয়
d) চতুর্থ
উত্তর: d - কবিতায় “জ্বালা” এবং “তুহিন” শব্দ দুটি কী প্রকাশ করে?
a) প্রকৃতির সৌন্দর্য
b) দুটি বিপরীত ভাব
c) মানুষের আবেগ
d) দেবীর ক্ষমতা
উত্তর: b - কবিতার শেষ স্তরে কোন বিষয়টি প্রকাশ পায়?
a) স্বপ্ন
b) মায়ের কান্না
c) জ্বালা তুহিন
d) কল্পতরু ফল
উত্তর: a - কবিতায় “মা” শব্দটি কতবার ব্যবহৃত হয়েছে?
a) ১ বার
b) ২ বার
c) ৩ বার
d) ৪ বার
উত্তর: b - “বাজিলে রবির বিজলী” কথাটি কোন স্তরে আছে?
a) প্রথম
b) দ্বিতীয়
c) তৃতীয়
d) চতুর্থ
উত্তর: b - কবিতার কোন লাইনে “কেকের দোলায়” কথাটি আছে?
a) প্রথম স্তরে
b) দ্বিতীয় স্তরে
c) তৃতীয় স্তরে
d) চতুর্থ স্তরে
উত্তর: a - কবিতায় “এই” শব্দটি কীভাবে কবির আবেগ প্রকাশ করে?
a) আনন্দের মাধ্যমে
b) বিস্ময় ও প্রশ্নের মাধ্যমে
c) দুঃখের মাধ্যমে
d) ক্রোধের মাধ্যমে
উত্তর: b - “কল্পতরু ফল” কথাটি কী নির্দেশ করে?
a) স্বপ্ন পূরণের প্রতীক
b) ফলের গাছ
c) মায়ের আশা
d) প্রকৃতির উপহার
উত্তর: a - কবিতার কোন স্তরে “স্বপ্ন” শব্দটি এসেছে?
a) প্রথম
b) দ্বিতীয়
c) তৃতীয়
d) চতুর্থ
উত্তর: d - কবিতায় “এই সিংহবাহিনী” কথাটি কোন স্তরে আছে?
a) প্রথম
b) দ্বিতীয়
c) তৃতীয়
d) চতুর্থ
উত্তর: d - কবিতার ভাব কী ধরনের?
a) রোমান্টিক
b) আধ্যাত্মিক ও প্রশ্নমূলক
c) দেশাত্মবোধক
d) হাস্যরসাত্মক
উত্তর: b - কবিতায় “বাজিলে রবির বিজলী” কথাটি কী প্রকাশ করে?
a) প্রকৃতির শক্তি
b) দেবীর ক্ষমতা
c) মানুষের ভয়
d) স্বপ্নের রূপ
উত্তর: a - কবিতার কোন স্তরে “জ্বালা তুহিন” এর উল্লেখ আছে?
a) প্রথম
b) দ্বিতীয়
c) তৃতীয়
d) চতুর্থ
উত্তর: c - কবিতার শেষে কবি কী নিয়ে প্রশ্ন করেছেন?
a) জ্বালা তুহিন
b) কল্পতরু ফল
c) সিংহবাহিনী
d) স্বপ্ন
উত্তর: d
এই MCQ গুলো কবিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যা পরীক্ষার জন্য সাহায্যকর হবে।
16টি অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নাবলি
১. “সপ্ত মহাসিন্ধু দোলে/কপোলতলে”-কার কপোলতলে সপ্ত মহাসিন্ধু দুলে ওঠে?
উত্তর: দেবাদিদেব মহাদেবের কপোলতলে, তাঁর চোখের জল থেকে।
২. “কেকের দোলায় গাছের গান” কোন স্তরে আছে?
উত্তর: কবিতার প্রথম স্তরে উল্লেখিত।
৩. “জ্বালা তুহিন নামকটি” কী বোঝায়?
উত্তর: আগুন ও বরফের বিপরীত গুণের সমন্বয়।
৪. “কল্পতরু” শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: স্বপ্ন ও কল্পনার গাছ নির্দেশ করে।
৫. “সিংহবাহিনী” কোন দেবী?
উত্তর: দেবী দুর্গা নির্দেশ করে।
৬. “মায়ের কান্না” কোন স্তরে আছে?
উত্তর: কবিতার চতুর্থ স্তরে উল্লেখ।
৭. “বাজিলে রবির বিজলী” কী প্রকাশ করে?
উত্তর: প্রকৃতির শক্তি ও উজ্জ্বলতা প্রকাশ।
৮. কবিতায় “এই” শব্দের ভূমিকা কী?
উত্তর: বিস্ময় ও প্রশ্ন প্রকাশে ব্যবহৃত।
৯. “এই কল্পতরু ফল” কী নির্দেশ করে?
উত্তর: স্বপ্ন পূরণের প্রতীক হিসেবে।
১০. কবিতার শেষ স্তরে কী আছে?
উত্তর: “এই স্বপ্ন” নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন।
১১. “জ্বালা” শব্দটি কোন স্তরে?
উত্তর: তৃতীয় স্তরে উল্লেখিত।
১২. “তুহিন” শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ঠান্ডা বা বরফ নির্দেশ করে।
১৩. কবিতার ভাব কী ধরনের?
উত্তর: আধ্যাত্মিক ও প্রশ্নমূলক ভাব।
১৪. “এই সিংহবাহিনী” কোন স্তরে?
উত্তর: চতুর্থ স্তরে উল্লেখ।
১৫. “সপ্ত মহাসিন্ধু” কতটি সমুদ্র?
উত্তর: সাতটি সমুদ্র নির্দেশ করে।
১৬. কবিতায় “মা” শব্দ কতবার?
উত্তর: দু’বার ব্যবহৃত হয়েছে।
বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর
১. “জ্বালা তুহিন নামকটি” কথাটির অর্থ ও ‘এই’ কবিতার পরিপ্রেক্ষিতে এর তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: “জ্বালা তুহিন নামকটি” অর্থ আগুন ও বরফের সমন্বয়, যা বিপরীত গুণের প্রতীক। কাজী নজরুল ইসলামের ‘এই’ কবিতায় এটি জীবনের দ্বন্দ্ব ও সংঘাতকে চিত্রিত করে। কবি প্রশ্নের মাধ্যমে এই বিরোধের মধ্যে একটি গভীর দার্শনিক চিন্তা প্রকাশ করেন। জ্বালা ও তুহিনের মিলন প্রকৃতির শক্তি ও মানবজীবনের কঠিন পরীক্ষাকে নির্দেশ করে। এটি মুক্তির সংগ্রাম ও পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে কবির আশা ও ভাবনাকে প্রকাশ করে। ভাঙন ও সৃষ্টির মধ্যকার সমন্বয় এই কথায় প্রতিফলিত, যা কবির বিপ্লবী চেতনার পরিচয় দেয়।
২. “এই কল্পতরু ফল” কথাটির মাধ্যমে কবি কী বার্তা প্রচার করতে চেয়েছেন?
উত্তর: “এই কল্পতরু ফল” কল্পনার গাছ থেকে ফল, যা স্বপ্ন পূরণের প্রতীক। কবি এর মাধ্যমে মানুষের আশা ও আদর্শের বিকাশের বার্তা দেন। ‘এই’ কবিতায় এটি নতুন সমাজ ও সংস্কৃতির সূচনাকে নির্দেশ করে। কবি প্রশ্নের মাধ্যমে পাঠককে চিন্তা করতে উৎসাহিত করেন, যে স্বপ্ন কীভাবে বাস্তবায়িত হবে। এটি বিপ্লবী চেতনা ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বয় প্রকাশ করে, যা মানবজীবনে শক্তি ও আলোর সংযোগ স্থাপন করে।
৩. “এই সিংহবাহিনী” কথাটির মাধ্যমে কবি কী চিত্র তুলে ধরেছেন?
উত্তর: “এই সিংহবাহিনী” দেবী দুর্গাকে নির্দেশ করে, যিনি শক্তি ও সাহসের প্রতীক। কবি এর মাধ্যমে অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের আহ্বান জানান। ‘এই’ কবিতায় এটি মুক্তির সংগ্রামে দেবীশক্তির প্রভাব প্রকাশ করে। কবি এই চিত্রের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য ও সাহসকে উজ্জ্বল করে তুলেন। সিংহবাহিনী ভয়ংকর হলেও মায়ের মমত্ব প্রকাশ করে, যা কবির বিশ্বাস ও আশার প্রতিফলন।
৪. “এই স্বপ্ন” কথাটির শেষ প্রশ্নের মাধ্যমে কবি কী স্থাপন করতে চেয়েছেন?
উত্তর: “এই স্বপ্ন” শেষ প্রশ্নে কবি মানবজীবনের আদর্শ ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চিন্তা উদ্রেক করেন। ‘এই’ কবিতায় এটি নতুন দিনের স্বপ্ন ও পরিবর্তনের প্রতীক। কবি পাঠককে প্রশ্ন করে সেই স্বপ্ন রক্ষা ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব বোঝান। এটি বিপ্লবী চেতনা ও আশার সমন্বয়, যা সমাজের উন্নতির দিকে নির্দেশ করে।
৫. “মায়ের কান্না” কথাটি কবিতার কোন দিক প্রকাশ করে?
উত্তর: “মায়ের কান্না” কবিতায় মাতৃভূমির যন্ত্রণা ও কষ্টের প্রতীক। ‘এই’ কবিতায় এটি জাতির দুঃখ ও সংগ্রামের প্রতিফলন। কবি মায়ের কান্নার মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য আত্মবলিদানের আহ্বান জানান। এটি আবেগময় ভাবে জাতীয়তাবোধ ও মায়ের প্রতি ভক্তি প্রকাশ করে। কবির এই চিত্রে শক্তি ও কোমলতার সমন্বয় দেখা যায়।
নোট: কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা “এই” সম্পর্কে
পরিচিতি:
কাজী নজরুল ইসলামের “এই” কবিতা তাঁর বিপ্লবী ও আধ্যাত্মিক চেতনার একটি উজ্জ্বল প্রমাণ। এটি চারটি স্তরে বিভক্ত, যেখানে “এই” শব্দটি বারবার ব্যবহৃত হয়ে বিস্ময় ও প্রশ্নের ভাব সৃষ্টি করে।
বিষয়বস্তু:
কবিতায় প্রকৃতির শক্তি (“কেকের দোলায় গাছের গান”), জীবনের দ্বন্দ্ব (“জ্বালা তুহিন”), আশা ও কল্পনা (“কল্পতরু ফল”), এবং মাতৃভূমি ও দেবীশক্তি (“সিংহবাহিনী”, “মায়ের কান্না”) প্রকাশ পায়। শেষে “এই স্বপ্ন” নিয়ে প্রশ্ন মানবজীবনের ভবিষ্যৎ ও দায়িত্বের দিকে ইঙ্গিত করে।
ভাব ও শৈলী:
কবিতার ভাব আধ্যাত্মিক, প্রশ্নমূলক ও বিপ্লবী। নজরুলের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও জাতীয়তাবোধ এখানে প্রকট। ভাষা সরল এবং প্রতীকবহুল, যা পাঠকের চিন্তা উদ্রেক করে।
গুরুত্বপূর্ণ বিন্দু:
- “এই” শব্দটি কবিতার কেন্দ্রীয় প্রতীক।
- প্রতিটি স্তরে নতুন চিন্তা ও প্রশ্ন উপস্থাপন।
- মাতৃভূমি ও মুক্তির প্রতি ভক্তি প্রকাশ।
পরীক্ষার জন্য পরামর্শ:
- কবিতার স্তরভিত্তিক বিষয়বস্তু মনে রাখো।
- প্রতীকগুলো (জ্বালা তুহিন, কল্পতরু) অর্থসহ মনে করো।
- প্রশ্ন, MCQ ও রচনার জন্য প্রস্তুত থাকো।
এই নোট সহজভাবে বোঝা যায়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী।