মওলানা তারিক জামিল আর জুনাইদ জামশেদ যখন হজ্জ – এ যাচ্ছিলেন তখন শুনলেন যে আমির খানও ওর মা – কে নিয়ে হজ্জে আসছেন,
মওলানা তারিক জামিল ভাবছেন কীভাবে দেখা করা যায় কীভাবে দাউদ দেয়া যাবে এ নিয়ে গম্ভীর হলেন! তারপর পাকিস্তানের ক্রিকেটের সাহিদ আফ্রিদি কে ফোন করে বললেন আমার সাথে সাক্ষাৎ করাতে, সাহিদ আফ্রিদি আমির খানকে ফোন করে বললেন যে পাকিস্তানের ফেমাস ইসলামিক স্কলার অ্যান্ড বক্তা আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই, উত্তরে আমির বললেন ঠিক আছে ত্রিশ মিনিটের জন্য সাক্ষ্যত করবে। তারপর যখন মওলানা তারিক জামিল আমির খানের সঙ্গে মক্কার এক হোটেল দেখা করতে যাই তখন দেখলেন আমির খান খুব ভয় এবং গম্ভীর হয়ে বসে ছিলেন!
ভাবছেন যে মওলানা আসছেন এখনই কি বলে ফেলবেন হালাল হারাম এগুলো আপনি কি করছেন এইসব মুভিতে কাজ করা বন্ধ করুন, এই রকম চিন্তা চলছিল আমিরের!
তারপর তারিক জামিল হটাৎ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আলোচনা করতে লাগলেন যে আপনার মুভি কেমন চলছে? বর্তমান মুভির অবস্থা কেমন?
তারপর আলোচনা হতে হতে তারিক ১৯৬২ – ১৯৭২ সাল পর্যন্ত যতটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে জানতেন কখনো দীলিপ কুমার, কখনো মদন মোহন, যত জানতেন সব বলতে লাগলেন। এসব কথাশুনে আমির খান অবাক! আমির ভাবছে মওলানা হয়ে এত কি করে জানেন।
তারপর সময় ৩০ মিনিট শেষ ঘণ্টারদিকে চলে এলো তাও আমির খান উঠে যায়নি পরেরদিন আবার আমির খান মিটিং করার কথা বললেন।
এগুলো সব বিনয় কারণ মওলানা তারিক জামিল যদি তখন হালাল হারাম নিয়ে কথা বলেনি কারণ এই গুলোতে ভালবাসা হারিয়ে যায়।
তারপর আমির খানের মেসেজ এলো তারিক জামিলের কাছে যে তালাশ মুভি আসছে তার জন্য দুআ করতে। তারিক জামিল অবাক যে কি বলে দিলেন দুআ করতে হবে আবার জবাবও দিতে হবে এই নিয়ে সারাদিন ভেবে একটা জবাব দিলেন
যে ক্রিয়েটিভ মানুষ অর্থাৎ যে আপনি একটা
ক্রিটার আপনার সঙ্গে কথা বলে দেখলাম আপনার একটা সুন্দর জেহান আছে আর
ক্রিয়েটিভ মানুষ কাজের জন্য কোনোদিন উমিদ রাখে না অর্থাৎ হার জিত দেখে না তারা শুধু কাজ করে যাই।
আমির উত্তরে বললেন জি জি ঠিক।
তারিক কে দুআ করতে হলো না আর জবাবও সুন্দর দিয়ে দিলেন।