WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ভারতের জাতীয় মহাফেজখানা জনক কে



ভারতের জাতীয় মহাফেজখানার জনক হলেন স্যার সৈয়দ আহমদ খান

স্যার সৈয়দ আহমদ খান (১৮১৭-১৮৯৮) একজন প্রখ্যাত ভারতীয় শিক্ষাবিদ, সংস্কারক এবং রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ১৮৬১ সালে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সমীক্ষণের (Archaeological Survey of India) প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে ভারতের জাতীয় মহাফেজখানার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

তাঁর এই উদ্যোগের ফলে ভারতের ঐতিহাসিক দলিলপত্র, হস্তলিপি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য একটি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। এই কারণে তাঁকে ভারতের জাতীয় মহাফেজখানার জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।



স্যার সৈয়দ আহমদ খান এবং ভারতের জাতীয় মহাফেজখানা সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য:

  1. প্রতিষ্ঠা: ভারতের জাতীয় মহাফেজখানা আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৩৭ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৫০ সালে এটি দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়।
  2. স্যার সৈয়দ আহমদ খানের অবদান: তিনি শুধু Archaeological Survey of India প্রতিষ্ঠা করেননি, বরং ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করেন।
  3. সংগ্রহ: বর্তমানে জাতীয় মহাফেজখানায় প্রায় ৫০ লক্ষেরও বেশি নথি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মুঘল আমলের ফরমান, ব্রিটিশ ভারতের সরকারি কাগজপত্র, এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের দলিল।
  4. গুরুত্ব: এটি শুধু ঐতিহাসিক দলিলপত্র সংরক্ষণ করে না, বরং গবেষকদের জন্য এগুলি অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করে।
  5. ডিজিটাইজেশন: বর্তমানে জাতীয় মহাফেজখানা তার সংগ্রহের ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে এগুলি আরও সহজে প্রাপ্য ও সংরক্ষিত থাকে।
  6. শাখা: প্রধান কার্যালয় ছাড়াও, ভারতের বিভিন্ন শহরে জাতীয় মহাফেজখানার শাখা রয়েছে।
  7. জনসাধারণের প্রবেশাধিকার: সাধারণ মানুষ এখানে যেতে পারেন এবং ঐতিহাসিক দলিলপত্র দেখতে পারেন, তবে কিছু বিশেষ নথি দেখার জন্য অনুমতি প্রয়োজন।

About the Author

Aftab Rahaman

AFTAB RAHAMAN

I am Aftab Rahaman, the founder of KaliKolom.com. For over 10 years, I have been writing simple and informative articles on current affairs, history, and competitive exam preparation for students. My goal is not just studying, but making the process of learning enjoyable. I hope my writing inspires you on your journey to knowledge.

📌 Follow me: