নারী ইতিহাস কি
প্রচলিত পুরুষকেন্দ্রিক ইতিহাসের সংশোধন ঘটিয়ে সমাজ ও সভ্যতার ইতিহাসে নারীর অবদান ও ভূমিকার পুনর্মূল্যায়ন সংক্রান্ত ইতিহাসচর্চাই হল নারী-ইতিহাস। এই ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য হল
1) প্রথমদিকে প্রভাবশালী নারীদের সম্পর্কে ইতিহাসচর্চা করা হলেও বর্তমানে সাধারণ নারীরাও এর অন্তর্গত।
2) সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও রাজনীতিতে নারীর ভূমিকা ও অংশগ্রহণকে চিহ্নিত করাই এই ইতিহাসের প্রধানতম দিক।
3) নারী-ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত গবেষকরা হলেন—মেরি ওলস্টনস্ক্রাফট, সিমোন দ্য বোভোয়ার, জি লার্নের, বারবারা কান, স্টিভেন মিনজ, লুই এ টিল্লি, জেরাল্ডিন ফরবেশ, শমিতা সেন, নীরা দেশাই।
নারী ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব আলোচনা করো
নারী ইতিহাসচর্চার উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব হল— প্রথমত, সভ্যতার ইতিহাসে রাজনৈতিক, আর্থসামাজিক ও
সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নারীদের ভূমিকাকে তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে। দ্বিতীয়ত, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ ও নারী-পুরুষের সমানাধিকার
প্রতিষ্ঠায় এই ইতিহাসচর্চা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। তৃতীয়ত, ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে প্রচলিত ইতিহাসের সংশোধন করতে চেয়ে নারী-ইতিহাস এক বিকল্প ইতিহাসচর্চার সন্ধান
দিয়েছে।