মডেল অ্যাকটিভিটি টাস্ক
নবম শ্রেণি
ভূগোল
পূর্ণমান ২০
Model activity task class 9 Geography part 1 2022
২০২২ এর এটাই প্রথম অ্যাক্টিভিটি টাস্ক। Class–9 Geography Model Activity Task January 2022 এ মোট ২০ নম্বরের প্রশ্ন দেওয়া রয়েছে যেগুলো তোমাদের সমাধান করে বিদ্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে। তোমাদের সুবিধার্থে আমরা এখানে সমস্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে এসেছি। সুতরাং, খুব শীগ্রই তোমরা নীচের প্রশ্নোত্তর গুলি লিখে নাও। এবং পরবর্তী পার্ট খুব শীগ্রই আসতে চলেছে।
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
১.১ উত্তর মেরুতে ধ্রুবতারার উন্নতি কোণ হলো—
(ক) ৬০°
(খ) ০°
(গ) ৯০°
(ঘ) ৪৫°
উত্তর: (গ) ৯০°
১.২ যে অক্ষরেখায় পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের মান সর্বনিম্ন তা হলো—
(ক) নিরক্ষরেখা
(খ) সুমেরুবৃত্ত রেখা
(গ) কর্কটক্রান্তি রেখা
(ঘ) মকরক্রান্তি রেখা
উত্তর: (ক) নিরক্ষরেখা
১.৩ ঠিক জোড়টি নির্বাচন করো –
(ক) পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সংযোগকারী কাল্পনিক রেখা — নিরক্ষরেখা।
(খ) সাবমেরিন চালনা GPS
(গ) পৃথিবীর উপর চাঁদের ছায়া — চন্দ্রগ্রহণ
(ঘ) সৌরজগতের উষ্ণতম গ্যাসীয় গ্রহ – বুধ
উত্তর: (খ) সাবমেরিন চালনা GPS
২.১ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো : ১ × ২ = ৩
২.১.১ সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে _____________ গ্রহের ঘনত্ব সর্বাধিক।
উত্তর: সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে পৃথিবী গ্রহের ঘনত্ব সর্বাধিক।
২.১.২ পৃথিবীর পরিধি প্রথম নির্ণয় করেন গ্রিক পণ্ডিত _____________ ।
উত্তর: পৃথিবীর পরিধি প্রথম নির্ণয় করেন গ্রিক পণ্ডিত এরাটোস্থেনিস।
২.২ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও : ১ × ৩ = ৩
২.২.১ GPS- এর পুরো কথাটি কী ?
উত্তর: ‘গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম’ (“Global Positioning System”)
২.২.২ পৃথিবীর মেরু ব্যাস কত কিলোমিটার ?
উত্তর: 12,714 কিমি (মেরু অঞ্চল)
২.২.৩ কোন বহিঃস্থ গ্রহের ব্যাস সর্বাধিক ?
উত্তর: বৃহস্পতি।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ সৌরজগতের অস্তঃস্থ ও বহিঃস্থ গ্রহগুলির মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো ।
৩.২. বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয় । —এর ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা করো ।
উত্তর: পৃথিবীর সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত হওয়ার পিছনে রয়েছে পৃথিবীর আবর্তন গতি। এই আবর্তন গতি অনুযায়ী পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে। তৎসঙ্গে উত্তর থেকে দক্ষিনে বিস্তৃত কাল্পনিক রেখা গুলি আবর্তন করছে। প্রতিটি দ্রাঘিমা রেখা প্রতিদিন একবার করে সূর্যের সামনে আসে। পৃথিবীর বিভিন্ন দ্রাঘিমা রেখার স্থানীয় সময় বিভিন্ন হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এবং বিভিন্ন স্থানের উপর দিয়ে যেহেতু বিভিন্ন দ্রাঘিমারেখা প্রসারিত হয়েছে সেহেতু সীমারেখার স্থানীয় সময়ও ভিন্ন। তাই বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত হয়।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৩ × ১ = ৩
‘জিয়ড’ – এর ধারণাটি সংক্ষেপে আলোচনা করো ।
উত্তর: পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলকের মত হলেও পৃথিবীকে যে একটি আদর্শ অভিগত গোলক বলা যায় না তার কারণ- সমুদ্রতল, পাহাড়, পর্বত এবং মালভূমি ভূপৃষ্ঠকে উঁচু-নিচু ঢেউ খেলানো এবং বন্ধুর রূপ দান করেছে। হিমালয় পর্বতের মাউন্ট এভারেস্ট (উচ্চতা 8,848 মিটার) হলো পৃথিবীর উচ্চতম অংশ, আর প্রশান্ত মহাসাগরের গভীর সমুদ্রতলে অবস্থিত মারিয়ানা খাত (গভীরতা 11,000 মিটারের বেশি) হল পৃথিবীর নিম্নতম অংশ অর্থাৎ পৃথিবীর বন্ধুরতার প্রসার হলো প্রায় 20 কিলোমিটার। পৃথিবীপৃষ্ঠের উঁচু নিচু জায়গা গুলোর অবস্থান সত্বেও পৃথিবীর আকৃতিটা এবড়ো খেবড়ো গোলকের মতো নয়। আসলে পৃথিবী একটা বিশাল গোলক হওয়ায় তার গায়ে পাহাড়-পর্বত, নদী,সাগর প্রভৃতি থাকা সত্ত্বেও পৃথিবীপৃষ্ঠ বেশ মসৃন।
পৃথিবী থেকে সম্প্রতি যেসব কৃত্রিম উপগ্রহ (Satellite) পাঠানাে হয়েছে তাদের দূর সংবেদনে (Remote sensing) ধরা পড়েছে যে –
1. পৃথিবী পুরোপুরি গোল নয়। পৃথিবীর ওপর-নীচ কিছুটা অংশ আর মাঝ বরাবর কিছুটা ফোলা।
2. পৃথিবী শুধুমাত্র দক্ষিণ মেরুর দিকে চাপা উত্তর মেরু চাপা নয়।
3. দক্ষিণ মেরু 20 মিটার অতি নীচু এবং উত্তর মেরু 20 মিটার অতি উঁচু।
4. দক্ষিণ গোলার্ধের মধ্যে অক্ষাংশ 8 মিটার ফুলে উঠেছে আর উত্তর গোলার্ধের মধ্যে অক্ষাংশ 8 মিটার বসে গিয়েছে ।
5. পৃথিবীর মধ্যভাগ খানিকটা স্ফীত- প্রায় 43 কিলোমিটার।
কমলালেবু বা ন্যাসপাতির সঙ্গে পৃথিবীর আকৃতির কিছুটা মিল থাকলেও আসলে পৃথিবীর আকৃতি কে অন্য কোন আকৃতির সঙ্গে মেলানো যায় না। তাই বলা হয় যে পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি পৃথিবীর মতো যাকে ইংরেজিতে বলা হয় জিয়ড (Geoid= Earth shaped) গ্রিক শব্দ Geoeides থেকে আসা জিয়ড (Geoid) শব্দের অর্থ হলো ‘পৃথিবীর মতো’।
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৫ × ১ = ৫
‘সৌর জগতের বিভিন্ন গ্রহগুলির মধ্যে পৃথিবীই একমাত্র জীবজগতের আবাসস্থল।’— বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো ।
উত্তর: সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ গুলির মধ্যে পৃথিবীই একমাত্র জীব জগতের আবাসস্থল। আমরা বিবর্তনের মাধ্যমে পৃথিবীতেই বেড়ে উঠেছি। বাকি গ্রহগুলোতে প্রাণ আছে কিনা তা জানা এখনো সম্ভব না হলেও ধারণা করা হয় ওই গ্রহ গুলিতে প্রাণ নেই জীব জগতের আবাসস্থল রূপে পৃথিবীর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে ।
1. সূর্য থেকে দূরত্ব ও কাম্য উষ্ণতা : সূর্য থেকে পৃথিবী এমন দূরত্বে যে ঠিক ঠিক তাপ পায়। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা 17 ডিগ্রী সেলসিয়াস যা জীবকুল বেঁচে থাকার সহায়ক । সূর্যের কাছের গ্রহ গুলির উষ্ণতা 500 ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে, আবার দূরের গ্রহ গুলোর উষ্ণতা থাকে হিমাঙ্কের 200 ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।
2. আপেক্ষিক গুরুত্ব : পৃথিবীর গড় আপেক্ষিক গুরুত্ব 5.5 গ্রাম, যেখানে সবচেয়ে হালকা গ্রহ শনির মাত্র .75 গ্রাম। অন্যান্য গ্রহের থেকে পৃথিবীর ঘনত্ব বেশি বলেই পৃথিবীতে ভূত্বক গঠিত হয়েছে।
3. বায়ুমণ্ডল : পৃথিবীতে একমাত্র বায়ুমণ্ডল রয়েছে। পৃথিবীর উপরে 10,000 কিলোমিটার পর্যন্ত অংশ বায়ুমণ্ডলের অন্তর্গত। বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, এবং জলীয়বাষ্প, ধূলিকণা আছে বলেই আবহাওয়া ও জলবায়ুর ঘটনাসমূহ (বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, তুষারপাত, বায়ুপ্রবাহ ইত্যাদি) বায়ুমণ্ডলেই ঘটে। ওজোনস্তর ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীকে রক্ষা করছে এই সকল কারণে আমরা পৃথিবীতে বেঁচে আছি।
4. জল : পৃথিবীতে একমাত্র মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান রসদ জল রয়েছে। তাই এটি জলগ্রহ বা নীল গ্রহ। পৃথিবীর 70% অংশ জলে ঢাকা। তাই জল যেমন চক্রে অংশগ্রহণ করে তেমনি মহাসমুদ্র গুলো উষ্ণতাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
5. ভূতক বা শিলামন্ডল : পৃথিবীর উপরে রয়েছে কঠিন আবরণ ভূত্বক, যাতে রয়েছে শিলা, মাটি ও বিভিন্ন খনিজ দ্রব্য। মাটির উপর গাছপালা জন্মায়। খনিজকে আমরা বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করি।
6. বিভিন্ন মন্ডলের আন্তঃসম্পর্ক : শিলামন্ডল, বায়ুমন্ডল ও বারিমন্ডলের মধ্যে গভীর সম্পর্ক আছে বলে পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছে উদ্ভিদ ও প্রাণী জগৎ নিয়ে জীবমন্ডল। মন্ডলগুলির প্রভাবেই পৃথিবীতে বিবর্তনের মাধ্যমেই সৃষ্টি হয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব মানুষ। জীবজগতে বেঁচে থাকার সমস্ত রসদ একমাত্র পৃথিবীতেই রয়েছে।