মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক class 10 জীবন বিজ্ঞান পাট 7
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজকের পোস্টে মাধ্যমিক বাংলা, English,গণিত, ভৌত বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান, ইতিহাস, গুগোল, মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দশম শ্রেণি Part 7 বাংলা, MODEL ACTIVITY TASK CLASS – X, life Science (মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক class 10 বাংলা পাট 7) টি শেয়ার করলাম। যেটির মাধ্যমে তোমরা দশম শ্রেণি মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক প্রশ্ন উত্তর অল্প সময়ে করতে সহযোগিতা করবে। সুতরাং সময় নষ্ট না করে নীচে দেওয়া বাংলা, English,গণিত, ভৌত বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান, ইতিহাস, গুগোল কোশ্চেন এর উত্তর গুলো দেখে নাও।
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক class 10 জীবন বিজ্ঞান 7 | Model Activity Task Class 10 life science Part 7
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পাট 7
দশম শ্রেণি
জীবনবিজ্ঞান
১. প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ণ করে লেখো :
১.১ পতঙ্গের সাহায্যে পরাগযোগ হয় যে উদ্ভিদে তা নির্বাচন করো –
(ক) পাতাঝাঝি
(খ) আম
(গ) ধান
(ঘ) শিমুল
উত্তর :- (খ) আম
১.২ মানুষের অটোজোমে থাকা জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না যেটি, তা শনাক্ত করো –
(ক) কানের মুক্ত লতি
(খ) রোলার জিত
(গ) থ্যালাসেমিয়া
(ঘ) হিমোফিলিয়া
উত্তর :- (ঘ) হিমোফিলিয়া
১.৩ Yy Rr জিনোটাইপযুক্ত মটরগাছ থেকে কত ধরনের গ্যামেট উৎপন্ন হয় তা নিরূপণ করো –
(ক) এক ধরনের
(খ) দুই ধরনের
(গ) তিন ধরনের
(ঘ) চার ধরনের
উত্তর :- (ঘ) চার ধরনের
২. A-স্তত্ত্বে দেওয়া শব্দের সঙ্গে B-স্তন্তে দেওয়া সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত শব্দটির সমতা বিধান করে উভয় স্তম্ভের ক্রমিক নং উল্লেখসহ সঠিক জোড়টি পুনরায় লেখো :
ক্রমিক নং উল্লেখসহ সঠিক জোড়টি পুনরায় লেখো আছে।
উত্তর :-👇
‘A’ স্তম্ভ | B স্তম্ভ |
২.১ স্পাইরোগাইরা | (d) খণ্ডীভবন |
২.২ প্রকট বৈশিষ্ট্য | (c) মটরের বেগুনি বর্ণের ফুল |
২.৩ গ্রাফটিং | (a) স্টক এবং সিয়ন |
২.৪ প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য | (e) মটরের কুঞ্চিত বীজ |
(b) পুনরুৎপাদন |
৩. দুই-তিন বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ ইতর পরাগযোগের একটি সুবিধা ও একটি অসুবিধা উল্লেখ করো।
উত্তর :- ইতর পরাগযোগের একটি সুবিধা:
(1) ইতর পরাগযোগের ফলে নতুন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উদ্ভিদের আবির্ভাব ঘটে।
ইতর পরাগযোগের একটি অসুবিধা:
(1) বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের মধ্যে পরাগযোগের ফলে প্রজাতির বিশুদ্ধতা নষ্ট হয়।
৩.২ শাখাকলমের সাহায্যে কীভাবে কৃত্রিম অঙ্গজ বংশবিস্তার করা হয় তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর :- শাখাকলমের সাহায্যে কৃত্রিম অঙ্গজ বংশবিস্তার। শাখা কলম করার সময় প্রথমে পুষ্ট উদ্ভিদের শাখা কেটে বালিযুক্ত মাটিতে পোঁতা হয়। নিয়মিত জল দেওয়ার পর ওই পোঁতা অংশ থেকে মাটি সংলগ্ন অংশ অস্থানিক মূল এবং তার বিপরীত অংশ থেকে অস্থানিক মুকুল জন্মায় এবং তার থেকে ক্রমশ নতুন অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়।
উদাহরণ: গোলাপ, লেবু, জাম, আম, তুলা প্রভৃতি
৩.৩ মানব বিকাশের বার্ধক্য দশার দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করো।
উত্তর :- মানব বিকাশের বার্ধক্য দশার দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো :
(1) অস্থি ও পেশির ক্ষয় শুরু হয়, ফলস্বরূপ শরীর দুর্বল হয়ে যায় ও ত্বক কুঁচকে যায় । মেলানিন উৎপাদন কমে যায় ফলে চুল সাদা হয়ে যায়
(2) রক্তচাপ বৃদ্ধি, ত্বকের কুঞ্চন, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, কানে কম শোনা প্রভৃতি সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
৩.৪ মেন্ডেল কীভাবে মটর ফুলে ইতর পরাগযোগ ঘটান তা আলোচনা করো।
উত্তর :- মটর ফুল উভলিঙ্গ ফুল স্বপরাযোগী কিন্তু মেন্ডেল মটর ফুলের ইতর পরাগযোগ ঘটিয়েছিলেন। তিনি ছোট চিমটের সাহায্যে কিছু ফুলের গর্ভকেশর তুলে ফেলে দিয়ে ফুলটিকে স্ত্রী হলে এবং কিছু ফুলের গর্ভকেশর তুলে ফেলে দিয়ে ফুলটিকে পুরুষ ফুলে রূপান্তরিত করেন। এরপর ব্রাশের সাহায্যে পরাগধানী থেকে পরাগ রেনু তুলে নিয়ে স্ত্রী ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থাপন করে ইতর পরাগযোগ করেন।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
৪.১ “সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে পিতার ভূমিকাই প্রধান”– একটি ক্রুশের সাহায্যে বক্তব্যটির সত্যতা বিশ্লেষণ করো। “থ্যালাসেমিয়া রোগে ঘন ঘন রক্ত বদলানোর প্রয়োজন হয়” – এর ফলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে তা আলোচনা করো।
উত্তর :- লিঙ্গ নির্ধারণে পিতার ভূমিকা: পুত্র ও কন্যা সন্তান সৃষ্টি হওয়ার পিছনে পিতার ভূমিকাই প্রধান। কারণ পিতার সেক্স ক্রোমোজোম X ও Y প্রকারের। যেহেতু মাতার সেক্স ক্রোমোজোম XX প্রকারের, তাই তাদের একধরনের গ্যামেট X তৈরি হয়। অপরপক্ষে, পিতার দু-ধরনের গ্যামেট X ও Y তৈরি হয়। যখন পিতার X গ্যামেট মাতার X গ্যামেটের সঙ্গে মিলিত হয়, তখন কন্যাসন্তান (XX) সৃষ্টি হয়। আবার পিতার Y গ্যামেট যখন মাতার X গ্যামেটের সঙ্গে মিলিত হয়, তখন পুত্রসন্তান (XY) সৃষ্টি হয়। অতএব সহজেই বলা যায় যে, পুত্র ও কন্যা সন্তান সৃষ্টিতে পিতার ভূমিকাই প্রধান ।
থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর বারবার রক্ত বদলানোর ফলে সৃষ্ট সমস্যা :
থ্যালাসেমিয়া রোগীর দেহে হিমোগ্লোবিনের গঠন ত্রুটিযুক্ত হওয়ায় RBC অর্থাৎ লোহিত রক্তকণিকার আয়ু কমে যায়।
ফলে RBC তাড়াতড়ি ভেঙে যায় এবং তীব্র রক্তাল্পতার সৃষ্টি হয়।
RBC- এর অভাবে দেহে অক্সিজেন পরিবহণ কমে যায় যার ফলে রোগীর দেহে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায় । এই সমস্যা সমাধানের জন্য থ্যালাসেমিয়া রোগীকে ঘন ঘন রক্ত বদলানোর প্রয়োজন হয় ।