সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজকের পোস্টে Class 5 বাংলা, ভৌত বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন পরিচিতি ও অনুশীলন (Bohubikalpo Vittik Prashno Porichiti o Anusilon Class 5) টি শেয়ার করলাম। যেটির মাধ্যমে তোমরা বাংলা বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর অল্প সময়ে করতে সহযোগিতা করবে। সুতরাং সময় নষ্ট না করে নীচে দেওয়া বাংলা কোশ্চেন এর উত্তর গুলো পড়ে নাও। নিচের সমস্ত class 5 এর কোশ্চেন অ্যানসার দাও আছে
বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন পরিচিতি ও অনুশীলন বাংলা পঞ্চম শ্রেণি
১.১ ‘ কেউ করে না মানা । ‘ – কার কোন্ কাজে কেউ নিষেধ করে না ?
উত্তর : উদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘ বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর ‘ কবিতার অংশ । মেঘেরা সমস্ত আকাশ জুড়ে কোন সীমানা না মেনেই বিভিন্ন দেশে দেশে খেলে বেড়ায় । মেঘেদের এই ঘোরা ও খেলার কাজে কেউ নিষেধ করে না ।
১.২ ‘ এবার আমাকে গোড়ার দিক দিতে হবে । ” – কী চাষের সময় কুমির একথা বলেছিল ?
উত্তর : উদ্ধৃত অংশটি উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা ‘ বোকা কুমিরের কথা ’ গল্পের অংশ । ধান চাষের সময় কুমির শিয়াল কে এই কথা বলেছিল ।
১.৩ ) মাঠ মানে কী অথই খুশির অগাধ লুটোপুটি ! ’ – ‘ অথই ’ এবং ‘ অগাধ ’ শব্দ দুটির অর্থ লেখো ।
উত্তর : ‘ মাঠ মানে কী অথই খুশির অগাধ লুটোপুটি — ‘ অথই ’ শব্দের অর্থ– যেন তল নেই এমন গভীর । ‘ অগাধ ’ শব্দের অর্থ– অনেক বা প্রচুর ।
১.৪ ‘ ঝড় ’ কবিতায় উল্লিখিত দুটি গাছের নাম লেখো ।
উত্তর : ‘ ঝড় ’ কবিতাটি মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা । এই কবিতাটি তে উল্লিখিত দুটি গাছের নাম হল– বকুল গাছ ও চাঁপা গাছ ।
১.৫ ‘ ট্যাক্ ’ শব্দের অর্থ কী ?
উত্তর : দুটি ছোট নদী পরস্পর মিশে যাওয়ার সময় একটি ত্রিভুজ আকারের ভূমিখন্ড তৈরি করে । এই ত্রিভুজ আকারের ভূমিখন্ড বা জমির মাথা গুলিকেই ট্যাক বলে ।
১.৬ ‘ রূপালি এক ঝালর ’ – কবি কোথায় ‘ রূপালি ঝালর ’ দেখেছেন ?
উত্তর : উদ্ধৃত অংশটি অশোকবিজয় রাহার লেখা ‘ মায়াতরু ’ কবিতার অংশ । কবির মায়াতরু টি যেখানে ছিল- সকাল হলে রাতের লক্ষ হীরার মাছের পরিবর্তে সেখানকার মাটির উপরেই ঝিকিরমিকির সূর্যের আলোর এক রুপালি ঝালর পড়ে থাকতে কবি দেখেছেন ।
১.৭ ‘ করুণা করি বাঁচাও মোরে এসে ’ – কখন ফণীমনসা একথা বলেছে ?
উত্তর : ‘ করুনা করি বাঁচাও মোরে এসে — ফনিমনসা সমস্ত নাটকটিতে মোট তিনবার একথা বলেছে । ডাকাতের দল তার সমস্ত সোনার পাতা ছিঁড়ে নিলে , ঝড়ে তার সমস্ত কাঁচের পাতা ভেঙে গেলে এবং ছাগল তার সুন্দর নরম কচি পাতা খেয়ে নিলে ফনিমনসা – বনের পরীর কাছে তাকে বাঁচানোর প্রার্থনা করেছে ।
২। বাংলা class 5
২.১ ‘ মাঠ মানে তো সবুজ প্রাণের শাশ্বত এক দীপ ’ – পঙ্ক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও ।
উত্তর : কবিতার লাইনটিতে ‘ সবুজ প্রান ’ বলতে কবি ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের বুঝিয়েছেন । ‘ শাশ্বত ‘ শব্দটির মধ্যে দিয়ে বুঝিয়েছেন চিরকালীন কিছুকে । ‘ দীপ ‘ শব্দটির অর্থ প্রদীপ হলেও কবি এখানে শব্দটিকে ব্যবহার করেছেন আশা বা ভরসা রূপক অর্থে । পঙ্কতিটির তাৎপর্য হলো তারুণ্যে ভরপুর শিশুদের কাছে মাঠ গতানুগতিক চাপের জীবন থেকে- চার দেওয়ালের অন্ধকার থেকে- ক্ষনিকের মুক্তি পাওয়ার চিরকালীন আশার পথ , প্রদীপের আলোর রেখা ।
২.২) ব্যাঙ স্বেচ্ছায় বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত বলো ’ । — বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত হয়ে ব্যাঙ কী করেছিল ?
উত্তর : ব্যাঙস্বেচ্ছায় বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত হয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ভগবানের উদ্দেশ্যে । সেখানে গিয়ে তাদের সমস্যাগুলি জানিয়ে সমাধান পাওয়াই ছিল তার উদ্দেশ্য । সেখানে গিয়ে তারা দেখে- সবাই আনন্দ উৎসবে খুব ব্যস্ত । তখন রাগে উত্তেজিত হয়ে ভগবানের কাছে গেলে ভগবান রক্ষীদের ডাকে । এরপর মৌমাছি – মোরগ- বাঘ রক্ষীদের আক্রমণের ভয় দেখায় । শেষ পর্যন্ত ব্যাঙ , মোরগ ও বাঘেদের জয় হয়েছিল । ভগবান তাদের সমস্যার সমাধান করে দিয়েছিলেন ।
২.৩ —– ঝড় কারে মা কয় ? ’ – কবিতায় শিশুটি নিজের এই প্রশ্নের উত্তর কীভাবে দিয়েছে ?
উত্তর : ঝড় কারে মা কয়- এই প্রশ্নের উত্তর শিশুটি নিজেই দিয়েছে কবিতায় এভাবে – —- শিশুটির মনে হয়েছে কাদের বাড়ির ছেলে আকাশে যেন – কালির দোয়াত হঠাৎ করে ফেলে দিয়েছে । যেমন করে শিশুটি মেঝের উপর কালি ঢেলে দিলে মেঝেটি কালো হয়ে ওঠে , ঠিক তেমনি ঝড়ের সময় মেঘটিও কালো হয়ে উঠেছে । মেঘ যেন আগুন জ্বেলে তার নরম ঠোঁট মেলে হাসছে । শিশুটি এভাবেই ঝড়ের কালো মেঘ ও বিদ্যুতের বর্ণনা দিয়েছে কবিতায় ।
২.৪ ‘ তাদের কথা বলার শক্তি নেই । ‘ • কখন এমন পরিস্থিতি হলো ?
>> উত্তর : ধনাই , আর্জান , কফিল মধুর চাক সংগ্রহ করে যখন বন থেকে বাড়ি ফিরছিল তখনই এই পরিস্থিতি ঘটেছিল । ’ শিষে ’ বা সরু খাদ পেরোনোর সময় ধনাইয়ের উপর এক বাঘ গর্জন করে ঝাঁপিয়ে পড়ে । আর্জান ও কফিল সেসময় পিছনের ঝোপের কাছে ছিল । তারা এতটাই হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল- কোন কথা বলার বা নড়বার শক্তি তাদের ছিল না । এভাবেই লেখক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিটির বর্ণনা দিয়েছেন ।
২.৫ ‘ ভেবে পাই নে নিজে ’ – কবি কী ভেবে পান না ?
উত্তর : উদ্ধৃত অংশটি অশোকবিজয় রাহার লেখা ‘ মায়াতরু ’ কবিতার অংশ । কবি তার এই কবিতায় এক মায়াবী গাছের কথা বলেছেন– যে গাছ সন্ধ্যে হলে ভূতের মতো নাচতো , রাত হলে ভালুক হয়ে গর গর শব্দ করতো । বৃষ্টির শেষে চাঁদ উঠলে সেই ভালুক বা গাছের বদলে লক্ষ হিরার মাছ দেখা যেত । ভোরের আবছায়াতে সেই গাছটিকে ঘিরে কি যে কান্ড হতো – কবি সেগুলিই ভেবে পান না ।
২.৬ ফণীমনসা ও বনের পরি ’ নাটকে সূত্রধারের ভূমিকা আলোচনা করো ।
উত্তর :‘ ফনিমনসা ও বনের পরী ’ নাটকে সূত্রধার এর ভূমিকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল । সূত্রধার শব্দটির অর্থ হলো নাটকের প্রস্তাবক প্রধান নট । নাটকটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সূত্রধার এর ভূমিকা লক্ষ্য করা যায় । কাহিনীটি ফনিমনসা ও বনের পরী কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠলেও সমস্ত নাটকটিতে সূত্রধরের জন্যই দৃশ্যের বিবরণ , ঘটনার পরিবর্তন গুলি আমরা দেখতে পাই । তাই বলা যায় নাটকটিতে সূত্রধার এর ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ।
৩. class 5 বাংলা কোশ্চেন অ্যানসার
৩.১ বিশেষ্য , বিশেষণ , সর্বনাম , অব্যয় এবং ক্রিয়া যোগে একটি বাক্য রচনা করো ।
উত্তর:-
৩.২ ‘ নাম বিশেষণ ’ এবং ‘ ক্রিয়া বিশেষণ ’ বলতে কী বোঝ ?
উত্তর- নাম বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ কোন নামপদকে বিশেষিত করে তাকেই আমরা নাম বিশেষণ বলি । অর্থাৎ যে পদ বিশেষ্য- সর্বনাম ও বিশেষণ পদের বিশেষণ কে বোঝায় । যেমন : রাম ভালো ।
৩.৩ ‘ অ ’ এবং ‘ ই / ঈ ’ যোগে পাঁচটি করে স্ত্রীলিঙ্গবাচক শব্দ তৈরি করো ।
উত্তর- অ – কারান্ত শব্দের শেষে ই / ঈ প্রত্যয় যোগে স্ত্রীলিঙ্গ শব্দ পাওয়া যায় — —
ছাত্র + ঈ = ছাত্রী
পুত্র + ঈ = পুত্রী
সিংহ + ঈ = সিংহী
পাগল + ই = পাগলি
মানব + ঈ = মানবী
অষ্টাদশ + ঈ = অষ্টাদশী
তরুণ + ঈ = তরুণী
নদ + ই = নদি
পাত্র + ঈ = পাত্রী
গৌর + ঈ = গৌরী
[su_divider top=”no” divider_color=”#171212″ link_color=”#161010″ size=”4″ margin=”10″]
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
পঞ্চম শ্রেণি
গণিত
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক class 5 গণিত
১. বহুমুখী উত্তরধর্মী প্রশ্ন (MCQs) :
(ক) ১/২ + ১/৩ যোগফলের লব হলো,
a) ১
b) ২
c) ৫
d) ৬
উত্তর :- c) ৫
(খ) ৩+১/৭ এর সমান মিশ্র ভগ্নাংশ হলো,
a) ১ ৩/৭
b) ২২/৭
c) ৪/৭
b) ৩ ১/৭
উত্তর :- b) ৩ ১/৭
(গ) সমান ১০০ ভাগের ৫ ভাগ =
(a) দশমিক পাঁচ
(b) দশমিক শূন্য পাঁচ
(c) দশমিক শূন্য শূন্য পাঁচ
(d) দশমিক শূন্য শূন্য শূন্য পাঁচ।
উত্তর :- (b) দশমিক শূন্য পাঁচ
(ঘ) < চিত্রটিতে আছে,
(a) একটি রশ্মি ও একটি ছেদবিন্দু
(b) দুটি রশ্মি ও একটি ছেদবিন্দু
(c) একটি রশ্মি ও দুটি ছেদবিন্দু
(d) দুটি রশ্মি ও দুটি ছেদবিন্দু
উত্তর :- (b) দুটি রশ্মি ও একটি ছেদবিন্দু
২. সত্য/মিথ্যা লেখো (T/F):
(ক) ৬/১৫ এর লঘিষ্ঠ আকার হলো ৩/৫
উত্তর :- F) মিথ্যা
(খ) একটি বর্গাকার চিত্রের একটি বাহুর দৈর্ঘ্য = বর্গাকার চিত্রের পরিসীমা /৪
উত্তর :- T) সত্য
(গ) ১০০টি বোতাম বর্গাকারে সাজালে একটি সারিতে বোতাম সংখ্যা হবে ৯টি।
উত্তর :- F) মিথ্যা
(ঘ) ১০ ÷ ৫ = ৫ ÷ ১০
উত্তর :- T) সত্য
স্তম্ভ মেলাও (যে কোনো ৩টি) :
ক | খ |
সরলরেখা (ii) | I) দুটি প্রান্তবিন্দু আছে |
সরলরেখাংশ (I) | ii) প্রান্তবিন্দু নেই |
রশ্মি (iv) | iii) একটি নির্দিষ্ট ছেদবিন্দুগামী |
সমবিন্দু সরলরেখা (iii) | iv) একটি প্রান্তবিন্দু আছে |
৪. (ক) তুমি বাসে চেপে স্কুলে যাচ্ছ, কন্ডাক্টরকে ২০ টাকা দিলে। তিনি তোমাকে ১৫.৫০ টাকা ফেরত দিলেন। কন্ডাক্টর কত টাকা নিলেন।
(খ) আয়তাকার খেলার মাঠের দৈর্ঘ্য ৫০ মিটার এবং প্রস্থ ৩০ মিটার। চারিদিকে পাঁচিল দিতে হবে। পাঁচিলের দৈর্ঘ্য নির্ণয় করো।
(গ) সরল করো : [{৫০ – (২ + ৩)} + ১৫] + ১২
[su_divider top=”no” divider_color=”#171212″ link_color=”#161010″ size=”4″ margin=”10″
মডেল অ্যাকটিভিটি টাস্ক
পঞ্চম শ্রেনী
আমাদের পরিবেশ
১.ঠিক উত্তর নির্বাচন করো :
১.১ পশ্চিমবঙ্গো চা চাষ হয়।
(ক) রাঢ় অঞ্চলে
(খ) গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে
(গ) উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলে
(ঘ) উপকূলের সমভূমি অঞ্চলে।
উত্তর :- (গ) উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলে
যেটি সমুদ্রের মাছ সেটি হলো
(ক) পারসে
(খ) ট্যাংরা
(গ) রুই
(ঘ) সার্ডিন।
উত্তর :- (ঘ) সার্ডিন
১.৩) সর্বপল্লী রাধাকৃয়াণের জন্মদিনটি পালিত হয় যে দিবস রূপে সেটি হলো–
(ক) শিক্ষক দিবস
(খ) পরিবেশ দিবস
(গ) শিশু দিবস
(ঘ) সাধারণতন্ত্র দিবস।
উত্তর :- শিক্ষক দিবস
২.শূন্যস্থান পূরণ করো :
২.১)রনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গান যে যে দেশের জাতীয় সঙ্গীত তা হল ভারত ও বাংলাদেশ
২.২) বিপ্লবী সূর্য সেন মাস্টারদা নামে পরিচিত ছিলেন।
২.২) একটি নিত্যবহ নদীর নাম হলো গঙ্গা ।
৩.একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১) সুন্দরবন অঞ্চলের মাটির দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তর: (১) ওখানকার মাটিগুলো খুব লবনাক্ত।
(২) মাটিতে বালির্ভাগ কম কাদার ভাগ বেশি।
৩.২) সুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
উত্তর: ( i ) লুপ্তপ্রায় মাছ কেনা বা খাওয়া বন্ধ করতে হবে । প্রয়োজনে আইন করে লুপ্তপ্রায় মাছের কেনা – বেচা বন্ধ করতে হবে । ( ii ) অন্যান্য মাছ চাষের পাশাপাশি লুপ্তপ্রায় মাছ চাষের 4 পরিমাণও বাড়াতে হবে ।
৪. দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
৪.১ কেন আমরা সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করি?
উত্তর : সাধারণতন্ত্র মানে হল সাধারণ মানুষই দেশ চালাবে । ‘ রাজার ছেলে রাজা হবে ’ এমনটি চলবে না । আজ যে সাধারণ লোক , সেই পরে ভোটে জিতে সরকারের প্রধান হতে পারে । স্বাধীন দেশটা কেমন করে আমরা চালাব তার এমন নিয়ম চালু হয়েছিল ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি । এই তারিখটাই ভারতবর্ষের সাধারণতন্ত্র দিবস । – এই দিনটাও পালন করা উচিত ।