মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক class 9 Part 8 (Combined), October 2021
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজকের পোস্টে বাংলা, English,গণিত, ভৌত বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান, ইতিহাস, গুগোল, মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class Part 8, মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক class 9 ইতিহাস (Class 9 Model Activity Task Bengali Part 8 ) টি শেয়ার করলাম। যেটির মাধ্যমে তোমরা বাংলা বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর অল্প সময়ে করতে সহযোগিতা করবে। সুতরাং সময় নষ্ট না করে নীচে দেওয়া ইতিহাসের কোশ্চেন এর উত্তর গুলো পড়ে নাও বাটনে ক্লিক করে কুইজটিতে অংশ গ্রহণ করে নাও।
বাংলা
(পূর্ণমান ৫০)
নবম শ্রেণী
Class 9 Bengali 1st Language Model Activity Task Part 8 Solution :
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে :
১.১ ঈশান হলাে—
ক) উত্তর-পূর্বকোণ
খ) উত্তর-পশ্চিম কোণ
গ) দক্ষিণ-পূর্ব কোণ
ঘ) পশ্চিম কোণ
উত্তর: ক) উত্তর-পূর্বকোণ
১.২ ‘আজ আমার সংসার চলবে কীভাবে?’ – প্রশ্নটি করেছে
ক) সূচক
খ) জানুক
খ) ধীবর
ঘ) রাজশ্যালক
উত্তর: খ) ধীবর
১.৩ ‘বন্ধুগণ হাসবেন না।’ – একথা বলেছে
ক) ইলিয়াস
খ) শাম-শেমাগি
গ) মহম্মদ শা
ঘ) মহম্মদ শার জনৈক আত্মীয়
উত্তর: উ: ইলিয়াস
১.৪ ‘মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে এইটুকুই আমার নগদ লাভ। বক্তার লাভ হয়েছিল
ক) পাঁচ টাকা
খ) দশ টাকা
গ) পনেরাে টাকা
ঘ) কুড়ি টাকা
উত্তর: খ) দশ টাকা
১.৫ ‘নােঙর’ কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত –
ক) কুসুমের মাস
খ) শাদা মেঘ কালাে পাহাড়
গ) পাতাল কন্যা
ঘ) ছায়ার আলপনা
উত্তর: খ) শাদা মেঘ কালাে পাহাড়
২.১ প্রজা চমকিত।’ – প্ৰজা চমকিত কেন?
উত্তর:- উদ্ধৃতাংশটি কবি কঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি থেকে সংগৃহীত হয়েছে। যেটি চন্ডীমঙ্গল কাব্য গ্রন্থের আখেটিক খন্ড এর অন্তর্গত।
প্রজারা চমকিত কারণ কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি বজ্রপাতের ফলে এক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়। ঝড়ের দাপটে মাঠের শস্য উপরে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তা দেখে প্রজারা চমকৃত হয়েছিল।
২.২ ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে ধীবরের বাড়ি কোথায়?
উত্তর: মহাকবি কালিদাসের রচিত সংস্কৃত নাটক অভিজ্ঞানম শকুন্তলম থেকে আলোচ্য ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশ টি সংগৃহীত হয়েছে। ধীবর সক্রাবতারে থাকে অর্থাৎ সক্রাবতারে তার বাড়ি।
২.৩ ‘ইলিয়াস তাে ভাগ্যবান পুরুষ’– কারা একথা বলত?
উত্তর: উদ্ধৃত বাক্যটি লিও টলস্টয় -এর লেখা ইলিয়াস নামক গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে। ইলিয়াসকে ভাগ্যবান বলতো ইলিয়াসের প্রতিবেশীরা।
২.৪ ‘মনে এল মাস্টারমশাইয়ের কথা। – কখন এমনটি ঘটেছে?
উত্তর: উদ্ধৃত অংশটি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দাম গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে। কথকের মনে মাস্টারমশাইয়ের কথা এসেছিল যখন একটি পত্রিকার পক্ষ থেকে ছেলেবেলার গল্প লেখার ফরমাস এসেছিল।
২.৫ বিরামহীন এই দাঁড় টানা।’ – কবি দাঁড় টানাকে ‘বিরামহীন’ বলেছেন কেন?
উত্তর:- আলোচ্য অংশটি মিতভাষী কবি অজিত দত্তের লেখা সাদা মেঘ কালো পাহাড় কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত নম্বর কবিতা থেকে সংগৃহীত হয়েছে।
কবি বিরামহীন দাঁড় টেনে নৌকাটিকে উদ্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যেতে চান। তটের কিনারে নোঙরের কাছিতে বাঁধা পড়েছে নৌকাটি। দূর দেশে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছে ব্যাকুল কবির মন মানতে চায়না। অসংখ্য বন্ধনময় অবস্থাকে অতিক্রম করে কবির ভাবনা অজানা লোকে পৌঁছতে চায়। তাই বৃথা প্রচেষ্টা জেনেও তিনি অবিরাম দার টেনে চলেছেন।
২.৬ ‘হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টাটা করছেন’ – কোন্ চেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন?
উত্তর: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘নব নব সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃতাংশ টি গৃহীত। ভাষা নিজস্বতা হল আত্মনির্ভরশীল থাকা। কিন্তু লেখক দেখেছে ভাষার মধ্যে বিভিন্ন বিভিন্ন ভাষার প্রবেশ অব্যাহত। সেই প্রবেশ বন্ধ করার বিষয়ে হিন্দি সাহিত্যিকদের চেষ্টার কথা প্রবন্ধিক বলেছেন।
২.৭ এরই মাঝে বাংলার প্রাণ’ – কবি কোথায় বাংলার প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন?
উত্তর: ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ-নরম ধানের গন্ধ, কলমি শাকের ঘ্রাণ, হাঁসের পালক, শহরের বন, চাঁদা সরপুঁটি মাছ এদের মৃদু আঁশটে ঘ্রাণ, কিশোরের পায়ে গলার মুথা ঘাস, লাল বট ফলের ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা-এই সমস্ত কিছুর মাঝেই বাংলা প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন।
২.৮ এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে’ – পত্রলেখকের দৃঢ় বিশ্বাসটি কী?
উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দের দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে, ভারতের কাজে মিস নোবেল এর এক বিরাট ভবিষ্যৎ রয়েছে।
২.৯ ‘যা গিয়ে ওই উঠানে তাের দাঁড়া’ – সেখানে গিয়ে দাঁড়ালে কোন্ দৃশ্য দেখা যাবে?
উত্তর:- ‘আবহমান’ কবিতায় কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, উঠানের লাউ মাচাটার পাশে দাঁড়ালে দেখা যাবে-ছোট একটা ফুল সন্ধ্যার বাতাসে ক্রমাগত দুলছে।
২.১০ ‘তােমার বাড়ি কোথায়?’ – রাধারাণী এই প্রশ্নের উত্তরে কী বলেছিল?
উত্তর:- রাধারানী বলেছিল আমার বাড়ি শ্রীরামপুর।
৩. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখাে :
৩.১ ‘আমার বাণিজ্য-তরী বাঁধা পড়ে আছে। – কোন্ বাণিজ্য-তরী? সেটি বাঁধা পড়ে আছে কেন?
উত্তর:- উদ্ধৃত পঙ্কতিটি অজিত দত্তের লেখা ‘ নোঙর’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে কবির সাহিত্য আর কল্পনার ভাণ্ডারে পুর্ণ সৃষ্টি সম্ভারকে বাণিজ্য তরী বলা হয়েছে।
আমাদের জীবন জীবিকার জালে আটকে পরেছে,জীবনের নানা দায়িত্ব, কর্তব্যের টান যেন ভাঁটার টানের মতো অমোঘ।কিন্তু স্বপ্ন কল্পনা সাহিত্য ভরা-তরী নিয়ে কবি পাড়ি দিতে চান সাত সমুদ্র পাড়ে। দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে দিতে চান তাঁর সৃষ্টিকে। তাই এখানে বাণিজ্য তৈরীর প্রসঙ্গ এসেছে। এই তরী অসংখ্য বন্ধনে বাঁধা পড়ে আছে যা তরীকে নোঙরের মত অচল করে দিচ্ছে।
৩.২ ‘সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল। – প্রাবন্ধিক কেন এমন মন্তব্য করেছেন?
উত্তর:- উদ্ধৃতাংশটি সৈয়দ মুজতফা আলির লেখা ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে।
নতুন শব্দসৃষ্টির জন্য সংস্কৃত প্রথমে ধার করার কথা না ভেবে আপন ভাণ্ডারে অনুসন্ধান চালায়। সেখানকার কোনো ধাতু বা শব্দের অদলবদল ঘটিয়ে কিংবা পুরোনো ধাতু দিয়ে নতুন শব্দটি বানিয়ে নেওয়া যায় কিনা খুঁজে দেখে। অন্য কোনো ভাষা থেকে শব্দ ধার করলেও তার সংখ্যা খুবই কম। তাই সেভাবে অন্য ভাষার উপর নির্ভরশীল নয় বলেই লেখক সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল বলে মনে করেছেন।
৩.৩ ‘আমি এই ঘাসে বসে থাকি – কোন্ সময়ে কবি ঘাসে বসে থাকেন? তখন প্রকৃতির কেমন রূপ তার চোখে ধরা পড়ে?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশের লেখা ‘আকাশের সাতটি তাঁরা’ কবিতায় যখন আকাশে সাতটি তারা ফুটে ওঠে তখন কবি ঘাসের উপর বসে থাকেন। দিবসের অবসানে যখন সন্ধ্যা শান্ত, রমণীয় হয়ে বাংলার বুকে নেমে আসে, তখন কবি বুঝতে পারেন এক কেশবতী কন্যার আগমন বার্তা। সেই নারী যেন চুল দিয়ে জাম-কাঠাল-হিজলের বনে স্নেহচুম্বন দেয়। তিনি টের পেয়ে যান নরম ধানের গন্ধ বা কলমির ঘ্রাণে, পুকুরের জলে বা হাঁসের পালকে পল্লিবাংলার আসল রূপ লুকিয়ে আছে।
৩.৪ ‘নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না।– উদ্ধৃতাংশে নটেগাছের প্রসঙ্গ উত্থাপনে ‘আবহমান’ কবিতায় ‘রূপকথা’র আবেশ কীভাবে রচিত হয়েছে, বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর:- নটেগাছ মুড়ানোাার প্রসঙ্গ বাংলার এক
বিখ্যাত প্রবাদ থেকেই গৃহীত—’নটেগাছটি মুড়োাালোাা/আমার কথা ফুরোাালোা’। কিন্তু কবি বলছেন-না, নটেগাছটি মুড়য়নি, কারণ কথা অনুযায়ী চিরায়ত সত্যের বাণী-মাতৃভূমির প্রতি ফেলে আসা স্মৃতির কথা কোনোাাদিন ফুরায় না। কবি কল্পনার সাঁকো বেয়ে স্মৃতির হাত ধরে পৌঁছে যান গামজীবনের বেয়ে স্মৃতির হাত ধরে পৌঁছে যান গ্রামজীবনের শৈশবের বেলাভূমিতে।
ঘরের কাছেই উঠান, তার পাশে থাকা লাউমাচা চিরন্তন সত্যের প্রতীক হিসেবে বিদ্যমান। নটেগাছ বুড়য় অর্থাৎ আমাদের বয়স বাড়ে, স্মৃতির ভাণ্ডার বাড়তেই থাকে, কিন্তু তা শেষ হয়ে যায় না, তথা ফুরিয়ে যায় না কখনোাই। তেমনিভাবে ফুরিয়ে যায় না যাওয়া-আসা বা আসা-যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। বরং দুরন্ত পিপাসা বাড়িয়ে দেয় এই নস্ট্যালজিক স্মৃতিকাতরতা। ঘাসের গন্ধ গায়ে মাখা, আকাশের তারায় তারায় স্বপ্ন এঁকে রাখা, যন্ত্রণার আগুন না নেভা, দুঃখের বাসি না-হয়ে যাওয়া, সূর্যের ওঠা ও নামা এ সমস্ত কিছুর কিছুই ফুরায় না। কারণ ফুরাতে পারে না চিরন্তন সত্যের রীতি অনুযায়ী। নটেগাছ সেই কারণেই কবির কল্পনায় মুড়িয়ে যায়নি।
৩.৫ আর আহারের সংস্থান রহিল না। – রাধারাণী ও তার মায়ের দুর্গতির চিত্র ‘রাধারাণী’ পাঠ্যাংশে কীভাবে চিত্রিত হয়েছে, তা উদ্ধৃতাংশের আলােকে আলােচনা করাে।
উত্তর:- রাধারানীর পিতা বিত্তবান হলেও আকস্মিক তার মৃত্যুর পর জনৈক মামলাবাজ জ্ঞাতির কারণে স্বামীর বাড়ি ভদ্রাসন থেকে বিতাড়িত সম্পূর্ণ সহায়সম্বলহীন রাধারানীর মা ও রাধারানীর কথাই উদ্ধৃতিটিতে বলা হয়েছে। রথযাত্রার আগে রাধারানীর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ল, একেবারেই একেবারেই শয্যাশায়ী। এই অবস্থায় কাজ করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে রাধারানী ছোটো, তার পক্ষেও উপার্জন অসম্ভব। ঘরেও সঞ্চিত আহার্য নেই, তাই তাদের আর আহার চলে না।
৪.১ ‘নিরবধি সাতদিন বৃষ্টি নিরন্তর।” – এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় কলিঙ্গবাসীর জীবনকে কীভাবে বিপন্ন করে তুলেছিল তা আলােচনা করাে।
উত্তর:- চন্ডীমঙ্গলের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত অভয়ামঙ্গল থেকে নেয়া কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশটিতে কলিঙ্গদেশে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কলিঙ্গদেশে অবিরাম সাতদিনের বৃষ্টিপাতের সঙ্গে চলে ঘোর তান্ডব। সমগ্র দেশ জলে প্লাবিত হয় শস্য
ক্ষেতের বিপুল ক্ষতি হয়। বৃষ্টিতে প্রজাদের ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। প্রবল বর্ষণের সঙ্গেই অসংখ্য শিল পরতে থাকে। ভাদ্র মাসের তালের মত বড় শিলার আঘাতে ঘরের চাল ভেঙে যায়। দেবী চণ্ডীর আদেশে পবন পুত্র বীর হনুমান ঋড় উঠিয়ে কলিঙ্গদেশে ধ্বংসলীলা চালান। তার দাপটে মঠ, অট্টালিকা সব ভেঙে খান খান হয়ে যায়।
দেবীর আদেশের নদনদী কলিঙ্গদেশের দিকে ধেয়ে আসে। বিরাট বিরাট ঢেউয়ের আঘাতে বাড়িঘর মাটিতে পড়ে যায়। জলে-স্থলে একাকার হয়ে গিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সাপ আশ্রয় হারিয়ে ফেলে ভেসে বেড়ায়।
৪.২ ‘চিঠি’ অনুসরণে স্বামী বিবেকানন্দের বিদেশী ভক্ত ও অনুগামীদের পরিচয় দাও।
উত্তর:- স্বামীজি চিঠিতে যে সমস্ত বিদেশি ও বিদেশিনীদের নাম উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে প্রথমেই তিনি তাঁর মিস নোবেল-এর কথা লিখেছেন|তাঁকেই তিনি চিঠিটি লিখেছেন। মিস মার্গারেট নোবেল স্বামীজির কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং তারই আদর্শে ভারতের নারীসমাজের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেন। কলকাতার বাগবাজারে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। যেটির নাম ‘নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়।
মি স্টার্ডি স্বামী বিবেকানন্দের একজন ইংরেজ
ভক্ত যিনি ইংল্যান্ডে বেদান্ত প্রচারের কাজে স্বামিজীকে সাহায্য করেন।
মিস হেনরিয়েটা মুলার স্বামীজিকে বেলুড় মঠ স্থাপনের কাজে অর্থ সাহায্য করেছিলেন। মিস মুলারের বাড়িতে স্বামীজি কিছুদিন অতিথি হিসাবে ছিলেন। স্বামীজি বলেছেন যে, তার কিছুটা রুক্ষ মেজাজ ও অস্থিরচিত্ত রয়েছে; তবে তিনি আবার সহৃদয় ও অমায়িক।
মিসেস সেভিয়ার সম্পর্কে স্বামীজি খুব প্রশংসা করেছেন।তিনি বলেছেন, মিসেস সেভিয়ার খুবই স্নেহময়ী। তাঁর স্বামী ক্যাপটেন জে. এইচ. সেভিয়ার। এই সেভিয়ার দম্পতিই একমাত্র ইংরেজ যাঁরা এদেশীয়দের ঘৃণা করেন না। তবে এঁদের কোনো নির্দিষ্ট কার্যপ্রণালী নেই।
স্বামীজির দুজন বন্ধু হলেন মিস ম্যাকলাউড ও বস্টনের মিসেস বুল। তাঁরা খুবই উপকারি। স্বামীজিকে নানান কাজে সাহায্য করেছেন ম্যাকলাউড, আর মিসেস বুল বেলুড় মঠ স্থাপনে অনেক অর্থ সাহায্য করেছেন।
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে (কম-বেশি ১৫০ শব্দ) :
‘কর্ভাস যে এখন সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়, তার স্পষ্ট প্রমাণ আজকে পেলাম। – প্রােফেসর শঙ্কু কীভাবে সেই প্রমাণ পেয়েছেন?
উত্তর:- সত্যজিৎ রায় রচিত ‘কর্ভাস’ গল্পে প্রোফেসর শঙ্কুর তৈরি ‘অরনিথন’ যন্ত্রের মাধ্যমে দু-সপ্তাহের মধ্যে কর্ভাসের শিক্ষায় অভাবনীয় উন্নতি ঘটেছিল। আর তারপর থেকেই সে নিজেকে অন্য সাধারণ কাকেদের থেকে আলাদা মনে করতে শুরু করে। একদিন দুপুরে হঠাৎ খুব বৃষ্টি শুরু হয়, সঙ্গে বিদ্যুৎ ও বজ্রপাত।
তিনটে নাগাদ এক কান ফাটানো বাজ পড়ার শব্দ হলে প্রোফেসর শঙ্কু জানালার কাছে গিয়ে দেখেন তার বাগানের বাইরের শিমুল গাছটা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। বিকেলে বৃষ্টি থেমে গেলে বাইরে কাকেদের প্রচণ্ড কোলাহল শোনা যায়। সে অঞ্চলের সব কাক ওই মরা।
প্রোফেসর শঙ্কু জানালার কাছে গিয়ে দেখেন তার বাগানের বাইরের শিমুল গাছটা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। বিকেলে বৃষ্টি থেমে গেলে বাইরে কাকেদের প্রচণ্ড কোলাহল শোনা যায়। সে অঞ্চলের সব কাক ওই মরা গাছটার কাছে এসে কোলাহল করতে শুরু করে।
গাছটার কাছে এসে কোলাহল করতে শুরু করে। প্রোফেসর তাঁর চাকর প্রহ্লাদকে ব্যাপারটা দেখতে পাঠালে, সে ফিরে এসে জানায় যে ওই গাছটার নীচে একটা কাক মরে পড়ে আছে। তাই কাকেরা এত চ্যাচাচ্ছে। বোঝা যায় ওই বাজ পড়ার ফলেই ঝাকটার মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল – যেখানে কাকেরা এসে জড়ো হয়েছে, সেখানে কর্ভাস প্রোফেসরের ঘর থেকে বেরোনোর কোনোরকম কোনো আগ্রহ দেখায়নি। সে একমনে তখন পেনসিল দিয়ে ‘প্রাইম নাম্বারস্’ অর্থাৎ মৌলিক সংখ্যা লিখছিল। এই ঘটনায় প্রোফেসর শঙ্কু বুঝতে পারেন যে কর্ভাস নিজেকে সাধারণ কাকেদের থেকে আলাদা করে রাখতে চায়।
৬. নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর দাও :
৬.১ ধাত্ববয়ব প্রত্যয়ের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: চল্ ( গমন করা ) + ই ( নীচ ) = চালি
৬.২ মৌলিক শব্দ বলতে কী বােঝ?
উত্তর: যেসব শব্দকে ভাঙা বা বিশ্লেষণ করা যায় না এবং যার সঙ্গে কোনো প্রত্যয়, বিভক্তি বা উপসর্গ যুক্ত থাকে না, তাদের মৌলিক শব্দ বলে।
উদাহরণ: মা, বাবা, গোলাপ, বই, হাত, আকাশ ইত্যাদি।
৬.৩ নবগঠিত শব্দকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় এবং কী কী?
উত্তর:- বাংলা শব্দভাণ্ডারে নবগঠিত শব্দ আবার
নবগঠিত শব্দকে সাধারণত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলোর মধ্যে কিছু হলো অবিমিশ্র শব্দ যেমন অনিকেত, অতিরেক ইত্যাদি। আবার কিছু শব্দ ভিন্ন-ভিন্ন ভাষার উপাদানের সংযোগে গঠিত। এগুলোকে মিশ্র শব্দ বা সঙ্কর শব্দ বলে।
দু – প্রকার
যেমন : হেড [ইং] + পণ্ডিত [বাং] = হেডপণ্ডিত। হেড + মৌলবী [ আরবী] = হেডমৌলবী। ফি [ফারসী] + বছর [বাংলা] ফি-বছর।
৬.৪ তামিল শব্দভাণ্ডার থেকে বাংলায় এসেছে এমন দুটি শব্দ লেখাে।
উত্তর:- তামিল শব্দভাণ্ডার থেকে বাংলায় এসেছে এমন দুটি শব্দ হল – চুরুট , পিলে ইত্যাদি।
৬.৫ কাছের ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করতে কোন্ সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হয়?
উত্তর:- সামীপ্যবাচক সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন –
ইনি উনি, এটা সেটা, এই ওই ইত্যাদি।
৭. ভাবসম্প্রসারণ করাে :
‘ধর্মের নামে মােহ এসে যারে ধরে
অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে।
উত্তর: মানুষের জীবনে কর্মের পাশাপাশি ধর্ম হল একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ অংশ । কিন্তু যখন ধর্ম মানুষের মধ্যে মোহ সৃষ্টি করে তখন সে অন্ধের মত ধর্মের কুসংস্কার মেনে চলে । যার জন্য নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনে তার প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে । মানুষের মধ্যে আমাদের সমাজে ধর্ম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ মানুষ সব সময় ধর্ম নিয়ে বেশি সচেতন সে যেই ধর্ম হোক না । কখনো কখনো এই ধর্ম মানুষের মধ্যে এমন ভাবে প্রভাব বিস্তার করে যে সব সময় সব কিছুর মধ্যে ধর্ম খুঁজে । প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মধ্যে ধর্ম নিয়ে নানান সংস্কার বিস্তার হয়ে আছে । মানুষ ধর্মের মধ্যে এমন ভাবে জর্জরিত হয়ে যায় যে সে অন্য কিছু বোঝার চেষ্টা করে না কেবলমাত্র ধর্ম ছাড়া । যার ফলে তার সেই ধর্মের অন্ধকার নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে । ধর্ম সম্পর্কে মানুষকে অন্ধ বিশ্বাসী না হয়ে সচেতন হতে হবে । জাতি ধর্মের মুহতার জীবনসহ অন্য কারো জীবন অন্ধকারাচ্ছন্ন না করে দেয় । তাই ধর্মকে ধর্ম হিসেবে নেওয়া উচিত তাকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া কখনই উচিত নয় । আমাদের ব্যবহারিক জীবনকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক করার জন্য ধর্মকে উপস্থাপন করা হয়েছে এটা কখনোই ভুলে গেলে চলবে না।